Ajker Patrika

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বাবার মতো জীবন দিতেও প্রস্তুত, রংপুরে প্রধানমন্ত্রী

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৩, ১৯: ৩৮
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বাবার মতো জীবন দিতেও প্রস্তুত, রংপুরে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের জনগণ— এটাই তো আমার সংসার, এইটাই তো আমার আপনজন। আপনাদের মাঝে খুঁজে পাই বাবার স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ, বোনের স্নেহ। কাজে আপনাদের জন্য—বাবার মতো যদি প্রয়োজন হয়, এই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বাবার মতো জীবন দিতেও আমি প্রস্তুত।’

আজ বুধবার বিকেল ৪টায় রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি এসব কথা বলেন। সাড়ে ১৪ বছরে ক্ষমতায় থাকাকালীন উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছি। আমার তো হারাবার কিছু নেই। একটা মানুষ আপনজন হারালে শোক সইতে পারে না। আর আমি একই দিনে সব হারিয়েও শুধু একটা প্রতিজ্ঞা নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মুখে অন্ন জোগাব। প্রতিটি মানুষের ঘর করে দিব। প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নত করব। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আগামীতে ৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলে আমাদের প্রত্যেকটা ছেলে-মেয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।’ 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে। যে বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষের দেশ বলে মানুষ করুণা করত, এখন আর কেউ করুণা করে না। এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলেন। কারণ, সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ আরও উন্নত হবে। উন্নয়নশীল দেশ এরপর উন্নত দেশ। নদী-নালা-খাল-বিল যত রকমের জলাভূমি আছে, সেগুলো উন্নত করা। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান সব ব্যাপারে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম আজকের ছাত্রছাত্রী আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তারাই এ দেশকে সর্বদিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আরও উন্নত করবে।’

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন সরকারে এসেছিলাম, তখনো মঙ্গা ছিল না। কিন্তু ২০০১ সালে যখন ওই খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসে। দুই হাতে টাকাপয়সা লুট করে। সে, তার ছেলেরা মিলে এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আবার দেশে মঙ্গা শুরু হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা সরকার গঠন করি। তার পর থেকে এ দেশের মানুষের কষ্ট হয় নাই। সাড়ে ১৪ বছরে প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি।’
 

সমাবেশে যোগদানের আগে ২৭টি বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তুর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারর রংপুরের উদ্দেশে রওনা হন। সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর বেলা ৪টা ১১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী রংপুর জিলা স্কুল মাঠের জনসভার উদ্দেশে ভাষণ দেওয়া শুরু করেন।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান। সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ কে এম শাহাদাত হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এক ফ্যাসিস্ট নেত্রীর পাল্লায় পড়ে পুলিশ খারাপ হয়েছিল: এসপি

বিএনপি নেতা নাছিরের দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ দুই সৎভাইয়ের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত