Ajker Patrika

দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: জি এম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: জি এম কাদের

দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ রোববার রাজধানীর বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাপা আয়োজিত উপজেলা দিবসের আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান। 

দেশে গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র চলছে মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, ‘খাদ্যের অভাবে কখনো দুর্ভিক্ষ হয় না। দেশ পরাধীন হলে, একনায়কতন্ত্র চললে সে দেশে দুর্ভিক্ষ হবেই। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে বৈষম্য সৃষ্টি হয়। বৈষম্য থেকেই দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ। তাই দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেই সুশাসন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’ 

জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্ধৃতি দিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘বিশ্বের ৪৫টি দেশে খাদ্যসংকট হবে। এর মধ্যে এশিয়ার নয়টি আর দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম আছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি তেল কিনতে পারছে না দেশ। বিদ্যুতের অভাবে কৃষকেরা সেচ দিতে পারবে না। বিশ্বব্যাপী সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় উচ্চমূল্যে সার কিনতে পারবে না। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতি বছরই খাদ্যশস্য নষ্ট হয় আমাদের। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে, খাদ্য সংকট হবে। দিন দিন ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বেশি দামেও খাবার কিনতে পারবে না বাংলাদেশ।’ 

অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন–এমন মন্তব্য করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জরিপ করা হলে অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের কাছাকাছি কোন দেশ নেই। যখন মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে, তখন শুধু সুইস ব্যাংকেই পাচার হয়েছে ৪ লাখ কোটি টাকা। মেগা প্রকল্পের নামে একটি শ্রেণির দেশে টাকা রাখার জায়গা নেই। তারা বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। আর বেশির ভাগ মানুষই খাবার কিনতে পারে না, অর্থের অভাবে শিশুর চিকিৎসা হচ্ছে না। দেশের মানুষের কষ্ট যেন কেউ বোঝে না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই দেশের রিজার্ভ কমে গেছে। দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের অর্থনীতিতে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।’ 

জি এম কাদের আরও বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। সংসার চালাতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এই অবস্থায় চাকরিজীবীদের জন্য ৩০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ও অসহায় মানুষদের জন্য রেশনিং-এর ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত