নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
এই সরকার সব ধরনের সমঝোতা নাকচ করে দিয়েছে। তাদের সমঝোতা হলো বিচার মানি তালগাছ আমার। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিয়ে বলতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
আজ মঙ্গলবার প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন-সংকট উত্তরণে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই সরকার, তাদের যে সরাসরি স্বরযন্ত্রে অনেক মোলায়েম ভাষায় অনেক দেশপ্রেমের সঙ্গে আবদারগুলো করেন। আমরা কেন সমঝোতার ভিত্তিতে একটা নির্বাচন করতে পারি না! তো সমঝোতার প্রস্তাব তো আপনারাই নাকচ করছেন। ওনাদের সমঝোতা হলো, বিচার মানি তালগাছটা আমার। অর্থাৎ আমাদের অধীনে নির্বাচন হবে। কারচুপি-কারচুপি করব এবং আমরা ক্ষমতায় থাকব। এটা আপনারা মেনে নেবেন। আপনাদের কিছু সিট-টিট দেওয়া হবে। এই হচ্ছে সরকারের সরাসরি প্রস্তাব। ইনিয়ে-বিনিয়ে টেলিভিশনে এবং তাদের রাজনৈতিক নেতারা এগুলো একটু ভদ্রস্থ ভাষায় বলেন। কিন্তু আসল কথা হইলো এইটা ইলেকশন হবে আমাদের অধীনে। যাকে ইচ্ছা ধরব, যার যার প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে করে দেব। মামলা দিতে হবে দেব। এমনকি গুলিটুলি করতে হলে করব।’
সরকার পরিবর্তন না হলে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগবে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী বলেন, চলমান রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে বিদেশিরা হস্তক্ষেপ করছে। দ্বন্দ্বের মীমাংসা যদি না হয়, তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ তৈরি হবে। নতুন বন্দোবস্ত তার জন্যই প্রয়োজন। আর সেটা হলো সরকারের পরিবর্তন।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার চুরির মাধ্যমে রাষ্ট্রকে এমনভাবে সজ্জিত করেছেন যে সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানেই এখন দুর্নীতি হয়। কেউ কেউ তো বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার চলে গেলে তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হবেন। এ জন্য তাঁরা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সবকিছুই করেন।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ঢাকাকে অচল করতে দেওয়া যাবে না। অথর্ব সরকার নিজেই ঢাকা অচল করে। ১৪-১৫ বছরে ক্ষমতায় থেকে সরকার দুঃশাসন চালাচ্ছে। দেশের সমস্ত মানুষ এখন তার অবসান চায়। শেখ হাসিনা বলেছে, ৭০ ভাগ জনগণের সমর্থন তার রয়েছে। এই পরিমাণ সমর্থন থাকলে একটা নিরপেক্ষ ভোট দেন। কিন্তু আপনারা সেটা দেবেন না। কারণ তাঁরা জানে,তাঁদের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেছেন, ‘৭১ সালে জনযুদ্ধের ভেতর দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছিল গণতান্ত্রিক একটা আচরণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য। সে সংবিধানের লড়াই পাকিস্তানের শুরু থেকেই। কিন্তু সেখানে বিরোধও দেখা দেয়। পাকিস্তানের যে কাঠামোর কারণে মানুষ আন্দোলন করেছিল, সেটা ৭২-এর পরেও কাটেনি। দেশে এখন যে গণতান্ত্রিক লড়াই চলছে, তখন আমাদের এক দফায় একটা কথাই উঠে আসে যে সরকার ভেঙে দিতে হবে।’
এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
এই সরকার সব ধরনের সমঝোতা নাকচ করে দিয়েছে। তাদের সমঝোতা হলো বিচার মানি তালগাছ আমার। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিয়ে বলতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
আজ মঙ্গলবার প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন-সংকট উত্তরণে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই সরকার, তাদের যে সরাসরি স্বরযন্ত্রে অনেক মোলায়েম ভাষায় অনেক দেশপ্রেমের সঙ্গে আবদারগুলো করেন। আমরা কেন সমঝোতার ভিত্তিতে একটা নির্বাচন করতে পারি না! তো সমঝোতার প্রস্তাব তো আপনারাই নাকচ করছেন। ওনাদের সমঝোতা হলো, বিচার মানি তালগাছটা আমার। অর্থাৎ আমাদের অধীনে নির্বাচন হবে। কারচুপি-কারচুপি করব এবং আমরা ক্ষমতায় থাকব। এটা আপনারা মেনে নেবেন। আপনাদের কিছু সিট-টিট দেওয়া হবে। এই হচ্ছে সরকারের সরাসরি প্রস্তাব। ইনিয়ে-বিনিয়ে টেলিভিশনে এবং তাদের রাজনৈতিক নেতারা এগুলো একটু ভদ্রস্থ ভাষায় বলেন। কিন্তু আসল কথা হইলো এইটা ইলেকশন হবে আমাদের অধীনে। যাকে ইচ্ছা ধরব, যার যার প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে করে দেব। মামলা দিতে হবে দেব। এমনকি গুলিটুলি করতে হলে করব।’
সরকার পরিবর্তন না হলে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগবে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী বলেন, চলমান রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে বিদেশিরা হস্তক্ষেপ করছে। দ্বন্দ্বের মীমাংসা যদি না হয়, তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ তৈরি হবে। নতুন বন্দোবস্ত তার জন্যই প্রয়োজন। আর সেটা হলো সরকারের পরিবর্তন।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার চুরির মাধ্যমে রাষ্ট্রকে এমনভাবে সজ্জিত করেছেন যে সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানেই এখন দুর্নীতি হয়। কেউ কেউ তো বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার চলে গেলে তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হবেন। এ জন্য তাঁরা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সবকিছুই করেন।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ঢাকাকে অচল করতে দেওয়া যাবে না। অথর্ব সরকার নিজেই ঢাকা অচল করে। ১৪-১৫ বছরে ক্ষমতায় থেকে সরকার দুঃশাসন চালাচ্ছে। দেশের সমস্ত মানুষ এখন তার অবসান চায়। শেখ হাসিনা বলেছে, ৭০ ভাগ জনগণের সমর্থন তার রয়েছে। এই পরিমাণ সমর্থন থাকলে একটা নিরপেক্ষ ভোট দেন। কিন্তু আপনারা সেটা দেবেন না। কারণ তাঁরা জানে,তাঁদের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেছেন, ‘৭১ সালে জনযুদ্ধের ভেতর দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছিল গণতান্ত্রিক একটা আচরণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য। সে সংবিধানের লড়াই পাকিস্তানের শুরু থেকেই। কিন্তু সেখানে বিরোধও দেখা দেয়। পাকিস্তানের যে কাঠামোর কারণে মানুষ আন্দোলন করেছিল, সেটা ৭২-এর পরেও কাটেনি। দেশে এখন যে গণতান্ত্রিক লড়াই চলছে, তখন আমাদের এক দফায় একটা কথাই উঠে আসে যে সরকার ভেঙে দিতে হবে।’
এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
সম্প্রতি দেশে সংঘটিত কিছু নৃশংস ঘটনা জনমনে অন্তর্বর্তী সরকারের সক্ষমতাকে ক্ষেত্রবিশেষে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো একটি অংশের সহায়তায় কেউ কেউ দেশে উদ্দেশ্যমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে কি না...
১০ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে ছাত্রদল নেতারা বলেন, ‘হঠাৎ গজিয়ে ওঠা এই হাইব্রিড নেতা প্রায়শই দেশের সম্মানিত জাতীয় নেতাদের বিষয়ে চরম অশ্রদ্ধাপূর্ণ, রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তাঁর আচরণগত ও বক্তব্যের অসংলগ্নতার কারণে অনেকে তাঁর সুস্থতা ও স্বাভাবিকতার বিষয়ে সন্দিহান।
১৩ ঘণ্টা আগেআজ রাত ১১টার দিকে ডা. শফিকুর রহমান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে নিজের স্বাস্থ্যগত অবস্থার কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, তাঁর অসুস্থতার কারণে সমাবেশে যে বিঘ্ন ঘটেছে, সে জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
১৩ ঘণ্টা আগেসংসদের নিম্নকক্ষ, উচ্চকক্ষ ও সংরক্ষিত নারী আসন—সব ক্ষেত্রেই ভোটের সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চায় জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু বিএনপিসহ কয়েকটি দলের অবস্থান এর বিপক্ষে। এই অবস্থায় পিআর পদ্ধতিতে ভোটের ঘোষণা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত। সেই দাবি মানা না হলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে
১৪ ঘণ্টা আগে