নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা।
গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় এনসিপি। সংবাদ সম্মেলনে ১১টার কথা বললেও পরবর্তীতে দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে নির্বাচন ভবনের সামনে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। বিজিবি ও র্যাবের দু-একটি গাড়ি মাঝে মাঝে টহল দিচ্ছে। যৌথ বাহিনীও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে।
দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গণমাধ্যমকে জানান, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এ দিকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা ঠিক করতে সকাল থেকে সভায় বসেছে নির্বাচন কমিশন। এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির এটি পঞ্চম কমিশন সভা। 
সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে—রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা, ২০২৫; সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং বিবিধ।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা।
গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় এনসিপি। সংবাদ সম্মেলনে ১১টার কথা বললেও পরবর্তীতে দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে নির্বাচন ভবনের সামনে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। বিজিবি ও র্যাবের দু-একটি গাড়ি মাঝে মাঝে টহল দিচ্ছে। যৌথ বাহিনীও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে।
দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গণমাধ্যমকে জানান, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এ দিকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা ঠিক করতে সকাল থেকে সভায় বসেছে নির্বাচন কমিশন। এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির এটি পঞ্চম কমিশন সভা। 
সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে—রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা, ২০২৫; সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং বিবিধ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা।
গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় এনসিপি। সংবাদ সম্মেলনে ১১টার কথা বললেও পরবর্তীতে দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে নির্বাচন ভবনের সামনে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। বিজিবি ও র্যাবের দু-একটি গাড়ি মাঝে মাঝে টহল দিচ্ছে। যৌথ বাহিনীও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে।
দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গণমাধ্যমকে জানান, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এ দিকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা ঠিক করতে সকাল থেকে সভায় বসেছে নির্বাচন কমিশন। এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির এটি পঞ্চম কমিশন সভা। 
সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে—রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা, ২০২৫; সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং বিবিধ।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা।
গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় এনসিপি। সংবাদ সম্মেলনে ১১টার কথা বললেও পরবর্তীতে দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে নির্বাচন ভবনের সামনে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। বিজিবি ও র্যাবের দু-একটি গাড়ি মাঝে মাঝে টহল দিচ্ছে। যৌথ বাহিনীও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে।
দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গণমাধ্যমকে জানান, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এ দিকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা ঠিক করতে সকাল থেকে সভায় বসেছে নির্বাচন কমিশন। এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির এটি পঞ্চম কমিশন সভা। 
সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে—রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা, ২০২৫; সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং বিবিধ।


‘১০ হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা; নির্বাচন ঠান্ডা’—এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি জনগণ আর দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরের শেরেবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথ
২৭ মিনিট আগে
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা রাখতে পারছে না। এনসিপির দাবির মুখে শাপলা থেকে শাপলা কলি দিতে বাধ্য হলো। সেই এনসিপি ভোটের সময় জোর করে নির্বাচন আসনগুলোতে জিততে যাবে, তখন নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
২৭০ পঞ্জিকা দিবস পর গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে— এটি অযৌক্তিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হাস্যকর। সংসদে পাস বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই আইনে পরিণত হয়। সংবিধানে স্বয়ংক্রিয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ নেই এবং তা গণতান্ত্রিক রীতি ও সংসদীয় সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘১০ হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা; নির্বাচন ঠান্ডা’—এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি জনগণ আর দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরের শেরেবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয় এই মেডিকেল ক্যাম্পের।
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সবার আগে দেশে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য দরকার সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। ভোট চুরি-ডাকাতি, কেন্দ্র দখলসহ নির্বাচনে অবৈধ অর্থের ব্যবহারের অতীত অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ১০ হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা; নির্বাচন ঠান্ডা—এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি জনগণ আর দেখতে চায় না।’
‘আমার ভোট আমি দেব; যাকে খুশি তাকে দেব’—এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এমন পরিবেশের জন্য দরকার প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আদায়ে তিনি সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানান।
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে কোরআনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘যে রাষ্ট্রের ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। দেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত। সে স্বপ্নের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রতি গণজোয়ার সৃষ্টিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
জামায়াত নেতা বলেন, ‘স্বাস্থ্য সচেতন হলে বা সুস্থ থাকলে ব্যক্তির জীবন যেমন আনন্দঘন হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনিভাবে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে এবং জাতিকে সুখী-সমৃদ্ধ করতে আমাদের সচেতন হতে হবে। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের সুচিন্তিতভাবে রায় প্রদান করতে হবে।’
জামায়াতের কাফরুল উত্তর থানা আমির রেজাউল করিম মাহমুদ মেডিকেল ক্যাম্পে সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যাপক জিহাদ খান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শহীদুল্লাহ ও কাফরুল উত্তর থানা সেক্রেটারি আশিকুর রহমান এ সময় বক্তব্য দেন।

‘১০ হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা; নির্বাচন ঠান্ডা’—এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি জনগণ আর দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরের শেরেবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয় এই মেডিকেল ক্যাম্পের।
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সবার আগে দেশে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য দরকার সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। ভোট চুরি-ডাকাতি, কেন্দ্র দখলসহ নির্বাচনে অবৈধ অর্থের ব্যবহারের অতীত অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ১০ হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা; নির্বাচন ঠান্ডা—এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি জনগণ আর দেখতে চায় না।’
‘আমার ভোট আমি দেব; যাকে খুশি তাকে দেব’—এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এমন পরিবেশের জন্য দরকার প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আদায়ে তিনি সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানান।
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে কোরআনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘যে রাষ্ট্রের ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। দেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত। সে স্বপ্নের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রতি গণজোয়ার সৃষ্টিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
জামায়াত নেতা বলেন, ‘স্বাস্থ্য সচেতন হলে বা সুস্থ থাকলে ব্যক্তির জীবন যেমন আনন্দঘন হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনিভাবে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে এবং জাতিকে সুখী-সমৃদ্ধ করতে আমাদের সচেতন হতে হবে। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের সুচিন্তিতভাবে রায় প্রদান করতে হবে।’
জামায়াতের কাফরুল উত্তর থানা আমির রেজাউল করিম মাহমুদ মেডিকেল ক্যাম্পে সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যাপক জিহাদ খান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শহীদুল্লাহ ও কাফরুল উত্তর থানা সেক্রেটারি আশিকুর রহমান এ সময় বক্তব্য দেন।


নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় এনসিপি। সংবাদ সম্মেলনে ১১টার কথা বললেও পরবর্তীতে দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ
২১ মে ২০২৫
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা রাখতে পারছে না। এনসিপির দাবির মুখে শাপলা থেকে শাপলা কলি দিতে বাধ্য হলো। সেই এনসিপি ভোটের সময় জোর করে নির্বাচন আসনগুলোতে জিততে যাবে, তখন নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
২৭০ পঞ্জিকা দিবস পর গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে— এটি অযৌক্তিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হাস্যকর। সংসদে পাস বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই আইনে পরিণত হয়। সংবিধানে স্বয়ংক্রিয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ নেই এবং তা গণতান্ত্রিক রীতি ও সংসদীয় সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।
১৯ ঘণ্টা আগেনীলফামারী ও সৈয়দপুর প্রতিনিধি

জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা রাখতে পারছে না। এনসিপির দাবির মুখে শাপলা থেকে শাপলা কলি দিতে বাধ্য হলো। সেই এনসিপি ভোটের সময় জোর করে নির্বাচন আসনগুলোতে জিততে যাবে, তখন নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
আজ শুক্রবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের একটি হোটেলে নীলফামারী জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে সভায় জাতীয় পার্টির নেতা এসব কথা বলেন।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, দেশের নির্বাচন হবে কি না, কবে নির্বাচন হবে—তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে কি না, জাতীয় পার্টিকে সুষ্ঠুভাবে এ নির্বাচন করতে দেবে কি না, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না—এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। তবে জাতীয় পার্টি ছাড়া নির্বাচন হলে সরকার এ দেশ চালাতে পারবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে দেখাতে হবে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম। তখন জাতীয় পার্টি ভাববে নির্বাচনে যাবে কি না।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি ছাড়া এ সরকার সংস্কার করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সংস্কারের দলগুলো দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংস্কারে ঐকমত্য সৃষ্টি না করে দেশকে আজ তিন ভাগে করেছে। শুধু ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ দুই ভাগে ভাগ হয়নি, যাদের ডাকা হয়নি, অর্থাৎ বঞ্চিতদের একটি ভাগে ভাগ করেছে।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ২০০৮ সালের ভোটের হিসাব অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মিলে ৪৬ থেকে ৫৬ শতাংশ ভোট রয়েছে। এ দুটি দলকে বাদ দিয়ে সংস্কার করা হলে বাংলাদেশের সংস্কার হবে না, কিছু অংশের সংস্কার হবে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে ’১৪, ’১৮ ও ’২৪ সালে দেশে কোনো স্বাভাবিক সরকার ছিল না। কোনো স্বাভাবিক ভোট হয়নি। এখানে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করেছিল বাধ্য হয়ে, কখনো অংশ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দলটাকে টিকিয়ে রেখেছে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, জাতীয় পার্টি এভাবে হলের ভেতরে আর কোনো সভা করবে না। বিভিন্ন দাবিতে বড় পরিসরে মাঠে-ময়দানে সভার আয়োজন করবে। ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সুসংগঠিত হয়ে আগামীতে ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ পারভেজের সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা রাখতে পারছে না। এনসিপির দাবির মুখে শাপলা থেকে শাপলা কলি দিতে বাধ্য হলো। সেই এনসিপি ভোটের সময় জোর করে নির্বাচন আসনগুলোতে জিততে যাবে, তখন নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
আজ শুক্রবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের একটি হোটেলে নীলফামারী জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে সভায় জাতীয় পার্টির নেতা এসব কথা বলেন।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, দেশের নির্বাচন হবে কি না, কবে নির্বাচন হবে—তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে কি না, জাতীয় পার্টিকে সুষ্ঠুভাবে এ নির্বাচন করতে দেবে কি না, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না—এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। তবে জাতীয় পার্টি ছাড়া নির্বাচন হলে সরকার এ দেশ চালাতে পারবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে দেখাতে হবে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম। তখন জাতীয় পার্টি ভাববে নির্বাচনে যাবে কি না।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি ছাড়া এ সরকার সংস্কার করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সংস্কারের দলগুলো দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংস্কারে ঐকমত্য সৃষ্টি না করে দেশকে আজ তিন ভাগে করেছে। শুধু ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ দুই ভাগে ভাগ হয়নি, যাদের ডাকা হয়নি, অর্থাৎ বঞ্চিতদের একটি ভাগে ভাগ করেছে।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ২০০৮ সালের ভোটের হিসাব অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মিলে ৪৬ থেকে ৫৬ শতাংশ ভোট রয়েছে। এ দুটি দলকে বাদ দিয়ে সংস্কার করা হলে বাংলাদেশের সংস্কার হবে না, কিছু অংশের সংস্কার হবে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে ’১৪, ’১৮ ও ’২৪ সালে দেশে কোনো স্বাভাবিক সরকার ছিল না। কোনো স্বাভাবিক ভোট হয়নি। এখানে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করেছিল বাধ্য হয়ে, কখনো অংশ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দলটাকে টিকিয়ে রেখেছে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, জাতীয় পার্টি এভাবে হলের ভেতরে আর কোনো সভা করবে না। বিভিন্ন দাবিতে বড় পরিসরে মাঠে-ময়দানে সভার আয়োজন করবে। ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সুসংগঠিত হয়ে আগামীতে ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ পারভেজের সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।


নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় এনসিপি। সংবাদ সম্মেলনে ১১টার কথা বললেও পরবর্তীতে দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ
২১ মে ২০২৫
‘১০ হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা; নির্বাচন ঠান্ডা’—এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি জনগণ আর দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরের শেরেবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথ
২৭ মিনিট আগে
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
২৭০ পঞ্জিকা দিবস পর গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে— এটি অযৌক্তিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হাস্যকর। সংসদে পাস বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই আইনে পরিণত হয়। সংবিধানে স্বয়ংক্রিয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ নেই এবং তা গণতান্ত্রিক রীতি ও সংসদীয় সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একটি মহল আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহলটির উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেছেন, তারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, এখন জনগণ যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়, তারা যেন সেই নির্বাচনের বিরোধিতা না করে।
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কারভাবে বলছি যে, আমরা নির্বাচন করব, নির্বাচন করতে চাই এবং আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেই ঘোষণার সঙ্গে একমত হয়ে আমরা নির্বাচন চাই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেই নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য একটা মহল উঠেপড়ে লেগেছে। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, গণভোট নির্বাচনের আগে করার কোনো সুযোগ এখন আর নাই। নির্বাচনের দিন গণভোট হবে, সে কথা আমরা পরিষ্কার করে বলেছি। সেখানে দুটো ব্যালট থাকবে—একটি গণভোটের জন্য, আরেকটি হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য। সুতরাং, এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত কেউ করবে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যারা এ নিয়ে গোলমাল করছেন, রাস্তায় নেমেছেন, তাঁদের অনুরোধ করব, জনগণকে অনেক বিভ্রান্ত করে অনেক কিছু করেছেন। সেগুলো আমি বলতে চাই না। একসময় এই দেশের সব মানুষের চাহিদা ছিল পাকিস্তান স্বাধীন (হোক), আপনারা সেটার বিরোধিতা করেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। আজকে দয়া করে জনগণ যে নির্বাচন চায়, সে নির্বাচনের বিরোধিতা করবেন না।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এ দেশের মানুষ যারা বিট্রেয়ার (বিশ্বাসঘাতক), তাদের ক্ষমা করে না, তারা ক্ষমা পায় না। সুতরাং, এখান থেকে সরে আসুন, নির্বাচন করুন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের মতামত প্রতিষ্ঠিত হোক, এটাই আমরা সকলে চাই।’

একটি মহল আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহলটির উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেছেন, তারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, এখন জনগণ যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়, তারা যেন সেই নির্বাচনের বিরোধিতা না করে।
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কারভাবে বলছি যে, আমরা নির্বাচন করব, নির্বাচন করতে চাই এবং আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেই ঘোষণার সঙ্গে একমত হয়ে আমরা নির্বাচন চাই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেই নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য একটা মহল উঠেপড়ে লেগেছে। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, গণভোট নির্বাচনের আগে করার কোনো সুযোগ এখন আর নাই। নির্বাচনের দিন গণভোট হবে, সে কথা আমরা পরিষ্কার করে বলেছি। সেখানে দুটো ব্যালট থাকবে—একটি গণভোটের জন্য, আরেকটি হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য। সুতরাং, এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত কেউ করবে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যারা এ নিয়ে গোলমাল করছেন, রাস্তায় নেমেছেন, তাঁদের অনুরোধ করব, জনগণকে অনেক বিভ্রান্ত করে অনেক কিছু করেছেন। সেগুলো আমি বলতে চাই না। একসময় এই দেশের সব মানুষের চাহিদা ছিল পাকিস্তান স্বাধীন (হোক), আপনারা সেটার বিরোধিতা করেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। আজকে দয়া করে জনগণ যে নির্বাচন চায়, সে নির্বাচনের বিরোধিতা করবেন না।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এ দেশের মানুষ যারা বিট্রেয়ার (বিশ্বাসঘাতক), তাদের ক্ষমা করে না, তারা ক্ষমা পায় না। সুতরাং, এখান থেকে সরে আসুন, নির্বাচন করুন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের মতামত প্রতিষ্ঠিত হোক, এটাই আমরা সকলে চাই।’


নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় এনসিপি। সংবাদ সম্মেলনে ১১টার কথা বললেও পরবর্তীতে দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ
২১ মে ২০২৫
‘১০ হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা; নির্বাচন ঠান্ডা’—এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি জনগণ আর দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরের শেরেবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথ
২৭ মিনিট আগে
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা রাখতে পারছে না। এনসিপির দাবির মুখে শাপলা থেকে শাপলা কলি দিতে বাধ্য হলো। সেই এনসিপি ভোটের সময় জোর করে নির্বাচন আসনগুলোতে জিততে যাবে, তখন নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
২৭০ পঞ্জিকা দিবস পর গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে— এটি অযৌক্তিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হাস্যকর। সংসদে পাস বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই আইনে পরিণত হয়। সংবিধানে স্বয়ংক্রিয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ নেই এবং তা গণতান্ত্রিক রীতি ও সংসদীয় সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদে নতুন করে ‘মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব’ চাপিয়ে দেওয়া হলে তা জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রতিক্রিয়া জানান।
দীর্ঘ লিখিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল জুলাই সনদের অনেক অংশে ঐকমত্য পোষণ করেছে। কিন্তু যেসব বিষয়ে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট ছিল, তা উপেক্ষা করে এবং নতুন ‘অপ্রাসঙ্গিক বিষয়’ সংযোজন করে যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে উল্লিখিত যে সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আইন, বিধিবিধান পরিবর্তন বা সংশোধন করা দরকার, সরকার তা অধ্যাদেশ জারি ও বিধিবিধান/সংশোধন করে বাস্তবায়ন করতে পারে এবং যে সকল সিদ্ধান্ত নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো অবিলম্বে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করতে পারে। এই প্রস্তাবের সঙ্গে আমরাসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দল ঐকমত্য পোষণ করেছি। এ ছাড়া জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য আমরা গণভোটেও সম্মত হয়েছি।’
‘কিন্তু যে সকল বিষয়ে ভিন্নমত/নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে, তার উল্লেখ না রেখে এবং যেসব প্রসঙ্গ দীর্ঘ আলোচনায় আসেনি, তা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্য সকল সুপারিশ ‘‘অগ্রহণযোগ্য’’ বিধায় আমরা একমত হতে পারছি না। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, এই সকল সুপারিশ কেবল জাতিকে বিভক্ত করবে, ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। মনগড়া যেকোনো সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করলে জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এক নতুন গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার সূচনা হয়।
রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে বিএনপি এর আগেই ২০২৩ সালে ৩১ দফা, ২০২২ সালে ২৭ দফা এবং ২০১৭ সালে ভিশন–২০৩০ ঘোষণা করেছিল বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অতএব, রাষ্ট্রকাঠামোর প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংস্কার বিএনপির অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানান, গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোকে বিএনপি স্বাগত জানায় এবং সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন বিষয়ে বিস্তারিত মতামত দেয়। ছয়টি সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বিএনপির ধারাবাহিক আলোচনার ফলাফলের ভিত্তিতেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের সময় চূড়ান্ত কপি রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। পরে মুদ্রিত কপিতে দেখা যায়, ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া কয়েকটি দফা অগোচরে পরিবর্তন করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অফিসে টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির বিষয়ে প্রায় সব দল সম্মত হয়েছিল, কিন্তু তা বাদ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদ ও সংশ্লিষ্ট তফসিলসমূহ বিলুপ্তির বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারকে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে, তাতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫’ জারি করার প্রস্তাব রয়েছে। সরকারের এমন আদেশ জারির এখতিয়ার নেই। সংবিধান অনুযায়ী ‘আদেশ’ আইনের মর্যাদাপ্রাপ্ত, তাই তা জারি করার ক্ষমতা কেবল রাষ্ট্রপতির।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি দফা গণভোটে তোলা হবে। কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এভাবে একপেশে প্রস্তাব জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলে তা হবে জবরদস্তিমূলক, যা দীর্ঘ আলোচনাকে অর্থহীন প্রমাণ করবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি, কিন্তু বর্তমান প্রস্তাবে নির্বাচনের আগে গণভোটের কথা বলা হয়েছে। ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন সময়সাপেক্ষ, অযৌক্তিক ও ব্যয়সাপেক্ষ। একই আয়োজনে নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়াই যুক্তিযুক্ত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠনের প্রস্তাবকেও ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের দায়িত্ব তার নয়। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনাতেও বিষয়টি ছিল না।
ফখরুল আরও বলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ না করলে প্রস্তাবিত বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে যে বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে, তা ‘হাস্যকর ও অগণতান্ত্রিক’। সংসদের অনুমোদন ও রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোনো বিল আইনে পরিণত হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনের শেষাংশে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কারে বিএনপি সব সময় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এবারও দলটি সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশনের সব আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি অতীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভিশন–২০৩০ এবং তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে সংস্কারের আন্তরিকতা প্রমাণ করেছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, জাতির প্রত্যাশা পূরণে এবং দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সকল শহীদের রক্তের অঙ্গীকার অনুযায়ী এবং যারা দীর্ঘ এই সংগ্রামে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গুম, খুন, অপহরণ, নির্যাতন, মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন করতে পারব; প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেই লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা আমাদের সকলের কাম্য এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে জাতির অভিপ্রায় অনুযায়ী সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য হবে—সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা এবং উক্ত জাতীয় সংসদকে প্রকৃত অর্থে জাতীয় জীবনের সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে পরিণত করা।’
ফখরুল বলেন, ‘গত প্রায় এক বছর ধরে আমাদের দল ও দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিগণ অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশন এবং অতপর ঐকমত্য কমিশনের সকল সভা, আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমাদের দলের পক্ষ থেকে অনেক বিষয়েই ছাড় দেওয়া হয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবেই চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়ার সাফল্য কামনা করি। কিন্তু একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশ ও জনগণের প্রকৃত কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের অবস্থান গ্রহণ ও প্রকাশে আমরা দায়বদ্ধ।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদে নতুন করে ‘মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব’ চাপিয়ে দেওয়া হলে তা জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রতিক্রিয়া জানান।
দীর্ঘ লিখিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল জুলাই সনদের অনেক অংশে ঐকমত্য পোষণ করেছে। কিন্তু যেসব বিষয়ে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট ছিল, তা উপেক্ষা করে এবং নতুন ‘অপ্রাসঙ্গিক বিষয়’ সংযোজন করে যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে উল্লিখিত যে সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আইন, বিধিবিধান পরিবর্তন বা সংশোধন করা দরকার, সরকার তা অধ্যাদেশ জারি ও বিধিবিধান/সংশোধন করে বাস্তবায়ন করতে পারে এবং যে সকল সিদ্ধান্ত নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো অবিলম্বে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করতে পারে। এই প্রস্তাবের সঙ্গে আমরাসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দল ঐকমত্য পোষণ করেছি। এ ছাড়া জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য আমরা গণভোটেও সম্মত হয়েছি।’
‘কিন্তু যে সকল বিষয়ে ভিন্নমত/নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে, তার উল্লেখ না রেখে এবং যেসব প্রসঙ্গ দীর্ঘ আলোচনায় আসেনি, তা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্য সকল সুপারিশ ‘‘অগ্রহণযোগ্য’’ বিধায় আমরা একমত হতে পারছি না। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, এই সকল সুপারিশ কেবল জাতিকে বিভক্ত করবে, ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। মনগড়া যেকোনো সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করলে জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এক নতুন গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার সূচনা হয়।
রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে বিএনপি এর আগেই ২০২৩ সালে ৩১ দফা, ২০২২ সালে ২৭ দফা এবং ২০১৭ সালে ভিশন–২০৩০ ঘোষণা করেছিল বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অতএব, রাষ্ট্রকাঠামোর প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংস্কার বিএনপির অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানান, গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোকে বিএনপি স্বাগত জানায় এবং সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন বিষয়ে বিস্তারিত মতামত দেয়। ছয়টি সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বিএনপির ধারাবাহিক আলোচনার ফলাফলের ভিত্তিতেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের সময় চূড়ান্ত কপি রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। পরে মুদ্রিত কপিতে দেখা যায়, ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া কয়েকটি দফা অগোচরে পরিবর্তন করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অফিসে টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির বিষয়ে প্রায় সব দল সম্মত হয়েছিল, কিন্তু তা বাদ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদ ও সংশ্লিষ্ট তফসিলসমূহ বিলুপ্তির বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারকে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে, তাতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫’ জারি করার প্রস্তাব রয়েছে। সরকারের এমন আদেশ জারির এখতিয়ার নেই। সংবিধান অনুযায়ী ‘আদেশ’ আইনের মর্যাদাপ্রাপ্ত, তাই তা জারি করার ক্ষমতা কেবল রাষ্ট্রপতির।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি দফা গণভোটে তোলা হবে। কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এভাবে একপেশে প্রস্তাব জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলে তা হবে জবরদস্তিমূলক, যা দীর্ঘ আলোচনাকে অর্থহীন প্রমাণ করবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি, কিন্তু বর্তমান প্রস্তাবে নির্বাচনের আগে গণভোটের কথা বলা হয়েছে। ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন সময়সাপেক্ষ, অযৌক্তিক ও ব্যয়সাপেক্ষ। একই আয়োজনে নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়াই যুক্তিযুক্ত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠনের প্রস্তাবকেও ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের দায়িত্ব তার নয়। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনাতেও বিষয়টি ছিল না।
ফখরুল আরও বলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ না করলে প্রস্তাবিত বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে যে বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে, তা ‘হাস্যকর ও অগণতান্ত্রিক’। সংসদের অনুমোদন ও রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোনো বিল আইনে পরিণত হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনের শেষাংশে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কারে বিএনপি সব সময় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এবারও দলটি সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশনের সব আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি অতীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভিশন–২০৩০ এবং তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে সংস্কারের আন্তরিকতা প্রমাণ করেছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, জাতির প্রত্যাশা পূরণে এবং দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সকল শহীদের রক্তের অঙ্গীকার অনুযায়ী এবং যারা দীর্ঘ এই সংগ্রামে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গুম, খুন, অপহরণ, নির্যাতন, মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন করতে পারব; প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেই লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা আমাদের সকলের কাম্য এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে জাতির অভিপ্রায় অনুযায়ী সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য হবে—সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা এবং উক্ত জাতীয় সংসদকে প্রকৃত অর্থে জাতীয় জীবনের সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে পরিণত করা।’
ফখরুল বলেন, ‘গত প্রায় এক বছর ধরে আমাদের দল ও দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিগণ অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশন এবং অতপর ঐকমত্য কমিশনের সকল সভা, আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমাদের দলের পক্ষ থেকে অনেক বিষয়েই ছাড় দেওয়া হয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবেই চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়ার সাফল্য কামনা করি। কিন্তু একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশ ও জনগণের প্রকৃত কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের অবস্থান গ্রহণ ও প্রকাশে আমরা দায়বদ্ধ।’


নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় এনসিপি। সংবাদ সম্মেলনে ১১টার কথা বললেও পরবর্তীতে দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ
২১ মে ২০২৫
‘১০ হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা; নির্বাচন ঠান্ডা’—এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি জনগণ আর দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরের শেরেবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথ
২৭ মিনিট আগে
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা রাখতে পারছে না। এনসিপির দাবির মুখে শাপলা থেকে শাপলা কলি দিতে বাধ্য হলো। সেই এনসিপি ভোটের সময় জোর করে নির্বাচন আসনগুলোতে জিততে যাবে, তখন নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগে