
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে নেট দুনিয়ায়। চলতি বছরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনায় কমিশন-বাণিজ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে তাঁর নাম এসেছে। দেশের একটি অনলাইন পোর্টালে এ-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই নেটিজেনদের মাঝে তাঁকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারও বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
আজ সোমবার (১০ মার্চ) গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ডিসি নিয়োগের তালিকা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ছাত্র সমন্বয়কের নাম এসেছিল গাজী সালাউদ্দিন তানভীর ওরফে তানভীর আহমেদের। এনসিটিবির বিতর্কে তাঁর নাম নতুন করে আলোচনায় এসেছে। চলতি বছরে এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপানোয় কাগজের বাজারদরের চেয়ে টনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছে মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ না কিনলে বই ছাপার ছাড়পত্র মেলেনি। এভাবে শুধু কাগজ থেকে ৪০০ কোটি টাকার বেশি কমিশন-বাণিজ্যের অভিযোগ এসেছে এনসিটিবির কয়েকজন কর্মকর্তাসহ গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরুদ্ধে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি তথ্য পেলাম, নতুন গঠিত রাজনৈতিক দলেও তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে দলে পদ পেয়েছেন। আমি সাংবাদিক ভাইদের বলব, গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে নিয়ে আপনারা বিস্তার অনুসন্ধান করেন, অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে। একজন অপরিচিত মানুষ কেন এত প্রভাবশালী, আপনাদের কি জানতে ইচ্ছে করে না?’
ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে গাজী সালাউদ্দিনের জড়িত থাকার প্রসঙ্গে রাশেদ বলেন, ডিসি নিয়োগের যে তথ্য গণমাধ্যমে এসেছিল, তা অসত্য ছিল না। এই লোকটিকে ছাত্র সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে দুজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সমস্ত কাজ করিয়েছে। নতুন দল এনসিপি, দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থাকে বলব, তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করুন। গণমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগসংক্রান্ত সংবাদ থাকার পরেও তাঁকে কারা এনসিপিতে অন্তর্ভুক্ত করল, এতটুকু বের করতে পারলে এনসিপি, দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থা সকল তথ্য পাবে।
এবি জুবায়ের নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ভদ্রলোকের নাম গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব। আগেও নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জেলার ডিসি নিয়োগ, বদলি-বাণিজ্য ইত্যাদি করে সচিবালয়ে ধরা পড়েছিলেন।
ইস্ট মিনিস্টার সোসাইটি বাংলাদেশ পেজের এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এই গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর ওরফে সমন্বয়ক তানভীরের নাম মনে আছে? এই লোকটা হাতেনাতে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের রুমে ধরা খেয়েছিল ডিসি নিয়োগ-বাণিজ্যের সময় এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তখন তাঁর বয়স দেখে অনেকে হাসিঠাট্টা করে উড়িয়ে দিয়েছিল যে সে ছাত্র হয় কীভাবে ও ভুয়া সমন্বয়ক বলে। এটা বলেও ট্রল হয়েছিল, যুগ্ম সচিব বিশ্বাস করল কীভাবে! আজকে সে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব। তাহলে নিশ্চয়ই সেই যুগ্ম সচিব চিনতে ভুল করেননি। তিনি সঠিকই ধরতে পেরেছিলেন।’
গাজী সালাহউদ্দিন তানভীরের ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায়, তিনি বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও চুয়েটের সাবেক ছাত্র। তাঁকে সারজিস আলমের বিয়ের অনুষ্ঠানেও দেখা গেছে। একই টেবিলে নাহিদ ইসলাম, সারজিস আল ও আসিফ মাহমুদের সঙ্গে বসে থাকার একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
এনসিটিবির টাকা লোপাটের বিষয়ে প্রতিবেদনকে ইঙ্গিত করে সারজিস আলম এক পোস্টে রাখাল রাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানালেও সেখানে সালাহউদ্দিনকে নিয়ে কিছু বলেননি। সারজিসের ওই পোস্টের স্ক্রিনশটসহ এক পোস্টে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ লিখেছেন, ‘রাখাল রাহাকে যারা চেনেন, তারা দুর্নীতি বিষয়ে এই সব ফালতু অভিযোগের ন্যূনতম পাত্তা দেবে না। এই ছেলে যখন ছাত্রলীগের হয়ে মাঠ কাঁপাত, রাখালদা তখন হাসিনার শিক্ষানীতির বিপদ নিয়ে অল্প কয়েকজন লোকের সাথে বিপজ্জনব সব কর্মসূচি পালন করেছে। এই ছেলে যখন ৮ দফা দিয়ে বেড়াচ্ছে, রাখালদা তখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সব কাজ করেছে বন্ধুদের নিয়ে।’
এসব বিষয়ে ফেসবুকে দুটি পোস্ট দিয়েছেন গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর। ওই দুটি পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘রাখাল রাহার মতো একজন নাস্তিকের সাথে আমার কীভাবে যোগসূত্র হতে পারে? এটা তো শয়তানও বিশ্বাস করবে না। এই সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে জড়ানোর বিরুদ্ধে আমি আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। যে সাংবাদিকেরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, কেউ একবারও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কিসের ভিত্তিতে আমার নাম রাখাল রাহার মতো একজন নাস্তিকের সাথে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করল? জবাব চাই।’
তানভীর আরও বলেন, ‘এই কথিত কাগজ সিন্ডিকেটের সাথে আমার জড়িত থাকার বিষয়ে দেশের বিদ্যমান সব ডিজিএফআই, এনএসআই তদন্ত করুক। তদন্ত করে যদি এক টাকার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি বিদ্যমান যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব। আর যদি প্রমাণ করতে না পারে, আমার ক্যারেক্টার অ্যাসাসিনেশনের এই হীন প্রচেষ্টার জন্য প্রোপাগান্ডা প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।’
একটি গোষ্ঠী তাঁর বিরুদ্ধে নেমেছে দাবি করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রাখাল রাহার সঙ্গে আমাকে জড়ানো একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর চক্রান্ত। কথায় কথায় ধর্মকে প্রতিপক্ষ বানায় যারা, তারা নতুন রাজনৈতিক দলে একজন দাড়ি টুপিওয়ালার অবস্থানকে সহ্য করতে না পেরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে আপনাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। মূল অভিযোগ রাখাল রাহার বিরুদ্ধে হলেও নিউজে একটা কয়েক শব্দের বাক্যে আমাকে জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আবার, দেশব্যাপী রাখাল রাহার বিরুদ্ধে সচেতন না করে, আমাকে হাইলাইট করা হচ্ছে। যেন আসল দোষী রাখাল রাহার বিরুদ্ধে কিছুই নাই। এই চক্রান্ত আপনাদের বুঝতে হবে। মেইন অ্যাটেনশন সরায়ে ধর্মকে, দাড়ি-টুপিকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টায় তারা সফল হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বারবার বলছি, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত হোক। তারা প্রমাণ করুক। নয়তো সবাইকে ক্ষমা চাইতে হবে। ডিসি নিয়োগের সময়ও আমাকে জড়ানো হয়েছিল। ডিসি নিয়োগ দিয়ে অর্থ বিনিময়ের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সে তদন্ত কমিটিতে কয়েকজন উপদেষ্টাও ছিলেন। তদন্ত কমিটি পরে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিল যে ডিসি নিয়োগে এমন কোনো লেনদেনের সংশ্লিষ্টতা পায়নি। আমার জড়িত থাকারও কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।’
আরও খবর পড়ুন:

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে নেট দুনিয়ায়। চলতি বছরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনায় কমিশন-বাণিজ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে তাঁর নাম এসেছে। দেশের একটি অনলাইন পোর্টালে এ-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই নেটিজেনদের মাঝে তাঁকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারও বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
আজ সোমবার (১০ মার্চ) গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ডিসি নিয়োগের তালিকা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ছাত্র সমন্বয়কের নাম এসেছিল গাজী সালাউদ্দিন তানভীর ওরফে তানভীর আহমেদের। এনসিটিবির বিতর্কে তাঁর নাম নতুন করে আলোচনায় এসেছে। চলতি বছরে এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপানোয় কাগজের বাজারদরের চেয়ে টনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছে মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ না কিনলে বই ছাপার ছাড়পত্র মেলেনি। এভাবে শুধু কাগজ থেকে ৪০০ কোটি টাকার বেশি কমিশন-বাণিজ্যের অভিযোগ এসেছে এনসিটিবির কয়েকজন কর্মকর্তাসহ গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরুদ্ধে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি তথ্য পেলাম, নতুন গঠিত রাজনৈতিক দলেও তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে দলে পদ পেয়েছেন। আমি সাংবাদিক ভাইদের বলব, গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে নিয়ে আপনারা বিস্তার অনুসন্ধান করেন, অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে। একজন অপরিচিত মানুষ কেন এত প্রভাবশালী, আপনাদের কি জানতে ইচ্ছে করে না?’
ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে গাজী সালাউদ্দিনের জড়িত থাকার প্রসঙ্গে রাশেদ বলেন, ডিসি নিয়োগের যে তথ্য গণমাধ্যমে এসেছিল, তা অসত্য ছিল না। এই লোকটিকে ছাত্র সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে দুজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সমস্ত কাজ করিয়েছে। নতুন দল এনসিপি, দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থাকে বলব, তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করুন। গণমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগসংক্রান্ত সংবাদ থাকার পরেও তাঁকে কারা এনসিপিতে অন্তর্ভুক্ত করল, এতটুকু বের করতে পারলে এনসিপি, দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থা সকল তথ্য পাবে।
এবি জুবায়ের নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ভদ্রলোকের নাম গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব। আগেও নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জেলার ডিসি নিয়োগ, বদলি-বাণিজ্য ইত্যাদি করে সচিবালয়ে ধরা পড়েছিলেন।
ইস্ট মিনিস্টার সোসাইটি বাংলাদেশ পেজের এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এই গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর ওরফে সমন্বয়ক তানভীরের নাম মনে আছে? এই লোকটা হাতেনাতে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের রুমে ধরা খেয়েছিল ডিসি নিয়োগ-বাণিজ্যের সময় এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তখন তাঁর বয়স দেখে অনেকে হাসিঠাট্টা করে উড়িয়ে দিয়েছিল যে সে ছাত্র হয় কীভাবে ও ভুয়া সমন্বয়ক বলে। এটা বলেও ট্রল হয়েছিল, যুগ্ম সচিব বিশ্বাস করল কীভাবে! আজকে সে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব। তাহলে নিশ্চয়ই সেই যুগ্ম সচিব চিনতে ভুল করেননি। তিনি সঠিকই ধরতে পেরেছিলেন।’
গাজী সালাহউদ্দিন তানভীরের ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায়, তিনি বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও চুয়েটের সাবেক ছাত্র। তাঁকে সারজিস আলমের বিয়ের অনুষ্ঠানেও দেখা গেছে। একই টেবিলে নাহিদ ইসলাম, সারজিস আল ও আসিফ মাহমুদের সঙ্গে বসে থাকার একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
এনসিটিবির টাকা লোপাটের বিষয়ে প্রতিবেদনকে ইঙ্গিত করে সারজিস আলম এক পোস্টে রাখাল রাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানালেও সেখানে সালাহউদ্দিনকে নিয়ে কিছু বলেননি। সারজিসের ওই পোস্টের স্ক্রিনশটসহ এক পোস্টে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ লিখেছেন, ‘রাখাল রাহাকে যারা চেনেন, তারা দুর্নীতি বিষয়ে এই সব ফালতু অভিযোগের ন্যূনতম পাত্তা দেবে না। এই ছেলে যখন ছাত্রলীগের হয়ে মাঠ কাঁপাত, রাখালদা তখন হাসিনার শিক্ষানীতির বিপদ নিয়ে অল্প কয়েকজন লোকের সাথে বিপজ্জনব সব কর্মসূচি পালন করেছে। এই ছেলে যখন ৮ দফা দিয়ে বেড়াচ্ছে, রাখালদা তখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সব কাজ করেছে বন্ধুদের নিয়ে।’
এসব বিষয়ে ফেসবুকে দুটি পোস্ট দিয়েছেন গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর। ওই দুটি পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘রাখাল রাহার মতো একজন নাস্তিকের সাথে আমার কীভাবে যোগসূত্র হতে পারে? এটা তো শয়তানও বিশ্বাস করবে না। এই সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে জড়ানোর বিরুদ্ধে আমি আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। যে সাংবাদিকেরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, কেউ একবারও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কিসের ভিত্তিতে আমার নাম রাখাল রাহার মতো একজন নাস্তিকের সাথে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করল? জবাব চাই।’
তানভীর আরও বলেন, ‘এই কথিত কাগজ সিন্ডিকেটের সাথে আমার জড়িত থাকার বিষয়ে দেশের বিদ্যমান সব ডিজিএফআই, এনএসআই তদন্ত করুক। তদন্ত করে যদি এক টাকার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি বিদ্যমান যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব। আর যদি প্রমাণ করতে না পারে, আমার ক্যারেক্টার অ্যাসাসিনেশনের এই হীন প্রচেষ্টার জন্য প্রোপাগান্ডা প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।’
একটি গোষ্ঠী তাঁর বিরুদ্ধে নেমেছে দাবি করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রাখাল রাহার সঙ্গে আমাকে জড়ানো একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর চক্রান্ত। কথায় কথায় ধর্মকে প্রতিপক্ষ বানায় যারা, তারা নতুন রাজনৈতিক দলে একজন দাড়ি টুপিওয়ালার অবস্থানকে সহ্য করতে না পেরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে আপনাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। মূল অভিযোগ রাখাল রাহার বিরুদ্ধে হলেও নিউজে একটা কয়েক শব্দের বাক্যে আমাকে জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আবার, দেশব্যাপী রাখাল রাহার বিরুদ্ধে সচেতন না করে, আমাকে হাইলাইট করা হচ্ছে। যেন আসল দোষী রাখাল রাহার বিরুদ্ধে কিছুই নাই। এই চক্রান্ত আপনাদের বুঝতে হবে। মেইন অ্যাটেনশন সরায়ে ধর্মকে, দাড়ি-টুপিকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টায় তারা সফল হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বারবার বলছি, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত হোক। তারা প্রমাণ করুক। নয়তো সবাইকে ক্ষমা চাইতে হবে। ডিসি নিয়োগের সময়ও আমাকে জড়ানো হয়েছিল। ডিসি নিয়োগ দিয়ে অর্থ বিনিময়ের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সে তদন্ত কমিটিতে কয়েকজন উপদেষ্টাও ছিলেন। তদন্ত কমিটি পরে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিল যে ডিসি নিয়োগে এমন কোনো লেনদেনের সংশ্লিষ্টতা পায়নি। আমার জড়িত থাকারও কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।’
আরও খবর পড়ুন:

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
১৮ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার...
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানানো হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখমাত্র হাদির হত্যাকারীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে রিভজী অপতথ্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ‘“১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” এবং ১৬ ডিসেম্বর “মহান বিজয় দিবস”। আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দুটি দিন। জাতির ইতিহাসে দিবস দুটি আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও গৌরবের চিরন্তন স্মারক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যাঁরা নিজেদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন—সেই সকল শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে তাঁদের সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যাঁরা দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেছিলেন, সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমরা গভীর সম্মান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি সকল শহীদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
জামায়াত আমির বলেন, দেশবাসী আজ এমন একসময় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালন করতে যাচ্ছে, যখন ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদী সরকারের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসন, জুলুম-নির্যাতন ও গুম-খুনের নিষ্ঠুর অভিশাপ থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে এবং শান্তি, স্বস্তি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যাশা করছে। একই সঙ্গে দেশ ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিপরীত পক্ষে ফ্যাসিবাদের দেশি-বিদেশি দোসররা এখনো থেমে নেই মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশলের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই জ্বলন্ত প্রমাণ ১২ ডিসেম্বর শরিফ ওসমান হাদির ওপর ন্যক্কারজনক হামলা। এই প্রেক্ষাপটে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই দুটি দিবস উপলক্ষে এরই মধ্যে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। তারা জানায়, আগামী ১৪ ডিসেম্বর, রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ ডিসেম্বর, সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উদ্যোগে যুব ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ‘“১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” এবং ১৬ ডিসেম্বর “মহান বিজয় দিবস”। আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দুটি দিন। জাতির ইতিহাসে দিবস দুটি আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও গৌরবের চিরন্তন স্মারক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যাঁরা নিজেদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন—সেই সকল শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে তাঁদের সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যাঁরা দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেছিলেন, সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমরা গভীর সম্মান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি সকল শহীদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
জামায়াত আমির বলেন, দেশবাসী আজ এমন একসময় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালন করতে যাচ্ছে, যখন ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদী সরকারের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসন, জুলুম-নির্যাতন ও গুম-খুনের নিষ্ঠুর অভিশাপ থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে এবং শান্তি, স্বস্তি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যাশা করছে। একই সঙ্গে দেশ ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিপরীত পক্ষে ফ্যাসিবাদের দেশি-বিদেশি দোসররা এখনো থেমে নেই মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশলের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই জ্বলন্ত প্রমাণ ১২ ডিসেম্বর শরিফ ওসমান হাদির ওপর ন্যক্কারজনক হামলা। এই প্রেক্ষাপটে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই দুটি দিবস উপলক্ষে এরই মধ্যে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। তারা জানায়, আগামী ১৪ ডিসেম্বর, রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ ডিসেম্বর, সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উদ্যোগে যুব ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে নেট দুনিয়ায়। চলতি বছরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ থেকে ৪০০ কোটি টাকার বেশি কমিশন...
১০ মার্চ ২০২৫
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার...
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানানো হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখমাত্র হাদির হত্যাকারীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে রিভজী অপতথ্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজের করা ভবিষ্যদ্বাণী ‘সত্য হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমি আগে বলেছিলাম–নির্বাচন অত সহজ হবে না, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গত কয়েকদিনের ঘটনা, গতকালকের ঘটনা, চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর ওপরে গুলিবর্ষণের ঘটনা–এই সবকিছু নিয়েই প্রমাণিত হচ্ছে, আমি যা বলেছিলাম তা সত্যি হচ্ছে আস্তে আস্তে।’
রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মতভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার বের করে নিয়ে এসেছেন।’
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রের খবর বলছে, এই ষড়যন্ত্রগুলো আরও খারাপও হতে পারে। আমাদের ভয় পেলে চলবে না। মানুষকে সাহস দিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হব, তত সামনে এগিয়ে যাব। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে। এই পরিস্থিতি যত আমরা তৈরি করব, ষড়যন্ত্রকারীরা তত পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
চট্টগ্রামে ও ঢাকায় দুই প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষনের ঘটনা সম্পর্কে তারেক বলেন, চট্টগ্রামে একটা ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (শুক্রবার) একটা ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা দিয়ে কেউ কোনো ফায়দা লোটার অবশ্যই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
খাল খনন, স্বাস্থ্য কার্ড, কৃষক কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, শিক্ষা ব্যবস্থা, বেকার সমস্যা, তথ্যপ্রযুক্তি, বায়ু ও পানি দূষণ রোধ প্রভৃতি বিষয়ে বিএনপি প্রণীত পরিকল্পনা এবং এসবের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিস্তারিত তুলে ধরেন তারেক রহমান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি কী পেলাম–এটা বাদ দিতে হবে। সময় এসেছে, আমি দেশ এবং জাতির জন্য কতটুকু করতে পারলাম। আজকে আপনি যদি দেশ এবং জাতির জন্য কিছু করেন, তাহলে আগামী দিনে আপনার সন্তান, আপনার নাতিপুতিরা ভালো থাকবে। আপনার ভবিষ্যৎ বংশধর ভালো থাকবে। আসুন, আমাদের লক্ষ্য হোক দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করা।’
এর জন্য যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দয়া করে আসুন, এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এই যুদ্ধে জেতার সবচেয়ে বড় সহযোগী কে? বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজের করা ভবিষ্যদ্বাণী ‘সত্য হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমি আগে বলেছিলাম–নির্বাচন অত সহজ হবে না, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গত কয়েকদিনের ঘটনা, গতকালকের ঘটনা, চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর ওপরে গুলিবর্ষণের ঘটনা–এই সবকিছু নিয়েই প্রমাণিত হচ্ছে, আমি যা বলেছিলাম তা সত্যি হচ্ছে আস্তে আস্তে।’
রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মতভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার বের করে নিয়ে এসেছেন।’
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রের খবর বলছে, এই ষড়যন্ত্রগুলো আরও খারাপও হতে পারে। আমাদের ভয় পেলে চলবে না। মানুষকে সাহস দিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হব, তত সামনে এগিয়ে যাব। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে। এই পরিস্থিতি যত আমরা তৈরি করব, ষড়যন্ত্রকারীরা তত পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
চট্টগ্রামে ও ঢাকায় দুই প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষনের ঘটনা সম্পর্কে তারেক বলেন, চট্টগ্রামে একটা ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (শুক্রবার) একটা ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা দিয়ে কেউ কোনো ফায়দা লোটার অবশ্যই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
খাল খনন, স্বাস্থ্য কার্ড, কৃষক কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, শিক্ষা ব্যবস্থা, বেকার সমস্যা, তথ্যপ্রযুক্তি, বায়ু ও পানি দূষণ রোধ প্রভৃতি বিষয়ে বিএনপি প্রণীত পরিকল্পনা এবং এসবের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিস্তারিত তুলে ধরেন তারেক রহমান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি কী পেলাম–এটা বাদ দিতে হবে। সময় এসেছে, আমি দেশ এবং জাতির জন্য কতটুকু করতে পারলাম। আজকে আপনি যদি দেশ এবং জাতির জন্য কিছু করেন, তাহলে আগামী দিনে আপনার সন্তান, আপনার নাতিপুতিরা ভালো থাকবে। আপনার ভবিষ্যৎ বংশধর ভালো থাকবে। আসুন, আমাদের লক্ষ্য হোক দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করা।’
এর জন্য যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দয়া করে আসুন, এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এই যুদ্ধে জেতার সবচেয়ে বড় সহযোগী কে? বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে নেট দুনিয়ায়। চলতি বছরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ থেকে ৪০০ কোটি টাকার বেশি কমিশন...
১০ মার্চ ২০২৫
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
১৮ মিনিট আগে
প্রধান উপদেষ্টার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানানো হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখমাত্র হাদির হত্যাকারীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে রিভজী অপতথ্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানানো হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াত জানায়, আলোচনায় গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও অন্যতম জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপিত হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে আয়োজনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করা হয় বলেও জানিয়েছে জামায়াতের প্রচার বিভাগ।
বৈঠকে শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ঘটনায় গোটা জাতি স্তম্ভিত, বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। এই হামলা কেবল একজন ব্যক্তির ওপর নয়; এটি গোটা জাতি ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।
জামায়াতের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

প্রধান উপদেষ্টার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানানো হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াত জানায়, আলোচনায় গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও অন্যতম জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপিত হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে আয়োজনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করা হয় বলেও জানিয়েছে জামায়াতের প্রচার বিভাগ।
বৈঠকে শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ঘটনায় গোটা জাতি স্তম্ভিত, বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। এই হামলা কেবল একজন ব্যক্তির ওপর নয়; এটি গোটা জাতি ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।
জামায়াতের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে নেট দুনিয়ায়। চলতি বছরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ থেকে ৪০০ কোটি টাকার বেশি কমিশন...
১০ মার্চ ২০২৫
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
১৮ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার...
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখমাত্র হাদির হত্যাকারীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে রিভজী অপতথ্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, ভুয়া ছবিকে সত্য ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখমাত্র হাদির হত্যাকারীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে রিভজী অপতথ্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
ফেসবুকে সাদিক কায়েম লেখেন, ‘আওয়ামী প্রোপাগাণ্ডা সেল কর্তৃক প্রচারিত এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীর সাথে আমাকে জড়িয়ে যে অপতথ্য ছড়িয়েছেন, তা বিএনপির মতো সংগঠনের সিনিয়র নেতার কাছ থেকে কোনোভাবে প্রত্যাশিত দায়িত্বশীল আচরণ নয়।’
ভিপি সাদিক কায়েম লেখেন, ‘যারা আগামীর বাংলাদেশ গড়ার আশ্বাস নিয়ে জনতার কাছে যাচ্ছেন, তারা যখন যেকোনো সংকটে সত্য জানার চেষ্টা না করে আওয়ামী নির্ভর অপতথ্যকে ফ্যাক্ট হিসেবে গ্রহণ করেন, তখন আগামীর দেশ বিনির্মাণে তাদের সক্ষমতা নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়।’
ফেসবুকে তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এর আগে, আজ বিএনপির সমাবেশে রুহুল কবির রিজভীর বলেছেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলায় শনাক্ত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি সাদিক কায়েম এর সঙ্গে একই টেবিলে চা খাচ্ছেন, এর বিচার কে করবে?’
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, ভুয়া ছবিকে সত্য ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখমাত্র হাদির হত্যাকারীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে রিভজী অপতথ্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
ফেসবুকে সাদিক কায়েম লেখেন, ‘আওয়ামী প্রোপাগাণ্ডা সেল কর্তৃক প্রচারিত এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীর সাথে আমাকে জড়িয়ে যে অপতথ্য ছড়িয়েছেন, তা বিএনপির মতো সংগঠনের সিনিয়র নেতার কাছ থেকে কোনোভাবে প্রত্যাশিত দায়িত্বশীল আচরণ নয়।’
ভিপি সাদিক কায়েম লেখেন, ‘যারা আগামীর বাংলাদেশ গড়ার আশ্বাস নিয়ে জনতার কাছে যাচ্ছেন, তারা যখন যেকোনো সংকটে সত্য জানার চেষ্টা না করে আওয়ামী নির্ভর অপতথ্যকে ফ্যাক্ট হিসেবে গ্রহণ করেন, তখন আগামীর দেশ বিনির্মাণে তাদের সক্ষমতা নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়।’
ফেসবুকে তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এর আগে, আজ বিএনপির সমাবেশে রুহুল কবির রিজভীর বলেছেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলায় শনাক্ত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি সাদিক কায়েম এর সঙ্গে একই টেবিলে চা খাচ্ছেন, এর বিচার কে করবে?’
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে নেট দুনিয়ায়। চলতি বছরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ থেকে ৪০০ কোটি টাকার বেশি কমিশন...
১০ মার্চ ২০২৫
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
১৮ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার...
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানানো হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে