নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত ১৪ বছর ধরে দেশে একটা ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এই সময়ে সারা দেশে ৭০০ এর অধিক মানুষ গুম এবং সহস্রাধিক গণতান্ত্রিক কর্মী খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশ সত্যিকার অর্থে একটা বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।’
আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদ, গুম ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিবর্গের পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে গুম, খুন, শহীদ হওয়া ব্যক্তির স্বজনেরা তাদের দুর্দশা ও দুঃখের কথা তুলে ধরেন। বিএনপির নেতারা শহীদ, গুম ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিবর্গের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন। এই অত্যাচার, নির্যাতন, গুম-খুন করেই তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। আজকে সমস্ত দেশ সত্যিকার অর্থে একটা বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার পরেও যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখনো গুমখুনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের গঠনটাই এ রকম। একদিকে সন্ত্রাস, আরেক দিকে দুর্নীতি। এই দুটির মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় টিকের থাকার চেষ্টা করে।’
গুমের সঙ্গে জড়িত র্যাব কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় না এনে বরং পুরস্কৃত করা হচ্ছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিশ্বসহ বিভিন্ন সংস্থাগুলো বলছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক কারণে গুম, খুন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ সবাই বলছে। এই জন্য র্যাবের ৭ জন কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অথচ যে কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেই কর্মকর্তাদের সরকার প্রমোশন দিয়েছে।’
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেউই নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখানে সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনৈতিক কর্মী, অসহায় মানুষ, শিশু, নারী কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। শুধু তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যত রকমের কালো আইন আছে তা একের পর এক তারা তৈরি করে যাচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’
বাংলাদেশের মানুষ এভাবে গুম-খুনের শিকার হয়ে আর মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের রক্তস্রোত আর এই গুমের শিকার পরিবারের কান্না, এগুলো কখনো বৃথা যেতে পারে না। বিজয় আমাদের হবেই।’
সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কৃষকদের কষ্ট হবে কিন্তু উন্নয়নের স্বার্থে এটা মেনে নিতে হবে। কার উন্নয়ন? এই উন্নয়ন শাসক গোষ্ঠীর নিজেদের উন্নয়ন।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।
গত ১৪ বছর ধরে দেশে একটা ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এই সময়ে সারা দেশে ৭০০ এর অধিক মানুষ গুম এবং সহস্রাধিক গণতান্ত্রিক কর্মী খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশ সত্যিকার অর্থে একটা বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।’
আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদ, গুম ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিবর্গের পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে গুম, খুন, শহীদ হওয়া ব্যক্তির স্বজনেরা তাদের দুর্দশা ও দুঃখের কথা তুলে ধরেন। বিএনপির নেতারা শহীদ, গুম ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিবর্গের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন। এই অত্যাচার, নির্যাতন, গুম-খুন করেই তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। আজকে সমস্ত দেশ সত্যিকার অর্থে একটা বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার পরেও যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখনো গুমখুনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের গঠনটাই এ রকম। একদিকে সন্ত্রাস, আরেক দিকে দুর্নীতি। এই দুটির মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় টিকের থাকার চেষ্টা করে।’
গুমের সঙ্গে জড়িত র্যাব কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় না এনে বরং পুরস্কৃত করা হচ্ছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিশ্বসহ বিভিন্ন সংস্থাগুলো বলছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক কারণে গুম, খুন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ সবাই বলছে। এই জন্য র্যাবের ৭ জন কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অথচ যে কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেই কর্মকর্তাদের সরকার প্রমোশন দিয়েছে।’
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেউই নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখানে সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনৈতিক কর্মী, অসহায় মানুষ, শিশু, নারী কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। শুধু তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যত রকমের কালো আইন আছে তা একের পর এক তারা তৈরি করে যাচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’
বাংলাদেশের মানুষ এভাবে গুম-খুনের শিকার হয়ে আর মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের রক্তস্রোত আর এই গুমের শিকার পরিবারের কান্না, এগুলো কখনো বৃথা যেতে পারে না। বিজয় আমাদের হবেই।’
সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কৃষকদের কষ্ট হবে কিন্তু উন্নয়নের স্বার্থে এটা মেনে নিতে হবে। কার উন্নয়ন? এই উন্নয়ন শাসক গোষ্ঠীর নিজেদের উন্নয়ন।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগামী বছরের প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনিবার্য। তবে কোনো অপরিপক্ব বা প্রহসনের নির্বাচন জনগণ আর মেনে নেবে না। নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও পেশিশক্তি ও কালোটাকামুক্ত। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে এই নির্বাচনও ব্যর্থ হবে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার
১১ ঘণ্টা আগেগণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামী ৫ আগস্ট বা এর পরবর্তী দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জনগণ আশা করে। তিনি মনে করেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ
১১ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নানা দিক থেকে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগেবজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘সরকার যখন খুব বিপদে পড়ে, আর সামলাতে পারছে না, টালমাটাল অবস্থা এবং মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকে। তারা দেখাতে চায় যে, এরা সবাই আমার সঙ্গে আছে। আমরা এই সরকারকে সমর্থন করেছি ঠিক, কিন্তু অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী কোনো কাজ করলে আমরা এই...
১২ ঘণ্টা আগে