তানিম আহমেদ, ঢাকা

আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে জানিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবনে দলটির তৃণমূলের কয়েকটি জেলার নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এমন নির্দেশনা দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে অধিকাংশ সাংগঠনিক জেলার সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচিত কয়েকটি জেলার নেতারা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার পরে গণভবনে যান। দুপুর ১২টার পর থেকে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন দলীয় সভাপতি। তিনি সাংগঠনিক খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি সম্মেলন হওয়া জেলাগুলোর নেতাদের দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটির করার নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার জয়ে কাজ করাও তাগিদ দেন।
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকা, নোয়াখালী, খুলনা জেলা ও মহানগর, নেত্রকোনা, কুমিল্লা উত্তর এবং রাজশাহী মহানগরসহ কয়েকটি জেলা ও থানা আওয়ামী লীগের নেতারা।
বৈঠকে উপস্থিত এক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে দলীয় সভাপতির কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে বিভিন্ন জেলার নেতারা সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। তিনি আমাদের কথাও মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং নানান পরামর্শ দেন।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে সব ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ ভুলে নৌকার ঐক্যবদ্ধ প্রচারণা এখন থেকে শুরু করার জন্য নেতাদের নির্দেশনা শেখ হাসিনা দেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জানান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য বলেন। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের উন্নয়নের কর্মকাণ্ডগুলোকে সাধারণ জনগণের সামনে তুলে ধরার কথা বলেন। বিশেষ করে যার যার এলাকায় সরকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো তুলে ধরার পরামর্শ দেন তিনি।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন বলে তৃণমূল নেতাদের জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি নেতাদের বলেন, ‘আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। এরই মধ্যে জরিপও করেছি। জরিপে যাদের অবস্থান ভালো এবং জয়ী হওয়ার মতো সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে যাদের কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ ও কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।’
এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, উপস্থিত দু-একজন নেতা স্থানীয় সমস্যা এবং কোন্দল নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে নালিশ দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তিনি দলীয় সভাপতির কাছে অভিযোগ করেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরেও তাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার করা হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে তাকে আক্রমণ করা হচ্ছে। ডাবলু সরকার অভিযোগ করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ইন্ধনেই তাকে স্থানীয় রাজনীতিতে অসহযোগিতা করা হচ্ছে।
জবাবে শেখ হাসিনা ডাবলু সরকারকে বলেন, ‘আমি তোমাকে সাধারণ সম্পাদক বানাইছি। কে কি বললো সেটা দেখা তোমার দায়িত্ব না।তুমি তোমার কাজ কর।’
বিষয়টি জানতে ডাবলু সরকারের ব্যক্তিগত নম্বরে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে ঘটনা লিখে এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে জানিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবনে দলটির তৃণমূলের কয়েকটি জেলার নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এমন নির্দেশনা দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে অধিকাংশ সাংগঠনিক জেলার সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচিত কয়েকটি জেলার নেতারা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার পরে গণভবনে যান। দুপুর ১২টার পর থেকে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন দলীয় সভাপতি। তিনি সাংগঠনিক খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি সম্মেলন হওয়া জেলাগুলোর নেতাদের দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটির করার নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার জয়ে কাজ করাও তাগিদ দেন।
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকা, নোয়াখালী, খুলনা জেলা ও মহানগর, নেত্রকোনা, কুমিল্লা উত্তর এবং রাজশাহী মহানগরসহ কয়েকটি জেলা ও থানা আওয়ামী লীগের নেতারা।
বৈঠকে উপস্থিত এক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে দলীয় সভাপতির কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে বিভিন্ন জেলার নেতারা সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। তিনি আমাদের কথাও মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং নানান পরামর্শ দেন।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে সব ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ ভুলে নৌকার ঐক্যবদ্ধ প্রচারণা এখন থেকে শুরু করার জন্য নেতাদের নির্দেশনা শেখ হাসিনা দেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জানান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য বলেন। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের উন্নয়নের কর্মকাণ্ডগুলোকে সাধারণ জনগণের সামনে তুলে ধরার কথা বলেন। বিশেষ করে যার যার এলাকায় সরকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো তুলে ধরার পরামর্শ দেন তিনি।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন বলে তৃণমূল নেতাদের জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি নেতাদের বলেন, ‘আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। এরই মধ্যে জরিপও করেছি। জরিপে যাদের অবস্থান ভালো এবং জয়ী হওয়ার মতো সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে যাদের কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ ও কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।’
এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, উপস্থিত দু-একজন নেতা স্থানীয় সমস্যা এবং কোন্দল নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে নালিশ দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তিনি দলীয় সভাপতির কাছে অভিযোগ করেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরেও তাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার করা হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে তাকে আক্রমণ করা হচ্ছে। ডাবলু সরকার অভিযোগ করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ইন্ধনেই তাকে স্থানীয় রাজনীতিতে অসহযোগিতা করা হচ্ছে।
জবাবে শেখ হাসিনা ডাবলু সরকারকে বলেন, ‘আমি তোমাকে সাধারণ সম্পাদক বানাইছি। কে কি বললো সেটা দেখা তোমার দায়িত্ব না।তুমি তোমার কাজ কর।’
বিষয়টি জানতে ডাবলু সরকারের ব্যক্তিগত নম্বরে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে ঘটনা লিখে এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে গত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল এখন একই পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা রেফারির নিরপেক্ষ ভূমিকার পরিপন্থী।
৪ মিনিট আগে
বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তাহের।
১০ মিনিট আগে
গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
২৫ মিনিট আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে গত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল এখন একই পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা রেফারির নিরপেক্ষ ভূমিকার পরিপন্থী।
আজ বুধবার দুপুরে বিএনপি আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠকে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন। ‘ফ্রম রুল বাই পাওয়ার টু রুল অব ল: ট্রানজিশন টু আ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ’ শীর্ষ এ বৈঠক রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘গতকাল কমিশন সরকারকে যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেন, গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা কিছু সত্য আবিষ্কার করতে পেরেছেন। এত দিন তাঁরা মনে করতেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রেফারির ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু তারা যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে একজন দস্তখতকারী প্রধান উপদেষ্টাও আছেন, যিনি কমিশনের সভাপতি। ফলে এটি সরকারের পক্ষ থেকেও একধরনের অনুমোদন বা সমর্থন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন, কমিশনের প্রকাশিত ৯৪ পৃষ্ঠার দলিলে ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাক্ষরিত মূল দলিলটির হুবহু প্রতিফলন নেই। দলিলে কীভাবে ঐকমত্যে পৌঁছানো হলো বা কোনো ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) আছে কি না, তার কোনো উল্লেখ নেই।
তিনি বলেন, সুপারিশে কিছু দলের প্রস্তাব ও ঐকমত্য কমিশনের চিন্তাভাবনা জাতির ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হলো, সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি দফা প্রস্তাব তফসিল আকারে সংযুক্ত করে গণভোটের কথা বলা হয়েছে, অথচ এই বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
সালাহউদ্দিন আহমদ মনে করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলো ঐক্যের পরিবর্তে জাতিকে বিভক্ত করবে।
তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বা আরপিওতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এখন অগণতান্ত্রিকভাবে বলা হয়েছে, জোটভুক্ত হলেও নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।’ এই ধরনের পরিবর্তন ‘অনৈক্য সৃষ্টি করবে’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিরপেক্ষ হওয়ার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় নিরপেক্ষভাবে আচরণ করুক। যাতে জাতি আশ্বস্ত হতে পারে এবং ঐক্য বজায় থাকে। কিন্তু ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ আমাদের হতাশ করেছে।’ তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতিতে ঐক্যের বদলে বিভাজন তৈরি হচ্ছে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে গত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল এখন একই পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা রেফারির নিরপেক্ষ ভূমিকার পরিপন্থী।
আজ বুধবার দুপুরে বিএনপি আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠকে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন। ‘ফ্রম রুল বাই পাওয়ার টু রুল অব ল: ট্রানজিশন টু আ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ’ শীর্ষ এ বৈঠক রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘গতকাল কমিশন সরকারকে যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেন, গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা কিছু সত্য আবিষ্কার করতে পেরেছেন। এত দিন তাঁরা মনে করতেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রেফারির ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু তারা যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে একজন দস্তখতকারী প্রধান উপদেষ্টাও আছেন, যিনি কমিশনের সভাপতি। ফলে এটি সরকারের পক্ষ থেকেও একধরনের অনুমোদন বা সমর্থন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন, কমিশনের প্রকাশিত ৯৪ পৃষ্ঠার দলিলে ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাক্ষরিত মূল দলিলটির হুবহু প্রতিফলন নেই। দলিলে কীভাবে ঐকমত্যে পৌঁছানো হলো বা কোনো ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) আছে কি না, তার কোনো উল্লেখ নেই।
তিনি বলেন, সুপারিশে কিছু দলের প্রস্তাব ও ঐকমত্য কমিশনের চিন্তাভাবনা জাতির ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হলো, সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি দফা প্রস্তাব তফসিল আকারে সংযুক্ত করে গণভোটের কথা বলা হয়েছে, অথচ এই বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
সালাহউদ্দিন আহমদ মনে করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলো ঐক্যের পরিবর্তে জাতিকে বিভক্ত করবে।
তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বা আরপিওতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এখন অগণতান্ত্রিকভাবে বলা হয়েছে, জোটভুক্ত হলেও নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।’ এই ধরনের পরিবর্তন ‘অনৈক্য সৃষ্টি করবে’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিরপেক্ষ হওয়ার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় নিরপেক্ষভাবে আচরণ করুক। যাতে জাতি আশ্বস্ত হতে পারে এবং ঐক্য বজায় থাকে। কিন্তু ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ আমাদের হতাশ করেছে।’ তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতিতে ঐক্যের বদলে বিভাজন তৈরি হচ্ছে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে জানিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা...
৩১ মার্চ ২০২৩
বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তাহের।
১০ মিনিট আগে
গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
২৫ মিনিট আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন নাও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তাহের।
কমনওয়েলথ ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’ প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ড. দিনুষা পণ্ডিতরত্ন, ন্যান্সি কানিয়াগো, সার্থক রায় এবং ম্যাডোনা লিঞ্চ।
বৈঠক শেষে জামায়াত নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, আলাদাভাবেই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। কারণ গণভোট হচ্ছে জুলাই সনদের উপরে, রিফর্মসের উপরে জনমত। আর জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে দেশীয় রাষ্ট্র ক্ষমতা নির্ণয়ের একটা নির্বাচন। সুতরাং দুইটার চরিত্রই ভিন্ন। কোনো কারণে যদি জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে নাও হইতে পারে—আমরা আশা করি সঠিক সময়ে ইনশাআল্লাহ হবে, তখনও তো জুলাই সনদ তো আমাদের পাস করতে হবে।’
গণভোট প্রসঙ্গে তাহের বলেন, ‘গণভোটের সঙ্গে কিছু সিদ্ধান্ত জড়িত আছে, যেমন আপার হাউস ইলেকশন। সুতরাং আপার হাউস ইলেকশন যদি হইতে হয়, মানুষ তো আগেই জানতে হবে যে আগামী নির্বাচনে আপার হাউস একটা আছে। যদি একই দিনে হয় তাহলে মানুষ তো জানবে না যে, আপার হাউস পাস হচ্ছে, নাকি পাস হচ্ছে না। সুতরাং কোনো কিছু না জেনে ভোট দেবে কী করে? বলছে যে, যেটা পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট হবে সেই হারে আপার হাউস গঠিত হবে। তাহলে ভোট হয়ে যাবে আগে, আপার হাউসের জন্ম হবে পরে। তো জন্মের আগেই নাম রাখা, ছেলে না মেয়ে না জেনে, কিছুই না বুঝে—এটা তো একটা উদ্ভট টাইপের কথা।’
এ ছাড়া কমনওয়েলথ ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’-এর প্রতিনিধিরা সশস্ত্র বাহিনী (আর্মি), বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ সব এনফোর্সিং অথোরিটিকে প্রতিটি কেন্দ্রে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ডেপ্লয়েড ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন বলেও জানান আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গণভোটে অংশ নিতে ভোটাররা আসবে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দলগুলোই তো ভোটার আনবে, যার যার পক্ষের ভোটার। সুতরাং ভোটারের কোনো ক্রাইসিস হবে না, আকাল হবে না।’
তাহের বলেন, ‘আমরা তাদের আরও জানিয়েছি, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনকে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে, শুধু ভোট দেওয়ার স্থান (প্রাইভেসি) ছাড়া বাকি সবকিছু ক্যামেরার আওতায় রাখার পক্ষে। অনেকে এই দাবির বিরোধিতা করেছেন, তাদের নিয়তের ব্যাপারে আল্লাহই ভালো জানেন।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কমনওয়েলথসহ বিদেশি যেকোনো দেশের পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাবে জামায়াত মন্তব্য করে ব্রিফিংয়ে তাহের বলেন, ‘বৈঠকে তাঁরা জানতে চেয়েছেন, কমনওয়েলথের অবজারভার বাংলাদেশে আমরা চাই কি-না। আমরা বলছি মোস্ট ওয়েলকাম। আমরা শুধু কমনওয়েলথের অবজারভার না, আমরা যেকোনো দেশ থেকে অবজারভার যদি আসে তাদেরই জামায়াতে ইসলামী ওয়েলকাম জানাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ কেমন আছে দেশে? নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের প্রস্তুতি কেমন? জামায়াতে ইসলামী এই নির্বাচনের পরিবেশকে কীভাবে দেখছে? নির্বাচনে কোনো ধরনের সংকট তারা অনুভব করছে কিনা এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য কি কি ধরনের প্রস্তুতি দরকার বলে জামায়াত মনে করে সে সমস্ত বিষয়ে তারা খোলামেলা আলোচনা করেছে।’
জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন নাও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তাহের।
কমনওয়েলথ ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’ প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ড. দিনুষা পণ্ডিতরত্ন, ন্যান্সি কানিয়াগো, সার্থক রায় এবং ম্যাডোনা লিঞ্চ।
বৈঠক শেষে জামায়াত নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, আলাদাভাবেই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। কারণ গণভোট হচ্ছে জুলাই সনদের উপরে, রিফর্মসের উপরে জনমত। আর জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে দেশীয় রাষ্ট্র ক্ষমতা নির্ণয়ের একটা নির্বাচন। সুতরাং দুইটার চরিত্রই ভিন্ন। কোনো কারণে যদি জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে নাও হইতে পারে—আমরা আশা করি সঠিক সময়ে ইনশাআল্লাহ হবে, তখনও তো জুলাই সনদ তো আমাদের পাস করতে হবে।’
গণভোট প্রসঙ্গে তাহের বলেন, ‘গণভোটের সঙ্গে কিছু সিদ্ধান্ত জড়িত আছে, যেমন আপার হাউস ইলেকশন। সুতরাং আপার হাউস ইলেকশন যদি হইতে হয়, মানুষ তো আগেই জানতে হবে যে আগামী নির্বাচনে আপার হাউস একটা আছে। যদি একই দিনে হয় তাহলে মানুষ তো জানবে না যে, আপার হাউস পাস হচ্ছে, নাকি পাস হচ্ছে না। সুতরাং কোনো কিছু না জেনে ভোট দেবে কী করে? বলছে যে, যেটা পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট হবে সেই হারে আপার হাউস গঠিত হবে। তাহলে ভোট হয়ে যাবে আগে, আপার হাউসের জন্ম হবে পরে। তো জন্মের আগেই নাম রাখা, ছেলে না মেয়ে না জেনে, কিছুই না বুঝে—এটা তো একটা উদ্ভট টাইপের কথা।’
এ ছাড়া কমনওয়েলথ ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’-এর প্রতিনিধিরা সশস্ত্র বাহিনী (আর্মি), বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ সব এনফোর্সিং অথোরিটিকে প্রতিটি কেন্দ্রে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ডেপ্লয়েড ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন বলেও জানান আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গণভোটে অংশ নিতে ভোটাররা আসবে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দলগুলোই তো ভোটার আনবে, যার যার পক্ষের ভোটার। সুতরাং ভোটারের কোনো ক্রাইসিস হবে না, আকাল হবে না।’
তাহের বলেন, ‘আমরা তাদের আরও জানিয়েছি, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনকে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে, শুধু ভোট দেওয়ার স্থান (প্রাইভেসি) ছাড়া বাকি সবকিছু ক্যামেরার আওতায় রাখার পক্ষে। অনেকে এই দাবির বিরোধিতা করেছেন, তাদের নিয়তের ব্যাপারে আল্লাহই ভালো জানেন।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কমনওয়েলথসহ বিদেশি যেকোনো দেশের পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাবে জামায়াত মন্তব্য করে ব্রিফিংয়ে তাহের বলেন, ‘বৈঠকে তাঁরা জানতে চেয়েছেন, কমনওয়েলথের অবজারভার বাংলাদেশে আমরা চাই কি-না। আমরা বলছি মোস্ট ওয়েলকাম। আমরা শুধু কমনওয়েলথের অবজারভার না, আমরা যেকোনো দেশ থেকে অবজারভার যদি আসে তাদেরই জামায়াতে ইসলামী ওয়েলকাম জানাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ কেমন আছে দেশে? নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের প্রস্তুতি কেমন? জামায়াতে ইসলামী এই নির্বাচনের পরিবেশকে কীভাবে দেখছে? নির্বাচনে কোনো ধরনের সংকট তারা অনুভব করছে কিনা এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য কি কি ধরনের প্রস্তুতি দরকার বলে জামায়াত মনে করে সে সমস্ত বিষয়ে তারা খোলামেলা আলোচনা করেছে।’
জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে জানিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা...
৩১ মার্চ ২০২৩
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে গত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল এখন একই পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা রেফারির নিরপেক্ষ ভূমিকার পরিপন্থী।
৪ মিনিট আগে
গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
২৫ মিনিট আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ড. ইউনূস, আপনি জনগণের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যেটুকু সংস্কার দরকার, সেগুলো করে নির্বাচন দেবেন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যে সংসদ হবে, সেই সংসদ সেসব সংস্কার করবে। এর বাইরে গেলে, ব্যত্যয় হলে তার দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে ড. ইউনূসের সরকারকে।’
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণের সংসদ তৈরি হলে যে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সেখানে বাস্তবায়ন করা হবে।’
নির্বাচন যত দেরিতে হচ্ছে, ফ্যাসিবাদ তত শক্তিশালী হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা অ্যানার্কি (নৈরাজ্য) দেখতে চায়, তারাই নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ড. ইউনূস, আপনি জনগণের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যেটুকু সংস্কার দরকার, সেগুলো করে নির্বাচন দেবেন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যে সংসদ হবে, সেই সংসদ সেসব সংস্কার করবে। এর বাইরে গেলে, ব্যত্যয় হলে তার দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে ড. ইউনূসের সরকারকে।’
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণের সংসদ তৈরি হলে যে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সেখানে বাস্তবায়ন করা হবে।’
নির্বাচন যত দেরিতে হচ্ছে, ফ্যাসিবাদ তত শক্তিশালী হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা অ্যানার্কি (নৈরাজ্য) দেখতে চায়, তারাই নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে জানিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা...
৩১ মার্চ ২০২৩
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে গত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল এখন একই পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা রেফারির নিরপেক্ষ ভূমিকার পরিপন্থী।
৪ মিনিট আগে
বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তাহের।
১০ মিনিট আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
এনসিপির দাবিগুলো পড়ে শোনান দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। দাবিগুলো হলো—
১. ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়াটি (প্রস্তাব-১) গ্রহণ করার মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগ নিতে হবে।
৩. জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তিসম্পন্ন আদেশের খসড়া সরকার গ্রহণ করলে সনদ স্বাক্ষরের ব্যাপারে অগ্রগতি তৈরি হবে বলে এনসিপি মনে করে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার দাবিতে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থেকেছে। আমরা বরাবর বলেছি জুলাই সনদ স্রেফ রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁকা বুলি ও দলিল নয়; অবশ্যই এর আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া দেখেই এনসিপি স্বাক্ষরের বিবেচনা করবে।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, এনসিপির আপোষহীন অবস্থানের ধারাবাহিকতায় গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এনসিপির অনড় অবস্থানের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ঐকমত্য কমিশনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘দুই ধরনের সংস্কারের জন্য স্বতন্ত্র বাস্তবায়ন রূপরেখা কমিশন পেশ করেছে। সংবিধান সম্পর্কিত নয় এমন সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে প্রজ্ঞাপন ও অধ্যাদেশের খসড়া কমিশন সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, কালবিলম্ব না করে অতি সত্বর এই সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।’
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, অন্তত ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব সংবিধান সম্পর্কিত। এই সংস্কারসমূহের বাস্তবায়ন রূপরেখা নিয়েই এতদিন আলাপ-আলোচনা চলছিল। সংবিধান সম্পর্কিত এ সকল সংস্কার বাস্তবায়নের নিমিত্তে কমিশন দুটি স্বতন্ত্র খসড়া সুপারিশ দিয়েছে।’
এনসিপি মনে করে, প্রথম খসড়া তথা প্রস্তাব-১ বাস্তবায়নের পথে সরকারকে যেতে হবে। কারণ এখানে ৮ (ঙ) ধারায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংবিধান সংস্কার পরিষদ কার্য সম্পন্ন করতে না পারলে সংবিধান সংস্কার বিল পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে এবং সংবিধান সংস্কার আইনরূপে কার্যকর হবে। সনদের ওপর গণভোটের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা তৈরির লক্ষ্যে এটি একটি অত্যাবশকীয় সুপারিশ যার নজির বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, কমিশন প্রস্তাবিত প্রস্তাব-২ এ ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই। যার দরুন গোটা সংস্কার কার্যক্রমই ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, প্রস্তাব-২ নয়; সরকারকে কমিশন প্রস্তাবিত প্রস্তাব-১ কে বাস্তবায়ন রূপরেখা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রস্তাব-১ এর বেশ কিছু জায়গায় ভাষিক অস্পষ্টতা বিদ্যমান যা নিরসন করতে হবে। যেমন, ৮ (ক) ধারায় বর্ণিত আগামী নির্বাচিত সভা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে নয়, ‘করিবে’—এভাবে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। ৮ (ঘ) ধারায় সংবিধান সংস্কার বিলের বিষয়াদি ‘বিবেচনা করিবে’ এক ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করে যা দূর করা প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, গণভোটে প্রদত্ত ‘সংবিধান সংস্কার বিল’-এর খসড়া দ্রুত প্রণয়ন এবং জনগণের নিকট উন্মুক্ত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন প্রমুখ।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
এনসিপির দাবিগুলো পড়ে শোনান দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। দাবিগুলো হলো—
১. ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়াটি (প্রস্তাব-১) গ্রহণ করার মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগ নিতে হবে।
৩. জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তিসম্পন্ন আদেশের খসড়া সরকার গ্রহণ করলে সনদ স্বাক্ষরের ব্যাপারে অগ্রগতি তৈরি হবে বলে এনসিপি মনে করে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার দাবিতে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থেকেছে। আমরা বরাবর বলেছি জুলাই সনদ স্রেফ রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁকা বুলি ও দলিল নয়; অবশ্যই এর আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া দেখেই এনসিপি স্বাক্ষরের বিবেচনা করবে।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, এনসিপির আপোষহীন অবস্থানের ধারাবাহিকতায় গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এনসিপির অনড় অবস্থানের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ঐকমত্য কমিশনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘দুই ধরনের সংস্কারের জন্য স্বতন্ত্র বাস্তবায়ন রূপরেখা কমিশন পেশ করেছে। সংবিধান সম্পর্কিত নয় এমন সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে প্রজ্ঞাপন ও অধ্যাদেশের খসড়া কমিশন সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, কালবিলম্ব না করে অতি সত্বর এই সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।’
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, অন্তত ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব সংবিধান সম্পর্কিত। এই সংস্কারসমূহের বাস্তবায়ন রূপরেখা নিয়েই এতদিন আলাপ-আলোচনা চলছিল। সংবিধান সম্পর্কিত এ সকল সংস্কার বাস্তবায়নের নিমিত্তে কমিশন দুটি স্বতন্ত্র খসড়া সুপারিশ দিয়েছে।’
এনসিপি মনে করে, প্রথম খসড়া তথা প্রস্তাব-১ বাস্তবায়নের পথে সরকারকে যেতে হবে। কারণ এখানে ৮ (ঙ) ধারায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংবিধান সংস্কার পরিষদ কার্য সম্পন্ন করতে না পারলে সংবিধান সংস্কার বিল পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে এবং সংবিধান সংস্কার আইনরূপে কার্যকর হবে। সনদের ওপর গণভোটের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা তৈরির লক্ষ্যে এটি একটি অত্যাবশকীয় সুপারিশ যার নজির বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, কমিশন প্রস্তাবিত প্রস্তাব-২ এ ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই। যার দরুন গোটা সংস্কার কার্যক্রমই ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, প্রস্তাব-২ নয়; সরকারকে কমিশন প্রস্তাবিত প্রস্তাব-১ কে বাস্তবায়ন রূপরেখা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রস্তাব-১ এর বেশ কিছু জায়গায় ভাষিক অস্পষ্টতা বিদ্যমান যা নিরসন করতে হবে। যেমন, ৮ (ক) ধারায় বর্ণিত আগামী নির্বাচিত সভা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে নয়, ‘করিবে’—এভাবে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। ৮ (ঘ) ধারায় সংবিধান সংস্কার বিলের বিষয়াদি ‘বিবেচনা করিবে’ এক ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করে যা দূর করা প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, গণভোটে প্রদত্ত ‘সংবিধান সংস্কার বিল’-এর খসড়া দ্রুত প্রণয়ন এবং জনগণের নিকট উন্মুক্ত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন প্রমুখ।

আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে জানিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা...
৩১ মার্চ ২০২৩
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে গত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল এখন একই পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা রেফারির নিরপেক্ষ ভূমিকার পরিপন্থী।
৪ মিনিট আগে
বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তাহের।
১০ মিনিট আগে
গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
২৫ মিনিট আগে