Ajker Patrika

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক, মুখ খুলছেন না কেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৩, ১৬: ৩৯
Thumbnail image

ঢাকায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনে এই সমাবেশ করবে দলটি। এর আগের দিন আজ বুধবার সকালে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপির কয়েকজন নেতা বৈঠক করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। 

বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, আজ সকালে রাজধানী গুলশানের আমেরিকান ক্লাবে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে বৈঠক চলে পৌনে ১০টা পর্যন্ত। তবে বৈঠকে আলোচনার বিষয় কী ছিল তা জানা যায়নি।  

দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন। এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, আমরা একটা নতুন বাংলাদেশের জন্য সংগ্রাম করছি। এখন বক্তব্য নয়। এখন দাবি আদায়ের পালা। দফা এক, দাবি এক—শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এক দফা যদি না মানে, তাহলে ফয়সালা হবে রাজপথে।’

এর আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিয়েছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিশেষ বার্তায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কর্তৃপক্ষের বেআইনি আদেশে বা চাপে পড়ে যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এত দিন অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি কাজ করেছেন, তাঁরা এখন থেকে যদি আর এ ধরনের অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি কাজ না করেন, তাহলে তাঁদের আগের ভূমিকা সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে। 

এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন কর্মসূচি দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও। তারা এই কর্মসূচির নাম দিয়েছে শান্তি সমাবেশ। শুরুতে যুবলীগ এই কর্মসূচি ডেকে নাম দিয়েছিল তারুণ্যের জয়যাত্রার সমাবেশ। সমাবেশটি হওয়ার কথা ছিল গত সোমবার। পরে সমাবেশের আগের দিন রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে তারিখ পরিবর্তন করে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন কর্মসূচি দেয় তারা। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল আজকের পত্রিকাকে তখন বলেছিলেন, ‘আমাদের আমন্ত্রিত অতিথিরা সোমবারের সমাবেশে যোগ দেওয়ার সময় দিতে না পারায় তারিখ পরিবর্তন করে বৃহস্পতিবারে নেওয়া হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার বিএনপিরও মহাসমাবেশ রয়েছে, এতে সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছি। সন্ত্রাসীদের দল বিএনপি যদি কোনো ধরনের অরাজকতা করে, তাহলে জনগণই তা প্রতিরোধ করবে।’   

এরপর গত সোমবার যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত হয় ভ্রাতৃপ্রতিম দুই সংগঠন—স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। তারা যৌথভাবে বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি আয়োজনের ঘোষণা দেয়। সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর বিএনপি হামলা করছে দাবি করে এই কর্মসূচির নামও পরিবর্তন করা হয় তখন। এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারুণ্যের জয়যাত্রার সমাবেশের পরিবর্তে নাম দেওয়া হয় শান্তি সমাবেশ।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এতে বলা হয়, আগামী বৃহস্পতিবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ-পশ্চিম গেটে বেলা ১১টা থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হবেন, ১টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বেলা ৩টা থেকে সমাবেশ শুরু হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

বিএনপির সমাবেশের পাল্টা সমাবেশ করছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। রাজনৈতিক দল হিসেবে সহাবস্থানে থেকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত