ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তাকে বদরুদ্দীন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর। তিনি জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার সাক্ষী ছিলেন।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। বদরুদ্দীন উমর ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার আগেই গতকাল সকালে মারা গেছেন। প্রসিকিউটর তামিম বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দিয়ে মারা গেলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করতে পারেন।
সূত্র জানায়, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দি বদরুদ্দীন উমর বলেন, অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে। মুসলিম লীগের পতনের মতোই—এবারের গণ-অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগের জন্য একটি চূড়ান্ত রাজনৈতিক পরিণতি তৈরি করেছে। ভারতের সহায়তায় তারা হয়তো কিছু অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাবে। কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের পুনরুত্থান অসম্ভব বলেই মনে হয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পালানোর পরদিন থেকেই সারা দেশে শেখ মুজিবের মূর্তি ও ম্যুরাল সাধারণ মানুষ নিজেরা ভেঙে ফেলে। কেউ কোনো নির্দেশ দেয়নি, তবু এটি ঘটেছে। এটি একধরনের ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’; যার বহিঃপ্রকাশ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়ায় হয়েছে। বহু বছর ধরে নির্যাতিত, অবদমিত জনগণের ক্রোধ এই অভ্যুত্থানে বিস্ফোরিত হয়েছে।
বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, শেখ হাসিনা প্রশাসনকে দুইভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। প্রথমত ঘুষ, টাকাপয়সা ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে। দ্বিতীয়ত, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে। ২০১৪ সালে ভোটকেন্দ্রে কাউকে ঢুকতেই দেয়নি। ২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে। শুধু নির্বাচনের কারচুপিই নয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নিষ্ঠুর দমন চালিয়েছে শেখ হাসিনা। প্রচুর মানুষকে গ্রেপ্তার করে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে বিনা কারণে। শেখ হাসিনা তাঁর শাসনামলে বিএনপিসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে অকার্যকর করে ফেলেছেন। তিনি শুধু শেখ মুজিবের কন্যা হওয়াতেই ক্ষমতায় এসেছেন। তাঁর নিজের কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি বা ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ছিল না। শেখ মুজিবের চিন্তাচেতনার কিছুই তিনি ধারণ করেননি; বরং হাসিনা দেশের রাজনৈতিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছেন।
জবানবন্দিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার শাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আড়ালে কর্তৃত্ববাদী শাসন আর লুটপাট। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলে সবাই বলে যাচ্ছে, কিন্তু এই চেতনার প্রকৃত অর্থ কী, তা কখনো স্পষ্ট করা হয়নি। যদি চেতনা বলতে বোঝানো হয়, ১৯৭১ সালে মানুষ কী স্বপ্ন দেখেছিল, কী পেতে চেয়েছিল, তাহলে বলা যায়, সাধারণ মানুষের চেতনা আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চেতনার মধ্যে কোনো মিল ছিল না। ১৯৭১ সালে যাঁরা বাস্তবে লড়াই করেছিলেন, তাঁরা ছিলেন সাধারণ ছাত্র, কৃষক-শ্রমিকের সন্তান, মধ্যবিত্ত তরুণেরা। আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী বা ছাত্রনেতাদের কারও যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা ছিল না। তাঁদের মধ্যে অনেকে তখন পলায়নপর ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শেখ হাসিনা যখন উচ্চারণ করেন, তখন তিনি এমনভাবে বলেন, যেন তাঁর চেতনা আর জনগণের চেতনা একই। কিন্তু বাস্তবে তাঁর ‘চেতনা’ জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না; বরং এটা একধরনের দলীয় রেটোরিক। যার মাধ্যমে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
শেখ মুজিবের বিষয়ে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন একটা ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যেখানে শেখ মুজিবুর রহমানকে পাঠ্যবই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস পর্যন্ত এককভাবে উপস্থাপন করা হয়। এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, যেন তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র ইতিহাস। আওয়ামী লীগের আরেকটি দমনমূলক কৌশল ছিল সাম্প্রদায়িকতার বয়ানকে ব্যবহার করা। ১৯৭২ সাল থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, সম্পত্তি লুটপাট শুরু হয়েছে এবং এসব কাজ করেছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই। হাসিনার এই ১৫ বছরের শাসন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে দুর্নীতি একটি সাংগঠনিক নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মী ও পরিবারের সদস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে; যার স্কেল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি।

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর। তিনি জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার সাক্ষী ছিলেন।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। বদরুদ্দীন উমর ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার আগেই গতকাল সকালে মারা গেছেন। প্রসিকিউটর তামিম বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দিয়ে মারা গেলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করতে পারেন।
সূত্র জানায়, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দি বদরুদ্দীন উমর বলেন, অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে। মুসলিম লীগের পতনের মতোই—এবারের গণ-অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগের জন্য একটি চূড়ান্ত রাজনৈতিক পরিণতি তৈরি করেছে। ভারতের সহায়তায় তারা হয়তো কিছু অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাবে। কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের পুনরুত্থান অসম্ভব বলেই মনে হয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পালানোর পরদিন থেকেই সারা দেশে শেখ মুজিবের মূর্তি ও ম্যুরাল সাধারণ মানুষ নিজেরা ভেঙে ফেলে। কেউ কোনো নির্দেশ দেয়নি, তবু এটি ঘটেছে। এটি একধরনের ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’; যার বহিঃপ্রকাশ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়ায় হয়েছে। বহু বছর ধরে নির্যাতিত, অবদমিত জনগণের ক্রোধ এই অভ্যুত্থানে বিস্ফোরিত হয়েছে।
বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, শেখ হাসিনা প্রশাসনকে দুইভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। প্রথমত ঘুষ, টাকাপয়সা ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে। দ্বিতীয়ত, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে। ২০১৪ সালে ভোটকেন্দ্রে কাউকে ঢুকতেই দেয়নি। ২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে। শুধু নির্বাচনের কারচুপিই নয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নিষ্ঠুর দমন চালিয়েছে শেখ হাসিনা। প্রচুর মানুষকে গ্রেপ্তার করে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে বিনা কারণে। শেখ হাসিনা তাঁর শাসনামলে বিএনপিসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে অকার্যকর করে ফেলেছেন। তিনি শুধু শেখ মুজিবের কন্যা হওয়াতেই ক্ষমতায় এসেছেন। তাঁর নিজের কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি বা ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ছিল না। শেখ মুজিবের চিন্তাচেতনার কিছুই তিনি ধারণ করেননি; বরং হাসিনা দেশের রাজনৈতিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছেন।
জবানবন্দিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার শাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আড়ালে কর্তৃত্ববাদী শাসন আর লুটপাট। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলে সবাই বলে যাচ্ছে, কিন্তু এই চেতনার প্রকৃত অর্থ কী, তা কখনো স্পষ্ট করা হয়নি। যদি চেতনা বলতে বোঝানো হয়, ১৯৭১ সালে মানুষ কী স্বপ্ন দেখেছিল, কী পেতে চেয়েছিল, তাহলে বলা যায়, সাধারণ মানুষের চেতনা আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চেতনার মধ্যে কোনো মিল ছিল না। ১৯৭১ সালে যাঁরা বাস্তবে লড়াই করেছিলেন, তাঁরা ছিলেন সাধারণ ছাত্র, কৃষক-শ্রমিকের সন্তান, মধ্যবিত্ত তরুণেরা। আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী বা ছাত্রনেতাদের কারও যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা ছিল না। তাঁদের মধ্যে অনেকে তখন পলায়নপর ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শেখ হাসিনা যখন উচ্চারণ করেন, তখন তিনি এমনভাবে বলেন, যেন তাঁর চেতনা আর জনগণের চেতনা একই। কিন্তু বাস্তবে তাঁর ‘চেতনা’ জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না; বরং এটা একধরনের দলীয় রেটোরিক। যার মাধ্যমে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
শেখ মুজিবের বিষয়ে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন একটা ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যেখানে শেখ মুজিবুর রহমানকে পাঠ্যবই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস পর্যন্ত এককভাবে উপস্থাপন করা হয়। এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, যেন তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র ইতিহাস। আওয়ামী লীগের আরেকটি দমনমূলক কৌশল ছিল সাম্প্রদায়িকতার বয়ানকে ব্যবহার করা। ১৯৭২ সাল থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, সম্পত্তি লুটপাট শুরু হয়েছে এবং এসব কাজ করেছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই। হাসিনার এই ১৫ বছরের শাসন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে দুর্নীতি একটি সাংগঠনিক নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মী ও পরিবারের সদস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে; যার স্কেল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায়
৬ ঘণ্টা আগে
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায় জায়গা পাননি।
রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সামনের নির্বাচন শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কারের বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে হ্যাঁ ভোটের পক্ষে থেকে হ্যাঁ ভোটকে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশের মানুষের সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটাকে বাস্তবায়নের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এনসিপি জানিয়েছে, ১২৫ জনের যে তালিকা ঘোষণা হলো, সেটা চূড়ান্ত মনোনয়ন নয়। এই প্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থীদের এই তালিকায় আনা হবে। জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করে যোগ্যতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ক্ষমতার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই নির্বাচন করছি না। আসন কয়টা পাব বা পাব না, এটা বিবেচনা করেও নির্বাচন করছি না। আসন নিশ্চিত করতে হলে আমরা কোনো না কোনো জোটে চলে যেতাম।’
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে নাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি, বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের মহড়া হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াত উভয় দল থেকে আমরা এই ধরনের সংস্কৃতি দেখছি।’
ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৪ টিতে প্রার্থী দিয়েছে এনসিপি। ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-৬, ঢাকা-৮, ঢাকা-১০, ঢাকা-১৪ আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।
দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ আসন থেকে শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন। আসনটি বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা নিয়ে গঠিত। এই আসনের বিএনপির প্রার্থী এম এ কাইয়ুম। জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান।
ঢাকা-১৮ আসনে লড়বেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক।
ঢাকা-৯ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ। এখানে জামায়াতের প্রার্থী কবির আহমেদ।
ঢাকার অন্য আসনগুলোর মধ্যে ঢাকা-১ মো. রাসেল আহমেদ, ঢাকা-৪ ডা. জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা-৫ এস এম শাহরিয়ার, ঢাকা-৭ তারেক আহম্মেদ আদেল, ঢাকা-১২ নাহিদা সারওয়ার নিভা, ঢাকা-১৩ আকরাম হুসাইন, ঢাকা-১৫ মুহাম্মদ আলমগীর, ঢাকা-১৬ আরিফুল ইসলাম আদীব, ঢাকা-১৭ ডা. তাজনূভা জাবীন, ঢাকা-১৮ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ঢাকা-১৯ ফয়সাল মাহমুদ শান্ত ও ঢাকা-২০ আসনে ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসন থেকে লড়বেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ নওশাদ জমির। জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনকে সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
কুমিল্লা-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চারবারের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদ কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও দেবিদ্বার উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।
এখন পর্যন্ত যতগুলো দল মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে এনসিপির নারী প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এনসিপির ১২৫ জনের তালিকায় আছেন ১৪ জন নারী। তাঁরা হলেন মনিরা শারমিন (নওগাঁ-৫), দিলশানা পারুল (সিরাজগঞ্জ-৩), দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি (সিরাজগঞ্জ-৪), ডা. মাহমুদা আলম মিতু (ঝালকাঠি-১), তানহা শান্তা (ময়মনসিংহ-১১), ডা. তাসনিম জারা (ঢাকা-৯), নাহিদা সারওয়ার নিভা (ঢাকা-১২), ডা. তাজনূভা জাবীন (ঢাকা-১৭), ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ (ঢাকা-২০), সৈয়দা নীলিমা দোলা (ফরিদপুর-৩), ইসরাত জাহান বিন্দু (চাঁদপুর-২), হুমায়রা নূর (নোয়াখালী-৫), সাগুফতা বুশরা মিশমা (চট্টগ্রাম-১০) এবং মনজিলা সুলতানা (খাগড়াছড়ি)।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসন থেকে এনসিপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মনজুর কাদের। তিনি এর আগে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
নাটোর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এনসিপির নাটোর জেলা আহ্বায়ক আব্দুল মান্নাফ। তিনি অতীতে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি সাতবার চেম্বার অব কমার্স সভাপতি ছিলেন।
ঢাকা-৭ আসনের তারেক আহম্মেদ আদেলের নাম এখনো জাতীয় পার্টির ওয়েবসাইটে উপদেষ্টা হিসেবে আছে। আদেল জাতীয় পার্টির নেতা ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র প্রয়াত জাহাঙ্গীর মো. আদেলের ছেলে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে মুখ বিকৃত হয়ে যাওয়া সেই খোকন চন্দ্র বর্মণকে মনোনয়ন দিয়েছে এনসিপি। তিনি শেরপুর-২ আসন থেকে এনসিপির হয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্যালুট দিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন রিকশাচালক মোহাম্মদ সুজন। এনসিপির হয়ে লড়তে গত ২০ নভেম্বর ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকলেও আসনটি ফাঁকা রেখেছে এনসিপি। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে লড়ার জন্য শাপলা কলি প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছিলেন। তবে এনসিপি প্রাথমিকভাবে যে ১২৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, সেখানে নুসরাত তাবাসসুমের নাম নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মধ্যে একটিতে এনসিপি প্রার্থী দিয়েছে। দিনাজপুর-৩ আসনে এনসিপির হয়ে লড়বেন আ হ ম সামশুল মুক্তাদির। খালেদা জিয়ার বাকি দুটি আসন বগুড়া-৭ ও ফেনী-১-এ প্রার্থী দেয়নি এনসিপি।
বগুড়া-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে এনসিপি প্রার্থী হিসেবে আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকির নাম ঘোষণা করেছে। তিনি ২০০৮ সালে বিকল্পধারার হয়ে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। বগুড়া-৬ আসনে জামায়াতের প্রার্থী বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায় জায়গা পাননি।
রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সামনের নির্বাচন শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কারের বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে হ্যাঁ ভোটের পক্ষে থেকে হ্যাঁ ভোটকে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশের মানুষের সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটাকে বাস্তবায়নের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এনসিপি জানিয়েছে, ১২৫ জনের যে তালিকা ঘোষণা হলো, সেটা চূড়ান্ত মনোনয়ন নয়। এই প্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থীদের এই তালিকায় আনা হবে। জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করে যোগ্যতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ক্ষমতার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই নির্বাচন করছি না। আসন কয়টা পাব বা পাব না, এটা বিবেচনা করেও নির্বাচন করছি না। আসন নিশ্চিত করতে হলে আমরা কোনো না কোনো জোটে চলে যেতাম।’
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে নাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি, বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের মহড়া হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াত উভয় দল থেকে আমরা এই ধরনের সংস্কৃতি দেখছি।’
ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৪ টিতে প্রার্থী দিয়েছে এনসিপি। ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-৬, ঢাকা-৮, ঢাকা-১০, ঢাকা-১৪ আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।
দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ আসন থেকে শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন। আসনটি বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা নিয়ে গঠিত। এই আসনের বিএনপির প্রার্থী এম এ কাইয়ুম। জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান।
ঢাকা-১৮ আসনে লড়বেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক।
ঢাকা-৯ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ। এখানে জামায়াতের প্রার্থী কবির আহমেদ।
ঢাকার অন্য আসনগুলোর মধ্যে ঢাকা-১ মো. রাসেল আহমেদ, ঢাকা-৪ ডা. জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা-৫ এস এম শাহরিয়ার, ঢাকা-৭ তারেক আহম্মেদ আদেল, ঢাকা-১২ নাহিদা সারওয়ার নিভা, ঢাকা-১৩ আকরাম হুসাইন, ঢাকা-১৫ মুহাম্মদ আলমগীর, ঢাকা-১৬ আরিফুল ইসলাম আদীব, ঢাকা-১৭ ডা. তাজনূভা জাবীন, ঢাকা-১৮ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ঢাকা-১৯ ফয়সাল মাহমুদ শান্ত ও ঢাকা-২০ আসনে ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসন থেকে লড়বেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ নওশাদ জমির। জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনকে সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
কুমিল্লা-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চারবারের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদ কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও দেবিদ্বার উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।
এখন পর্যন্ত যতগুলো দল মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে এনসিপির নারী প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এনসিপির ১২৫ জনের তালিকায় আছেন ১৪ জন নারী। তাঁরা হলেন মনিরা শারমিন (নওগাঁ-৫), দিলশানা পারুল (সিরাজগঞ্জ-৩), দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি (সিরাজগঞ্জ-৪), ডা. মাহমুদা আলম মিতু (ঝালকাঠি-১), তানহা শান্তা (ময়মনসিংহ-১১), ডা. তাসনিম জারা (ঢাকা-৯), নাহিদা সারওয়ার নিভা (ঢাকা-১২), ডা. তাজনূভা জাবীন (ঢাকা-১৭), ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ (ঢাকা-২০), সৈয়দা নীলিমা দোলা (ফরিদপুর-৩), ইসরাত জাহান বিন্দু (চাঁদপুর-২), হুমায়রা নূর (নোয়াখালী-৫), সাগুফতা বুশরা মিশমা (চট্টগ্রাম-১০) এবং মনজিলা সুলতানা (খাগড়াছড়ি)।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসন থেকে এনসিপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মনজুর কাদের। তিনি এর আগে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
নাটোর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এনসিপির নাটোর জেলা আহ্বায়ক আব্দুল মান্নাফ। তিনি অতীতে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি সাতবার চেম্বার অব কমার্স সভাপতি ছিলেন।
ঢাকা-৭ আসনের তারেক আহম্মেদ আদেলের নাম এখনো জাতীয় পার্টির ওয়েবসাইটে উপদেষ্টা হিসেবে আছে। আদেল জাতীয় পার্টির নেতা ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র প্রয়াত জাহাঙ্গীর মো. আদেলের ছেলে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে মুখ বিকৃত হয়ে যাওয়া সেই খোকন চন্দ্র বর্মণকে মনোনয়ন দিয়েছে এনসিপি। তিনি শেরপুর-২ আসন থেকে এনসিপির হয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্যালুট দিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন রিকশাচালক মোহাম্মদ সুজন। এনসিপির হয়ে লড়তে গত ২০ নভেম্বর ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকলেও আসনটি ফাঁকা রেখেছে এনসিপি। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে লড়ার জন্য শাপলা কলি প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছিলেন। তবে এনসিপি প্রাথমিকভাবে যে ১২৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, সেখানে নুসরাত তাবাসসুমের নাম নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মধ্যে একটিতে এনসিপি প্রার্থী দিয়েছে। দিনাজপুর-৩ আসনে এনসিপির হয়ে লড়বেন আ হ ম সামশুল মুক্তাদির। খালেদা জিয়ার বাকি দুটি আসন বগুড়া-৭ ও ফেনী-১-এ প্রার্থী দেয়নি এনসিপি।
বগুড়া-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে এনসিপি প্রার্থী হিসেবে আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকির নাম ঘোষণা করেছে। তিনি ২০০৮ সালে বিকল্পধারার হয়ে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। বগুড়া-৬ আসনে জামায়াতের প্রার্থী বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল।

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে তিনটি আসন থেকে লড়াই করবেন, তার একটিতে দিনাজপুর-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে আ হ ম সামশুল মুক্তাদির এই আসনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। খালেদা জিয়ার অন্য দুটি আসন বগুড়া-৭ ও ফেনী-১-এ এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনয়ন দেয়নি এনসিপি।
রাজধানীর বাংলামোটরে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ১২৫টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দলটি।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর বগুড়া-৬ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন আবিদুর রহমান সোহেল। তিনি বগুড়া শহর জামায়াতের আমির।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে তিনটি আসন থেকে লড়াই করবেন, তার একটিতে দিনাজপুর-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে আ হ ম সামশুল মুক্তাদির এই আসনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। খালেদা জিয়ার অন্য দুটি আসন বগুড়া-৭ ও ফেনী-১-এ এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনয়ন দেয়নি এনসিপি।
রাজধানীর বাংলামোটরে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ১২৫টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দলটি।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর বগুড়া-৬ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন আবিদুর রহমান সোহেল। তিনি বগুড়া শহর জামায়াতের আমির।

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায়
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে উনি (খালেদা জিয়া) চিকিৎসাব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছেন। একজন সংকটাপন্ন মানুষের জন্য যা প্রয়োজন, সেই চিকিৎসার মধ্যেই উনি আছেন। উনাকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যদি বলি, শি ক্যান কনটিনিউ অন মেইনটেইনিং হার ট্রিটমেন্ট। চিকিৎসকেরা যে চিকিৎসা দিচ্ছে, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন। সেটি উনি নিয়ে সত্যিকার অর্থেই রেসপন্স করছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, ‘তাঁর (বিএনপি চেয়ারপারসন) প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ আছে। তাঁকে নিয়ে উৎকণ্ঠাও আছে। দেশের মানুষ তাঁর স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানতে চায়। কিন্তু উনি একজন রোগী। নীতিগতভাবে উনার কিছু অধিকার আছে। ইচ্ছা করলেই চিকিৎসক হিসেবে সবকিছু প্রকাশ্যে বলে দেওয়া, এটি চিকিৎসাবিজ্ঞান কোনো অবস্থায়ই সমর্থন করে না।’
এ সময় দেশবাসীর প্রতি খালেদা জিয়াকে নিয়ে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো এবং তাতে কান না দেওয়ারও আহ্বান জানান ডা. জাহিদ।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘উনার জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল বোর্ড কাজ করছে। পৃথিবীর মধ্য ভালো চিকিৎসা যাতে উনি পেতে পারেন, সে জন্য এখানে রেখেও দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে উনার চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। উনার চিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়ে খুবই আশাবাদী মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। এরপরেও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উনার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা রেখেছেন, সেটি আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে নেই।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদ্রোগ, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ নভেম্বর তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি দুই ডজনের মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বৈঠক করে চিকিৎসায় পরিবর্তন আনছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে উনি (খালেদা জিয়া) চিকিৎসাব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছেন। একজন সংকটাপন্ন মানুষের জন্য যা প্রয়োজন, সেই চিকিৎসার মধ্যেই উনি আছেন। উনাকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যদি বলি, শি ক্যান কনটিনিউ অন মেইনটেইনিং হার ট্রিটমেন্ট। চিকিৎসকেরা যে চিকিৎসা দিচ্ছে, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন। সেটি উনি নিয়ে সত্যিকার অর্থেই রেসপন্স করছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, ‘তাঁর (বিএনপি চেয়ারপারসন) প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ আছে। তাঁকে নিয়ে উৎকণ্ঠাও আছে। দেশের মানুষ তাঁর স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানতে চায়। কিন্তু উনি একজন রোগী। নীতিগতভাবে উনার কিছু অধিকার আছে। ইচ্ছা করলেই চিকিৎসক হিসেবে সবকিছু প্রকাশ্যে বলে দেওয়া, এটি চিকিৎসাবিজ্ঞান কোনো অবস্থায়ই সমর্থন করে না।’
এ সময় দেশবাসীর প্রতি খালেদা জিয়াকে নিয়ে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো এবং তাতে কান না দেওয়ারও আহ্বান জানান ডা. জাহিদ।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘উনার জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল বোর্ড কাজ করছে। পৃথিবীর মধ্য ভালো চিকিৎসা যাতে উনি পেতে পারেন, সে জন্য এখানে রেখেও দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে উনার চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। উনার চিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়ে খুবই আশাবাদী মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। এরপরেও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উনার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা রেখেছেন, সেটি আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে নেই।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদ্রোগ, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ নভেম্বর তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি দুই ডজনের মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বৈঠক করে চিকিৎসায় পরিবর্তন আনছে।

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায়
৬ ঘণ্টা আগে
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৭ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই। যেগুলো আছে, সেগুলো সংস্কার করে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের সুযোগ করে দেওয়া হবে।’
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আজ বুধবার বিকেলে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগত সরকারের আমলে মেগা প্রকল্প হলেও ‘উদ্দেশ্য সফল হয়নি’ বলে মনে করেন তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত স্বৈরাচারের সময়ে উন্নয়নের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আইটি পার্কের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোতে এখন বিয়েশাদির মতো সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে এসব করা হয়েছিল, তা সফল হয়নি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই। যেগুলো আছে, সেগুলো সংস্কার করে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের সুযোগ করে দেওয়া হবে।’
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আজ বুধবার বিকেলে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগত সরকারের আমলে মেগা প্রকল্প হলেও ‘উদ্দেশ্য সফল হয়নি’ বলে মনে করেন তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত স্বৈরাচারের সময়ে উন্নয়নের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আইটি পার্কের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোতে এখন বিয়েশাদির মতো সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে এসব করা হয়েছিল, তা সফল হয়নি।

অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায়
৬ ঘণ্টা আগে
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে