নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (পিআর) পদ্ধতির প্রবর্তন ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে ২৭ অক্টোবর সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশকে মানুষের দেশ বলা যায় না। দেশের যেদিকে তাকাই সেদিকেই সমস্যা। যারা দিনের ভোট রাতে করে, তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করছে না। প্রশাসন ও সাংবাদিকদের বলছি এই দেশ আমার। অনেক ত্যাগ-কোরবানির মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি।’
‘দিল্লি আছে তো আমরা আছি’—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে রেজাউল করীম বলেন, ‘প্রশ্ন আসে তিনি (কাদের) বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকার করেন কি না। সরকার দেশে উন্নয়নের কথা বলে, তাহলে সঠিক নির্বাচন আয়োজনে ভয় পান কেন? বাংলাদেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে উন্নয়ন হয়েছে, সরকারের বাবার টাকায় নয়। এ অবস্থায় আমরা বসে থাকলে চলবে না।’
দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘উন্নয়নের নামে তারা মেগা চুরি, ডাকাতি, খুন করেছে। আবরারকে খুন করেছে। দেশকে লুটপাট করার ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করব। ফিলিস্তিনিরা অধিকার আদায় করার জন্য বুলেটের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, তবে অধিকার আদায় করার জন্য আমরাও ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত আছি। যখন আন্দোলনের আহ্বান আসবে তখনই আমাদের আন্দোলনের ময়দানে নামতে হবে। বিশ্রামের কোনো সময় নেই। আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না। আগামী নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন হতে দেব না। দিল্লির গোলামি আমরা মানব না।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি। তিনি বলেন, ‘৩ নভেম্বর বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ। ক্ষমতায় থাকতে তারা নানা ছলচাতুরী করে যাচ্ছে। সংবিধান দেশের জনগণের জন্য, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য নয়। আওয়ামী লীগের যাঁরা ঔদ্ধত্য বক্তব্য রাখেন, তাঁদের কথায় মনে হয় দেশ তাঁদের। কিন্তু এই দেশ পীর-আউলিয়ার। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সন্ত্রাসী ছাড়া কোনো জনগণ নেই। আগামী নির্বাচন আপনাদের অধীনে নয়, জাতীয় সরকারের অধীনে হতে হবে।’
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট এলাকায় বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় এই ছাত্র ও যুব সমাবেশ। ছাত্র-যুব আন্দোলন ও ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হন। এ সময় তাঁরা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন। দক্ষিণ গেট থেকে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স, ফুলবাড়িয়া ও জিপিও এলাকায় নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন নানা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে। সমাবেশের কারণে এই এলাকায় রাস্তা বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ পথচারীরা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (পিআর) পদ্ধতির প্রবর্তন ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে ২৭ অক্টোবর সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশকে মানুষের দেশ বলা যায় না। দেশের যেদিকে তাকাই সেদিকেই সমস্যা। যারা দিনের ভোট রাতে করে, তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করছে না। প্রশাসন ও সাংবাদিকদের বলছি এই দেশ আমার। অনেক ত্যাগ-কোরবানির মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি।’
‘দিল্লি আছে তো আমরা আছি’—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে রেজাউল করীম বলেন, ‘প্রশ্ন আসে তিনি (কাদের) বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকার করেন কি না। সরকার দেশে উন্নয়নের কথা বলে, তাহলে সঠিক নির্বাচন আয়োজনে ভয় পান কেন? বাংলাদেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে উন্নয়ন হয়েছে, সরকারের বাবার টাকায় নয়। এ অবস্থায় আমরা বসে থাকলে চলবে না।’
দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘উন্নয়নের নামে তারা মেগা চুরি, ডাকাতি, খুন করেছে। আবরারকে খুন করেছে। দেশকে লুটপাট করার ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করব। ফিলিস্তিনিরা অধিকার আদায় করার জন্য বুলেটের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, তবে অধিকার আদায় করার জন্য আমরাও ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত আছি। যখন আন্দোলনের আহ্বান আসবে তখনই আমাদের আন্দোলনের ময়দানে নামতে হবে। বিশ্রামের কোনো সময় নেই। আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না। আগামী নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন হতে দেব না। দিল্লির গোলামি আমরা মানব না।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি। তিনি বলেন, ‘৩ নভেম্বর বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ। ক্ষমতায় থাকতে তারা নানা ছলচাতুরী করে যাচ্ছে। সংবিধান দেশের জনগণের জন্য, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য নয়। আওয়ামী লীগের যাঁরা ঔদ্ধত্য বক্তব্য রাখেন, তাঁদের কথায় মনে হয় দেশ তাঁদের। কিন্তু এই দেশ পীর-আউলিয়ার। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সন্ত্রাসী ছাড়া কোনো জনগণ নেই। আগামী নির্বাচন আপনাদের অধীনে নয়, জাতীয় সরকারের অধীনে হতে হবে।’
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট এলাকায় বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় এই ছাত্র ও যুব সমাবেশ। ছাত্র-যুব আন্দোলন ও ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হন। এ সময় তাঁরা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন। দক্ষিণ গেট থেকে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স, ফুলবাড়িয়া ও জিপিও এলাকায় নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন নানা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে। সমাবেশের কারণে এই এলাকায় রাস্তা বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ পথচারীরা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
জালাল উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘খুনি শেখ হাসিনা এ দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয় নাই। তার দোসররা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। বর্তমান সরকার এই দোসরদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে। গত দুই দিন আগে গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পলাতক...
৩৬ মিনিট আগেজনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পরিবর্তনই ‘টেকসই’ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না, যদি জনগণের ম্যান্ডেট না থাকে। ১০ জন লোক ঢাকায় বসে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারবে না।’
১৯ ঘণ্টা আগেফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকাতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ব্যাপারে দলের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হলেও পরিকল্পিতভাবে তা ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। ফেব্রুয়ারির
২০ ঘণ্টা আগেজিয়াউর রহমান কাদের নিয়ে দল গঠন করেছেন জানেন? শাহ আজিজ। তিনি ছিলেন এক নম্বর রাজাকার। জিয়াউর রহমান তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। অথচ আজ বিএনপি স্লোগান দেয়, এই দেশে রাজাকার থাকবে না! কী আজিব জাহেল! আওয়ামী লীগের বিএনপির ওপর ক্ষোভটাই ছিল—জিয়াউর রহমান রাজাকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
২০ ঘণ্টা আগে