আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ প্রতিবন্ধীদের ভাতা লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান। এ সময় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের নিয়ে আগামী দিনে বিএনপির পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
প্রতিবন্ধীদের ভাতা লুটের অভিযোগ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা অনেকেই জানেন, ২০০১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান শুরু করলেও আওয়ামী লীগ সেই ভাতাকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখে, নিজেদের নেতা-কর্মীদের মাঝে লুটে নিয়েছে। অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে, তা ন্যায্যভাবে পুনর্নির্ধারণ করতে চাই। নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে সহজ ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে, আমরা সমাজকল্যাণ, স্বাস্থ্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করব, যাতে একজন প্রতিবন্ধীও সামাজিক সুবিধা থেকে বাদ না পড়ে।’
প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে তাদের জন্য স্বতন্ত্র একটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবনের মানোন্নয়নে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যার ভিত্তি হবে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা। আমরা একটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেব, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করবে।’
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলে দেশের অন্য সকল নাগরিকের মতো আপনাদেরও নাগরিক অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ আন্তরিক থাকবে। আপনাদের সুচিকিৎসা, শিক্ষার সুযোগ, চাকরির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ এবং দেশের প্রতিটি স্থাপনা ও যাতায়াত ব্যবস্থাকে আপনাদের জন্যে এক্সিসেবল করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ‘সুবর্ণ নাগরিক কার্ড’ গতিশীল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সুবর্ণ কার্ডকে গতিশীল করে আমরা এর আওতায় স্বাস্থ্য বিমা, শিক্ষা বৃত্তি, পরিবহন ডিসকাউন্টসহ অন্যান্য সামাজিক সুবিধা প্রদান করতে চাই। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা যাতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন, আমরা তাঁদের জন্য বাস্তবসম্মত ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করব।
বিশেষত আউটসোর্সিং, ডেটা প্রসেসিং এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বিশেষচাহিদাসম্পন্ন কিন্তু মেধাবী তরুণদের জন্য সুনির্দিষ্ট কারিগরি ও কাঠামোগত সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি, ট্যাক্স ওয়েভার এবং ওয়ার্ক স্টেশন সৃষ্টির সুযোগ কার্যকরভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও, উদ্যমী ও সফল প্রতিবন্ধীদের জন্য সহজ শর্তে বিশেষ ঋণ সুবিধা প্রদান করে উদ্যোক্তা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালানো যাবে।
একইসঙ্গে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রশিক্ষণ, গণপরিবহন ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাকে তাদের জন্য উপযোগী করে তোলা, স্বাস্থ্য, প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার বিষয়সহ নানা ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতির কথা জানান তারেক রহমান।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতিবন্ধকতা আমাদের সবার প্রতিবন্ধকতা। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের পেছনে রেখে আমরা কখনো এগিয়ে যেতে পারি না, আর এগোতে চাইও না। আমরা সবাই মিলে একসাথে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, সেটি হবে সবার জন্য ফেয়ার, সবার জন্য ইনক্লুসিভ, সবার জন্য বাসযোগ্য এবং সবার জন্য উপভোগ্য। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যার ভিত্তি হবে বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উদারতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ। আপনাদের কল্যাণ এবং সাফল্য আমাদের অগ্রাধিকার।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ড. পারভেজ রেজা কাকনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অন্তত দেড় শতাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ প্রতিবন্ধীদের ভাতা লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান। এ সময় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের নিয়ে আগামী দিনে বিএনপির পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
প্রতিবন্ধীদের ভাতা লুটের অভিযোগ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা অনেকেই জানেন, ২০০১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান শুরু করলেও আওয়ামী লীগ সেই ভাতাকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখে, নিজেদের নেতা-কর্মীদের মাঝে লুটে নিয়েছে। অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে, তা ন্যায্যভাবে পুনর্নির্ধারণ করতে চাই। নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে সহজ ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে, আমরা সমাজকল্যাণ, স্বাস্থ্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করব, যাতে একজন প্রতিবন্ধীও সামাজিক সুবিধা থেকে বাদ না পড়ে।’
প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে তাদের জন্য স্বতন্ত্র একটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবনের মানোন্নয়নে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যার ভিত্তি হবে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা। আমরা একটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেব, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করবে।’
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলে দেশের অন্য সকল নাগরিকের মতো আপনাদেরও নাগরিক অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ আন্তরিক থাকবে। আপনাদের সুচিকিৎসা, শিক্ষার সুযোগ, চাকরির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ এবং দেশের প্রতিটি স্থাপনা ও যাতায়াত ব্যবস্থাকে আপনাদের জন্যে এক্সিসেবল করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ‘সুবর্ণ নাগরিক কার্ড’ গতিশীল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সুবর্ণ কার্ডকে গতিশীল করে আমরা এর আওতায় স্বাস্থ্য বিমা, শিক্ষা বৃত্তি, পরিবহন ডিসকাউন্টসহ অন্যান্য সামাজিক সুবিধা প্রদান করতে চাই। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা যাতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন, আমরা তাঁদের জন্য বাস্তবসম্মত ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করব।
বিশেষত আউটসোর্সিং, ডেটা প্রসেসিং এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বিশেষচাহিদাসম্পন্ন কিন্তু মেধাবী তরুণদের জন্য সুনির্দিষ্ট কারিগরি ও কাঠামোগত সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি, ট্যাক্স ওয়েভার এবং ওয়ার্ক স্টেশন সৃষ্টির সুযোগ কার্যকরভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও, উদ্যমী ও সফল প্রতিবন্ধীদের জন্য সহজ শর্তে বিশেষ ঋণ সুবিধা প্রদান করে উদ্যোক্তা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালানো যাবে।
একইসঙ্গে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রশিক্ষণ, গণপরিবহন ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাকে তাদের জন্য উপযোগী করে তোলা, স্বাস্থ্য, প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার বিষয়সহ নানা ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতির কথা জানান তারেক রহমান।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতিবন্ধকতা আমাদের সবার প্রতিবন্ধকতা। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের পেছনে রেখে আমরা কখনো এগিয়ে যেতে পারি না, আর এগোতে চাইও না। আমরা সবাই মিলে একসাথে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, সেটি হবে সবার জন্য ফেয়ার, সবার জন্য ইনক্লুসিভ, সবার জন্য বাসযোগ্য এবং সবার জন্য উপভোগ্য। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যার ভিত্তি হবে বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উদারতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ। আপনাদের কল্যাণ এবং সাফল্য আমাদের অগ্রাধিকার।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ড. পারভেজ রেজা কাকনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অন্তত দেড় শতাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
৩ ঘণ্টা আগে
‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন না-ও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে
গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রেফারির ভূমিকায় থেকেও এক পক্ষের হয়ে গোল দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।সরকার ও দু-তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একই পক্ষে কমিশনের অবস্থান দেখা যাচ্ছে, যা রেফারির নিরপেক্ষ ভূমিকার পরিপন্থী।
আজ বুধবার দুপুরে বিএনপি আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠকে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন। ‘ফ্রম রুল বাই পাওয়ার টু রুল অব ল: ট্রানজিশন টু আ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই বৈঠক রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘গতকাল কমিশন সরকারকে যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেন, গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা কিছু সত্য আবিষ্কার করতে পেরেছেন। এত দিন তাঁরা মনে করতেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রেফারির ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু তারা যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে একজন দস্তখতকারী প্রধান উপদেষ্টাও আছেন, যিনি কমিশনের সভাপতি। ফলে এটি সরকারের পক্ষ থেকেও একধরনের অনুমোদন বা সমর্থন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন, কমিশনের প্রকাশিত ৯৪ পৃষ্ঠার দলিলে ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাক্ষরিত মূল দলিলটির হুবহু প্রতিফলন নেই। দলিলে কীভাবে ঐকমত্যে পৌঁছানো হলো বা কোনো ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) আছে কি না, তার কোনো উল্লেখ নেই।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সুপারিশে কিছু দলের প্রস্তাব ও ঐকমত্য কমিশনের চিন্তাভাবনা জাতির ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হলো, সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি দফা প্রস্তাব তফসিল আকারে সংযুক্ত করে গণভোটের কথা বলা হয়েছে, অথচ এই বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
সালাহউদ্দিন আহমদ মনে করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলো ঐক্যের পরিবর্তে জাতিকে বিভক্ত করবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বা আরপিওতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এখন অগণতান্ত্রিকভাবে বলা হয়েছে, জোটভুক্ত হলেও নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।’ এই ধরনের পরিবর্তন ‘অনৈক্য সৃষ্টি করবে’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিরপেক্ষ হওয়ার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় নিরপেক্ষভাবে আচরণ করুক। যাতে জাতি আশ্বস্ত হতে পারে এবং ঐক্য বজায় থাকে। কিন্তু ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ আমাদের হতাশ করেছে।’ তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতিতে ঐক্যের বদলে বিভাজন তৈরি হচ্ছে।’
আরও খবর পড়ুন:

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রেফারির ভূমিকায় থেকেও এক পক্ষের হয়ে গোল দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।সরকার ও দু-তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একই পক্ষে কমিশনের অবস্থান দেখা যাচ্ছে, যা রেফারির নিরপেক্ষ ভূমিকার পরিপন্থী।
আজ বুধবার দুপুরে বিএনপি আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠকে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন। ‘ফ্রম রুল বাই পাওয়ার টু রুল অব ল: ট্রানজিশন টু আ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই বৈঠক রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘গতকাল কমিশন সরকারকে যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেন, গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা কিছু সত্য আবিষ্কার করতে পেরেছেন। এত দিন তাঁরা মনে করতেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রেফারির ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু তারা যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে একজন দস্তখতকারী প্রধান উপদেষ্টাও আছেন, যিনি কমিশনের সভাপতি। ফলে এটি সরকারের পক্ষ থেকেও একধরনের অনুমোদন বা সমর্থন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন, কমিশনের প্রকাশিত ৯৪ পৃষ্ঠার দলিলে ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাক্ষরিত মূল দলিলটির হুবহু প্রতিফলন নেই। দলিলে কীভাবে ঐকমত্যে পৌঁছানো হলো বা কোনো ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) আছে কি না, তার কোনো উল্লেখ নেই।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সুপারিশে কিছু দলের প্রস্তাব ও ঐকমত্য কমিশনের চিন্তাভাবনা জাতির ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হলো, সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি দফা প্রস্তাব তফসিল আকারে সংযুক্ত করে গণভোটের কথা বলা হয়েছে, অথচ এই বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
সালাহউদ্দিন আহমদ মনে করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলো ঐক্যের পরিবর্তে জাতিকে বিভক্ত করবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বা আরপিওতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এখন অগণতান্ত্রিকভাবে বলা হয়েছে, জোটভুক্ত হলেও নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।’ এই ধরনের পরিবর্তন ‘অনৈক্য সৃষ্টি করবে’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিরপেক্ষ হওয়ার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় নিরপেক্ষভাবে আচরণ করুক। যাতে জাতি আশ্বস্ত হতে পারে এবং ঐক্য বজায় থাকে। কিন্তু ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ আমাদের হতাশ করেছে।’ তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতিতে ঐক্যের বদলে বিভাজন তৈরি হচ্ছে।’
আরও খবর পড়ুন:

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ প্রতিবন্ধীদের ভাতা লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন না-ও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে
গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন না-ও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তাহের।
কমনওয়েলথ ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’ প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন ড. দিনুষা পণ্ডিতরত্ন, ন্যান্সি কানিয়াগো, সার্থক রায় এবং ম্যাডোনা লিঞ্চ।
বৈঠক শেষে জামায়াত নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, আলাদাভাবেই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। কারণ, গণভোট হচ্ছে জুলাই সনদের ওপরে, রিফর্মসের ওপরে জনমত। আর জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে দেশীয় রাষ্ট্রক্ষমতা নির্ণয়ের একটা নির্বাচন। সুতরাং দুইটার চরিত্রই ভিন্ন। কোনো কারণে যদি জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে না-ও হইতে পারে—আমরা আশা করি সঠিক সময়ে ইনশাআল্লাহ হবে, তখনো তো জুলাই সনদ তো আমাদের পাস করতে হবে।’
গণভোট প্রসঙ্গে তাহের বলেন, ‘গণভোটের সঙ্গে কিছু সিদ্ধান্ত জড়িত আছে, যেমন আপার হাউস ইলেকশন। সুতরাং আপার হাউস ইলেকশন যদি হইতে হয়, মানুষ তো আগেই জানতে হবে যে আগামী নির্বাচনে আপার হাউস একটা আছে। যদি একই দিনে হয় তাহলে মানুষ তো জানবে না যে আপার হাউস পাস হচ্ছে, নাকি পাস হচ্ছে না। সুতরাং কোনো কিছু না জেনে ভোট দেবে কী করে? বলছে যে যেটা পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট হবে, সেই হারে আপার হাউস গঠিত হবে। তাহলে ভোট হয়ে যাবে আগে, আপার হাউসের জন্ম হবে পরে। তো জন্মের আগেই নাম রাখা, ছেলে না মেয়ে না জেনে, কিছুই না বুঝে—এটা তো একটা উদ্ভট টাইপের কথা।’
এ ছাড়া কমনওয়েলথ ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’-এর প্রতিনিধিরা সশস্ত্র বাহিনী (আর্মি), বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ সব এনফোর্সিং অথরিটিকে প্রতিটি কেন্দ্রে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ডেপ্লয়েড ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন বলেও জানান আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গণভোটে অংশ নিতে ভোটাররা আসবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দলগুলোই তো ভোটার আনবে, যার যার পক্ষের ভোটার। সুতরাং ভোটারের কোনো ক্রাইসিস হবে না, আকাল হবে না।’
তাহের বলেন, ‘আমরা তাদের আরও জানিয়েছি, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনকে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে, শুধু ভোট দেওয়ার স্থান (প্রাইভেসি) ছাড়া বাকি সবকিছু ক্যামেরার আওতায় রাখার পক্ষে। অনেকে এই দাবির বিরোধিতা করেছেন, তাদের নিয়তের ব্যাপারে আল্লাহই ভালো জানেন।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কমনওয়েলথসহ বিদেশি যেকোনো দেশের পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাবে জামায়াত মন্তব্য করে ব্রিফিংয়ে তাহের বলেন, ‘বৈঠকে তাঁরা জানতে চেয়েছেন, কমনওয়েলথের অবজারভার বাংলাদেশে আমরা চাই কি না। আমরা বলছি, মোস্ট ওয়েলকাম। আমরা শুধু কমনওয়েলথের অবজারভার না, যেকোনো দেশ থেকে অবজারভার যদি আসে, তাদেরই জামায়াতে ইসলামী ওয়েলকাম জানাবে।’
তাহের আরও বলেন, ‘তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ কেমন আছে দেশে? নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের প্রস্তুতি কেমন? জামায়াতে ইসলামী এই নির্বাচনের পরিবেশকে কীভাবে দেখছে? নির্বাচনে কোনো ধরনের সংকট তারা অনুভব করছে কি না এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য কী কী ধরনের প্রস্তুতি দরকার বলে জামায়াত মনে করে সে সমস্ত বিষয়ে তারা খোলামেলা আলোচনা করেছে।’
জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
আরও খবর পড়ুন:

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন না-ও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তাহের।
কমনওয়েলথ ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’ প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন ড. দিনুষা পণ্ডিতরত্ন, ন্যান্সি কানিয়াগো, সার্থক রায় এবং ম্যাডোনা লিঞ্চ।
বৈঠক শেষে জামায়াত নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, আলাদাভাবেই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। কারণ, গণভোট হচ্ছে জুলাই সনদের ওপরে, রিফর্মসের ওপরে জনমত। আর জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে দেশীয় রাষ্ট্রক্ষমতা নির্ণয়ের একটা নির্বাচন। সুতরাং দুইটার চরিত্রই ভিন্ন। কোনো কারণে যদি জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে না-ও হইতে পারে—আমরা আশা করি সঠিক সময়ে ইনশাআল্লাহ হবে, তখনো তো জুলাই সনদ তো আমাদের পাস করতে হবে।’
গণভোট প্রসঙ্গে তাহের বলেন, ‘গণভোটের সঙ্গে কিছু সিদ্ধান্ত জড়িত আছে, যেমন আপার হাউস ইলেকশন। সুতরাং আপার হাউস ইলেকশন যদি হইতে হয়, মানুষ তো আগেই জানতে হবে যে আগামী নির্বাচনে আপার হাউস একটা আছে। যদি একই দিনে হয় তাহলে মানুষ তো জানবে না যে আপার হাউস পাস হচ্ছে, নাকি পাস হচ্ছে না। সুতরাং কোনো কিছু না জেনে ভোট দেবে কী করে? বলছে যে যেটা পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট হবে, সেই হারে আপার হাউস গঠিত হবে। তাহলে ভোট হয়ে যাবে আগে, আপার হাউসের জন্ম হবে পরে। তো জন্মের আগেই নাম রাখা, ছেলে না মেয়ে না জেনে, কিছুই না বুঝে—এটা তো একটা উদ্ভট টাইপের কথা।’
এ ছাড়া কমনওয়েলথ ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’-এর প্রতিনিধিরা সশস্ত্র বাহিনী (আর্মি), বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ সব এনফোর্সিং অথরিটিকে প্রতিটি কেন্দ্রে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ডেপ্লয়েড ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন বলেও জানান আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গণভোটে অংশ নিতে ভোটাররা আসবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দলগুলোই তো ভোটার আনবে, যার যার পক্ষের ভোটার। সুতরাং ভোটারের কোনো ক্রাইসিস হবে না, আকাল হবে না।’
তাহের বলেন, ‘আমরা তাদের আরও জানিয়েছি, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনকে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে, শুধু ভোট দেওয়ার স্থান (প্রাইভেসি) ছাড়া বাকি সবকিছু ক্যামেরার আওতায় রাখার পক্ষে। অনেকে এই দাবির বিরোধিতা করেছেন, তাদের নিয়তের ব্যাপারে আল্লাহই ভালো জানেন।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কমনওয়েলথসহ বিদেশি যেকোনো দেশের পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাবে জামায়াত মন্তব্য করে ব্রিফিংয়ে তাহের বলেন, ‘বৈঠকে তাঁরা জানতে চেয়েছেন, কমনওয়েলথের অবজারভার বাংলাদেশে আমরা চাই কি না। আমরা বলছি, মোস্ট ওয়েলকাম। আমরা শুধু কমনওয়েলথের অবজারভার না, যেকোনো দেশ থেকে অবজারভার যদি আসে, তাদেরই জামায়াতে ইসলামী ওয়েলকাম জানাবে।’
তাহের আরও বলেন, ‘তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ কেমন আছে দেশে? নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের প্রস্তুতি কেমন? জামায়াতে ইসলামী এই নির্বাচনের পরিবেশকে কীভাবে দেখছে? নির্বাচনে কোনো ধরনের সংকট তারা অনুভব করছে কি না এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য কী কী ধরনের প্রস্তুতি দরকার বলে জামায়াত মনে করে সে সমস্ত বিষয়ে তারা খোলামেলা আলোচনা করেছে।’
জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
আরও খবর পড়ুন:

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ প্রতিবন্ধীদের ভাতা লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
৩ ঘণ্টা আগে
গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ড. ইউনূস, আপনি জনগণের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যেটুকু সংস্কার দরকার, সেগুলো করে নির্বাচন দেবেন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যে সংসদ হবে, সেই সংসদ সেসব সংস্কার করবে। এর বাইরে গেলে, ব্যত্যয় হলে তার দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে ড. ইউনূসের সরকারকে।’
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণের সংসদ তৈরি হলে যে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সেখানে বাস্তবায়ন করা হবে।’
নির্বাচন যত দেরিতে হচ্ছে, ফ্যাসিবাদ তত শক্তিশালী হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা অ্যানার্কি (নৈরাজ্য) দেখতে চায়, তারাই নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ড. ইউনূস, আপনি জনগণের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যেটুকু সংস্কার দরকার, সেগুলো করে নির্বাচন দেবেন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যে সংসদ হবে, সেই সংসদ সেসব সংস্কার করবে। এর বাইরে গেলে, ব্যত্যয় হলে তার দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে ড. ইউনূসের সরকারকে।’
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণের সংসদ তৈরি হলে যে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সেখানে বাস্তবায়ন করা হবে।’
নির্বাচন যত দেরিতে হচ্ছে, ফ্যাসিবাদ তত শক্তিশালী হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা অ্যানার্কি (নৈরাজ্য) দেখতে চায়, তারাই নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।’

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ প্রতিবন্ধীদের ভাতা লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
৩ ঘণ্টা আগে
‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন না-ও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
এনসিপির দাবিগুলো পড়ে শোনান দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। দাবিগুলো হলো—
১. ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়াটি (প্রস্তাব-১) গ্রহণ করার মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগ নিতে হবে।
৩. জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তিসম্পন্ন আদেশের খসড়া সরকার গ্রহণ করলে সনদ স্বাক্ষরের ব্যাপারে অগ্রগতি তৈরি হবে বলে এনসিপি মনে করে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার দাবিতে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থেকেছে। আমরা বরাবর বলেছি জুলাই সনদ স্রেফ রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁকা বুলি ও দলিল নয়; অবশ্যই এর আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া দেখেই এনসিপি স্বাক্ষরের বিবেচনা করবে।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, এনসিপির আপোষহীন অবস্থানের ধারাবাহিকতায় গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এনসিপির অনড় অবস্থানের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ঐকমত্য কমিশনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘দুই ধরনের সংস্কারের জন্য স্বতন্ত্র বাস্তবায়ন রূপরেখা কমিশন পেশ করেছে। সংবিধান সম্পর্কিত নয় এমন সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে প্রজ্ঞাপন ও অধ্যাদেশের খসড়া কমিশন সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, কালবিলম্ব না করে অতি সত্বর এই সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।’
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, অন্তত ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব সংবিধান সম্পর্কিত। এই সংস্কারসমূহের বাস্তবায়ন রূপরেখা নিয়েই এতদিন আলাপ-আলোচনা চলছিল। সংবিধান সম্পর্কিত এ সকল সংস্কার বাস্তবায়নের নিমিত্তে কমিশন দুটি স্বতন্ত্র খসড়া সুপারিশ দিয়েছে।’
এনসিপি মনে করে, প্রথম খসড়া তথা প্রস্তাব-১ বাস্তবায়নের পথে সরকারকে যেতে হবে। কারণ এখানে ৮ (ঙ) ধারায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংবিধান সংস্কার পরিষদ কার্য সম্পন্ন করতে না পারলে সংবিধান সংস্কার বিল পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে এবং সংবিধান সংস্কার আইনরূপে কার্যকর হবে। সনদের ওপর গণভোটের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা তৈরির লক্ষ্যে এটি একটি অত্যাবশকীয় সুপারিশ যার নজির বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, কমিশন প্রস্তাবিত প্রস্তাব-২ এ ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই। যার দরুন গোটা সংস্কার কার্যক্রমই ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, প্রস্তাব-২ নয়; সরকারকে কমিশন প্রস্তাবিত প্রস্তাব-১ কে বাস্তবায়ন রূপরেখা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রস্তাব-১ এর বেশ কিছু জায়গায় ভাষিক অস্পষ্টতা বিদ্যমান যা নিরসন করতে হবে। যেমন, ৮ (ক) ধারায় বর্ণিত আগামী নির্বাচিত সভা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে নয়, ‘করিবে’—এভাবে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। ৮ (ঘ) ধারায় সংবিধান সংস্কার বিলের বিষয়াদি ‘বিবেচনা করিবে’ এক ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করে যা দূর করা প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, গণভোটে প্রদত্ত ‘সংবিধান সংস্কার বিল’-এর খসড়া দ্রুত প্রণয়ন এবং জনগণের নিকট উন্মুক্ত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন প্রমুখ।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
এনসিপির দাবিগুলো পড়ে শোনান দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। দাবিগুলো হলো—
১. ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়াটি (প্রস্তাব-১) গ্রহণ করার মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগ নিতে হবে।
৩. জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তিসম্পন্ন আদেশের খসড়া সরকার গ্রহণ করলে সনদ স্বাক্ষরের ব্যাপারে অগ্রগতি তৈরি হবে বলে এনসিপি মনে করে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার দাবিতে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থেকেছে। আমরা বরাবর বলেছি জুলাই সনদ স্রেফ রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁকা বুলি ও দলিল নয়; অবশ্যই এর আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া দেখেই এনসিপি স্বাক্ষরের বিবেচনা করবে।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, এনসিপির আপোষহীন অবস্থানের ধারাবাহিকতায় গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এনসিপির অনড় অবস্থানের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ঐকমত্য কমিশনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘দুই ধরনের সংস্কারের জন্য স্বতন্ত্র বাস্তবায়ন রূপরেখা কমিশন পেশ করেছে। সংবিধান সম্পর্কিত নয় এমন সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে প্রজ্ঞাপন ও অধ্যাদেশের খসড়া কমিশন সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, কালবিলম্ব না করে অতি সত্বর এই সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।’
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, অন্তত ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব সংবিধান সম্পর্কিত। এই সংস্কারসমূহের বাস্তবায়ন রূপরেখা নিয়েই এতদিন আলাপ-আলোচনা চলছিল। সংবিধান সম্পর্কিত এ সকল সংস্কার বাস্তবায়নের নিমিত্তে কমিশন দুটি স্বতন্ত্র খসড়া সুপারিশ দিয়েছে।’
এনসিপি মনে করে, প্রথম খসড়া তথা প্রস্তাব-১ বাস্তবায়নের পথে সরকারকে যেতে হবে। কারণ এখানে ৮ (ঙ) ধারায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংবিধান সংস্কার পরিষদ কার্য সম্পন্ন করতে না পারলে সংবিধান সংস্কার বিল পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে এবং সংবিধান সংস্কার আইনরূপে কার্যকর হবে। সনদের ওপর গণভোটের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা তৈরির লক্ষ্যে এটি একটি অত্যাবশকীয় সুপারিশ যার নজির বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, কমিশন প্রস্তাবিত প্রস্তাব-২ এ ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই। যার দরুন গোটা সংস্কার কার্যক্রমই ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, প্রস্তাব-২ নয়; সরকারকে কমিশন প্রস্তাবিত প্রস্তাব-১ কে বাস্তবায়ন রূপরেখা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রস্তাব-১ এর বেশ কিছু জায়গায় ভাষিক অস্পষ্টতা বিদ্যমান যা নিরসন করতে হবে। যেমন, ৮ (ক) ধারায় বর্ণিত আগামী নির্বাচিত সভা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে নয়, ‘করিবে’—এভাবে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। ৮ (ঘ) ধারায় সংবিধান সংস্কার বিলের বিষয়াদি ‘বিবেচনা করিবে’ এক ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করে যা দূর করা প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, গণভোটে প্রদত্ত ‘সংবিধান সংস্কার বিল’-এর খসড়া দ্রুত প্রণয়ন এবং জনগণের নিকট উন্মুক্ত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন প্রমুখ।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ প্রতিবন্ধীদের ভাতা লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
৩ ঘণ্টা আগে
‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন না-ও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে
গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগে