নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘গণতন্ত্র এখন কফিনে’ বুকে লেখার কারণ জানতে ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এই দুই নেতা হলেন কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান সম্রাট ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নাজুমল হুদা। তাঁরা গত শুক্রবার কফিন মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।
তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, ‘গণতন্ত্র এখন কফিনে’ এই লেখার কারণ কী তা জানতে তাঁদের আনা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে।
আজ শনিবার রাত ১০টার দিকে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া ফ্লাইওভারের নিচ থেকে দুজনকে ডিবি পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায়। তাঁদের ফোনে রিং হলেও কেউ রিসিভ করছে না। তাঁদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাও জানায়নি কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
গতকাল শুক্রবার গণপরিষদ একটি কফিন মিছিল বের করেছিল। ওই মিছিলে খালি গায়ে থাকা সম্রাটের কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। তার গায়ে লেখা ছিল ‘গণতন্ত্র এখন কফিনে’ এবং ‘৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবস’। আবু হানিফ বলেন, ‘আমাদের ধারণা, এ কারণেই সম্রাটকে তুলে নিয়ে গেছে।’
ছাত্র অধিকারের দুই নেতাকে হেফাজতের নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘তারা শুক্রবার একটি মিছিলে খালি গায়ে অংশ নিয়েছিল। তারা বুকে লিখেছিল, “গণতন্ত্র এখন কফিনে”, এই লেখার কারণ কী, তা জানতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে।’
রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ডিবি কার্যালয় থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
তিনি বলেন, ‘দুই ছাত্রনেতাকে ডিবি অফিস থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা নিরাপদে আছেন। সরকারের দমন–পীড়নের অংশ হিসেবে ছাত্রনেতাদের আটক করে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে।’

‘গণতন্ত্র এখন কফিনে’ বুকে লেখার কারণ জানতে ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এই দুই নেতা হলেন কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান সম্রাট ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নাজুমল হুদা। তাঁরা গত শুক্রবার কফিন মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।
তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, ‘গণতন্ত্র এখন কফিনে’ এই লেখার কারণ কী তা জানতে তাঁদের আনা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে।
আজ শনিবার রাত ১০টার দিকে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া ফ্লাইওভারের নিচ থেকে দুজনকে ডিবি পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায়। তাঁদের ফোনে রিং হলেও কেউ রিসিভ করছে না। তাঁদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাও জানায়নি কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
গতকাল শুক্রবার গণপরিষদ একটি কফিন মিছিল বের করেছিল। ওই মিছিলে খালি গায়ে থাকা সম্রাটের কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। তার গায়ে লেখা ছিল ‘গণতন্ত্র এখন কফিনে’ এবং ‘৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবস’। আবু হানিফ বলেন, ‘আমাদের ধারণা, এ কারণেই সম্রাটকে তুলে নিয়ে গেছে।’
ছাত্র অধিকারের দুই নেতাকে হেফাজতের নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘তারা শুক্রবার একটি মিছিলে খালি গায়ে অংশ নিয়েছিল। তারা বুকে লিখেছিল, “গণতন্ত্র এখন কফিনে”, এই লেখার কারণ কী, তা জানতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে।’
রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ডিবি কার্যালয় থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
তিনি বলেন, ‘দুই ছাত্রনেতাকে ডিবি অফিস থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা নিরাপদে আছেন। সরকারের দমন–পীড়নের অংশ হিসেবে ছাত্রনেতাদের আটক করে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে দল তিনটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক (করমর্দন) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) কাঁচি প্রতীক দেওয়া
৩৮ মিনিট আগে
বিএনপিসহ সমমনা ডজনখানেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়ে
১ ঘণ্টা আগে
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারকে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় যেসব বিষয় নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ এবং অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) নিয়ে যে অচল
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে দল তিনটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ইসি জানিয়েছে, এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক (করমর্দন) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) কাঁচি প্রতীক দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)—এই তিন নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আরও জানান, আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে দল তিনটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ইসি জানিয়েছে, এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক (করমর্দন) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) কাঁচি প্রতীক দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)—এই তিন নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আরও জানান, আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

‘গণতন্ত্র এখন কফিনে’ বুকে লেখার কারণ জানতে ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
বিএনপিসহ সমমনা ডজনখানেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়ে
১ ঘণ্টা আগে
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারকে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় যেসব বিষয় নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ এবং অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) নিয়ে যে অচল
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপিসহ সমমনা ডজনখানেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
গত ২৩ অক্টোবর এই অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। এরপর জোটের প্রার্থীর নিজদলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান নিয়ে বিএনপি আপত্তি তোলে। দলটি বলেছে, এ বিষয়ে সরকার কোনো আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিধান বাতিল করে আগের বিধান পুনর্বহালে আইন উপদেষ্টাকে লিখিত আবেদন জানায় বিএনপি। পরে ১২-দলীয় জোটও নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি নিয়ে লিখিত আবেদন জানায়।
কিন্তু জামায়াত ও এনসিপি ২০ ধারার এ সংশোধন বহাল রাখার দাবি জানায়। কোনো একটি দলের চাপে অধ্যাদেশের সংশোধন পরিবর্তন না করতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হুঁশিয়ারও করে এনসিপি।
এ নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে সে বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হলো। ফলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে একাধিক নিবন্ধিত দল জোট করলেও জোট মনোনীত প্রার্থী বড় দলের বা অন্য দলের প্রতীকে ভোট করতে পারবেন না, নিজ দলের প্রতীকই নিতে হবে।
আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তাতে জোটভুক্ত হলেও মনোনীত প্রার্থীকে তাঁর দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। আগের বিধান অনুযায়ী, জোটের প্রার্থীরা নিবন্ধিত দলের যেকোনো একটি প্রতীকে ভোট করতে পারতেন।
সাধারণত জোটভুক্ত ছোট দলের কয়েকজন প্রার্থী প্রধান দলগুলোর প্রতীক ব্যবহার করতেন এবং তাঁরা জয়ীও হতেন। কিন্তু এবার এই পথ বন্ধ হলো। এ বিষয়ে বিএনপিসহ আপত্তি জানানো দলগুলোর পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল—জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে তা জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।
বিএনপির আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘এখন যেভাবে সংশোধনীর খসড়া পাস হয়েছে, কয়েক দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে। সেটা হলে অনেক ছোট দলের যাঁরা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন—‘‘ছোট দল’’ বলে কাউকে অসম্মান করছি না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট-বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়—তো তাঁরা জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবেন না।’
এরপর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে উল্টো দাবি জানানো হয়। জামায়াতসহ আটটি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে স্মারকলিপি দেয়। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কোনোভাবেই সংশোধিত বিধান পরিবর্তন করা যাবে না। জোটে ভোট করলেও স্ব স্ব দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। আরপিও সংশোধনের চেষ্টার প্রতিবাদ জানান জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরও। সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সবশেষে আইন উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। দলের সচিব আখতার হোসেন সেখানে লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধনসংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে দেওয়া আপনার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে আপনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন।’
আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস দেওয়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী।
গত রোববার এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সিইসির কাছে চিঠি দেন। সেখানে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, প্রতিটি নিবন্ধিত দলকে তাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করার যে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নিয়েছে, তা একটি ঐতিহাসিক ও নীতিগতভাবে সঠিক পদক্ষেপ। পরবর্তীতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিওর সংশোধনীর মাধ্যমে উক্ত বিধান অনুমোদিত হয়েছে এবং শুধু গেজেট প্রকাশ হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এখন সরকার বা নির্বাচন কমিশন যদি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির রাজনৈতিক চাপে পাস হওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার মাধ্যমে সরকার তার অবস্থান পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়, সে ক্ষেত্রে শুধু কমিশনের স্বাধীনতার ওপরই আঘাত নয়, বরং পুরো নির্বাচনপ্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা ও সরকারের কার্যক্রমের ওপরও আঘাত।’
এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপদেষ্টা পরিষদের সংশোধনের পর নতুন করে আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদ নিয়ে দলগুলোর অবস্থানে ‘হতাশা’ প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিএনপিসহ সমমনা ডজনখানেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
গত ২৩ অক্টোবর এই অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। এরপর জোটের প্রার্থীর নিজদলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান নিয়ে বিএনপি আপত্তি তোলে। দলটি বলেছে, এ বিষয়ে সরকার কোনো আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিধান বাতিল করে আগের বিধান পুনর্বহালে আইন উপদেষ্টাকে লিখিত আবেদন জানায় বিএনপি। পরে ১২-দলীয় জোটও নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি নিয়ে লিখিত আবেদন জানায়।
কিন্তু জামায়াত ও এনসিপি ২০ ধারার এ সংশোধন বহাল রাখার দাবি জানায়। কোনো একটি দলের চাপে অধ্যাদেশের সংশোধন পরিবর্তন না করতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হুঁশিয়ারও করে এনসিপি।
এ নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে সে বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হলো। ফলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে একাধিক নিবন্ধিত দল জোট করলেও জোট মনোনীত প্রার্থী বড় দলের বা অন্য দলের প্রতীকে ভোট করতে পারবেন না, নিজ দলের প্রতীকই নিতে হবে।
আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তাতে জোটভুক্ত হলেও মনোনীত প্রার্থীকে তাঁর দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। আগের বিধান অনুযায়ী, জোটের প্রার্থীরা নিবন্ধিত দলের যেকোনো একটি প্রতীকে ভোট করতে পারতেন।
সাধারণত জোটভুক্ত ছোট দলের কয়েকজন প্রার্থী প্রধান দলগুলোর প্রতীক ব্যবহার করতেন এবং তাঁরা জয়ীও হতেন। কিন্তু এবার এই পথ বন্ধ হলো। এ বিষয়ে বিএনপিসহ আপত্তি জানানো দলগুলোর পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল—জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে তা জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।
বিএনপির আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘এখন যেভাবে সংশোধনীর খসড়া পাস হয়েছে, কয়েক দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে। সেটা হলে অনেক ছোট দলের যাঁরা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন—‘‘ছোট দল’’ বলে কাউকে অসম্মান করছি না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট-বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়—তো তাঁরা জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবেন না।’
এরপর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে উল্টো দাবি জানানো হয়। জামায়াতসহ আটটি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে স্মারকলিপি দেয়। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কোনোভাবেই সংশোধিত বিধান পরিবর্তন করা যাবে না। জোটে ভোট করলেও স্ব স্ব দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। আরপিও সংশোধনের চেষ্টার প্রতিবাদ জানান জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরও। সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সবশেষে আইন উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। দলের সচিব আখতার হোসেন সেখানে লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধনসংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে দেওয়া আপনার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে আপনি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন।’
আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনী আইন সংশোধনের মতো বিষয়ে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস দেওয়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থী।
গত রোববার এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সিইসির কাছে চিঠি দেন। সেখানে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, প্রতিটি নিবন্ধিত দলকে তাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করার যে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নিয়েছে, তা একটি ঐতিহাসিক ও নীতিগতভাবে সঠিক পদক্ষেপ। পরবর্তীতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিওর সংশোধনীর মাধ্যমে উক্ত বিধান অনুমোদিত হয়েছে এবং শুধু গেজেট প্রকাশ হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এখন সরকার বা নির্বাচন কমিশন যদি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির রাজনৈতিক চাপে পাস হওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার মাধ্যমে সরকার তার অবস্থান পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়, সে ক্ষেত্রে শুধু কমিশনের স্বাধীনতার ওপরই আঘাত নয়, বরং পুরো নির্বাচনপ্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা ও সরকারের কার্যক্রমের ওপরও আঘাত।’
এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপদেষ্টা পরিষদের সংশোধনের পর নতুন করে আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদ নিয়ে দলগুলোর অবস্থানে ‘হতাশা’ প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

‘গণতন্ত্র এখন কফিনে’ বুকে লেখার কারণ জানতে ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে দল তিনটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক (করমর্দন) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) কাঁচি প্রতীক দেওয়া
৩৮ মিনিট আগে
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারকে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় যেসব বিষয় নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ এবং অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) নিয়ে যে অচল
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা সমাধানের দায়িত্ব ‘সরকারকেই নিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। অন্যথায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে, বাংলাদেশ নতুন করে একটি বড় সংকটের দিকে ধাবিত হবে বলে মনে করেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারকে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় যেসব বিষয় নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ এবং অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়গুলো সরকারকেই সমাধান করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নাগরিক ঐক্যের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশকে কেন্দ্র করে জাতীয় নির্বাচন আবারও একটা সংকটের মধ্যে পড়ল। অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো মোটাদাগে একটা ঐকমত্যে পৌঁছেছিল এবং সেই অনুযায়ী জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি আমরা। কিন্তু পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এমন কিছু জায়গায় পরিবর্তন এনেছে, যা অনেক রাজনৈতিক দলের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব না।’
মান্না আরও বলেন, ‘বিশেষ করে, গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নেওয়ার পর যেভাবে নোট অব ডিসেন্ট অকার্যকর হয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা যে বিএনপি গ্রহণ করবে না, তা পরিষ্কার। নোট অব ডিসেন্টসহ কীভাবে গণভোট আয়োজন করা হবে, সরকারের কাছে সেই ব্যাপারে আমরা আগেই প্রশ্ন তুলেছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই ডিসেন্টিং অপিনিয়নসহ একটা প্যাকেজ আকারে গণভোটে যাওয়ার ব্যাপারে দলগুলোর মধ্যে একটা ঐকমত্য তৈরি হয়েছিল এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও সেই ভিত্তিতেই দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করে সনদ প্রস্তুত করেছে।’
তবে জুলাই সনদ স্বাক্ষর-পরবর্তী সময়ে দলগুলোর সঙ্গে ‘আলোচনা ছাড়াই’ সেখান থেকে সরে এসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরির পথ সৃষ্টি করেছে অভিযোগ করে মান্না বলেন, এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে সব দায়-দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে ছেড়ে দিয়ে সাত দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মান্না বলেন, যেখানে কমিশন গঠন করে তিন মাসের বেশি সময় ধরে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বসেও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা যায়নি, সেখানে দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছাবে—এই প্রত্যাশা করা অবান্তর। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, সরকার সাত দিন পর নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। তাহলে এত দিন ধরে সেশনের পর সেশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা সমাধানের দায়িত্ব ‘সরকারকেই নিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। অন্যথায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে, বাংলাদেশ নতুন করে একটি বড় সংকটের দিকে ধাবিত হবে বলে মনে করেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারকে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় যেসব বিষয় নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ এবং অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়গুলো সরকারকেই সমাধান করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নাগরিক ঐক্যের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশকে কেন্দ্র করে জাতীয় নির্বাচন আবারও একটা সংকটের মধ্যে পড়ল। অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো মোটাদাগে একটা ঐকমত্যে পৌঁছেছিল এবং সেই অনুযায়ী জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি আমরা। কিন্তু পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এমন কিছু জায়গায় পরিবর্তন এনেছে, যা অনেক রাজনৈতিক দলের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব না।’
মান্না আরও বলেন, ‘বিশেষ করে, গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নেওয়ার পর যেভাবে নোট অব ডিসেন্ট অকার্যকর হয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা যে বিএনপি গ্রহণ করবে না, তা পরিষ্কার। নোট অব ডিসেন্টসহ কীভাবে গণভোট আয়োজন করা হবে, সরকারের কাছে সেই ব্যাপারে আমরা আগেই প্রশ্ন তুলেছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই ডিসেন্টিং অপিনিয়নসহ একটা প্যাকেজ আকারে গণভোটে যাওয়ার ব্যাপারে দলগুলোর মধ্যে একটা ঐকমত্য তৈরি হয়েছিল এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও সেই ভিত্তিতেই দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করে সনদ প্রস্তুত করেছে।’
তবে জুলাই সনদ স্বাক্ষর-পরবর্তী সময়ে দলগুলোর সঙ্গে ‘আলোচনা ছাড়াই’ সেখান থেকে সরে এসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরির পথ সৃষ্টি করেছে অভিযোগ করে মান্না বলেন, এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে সব দায়-দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে ছেড়ে দিয়ে সাত দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মান্না বলেন, যেখানে কমিশন গঠন করে তিন মাসের বেশি সময় ধরে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বসেও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা যায়নি, সেখানে দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছাবে—এই প্রত্যাশা করা অবান্তর। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, সরকার সাত দিন পর নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। তাহলে এত দিন ধরে সেশনের পর সেশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

‘গণতন্ত্র এখন কফিনে’ বুকে লেখার কারণ জানতে ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে দল তিনটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক (করমর্দন) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) কাঁচি প্রতীক দেওয়া
৩৮ মিনিট আগে
বিএনপিসহ সমমনা ডজনখানেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়ে
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় ২৩৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।
অনিবার্য কারণে ঘোষিত মাদারীপুর-১ আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পরদিন একজনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় ২৩৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।
অনিবার্য কারণে ঘোষিত মাদারীপুর-১ আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।

‘গণতন্ত্র এখন কফিনে’ বুকে লেখার কারণ জানতে ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে দল তিনটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক (করমর্দন) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) কাঁচি প্রতীক দেওয়া
৩৮ মিনিট আগে
বিএনপিসহ সমমনা ডজনখানেক রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়ে
১ ঘণ্টা আগে
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারকে রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় যেসব বিষয় নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ এবং অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) নিয়ে যে অচল
১ ঘণ্টা আগে