সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরকারে এবং সংসদে বিরোধী দলের আসনে থাকা জাতীয় পার্টি (জাপা) সব কূলই হারাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রথম দফা সংলাপে অংশ নিলেও এবারের সংলাপে এখনো ডাক পায়নি দলটি। জাপাকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আপত্তি জানিয়েছেন। ফলে আমন্ত্রণ পাওয়ার আশা কম।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০০৯ সাল থেকেই জাপা মাঠের রাজনীতিতে নেই। এর সঙ্গে সরকারের সঙ্গে থেকে গুটিকয়েক কেন্দ্রীয় নেতার সুযোগ-সুবিধা পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষে নেতা-কর্মীদের বড় অংশের নিষ্ক্রিয়তা, গৃহবিবাদ, বিভক্তিতে দিনে দিনে দলটি জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর সরকারের সমালোচনা করলেও সংসদ বিরোধী দলের আসনে বসে আস্থা আরও হারিয়েছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির কট্টর সমালোচক বনে গিয়েও এবারের সংলাপে ডাক না পাওয়া গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাপার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ফিকে করে দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপার কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, এবার সংলাপে ডাক না পাওয়ায় দলের হাইকমান্ড চিন্তিত। তবে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংলাপে ডাকা হলে তাঁরা অংশ নেবেন। এখন তাঁরা দলকে ঢেলে সাজাতে চান।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের গড়া জাপা বেশির ভাগ সময়েই ছিল ক্ষমতার সঙ্গে বা কাছাকাছি। দ্বাদশ নির্বাচনে ভরাডুবির পর জুলাই-আগস্টের ছাত্র নেতৃত্বের চোখে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় দলটি এবার বড় বিপাকে পড়েছে। দলটি নিজের অবস্থান জানাতে ইতিমধ্যে রাজপথে কর্মসূচি পালন করলেও অবস্থা বদলাচ্ছে না। জাপা নেতারা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে শীর্ষ নেতৃত্ব দল গোছানোর বিকল্প দেখছে না। তাই দলকে ঢেলে সাজাতে প্রতিদিন চলছে আলোচনা-মতবিনিময়।
জাপার নেতারা বলেছেন, দলকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১২ অক্টোবর দশম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হলেও চলমান পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে আপাতত সম্মেলনের চিন্তা নেই। দল গোছানো জোরালো করাই মূল লক্ষ্য। দলের কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন করে সংগঠন গোছানোর একটা বিষয় এসেছে। ১৭ অক্টোবর প্রেসিডিয়াম সভায় পার্টির চেয়ারম্যান (জি এম কাদের) হয়তো সম্মেলন নিয়ে নির্দেশনা দেবেন।
সম্মেলনের চেয়ে দল সংগঠিত করাই এ মুহূর্তে বেশি জরুরি বলে মনে করছেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্মেলনের বিষয়ে পরে চিন্তাভাবনা করা হবে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান কমিটির মেয়াদ আছে। বর্তমানে দেশব্যাপী দলকে সংগঠিত করতে অঙ্গসংগঠনসহ জেলা, উপজেলায় সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ১৭ অক্টোবরের প্রেসিডিয়াম সভায় সংগঠনকে আরও জোরদার করার কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে।
ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনায় রওশন এরশাদপন্থীরা আছেন কি না—এমন প্রশ্নে চুন্নু বলেন, ‘তাঁদের বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
এদিকে ৫ আগস্টের পর অনেকটাই নিষ্ক্রিয় রওশনপন্থী জাপা। জাপা বিভক্তির সময় তাঁর সঙ্গে দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কাজী ফিরোজ রশীদসহ পাঁচ শতাধিক নেতা যোগ দেন।
তবে রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে জানান, আগামী নভেম্বরের প্রথম দিন নির্বাহী কমিটির সভা হবে। ওই সভায় সারা দেশে সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাপার সঙ্গে তাঁরা কোনো আলোচনায় যাবেন না।
বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরকারে এবং সংসদে বিরোধী দলের আসনে থাকা জাতীয় পার্টি (জাপা) সব কূলই হারাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রথম দফা সংলাপে অংশ নিলেও এবারের সংলাপে এখনো ডাক পায়নি দলটি। জাপাকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আপত্তি জানিয়েছেন। ফলে আমন্ত্রণ পাওয়ার আশা কম।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০০৯ সাল থেকেই জাপা মাঠের রাজনীতিতে নেই। এর সঙ্গে সরকারের সঙ্গে থেকে গুটিকয়েক কেন্দ্রীয় নেতার সুযোগ-সুবিধা পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষে নেতা-কর্মীদের বড় অংশের নিষ্ক্রিয়তা, গৃহবিবাদ, বিভক্তিতে দিনে দিনে দলটি জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর সরকারের সমালোচনা করলেও সংসদ বিরোধী দলের আসনে বসে আস্থা আরও হারিয়েছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির কট্টর সমালোচক বনে গিয়েও এবারের সংলাপে ডাক না পাওয়া গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাপার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ফিকে করে দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপার কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, এবার সংলাপে ডাক না পাওয়ায় দলের হাইকমান্ড চিন্তিত। তবে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংলাপে ডাকা হলে তাঁরা অংশ নেবেন। এখন তাঁরা দলকে ঢেলে সাজাতে চান।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের গড়া জাপা বেশির ভাগ সময়েই ছিল ক্ষমতার সঙ্গে বা কাছাকাছি। দ্বাদশ নির্বাচনে ভরাডুবির পর জুলাই-আগস্টের ছাত্র নেতৃত্বের চোখে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় দলটি এবার বড় বিপাকে পড়েছে। দলটি নিজের অবস্থান জানাতে ইতিমধ্যে রাজপথে কর্মসূচি পালন করলেও অবস্থা বদলাচ্ছে না। জাপা নেতারা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে শীর্ষ নেতৃত্ব দল গোছানোর বিকল্প দেখছে না। তাই দলকে ঢেলে সাজাতে প্রতিদিন চলছে আলোচনা-মতবিনিময়।
জাপার নেতারা বলেছেন, দলকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১২ অক্টোবর দশম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হলেও চলমান পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে আপাতত সম্মেলনের চিন্তা নেই। দল গোছানো জোরালো করাই মূল লক্ষ্য। দলের কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন করে সংগঠন গোছানোর একটা বিষয় এসেছে। ১৭ অক্টোবর প্রেসিডিয়াম সভায় পার্টির চেয়ারম্যান (জি এম কাদের) হয়তো সম্মেলন নিয়ে নির্দেশনা দেবেন।
সম্মেলনের চেয়ে দল সংগঠিত করাই এ মুহূর্তে বেশি জরুরি বলে মনে করছেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্মেলনের বিষয়ে পরে চিন্তাভাবনা করা হবে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান কমিটির মেয়াদ আছে। বর্তমানে দেশব্যাপী দলকে সংগঠিত করতে অঙ্গসংগঠনসহ জেলা, উপজেলায় সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ১৭ অক্টোবরের প্রেসিডিয়াম সভায় সংগঠনকে আরও জোরদার করার কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে।
ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনায় রওশন এরশাদপন্থীরা আছেন কি না—এমন প্রশ্নে চুন্নু বলেন, ‘তাঁদের বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
এদিকে ৫ আগস্টের পর অনেকটাই নিষ্ক্রিয় রওশনপন্থী জাপা। জাপা বিভক্তির সময় তাঁর সঙ্গে দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কাজী ফিরোজ রশীদসহ পাঁচ শতাধিক নেতা যোগ দেন।
তবে রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে জানান, আগামী নভেম্বরের প্রথম দিন নির্বাহী কমিটির সভা হবে। ওই সভায় সারা দেশে সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাপার সঙ্গে তাঁরা কোনো আলোচনায় যাবেন না।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘পরপর তিনবার মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। এবার নতুন ভোটার যুব সমাজকে ভোটের সুযোগ করে দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করব। তবে দেশের সংকট দূর হওয়া খুবই জরুরি।’
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘এপ্রিল মাস কোনোভাবেই উপযোগী নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টায় শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেবিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার (৭ জুন) ঈদের নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেএকটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রভাবাধীন হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলটি এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিতে রাজি নয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে বরাবরের মতো অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে