নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক এক নেতাকে সহায়তার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারকে তিনি অন্তত ছয়বার ফোন করলেও আসামিকে ছাড়েনি। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে পাঠানো আসামির নাম নুরুজ্জামান খান (৫৫) নগরীর সাহেববাজার এলাকার মসজিদ মিশন একাডেমির (স্কুল অ্যান্ড কলেজ) অধ্যক্ষ। ১৯৮২ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেশির ভাগই দলীয় নেতা-কর্মী। এই প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আছে। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা মাঝেমধ্যেই গ্রেপ্তার হন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নুরুজ্জামান খান ছাত্রজীবনে শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। পরে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেন। এখন তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে কাশিয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশ। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছরের ১৭ নভেম্বর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় পুলিশের দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায় নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার বাদী উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলী মিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচি ছিল। এ জন্য বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সেদিন রাতে নগরীর সায়েরগাছা এলাকায় রাস্তায় অবস্থান নিয়ে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছিলেন। খবর পেয়ে ফোর্স নিয়ে তিনি সেখানে যান। বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ওই এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের অফিস লক্ষ্য করে দুটি ককটেল ছুড়ে মারে। একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে অফিসের জানালার কাচ ভেঙে যায়। অপর একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এই মামলায় অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খানকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে ছাড়ানোর জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন মসজিদ মিশন একাডেমির গভর্নিং বডির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবু। তিনি নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য। নুরুজ্জামানকে ছাড়াতে তিনি ছুটে যান রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের কাছে। এরপর ফজলে হোসেন বাদশা নগর পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে অন্তত ছয়বার ফোন করেন। বুধবার বেলা ৩টায় পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তিনি সরিফুল ইসলাম বাবুকে সময় নিয়ে দেন। ফজলে হোসেন বাদশা বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
অথচ সংসদ সদস্য থাকাকালে ২০২০ সালের ১১ আগস্ট ফজলে হোসেন বাদশা সংবাদ সম্মেলন করে মসজিদ মিশন একাডেমির নানা অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বলে দীর্ঘদিন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও জঙ্গিবাদীরা একে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী জঙ্গি তৎপরতার কারণে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ১১ কোটি টাকা লুটপাট করে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে ছাড়াতে ফোন করার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘অধ্যক্ষ কোন মতাদর্শের মানুষ তা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবু ভালো বলতে পারবেন। আমি পুলিশ কমিশনারকে বলেছিলাম, বিষয়গুলো যেন তাঁর কাছ থেকে শোনা হয়। এ জন্য আমি বাবুকে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের একটি সময় নিয়ে দিয়েছিলাম।’
বাদশা দাবি করেন, সম্প্রতি নগরীর একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেন তাঁকে ছাড়া হয়েছে সে প্রশ্ন তুলে বাদশা বলেন, মসজিদ মিশন একাডেমির অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খান জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন কি না তা তিনি জানেন না।
কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই নাশকতার মামলা আছে। অধ্যক্ষ নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা ছিল না। একটা পুরোনো মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ জন্য আমি বাদশা ভাই (ফজলে হোসেন বাদশা) ও আসাদ ভাইয়ের (আসাদুজ্জামান আসাদ) কাছে গিয়েছিলাম। বাদশা ভাই পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে দেখা করার জন্য আমাকে সময় নিয়ে দিয়েছিলেন। আসাদ ভাই ফোন করতে চেয়েছিলেন। ৩টার সময় আমার সঙ্গে আসাদ ভাইয়েরও পুলিশ কমিশনারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঢাকা যাওয়ার শিডিউল থাকায় তিনি যেতে পারেননি।’
সরিফুল ইসলাম বাবু আরও বলেন, ‘দেখা করলে পুলিশ কমিশনার আমাকে জানিয়েছেন যে অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খানের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন আছে। কিন্তু আমি তাঁর দুটি ব্যাংক হিসাব দেখে এমন কিছু পাইনি। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আমি তাঁকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। কারণ, তিনি নানাভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা করে থাকেন।’
জামায়াত নেতার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ফোন করার বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আমার কাছে কয়েকজন এসেছিলেন যেন ফোন করে তাঁকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু আমি ফোন করিনি। ফোন করেছি এই প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না।’
কাশিয়াডাঙ্গা থানা থেকে নুরুজ্জামানকে আদালতে পাঠানোর সময় পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রাথমিক তদন্তে এই আসামি মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘নুরুজ্জামান খান জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আরও তদন্ত চলছে। মামলায় থাকা অভিযোগ এখন বিচারাধীন বিষয়। এ বিষয়ে এখন আর কোনো মন্তব্য করব না।’

রাজশাহীতে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক এক নেতাকে সহায়তার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারকে তিনি অন্তত ছয়বার ফোন করলেও আসামিকে ছাড়েনি। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে পাঠানো আসামির নাম নুরুজ্জামান খান (৫৫) নগরীর সাহেববাজার এলাকার মসজিদ মিশন একাডেমির (স্কুল অ্যান্ড কলেজ) অধ্যক্ষ। ১৯৮২ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেশির ভাগই দলীয় নেতা-কর্মী। এই প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আছে। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা মাঝেমধ্যেই গ্রেপ্তার হন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নুরুজ্জামান খান ছাত্রজীবনে শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। পরে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেন। এখন তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে কাশিয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশ। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছরের ১৭ নভেম্বর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় পুলিশের দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায় নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার বাদী উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলী মিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচি ছিল। এ জন্য বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সেদিন রাতে নগরীর সায়েরগাছা এলাকায় রাস্তায় অবস্থান নিয়ে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছিলেন। খবর পেয়ে ফোর্স নিয়ে তিনি সেখানে যান। বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ওই এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের অফিস লক্ষ্য করে দুটি ককটেল ছুড়ে মারে। একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে অফিসের জানালার কাচ ভেঙে যায়। অপর একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এই মামলায় অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খানকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে ছাড়ানোর জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন মসজিদ মিশন একাডেমির গভর্নিং বডির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবু। তিনি নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য। নুরুজ্জামানকে ছাড়াতে তিনি ছুটে যান রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের কাছে। এরপর ফজলে হোসেন বাদশা নগর পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে অন্তত ছয়বার ফোন করেন। বুধবার বেলা ৩টায় পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তিনি সরিফুল ইসলাম বাবুকে সময় নিয়ে দেন। ফজলে হোসেন বাদশা বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
অথচ সংসদ সদস্য থাকাকালে ২০২০ সালের ১১ আগস্ট ফজলে হোসেন বাদশা সংবাদ সম্মেলন করে মসজিদ মিশন একাডেমির নানা অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বলে দীর্ঘদিন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও জঙ্গিবাদীরা একে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী জঙ্গি তৎপরতার কারণে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ১১ কোটি টাকা লুটপাট করে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে ছাড়াতে ফোন করার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘অধ্যক্ষ কোন মতাদর্শের মানুষ তা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবু ভালো বলতে পারবেন। আমি পুলিশ কমিশনারকে বলেছিলাম, বিষয়গুলো যেন তাঁর কাছ থেকে শোনা হয়। এ জন্য আমি বাবুকে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের একটি সময় নিয়ে দিয়েছিলাম।’
বাদশা দাবি করেন, সম্প্রতি নগরীর একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেন তাঁকে ছাড়া হয়েছে সে প্রশ্ন তুলে বাদশা বলেন, মসজিদ মিশন একাডেমির অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খান জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন কি না তা তিনি জানেন না।
কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই নাশকতার মামলা আছে। অধ্যক্ষ নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা ছিল না। একটা পুরোনো মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ জন্য আমি বাদশা ভাই (ফজলে হোসেন বাদশা) ও আসাদ ভাইয়ের (আসাদুজ্জামান আসাদ) কাছে গিয়েছিলাম। বাদশা ভাই পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে দেখা করার জন্য আমাকে সময় নিয়ে দিয়েছিলেন। আসাদ ভাই ফোন করতে চেয়েছিলেন। ৩টার সময় আমার সঙ্গে আসাদ ভাইয়েরও পুলিশ কমিশনারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঢাকা যাওয়ার শিডিউল থাকায় তিনি যেতে পারেননি।’
সরিফুল ইসলাম বাবু আরও বলেন, ‘দেখা করলে পুলিশ কমিশনার আমাকে জানিয়েছেন যে অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খানের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন আছে। কিন্তু আমি তাঁর দুটি ব্যাংক হিসাব দেখে এমন কিছু পাইনি। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আমি তাঁকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। কারণ, তিনি নানাভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা করে থাকেন।’
জামায়াত নেতার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ফোন করার বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আমার কাছে কয়েকজন এসেছিলেন যেন ফোন করে তাঁকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু আমি ফোন করিনি। ফোন করেছি এই প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না।’
কাশিয়াডাঙ্গা থানা থেকে নুরুজ্জামানকে আদালতে পাঠানোর সময় পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রাথমিক তদন্তে এই আসামি মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘নুরুজ্জামান খান জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আরও তদন্ত চলছে। মামলায় থাকা অভিযোগ এখন বিচারাধীন বিষয়। এ বিষয়ে এখন আর কোনো মন্তব্য করব না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক এক নেতাকে সহায়তার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারকে তিনি অন্তত ছয়বার ফোন করলেও আসামিকে ছাড়েনি। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে পাঠানো আসামির নাম নুরুজ্জামান খান (৫৫) নগরীর সাহেববাজার এলাকার মসজিদ মিশন একাডেমির (স্কুল অ্যান্ড কলেজ) অধ্যক্ষ। ১৯৮২ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেশির ভাগই দলীয় নেতা-কর্মী। এই প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আছে। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা মাঝেমধ্যেই গ্রেপ্তার হন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নুরুজ্জামান খান ছাত্রজীবনে শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। পরে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেন। এখন তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে কাশিয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশ। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছরের ১৭ নভেম্বর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় পুলিশের দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায় নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার বাদী উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলী মিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচি ছিল। এ জন্য বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সেদিন রাতে নগরীর সায়েরগাছা এলাকায় রাস্তায় অবস্থান নিয়ে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছিলেন। খবর পেয়ে ফোর্স নিয়ে তিনি সেখানে যান। বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ওই এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের অফিস লক্ষ্য করে দুটি ককটেল ছুড়ে মারে। একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে অফিসের জানালার কাচ ভেঙে যায়। অপর একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এই মামলায় অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খানকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে ছাড়ানোর জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন মসজিদ মিশন একাডেমির গভর্নিং বডির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবু। তিনি নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য। নুরুজ্জামানকে ছাড়াতে তিনি ছুটে যান রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের কাছে। এরপর ফজলে হোসেন বাদশা নগর পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে অন্তত ছয়বার ফোন করেন। বুধবার বেলা ৩টায় পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তিনি সরিফুল ইসলাম বাবুকে সময় নিয়ে দেন। ফজলে হোসেন বাদশা বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
অথচ সংসদ সদস্য থাকাকালে ২০২০ সালের ১১ আগস্ট ফজলে হোসেন বাদশা সংবাদ সম্মেলন করে মসজিদ মিশন একাডেমির নানা অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বলে দীর্ঘদিন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও জঙ্গিবাদীরা একে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী জঙ্গি তৎপরতার কারণে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ১১ কোটি টাকা লুটপাট করে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে ছাড়াতে ফোন করার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘অধ্যক্ষ কোন মতাদর্শের মানুষ তা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবু ভালো বলতে পারবেন। আমি পুলিশ কমিশনারকে বলেছিলাম, বিষয়গুলো যেন তাঁর কাছ থেকে শোনা হয়। এ জন্য আমি বাবুকে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের একটি সময় নিয়ে দিয়েছিলাম।’
বাদশা দাবি করেন, সম্প্রতি নগরীর একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেন তাঁকে ছাড়া হয়েছে সে প্রশ্ন তুলে বাদশা বলেন, মসজিদ মিশন একাডেমির অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খান জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন কি না তা তিনি জানেন না।
কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই নাশকতার মামলা আছে। অধ্যক্ষ নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা ছিল না। একটা পুরোনো মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ জন্য আমি বাদশা ভাই (ফজলে হোসেন বাদশা) ও আসাদ ভাইয়ের (আসাদুজ্জামান আসাদ) কাছে গিয়েছিলাম। বাদশা ভাই পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে দেখা করার জন্য আমাকে সময় নিয়ে দিয়েছিলেন। আসাদ ভাই ফোন করতে চেয়েছিলেন। ৩টার সময় আমার সঙ্গে আসাদ ভাইয়েরও পুলিশ কমিশনারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঢাকা যাওয়ার শিডিউল থাকায় তিনি যেতে পারেননি।’
সরিফুল ইসলাম বাবু আরও বলেন, ‘দেখা করলে পুলিশ কমিশনার আমাকে জানিয়েছেন যে অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খানের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন আছে। কিন্তু আমি তাঁর দুটি ব্যাংক হিসাব দেখে এমন কিছু পাইনি। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আমি তাঁকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। কারণ, তিনি নানাভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা করে থাকেন।’
জামায়াত নেতার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ফোন করার বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আমার কাছে কয়েকজন এসেছিলেন যেন ফোন করে তাঁকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু আমি ফোন করিনি। ফোন করেছি এই প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না।’
কাশিয়াডাঙ্গা থানা থেকে নুরুজ্জামানকে আদালতে পাঠানোর সময় পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রাথমিক তদন্তে এই আসামি মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘নুরুজ্জামান খান জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আরও তদন্ত চলছে। মামলায় থাকা অভিযোগ এখন বিচারাধীন বিষয়। এ বিষয়ে এখন আর কোনো মন্তব্য করব না।’

রাজশাহীতে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক এক নেতাকে সহায়তার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারকে তিনি অন্তত ছয়বার ফোন করলেও আসামিকে ছাড়েনি। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে পাঠানো আসামির নাম নুরুজ্জামান খান (৫৫) নগরীর সাহেববাজার এলাকার মসজিদ মিশন একাডেমির (স্কুল অ্যান্ড কলেজ) অধ্যক্ষ। ১৯৮২ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেশির ভাগই দলীয় নেতা-কর্মী। এই প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আছে। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা মাঝেমধ্যেই গ্রেপ্তার হন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নুরুজ্জামান খান ছাত্রজীবনে শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। পরে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেন। এখন তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে কাশিয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশ। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছরের ১৭ নভেম্বর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় পুলিশের দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায় নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার বাদী উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলী মিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচি ছিল। এ জন্য বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সেদিন রাতে নগরীর সায়েরগাছা এলাকায় রাস্তায় অবস্থান নিয়ে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছিলেন। খবর পেয়ে ফোর্স নিয়ে তিনি সেখানে যান। বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ওই এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের অফিস লক্ষ্য করে দুটি ককটেল ছুড়ে মারে। একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে অফিসের জানালার কাচ ভেঙে যায়। অপর একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এই মামলায় অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খানকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে ছাড়ানোর জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন মসজিদ মিশন একাডেমির গভর্নিং বডির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবু। তিনি নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য। নুরুজ্জামানকে ছাড়াতে তিনি ছুটে যান রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের কাছে। এরপর ফজলে হোসেন বাদশা নগর পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে অন্তত ছয়বার ফোন করেন। বুধবার বেলা ৩টায় পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তিনি সরিফুল ইসলাম বাবুকে সময় নিয়ে দেন। ফজলে হোসেন বাদশা বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
অথচ সংসদ সদস্য থাকাকালে ২০২০ সালের ১১ আগস্ট ফজলে হোসেন বাদশা সংবাদ সম্মেলন করে মসজিদ মিশন একাডেমির নানা অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বলে দীর্ঘদিন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও জঙ্গিবাদীরা একে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী জঙ্গি তৎপরতার কারণে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ১১ কোটি টাকা লুটপাট করে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে ছাড়াতে ফোন করার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘অধ্যক্ষ কোন মতাদর্শের মানুষ তা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবু ভালো বলতে পারবেন। আমি পুলিশ কমিশনারকে বলেছিলাম, বিষয়গুলো যেন তাঁর কাছ থেকে শোনা হয়। এ জন্য আমি বাবুকে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের একটি সময় নিয়ে দিয়েছিলাম।’
বাদশা দাবি করেন, সম্প্রতি নগরীর একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেন তাঁকে ছাড়া হয়েছে সে প্রশ্ন তুলে বাদশা বলেন, মসজিদ মিশন একাডেমির অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খান জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন কি না তা তিনি জানেন না।
কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই নাশকতার মামলা আছে। অধ্যক্ষ নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা ছিল না। একটা পুরোনো মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ জন্য আমি বাদশা ভাই (ফজলে হোসেন বাদশা) ও আসাদ ভাইয়ের (আসাদুজ্জামান আসাদ) কাছে গিয়েছিলাম। বাদশা ভাই পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে দেখা করার জন্য আমাকে সময় নিয়ে দিয়েছিলেন। আসাদ ভাই ফোন করতে চেয়েছিলেন। ৩টার সময় আমার সঙ্গে আসাদ ভাইয়েরও পুলিশ কমিশনারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঢাকা যাওয়ার শিডিউল থাকায় তিনি যেতে পারেননি।’
সরিফুল ইসলাম বাবু আরও বলেন, ‘দেখা করলে পুলিশ কমিশনার আমাকে জানিয়েছেন যে অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খানের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন আছে। কিন্তু আমি তাঁর দুটি ব্যাংক হিসাব দেখে এমন কিছু পাইনি। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আমি তাঁকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। কারণ, তিনি নানাভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা করে থাকেন।’
জামায়াত নেতার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ফোন করার বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আমার কাছে কয়েকজন এসেছিলেন যেন ফোন করে তাঁকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু আমি ফোন করিনি। ফোন করেছি এই প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না।’
কাশিয়াডাঙ্গা থানা থেকে নুরুজ্জামানকে আদালতে পাঠানোর সময় পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রাথমিক তদন্তে এই আসামি মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘নুরুজ্জামান খান জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আরও তদন্ত চলছে। মামলায় থাকা অভিযোগ এখন বিচারাধীন বিষয়। এ বিষয়ে এখন আর কোনো মন্তব্য করব না।’

ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।’
১৮ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কার্যক্রম পুনরায় সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে
নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর বাংলাদেশ
২০ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেনেতাদের তারেক রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।’
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
দলের পক্ষ থেকে শিগগির পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দল যাঁকেই যে আসনে মনোনয়ন দেবে, অনুগ্রহপূর্বক তাঁকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকে, বিএনপির প্রতিটি মানুষ দয়া করে কাজ করবেন।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আপনারা যাঁরা জনসমর্থন পেতে নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ করছেন, আপনারা সবাই কিন্তু শহীদ জিয়ার অনুসারী, খালেদা জিয়ার সৈনিক, বিএনপির কর্মী, ধানের শীষের সমর্থক। মনে রাখবেন, ধানের শীষ জিতলে আপনি জিতেছেন বা জিতছেন, জিতবেন, বিজয়ী হবেন।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপ্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। জনসমর্থিত এবং জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য লোক মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন; কিন্তু প্রত্যেককে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।
এ ছাড়া ভিন্ন রাজনৈতিক দলের, যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সঙ্গে ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেন জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ বাস্তবতার কারণে অনেক আসনে হয়তো বিএনপির যোগ্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হবেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মনে রাখবেন—আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার কিন্তু ওত পেতে রয়েছে। সুতরাং আপনাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ, বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে করে প্রতিপক্ষ আপনাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।’
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পলাতক স্বৈরাচার সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো কোনো বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে—যথাসময়ে কী নির্বাচন হবে? কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জনমনে সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে হয়তোবা সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে।’
ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘কৌশল এবং অপকৌশলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ হলে কোনো অগণতান্ত্রিক বা অপশক্তির কাছে শেষ পর্যন্ত বিনা শর্তে আত্মসমর্থনের পথে হাঁটতে হয় কি না—বাংলাদেশের এ মুহূর্তে মাঠে থাকা সব গণতান্ত্রিক দলকে এমন বিপদের কথাও স্মরণে রাখতে আমি বিনীত অনুরোধ করছি।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।’
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
দলের পক্ষ থেকে শিগগির পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দল যাঁকেই যে আসনে মনোনয়ন দেবে, অনুগ্রহপূর্বক তাঁকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকে, বিএনপির প্রতিটি মানুষ দয়া করে কাজ করবেন।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আপনারা যাঁরা জনসমর্থন পেতে নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ করছেন, আপনারা সবাই কিন্তু শহীদ জিয়ার অনুসারী, খালেদা জিয়ার সৈনিক, বিএনপির কর্মী, ধানের শীষের সমর্থক। মনে রাখবেন, ধানের শীষ জিতলে আপনি জিতেছেন বা জিতছেন, জিতবেন, বিজয়ী হবেন।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপ্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। জনসমর্থিত এবং জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য লোক মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন; কিন্তু প্রত্যেককে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।
এ ছাড়া ভিন্ন রাজনৈতিক দলের, যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সঙ্গে ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেন জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ বাস্তবতার কারণে অনেক আসনে হয়তো বিএনপির যোগ্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হবেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মনে রাখবেন—আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার কিন্তু ওত পেতে রয়েছে। সুতরাং আপনাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ, বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে করে প্রতিপক্ষ আপনাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।’
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পলাতক স্বৈরাচার সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো কোনো বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে—যথাসময়ে কী নির্বাচন হবে? কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জনমনে সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে হয়তোবা সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে।’
ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘কৌশল এবং অপকৌশলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ হলে কোনো অগণতান্ত্রিক বা অপশক্তির কাছে শেষ পর্যন্ত বিনা শর্তে আত্মসমর্থনের পথে হাঁটতে হয় কি না—বাংলাদেশের এ মুহূর্তে মাঠে থাকা সব গণতান্ত্রিক দলকে এমন বিপদের কথাও স্মরণে রাখতে আমি বিনীত অনুরোধ করছি।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

রাজশাহীতে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক এক নেতাকে সহায়তার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
২৭ জুলাই ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কার্যক্রম পুনরায় সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে
নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর বাংলাদেশ
২০ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কার্যক্রম পুনরায় সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, চব্বিশের জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান যে আকাঙ্ক্ষা ও উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল, তার পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। বরং দেখা যাচ্ছে, জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন যেমন নিশ্চিত করা হয়নি, তেমনি তাদের নিরাপত্তাও যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সরকার। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কেও কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আমরা এখনো প্রত্যক্ষ করেনি, যা হাজারও শহীদ ও আহতদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বৈপ্লবিক রূপান্তর নিশ্চিতে এবং ঐতিহাসিক এক দফা, অর্থাৎ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণের নিমিত্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সব ইউনিট কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরায় সচল করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এবং সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর ও জেলা ইউনিটকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কার্যক্রম পুনরায় সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, চব্বিশের জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান যে আকাঙ্ক্ষা ও উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল, তার পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। বরং দেখা যাচ্ছে, জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন যেমন নিশ্চিত করা হয়নি, তেমনি তাদের নিরাপত্তাও যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সরকার। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কেও কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আমরা এখনো প্রত্যক্ষ করেনি, যা হাজারও শহীদ ও আহতদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বৈপ্লবিক রূপান্তর নিশ্চিতে এবং ঐতিহাসিক এক দফা, অর্থাৎ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণের নিমিত্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সব ইউনিট কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরায় সচল করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এবং সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর ও জেলা ইউনিটকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’

রাজশাহীতে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক এক নেতাকে সহায়তার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
২৭ জুলাই ২০২৪
ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।’
১৮ ঘণ্টা আগে
নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর বাংলাদেশ
২০ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে।
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আজ রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপ্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। জনসমর্থিত ও জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য লোক মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, কিন্তু প্রত্যেককে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।
এ ছাড়া ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সঙ্গে ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ বাস্তবতার কারণে অনেক আসনে হয়তো বিএনপির যোগ্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হবেন।
ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মনে রাখবেন—আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার কিন্তু ওত পেতে রয়েছে। সুতরাং, আপনাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ, বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ আপনাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।’
দলের পক্ষ থেকে শিগগির পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দল যাকেই যে আসনে মনোনয়ন দেবে, অনুগ্রহপূর্বক তাকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকে, বিএনপির প্রতিটি মানুষ দয়া করে কাজ করবেন।’
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পলাতক স্বৈরাচার সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। উদ্বেগ ও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো কোনো বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে—যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে? কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জনমনে সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে হয়তোবা সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে।
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আজ রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপ্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। জনসমর্থিত ও জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য লোক মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, কিন্তু প্রত্যেককে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।
এ ছাড়া ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সঙ্গে ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ বাস্তবতার কারণে অনেক আসনে হয়তো বিএনপির যোগ্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হবেন।
ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মনে রাখবেন—আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার কিন্তু ওত পেতে রয়েছে। সুতরাং, আপনাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ, বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ আপনাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।’
দলের পক্ষ থেকে শিগগির পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দল যাকেই যে আসনে মনোনয়ন দেবে, অনুগ্রহপূর্বক তাকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকে, বিএনপির প্রতিটি মানুষ দয়া করে কাজ করবেন।’
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পলাতক স্বৈরাচার সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। উদ্বেগ ও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো কোনো বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে—যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে? কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জনমনে সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে হয়তোবা সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

রাজশাহীতে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক এক নেতাকে সহায়তার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
২৭ জুলাই ২০২৪
ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।’
১৮ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কার্যক্রম পুনরায় সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
হাসান ইনাম পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘আমি গত ৪ মাস জুলাই থেকে গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি এই সংগঠনকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে তুলে ধরার জন্য একদল কর্মঠ কর্মী নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় নানা পরিসরে কাজে লিপ্ত থেকে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ অনুভব করছি।’
পদত্যাগপত্রে হাসান ইনাম সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদে বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘সংগঠনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশের সব কমিটি পুনর্গঠনের ঘোষণা দেখার পর মনে হচ্ছে দেশব্যাপী পরিব্যাপ্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় আমি এখন নেই। তাই আমি স্বেচ্ছায়, স্বপ্রণোদিতভাবে এই দায়িত্ব থেকে ইস্তফা নিচ্ছি।’
তবে, পদত্যাগ করলেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য অর্জনের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন হাসান ইনাম। তিনি বলেন, ‘তবে জুলাইকে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমার যে লড়াই, সেটি চলমান থাকবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক ভিন্ন অন্য কোনো পরিচয়ে বা বেনামে আমি সংগঠনের এ-সংক্রান্ত কাজে নিজেকে জড়িত রাখতে ইচ্ছুক।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
হাসান ইনাম পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘আমি গত ৪ মাস জুলাই থেকে গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি এই সংগঠনকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে তুলে ধরার জন্য একদল কর্মঠ কর্মী নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় নানা পরিসরে কাজে লিপ্ত থেকে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ অনুভব করছি।’
পদত্যাগপত্রে হাসান ইনাম সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদে বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘সংগঠনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশের সব কমিটি পুনর্গঠনের ঘোষণা দেখার পর মনে হচ্ছে দেশব্যাপী পরিব্যাপ্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় আমি এখন নেই। তাই আমি স্বেচ্ছায়, স্বপ্রণোদিতভাবে এই দায়িত্ব থেকে ইস্তফা নিচ্ছি।’
তবে, পদত্যাগ করলেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য অর্জনের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন হাসান ইনাম। তিনি বলেন, ‘তবে জুলাইকে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমার যে লড়াই, সেটি চলমান থাকবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক ভিন্ন অন্য কোনো পরিচয়ে বা বেনামে আমি সংগঠনের এ-সংক্রান্ত কাজে নিজেকে জড়িত রাখতে ইচ্ছুক।’

রাজশাহীতে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক এক নেতাকে সহায়তার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
২৭ জুলাই ২০২৪
ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।’
১৮ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কার্যক্রম পুনরায় সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে
নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর বাংলাদেশ
২০ ঘণ্টা আগে