জবি প্রতিনিধি
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের ৪২১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও কয়েকটি দাবিতে প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার (২০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার বরাবর এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কর্তৃক সংঘটিত সব অপরাধের বিচার করতে হবে এবং শহীদ সাজিদ ভবনে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তহীন একতরফা বিচার প্রত্যাহার করতে হবে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ৪২১ নেতা-কর্মীর মধ্যে জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে যাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে অংশ নিয়েছেন এবং কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়িত নন—তাঁদের যেন তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সহিংসতা ও দমননীতির বিরুদ্ধে এ স্মারকলিপিকে ‘বিচার দাবির আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ছাত্রদল নেতারা।
ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘ছাত্রলীগের প্রশ্নে আমরা বিন্দুমাত্র আপস করব না। আমরা চাই, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিটি সন্ত্রাসীর বিচার হোক।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান হিমেল বলেন, ‘আমরা শুধু তাদের বিচার চাই, যারা বিরোধী মতের শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেছে। তবে কেউ যদি নিরপরাধ হয়, তাকে যেন কোনোভাবেই হয়রানি করা না হয়, সেই বিবেচনায় আমরা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের দায়মুক্তির দাবি জানিয়েছি।’
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার, মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, শাহরিয়ার হোসেন, নাহিয়ান বিন অনিক, রাশেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে ছাত্রদল কর্তৃক ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার তিন নেতার ওপর হামালা চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় ছয়জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আবু হেনা মুরসালিন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ইয়াসিন হোসেন সাইফ এবং বাংলা বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী ইমরান হাসান ইমানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় দর্শন বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম ও রসায়ন বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী মো. মাহমুদুল হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আজিজুল হাকিমকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে যে, ভবিষ্যতে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারণ দর্শানো ছাড়াই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে।
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের ৪২১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও কয়েকটি দাবিতে প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার (২০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার বরাবর এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কর্তৃক সংঘটিত সব অপরাধের বিচার করতে হবে এবং শহীদ সাজিদ ভবনে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তহীন একতরফা বিচার প্রত্যাহার করতে হবে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ৪২১ নেতা-কর্মীর মধ্যে জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে যাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে অংশ নিয়েছেন এবং কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়িত নন—তাঁদের যেন তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সহিংসতা ও দমননীতির বিরুদ্ধে এ স্মারকলিপিকে ‘বিচার দাবির আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ছাত্রদল নেতারা।
ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘ছাত্রলীগের প্রশ্নে আমরা বিন্দুমাত্র আপস করব না। আমরা চাই, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিটি সন্ত্রাসীর বিচার হোক।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান হিমেল বলেন, ‘আমরা শুধু তাদের বিচার চাই, যারা বিরোধী মতের শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেছে। তবে কেউ যদি নিরপরাধ হয়, তাকে যেন কোনোভাবেই হয়রানি করা না হয়, সেই বিবেচনায় আমরা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের দায়মুক্তির দাবি জানিয়েছি।’
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার, মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, শাহরিয়ার হোসেন, নাহিয়ান বিন অনিক, রাশেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে ছাত্রদল কর্তৃক ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার তিন নেতার ওপর হামালা চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় ছয়জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আবু হেনা মুরসালিন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ইয়াসিন হোসেন সাইফ এবং বাংলা বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী ইমরান হাসান ইমানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় দর্শন বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম ও রসায়ন বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী মো. মাহমুদুল হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আজিজুল হাকিমকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে যে, ভবিষ্যতে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারণ দর্শানো ছাড়াই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের ব্যক্তি বাক্স্বাধীনতা আছে, তার মানে এই নয় যে আরেকজনের স্বাধীনতা হরণ করবেন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করবেন। এনসিপি আজকে যেভাবে শিষ্টাচার-বহির্ভূত কথা বলছে, সেটিকে গণতন্ত্র বলে না। কক্সবাজারে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ সম্পর্কে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী...
২ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নিয়োগে ভোট নয়, রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রক্রিয়াকেই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ হিসেবে অভিহিত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান গঠনে পাঁচ বা সাত সদস্যের কমিটির যে দুটি প্রস্তাব এসেছে, আমরা কোনোটিরই বিরোধিতা করছি না।
২ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে অধিষ্ঠিত থাকার বিধান গণঅধিকার পরিষদ সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান। আজ রোববার (২০ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের ১৫তম দিনের সংলাপ শেষে এ কথা জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে আদালতের রায়ের ওপর বিএনপি আস্থা রাখছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। দলটি মনে করে, জাতীয় সংসদেরও সম্পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে নতুন করে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার। একই ব্যক্তিকে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ
৩ ঘণ্টা আগে