Ajker Patrika

মানুষ জড়ো করে ‘ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’—এটা গণতন্ত্র নয়: মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪১
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ‘মব ভায়োলেন্স’ (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সহিংসতা) থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের প্রধানতম কথা হচ্ছে, অন্যের মত সহ্য করতে হবে। আমি কথা বলব, আপনার কথা সহ্য করব না, পিটিয়ে দেব, মব ভায়োলেন্স তৈরি করব, কিছু মানুষ জড়ো করে বলব, “ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, তাকে মেরে ফেলো পিটিয়ে”—এটা গণতন্ত্র নয়।’

রাজধানীর লেক শোর হোটেলে আজ বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপি’ শীর্ষক সংকলিত গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। এর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল কথাটা হচ্ছে, আমি তোমার সঙ্গে একমত হতে না পারি, কিন্তু তোমার মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা, তাকে আমি আমার জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করব। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা এখানে অন্যের মত সহ্য করতে চাই না, আমরা তাকে উড়িয়ে দিতে চাই। এই জায়গা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থেই যদি আমরা টেকসই একটা ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই, ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে না চাই, তাহলে গণতন্ত্রকে আমাদের এখানে প্রতিপালন করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্মাণ করতে হবে। কোন দল জিতল, কে হারল—এটা জরুরি নয়। জরুরি হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানটা শক্তিশালী হলো কি না, আমাদের বিচারিক স্বাধীনতা আছে কি না, আমাদের গণমাধ্যম স্বাধীন কি না, আমাদের সংসদ কার্যকর কি না, আমাদের দেশে আইনের শাসনে চলছে কি না, সুশাসন চলছে কি না, মানুষের সামাজিক মর্যাদা এবং মানবাধিকার আমরা রাখতে পারছি কি না এই বিষয়গুলো নিয়েই আমাদের ভবিষ্যতে কাজ করতে হবে।’

গণতন্ত্র মোর্চা তৈরির আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন আসছে। বিএনপির ওপর দায়িত্ব বেশি পড়েছে। বিএনপিকে সত্যিকার অর্থেই এমন একটা মোর্চা গড়ে তুলতে হবে, যা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে অতীতে, লড়াই করবে এবং গণতন্ত্রকে এখানে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেবে। এমন মোর্চাই আমাদের গড়তে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাপা ও জেপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। ফাইল ছবি
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। ফাইল ছবি

আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (একাংশ) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) কয়েকটি দলের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দিয়েছে। এই জোটের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আগামী সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ইমানুয়েলস পার্টি সেন্টারে (বাড়ি-৮, রোড-১৩৫, গুলশান-১, ঢাকা) একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ জোটভুক্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভাপতিরা।

এর আগে গত রোববার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে এক মতবিনিময় সভায় এ জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত এ জোটে জাপা-জেপি ছাড়া আরও ১৪টি রাজনৈতিক দল রয়েছে বলে জানা গেছে।

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে। এ ছাড়া আত্মপ্রকাশের আগে জোটের অন্তর্ভুক্ত সব দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সমন্বয়ে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেখ হাসিনার দুঃশাসনে চরম সংকটে খালেদা জিয়ার জীবন: তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ০৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃশাসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর নানা নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ আনেন। স্বৈরাচার পতন দিবসকে সামনে রেখে এই পোস্ট করেন তারেক রহমান।

ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, ‘অবিস্মরণীয় একটি দিন ৬ ডিসেম্বর। ১৯৯০ সালের এ দিনে রক্তাক্ত পিচ্ছিল পথে অবসান হয়েছিল স্বৈরশাসনের। এরশাদ ৮২’র ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙে অস্ত্রের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র হত্যা করে জারি করেছিল অসাংবিধানিক শাসন। যে সাংবিধানিক রাজনীতি ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা, যার সূচনা করেছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। একনায়ক হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন।’

তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট।
তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট।

পোস্টে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খালেদা জিয়ার অবদান উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় বছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে আপসহীন নেত্রী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। গড়ে তুলেন এক দুর্বার গণ-আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘৯০-এর ৬ ডিসেম্বর এই দিনে ছাত্র-জনতার মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল গণতন্ত্র। সেই অর্জিত গণতন্ত্রের চেতনায় আবারও ছাত্র-জনতা ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট এক হিংস্র ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ছিল গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসনের অবসানের পর আবারও গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ পুনরুজ্জীবন এবং রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের নিরলস সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার দুঃশাসনে ‘‘গণতন্ত্রের মা” দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর জেল-জুলুমসহ নানামাত্রিক নিপীড়ন নামিয়ে আনা হয়েছিল। অবিরাম নির্যাতনের কশাঘাতে অসুস্থ দেশনেত্রীর জীবন এখন চরম সংকটে। আল্লাহর কাছে তাঁর আশু সুস্থতা কামনা করছি। এ ছাড়া দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছিল। সারা দেশকে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমি ‘৮২ থেকে ‘৯০ পর্যন্ত রক্তস্নাত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এ স্মরণীয় দিনে আমি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী গণতন্ত্রের হেফাজতকারী দেশবাসীকে।’

স্বৈরাচার পতন দিবসে গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রবিরোধী পরাজিত শক্তির যাতে আর পুনরুত্থান না ঘটে সে জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২৪-এর অভ্যুত্থান কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে হয়নি, ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে হয়েছিল: নাহিদ ইসলাম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রোববার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: স্ক্রিনশট
রোববার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: স্ক্রিনশট

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে হয়নি, বরং ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে হয়নি। ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান হয়েছিল। যে রাজনৈতিক দল দেশকে স্বাধীন করে, তারাই দেশের প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়ে যায়। কিন্তু আমরা স্বাধীনতার পর সেই সুযোগ হারিয়েছি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুরোপুরি এগিয়ে নিতে পারেননি।’

রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এনসিপি আয়োজিত নীতিনির্ধারণ-বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই আকাঙ্ক্ষা যদি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে দেশ আরও ডিজাস্টারের (বিপর্যয়) দিকে যেতে পারে। আরও ক্ষতির দিকে যেতে পারে। কারণ, আমাদের দেশের ইতিহাস এটাই বলছে। ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর ’৭০-এর নির্বাচন হয়েছিল। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছিল। কিন্তু তখনকার রাষ্ট্রের দায়িত্বরতরা তা মেনে নেয়নি। দেশে যুদ্ধ হয়েছে। ’৯০-এর অভ্যুত্থানে যে কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি) করা হয়েছে, সেটা নির্বাচিত সরকার রাখেনি।’

নাহিদ বলেন, দেশের উন্নয়নে গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যক্তিনির্ভরতা আছে। তাই সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সব নীতি পরিবর্তন হয়ে যায়। ফলে ব্যবসায়িক গোষ্ঠীও একটি পক্ষের হয়ে কাজ শুরু করে।

এনসিপির রাজনীতি সম্পর্কে নাহিদ বলেন, ‘আমরা আমাদের ভিশন-মিশন কম্প্রোমাইজ (আপস) করে রাজনীতি করব না। গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা। বৈষম্যবিরোধী নামটার কারণে ওই আন্দোলন জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই নাম সচেতনভাবেই দেওয়া হয়েছিল।’

জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে বলেও মনে করেন এনসিপির এই নেতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সব দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর তফসিল হোক: নাহিদ ইসলাম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৭
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘তফসিল নিয়ে ইসি (নির্বাচন কমিশন) সিদ্ধান্ত নেবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের মূল ব্যক্তির সুস্থতার ব্যাপার আছে। আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর তফসিল হোক।’

রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এনসিপি আয়োজিত নীতিনির্ধারণবিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন যাতে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনী যাত্রাটা শুরু করে। কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের জন্য আমাদের এই নির্বাচন প্রক্রিয়া যেন থেমে না যায়। তাদের (বিএনপি) নেত্রী অসুস্থ, সে বিষয়ে আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। আমরা সেই বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছি। কিন্তু নির্বাচন নির্বাচনের সময়েই হবে আশা করি।’

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনসিপি কোনো দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে সমঝোতায় যায়নি জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিষয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা হয়েছে। অতি শিগগির প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করব। তৃতীয় একটি জোট নিয়ে আলোচনা ও প্রক্রিয়া চলমান আছে। পুরানপন্থী যে দলগুলো আছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে—তাদের ব্যাপারে জনগণের আস্থা নেই। তাই আমরা নতুন ধারার রাজনীতি করতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত