সাইফুল মাসুম ও আল মামুন জীবন, ঠাকুরগাঁও থেকে
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও ঠাকুরগাঁও-১ (সদর উপজেলা) আসনে উত্তাপ নেই। আসনটি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এলাকা। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় এবং শক্তিশালী কোনো প্রার্থী না থাকায় বর্তমান সংসদ সদস্য রমেশ বাবুই ফের নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন ভোটারেরা।
ঠাকুরগাঁওয়ের সালান্দর ইউনিয়নের তেলিপাড়ায় রাশেদ রানা নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘এখানে ভোট কম-বেশি যা পড়ুক, রমেশ বাবুই এমপি হবেন। বিএনপি থাকলে খেলা জমত।’
শহরের কালীবাড়ি এলাকায় মির্জা ফখরুলের বাড়ির সামনে স্থানীয় দবির আলী ও অলক কুমার দাশের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, মাঠে নির্বাচনের আমেজ নেই। নৌকা এমনিতেই জিতবে, তাই ভোটারদের কোনো দাম নেই। বিএনপি নেতা-কর্মীরাও মামলার কারণে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকেন।
রমেশ চন্দ্র সেন এর আগেও ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে নৌকার জয় অনেকটা নিশ্চিত হওয়ায় ভোটের মাঠে কোনো প্রার্থীই তেমন সরব হননি।
আজ শুক্রবার সরেজমিন জেলা শহরের কালীবাড়ি, তেলিপাড়া, বড়মাঠ এলাকায় লাঙ্গলের কয়েকটি পোস্টার দেখা গেছে। নৌকার সমর্থনে মাইকিং হলেও এখনো শহরের কোথাও পোস্টার চোখে পড়েনি।
স্থানীয় ভোটাররা বলেন, একতরফা নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের কোনো মূল্যায়ন নেই। ফলে বেশির ভাগ ভোটার নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এতে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বুধবার নির্বাচনী এক হাট সভায় রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, সরকারি সুবিধাভোগী ভোটাররা যদি কেন্দ্রে না আসেন, তাহলে সুবিধাভোগীর তালিকা থেকে তাদের নাম কেটে দেওয়া হবে। সাধারণ মানুষদের আশ্বস্ত করে আরও বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে, ফলে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাড়ি হওয়ায় এখানে বিএনপির সমর্থন কিছুটা বেশি। ফলে বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মী ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ ছাড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন ভোটকেন্দ্রে না যেতে কর্মীদের বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি অফিসের সামনে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে। তাঁরা পরস্পর গোল হয়ে চেয়ারে বসে মোবাইল ফোনে লডু খেলছিলেন। বিএনপি অফিসের সামনে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই ফজিলার সঙ্গে কথা হয়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা দুই মাস ধরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ১৩ জন পুলিশ সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আছেন।
১৯৮৬ সালের পর থেকে এই আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬০ হাজার ৬০৪ জন। এই আসনে অন্য সংসদ সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মো. রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী, আম প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. রাজিউল ইসলাম এবং মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের মো. রফিকুল ইসলাম।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও ঠাকুরগাঁও-১ (সদর উপজেলা) আসনে উত্তাপ নেই। আসনটি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এলাকা। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় এবং শক্তিশালী কোনো প্রার্থী না থাকায় বর্তমান সংসদ সদস্য রমেশ বাবুই ফের নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন ভোটারেরা।
ঠাকুরগাঁওয়ের সালান্দর ইউনিয়নের তেলিপাড়ায় রাশেদ রানা নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘এখানে ভোট কম-বেশি যা পড়ুক, রমেশ বাবুই এমপি হবেন। বিএনপি থাকলে খেলা জমত।’
শহরের কালীবাড়ি এলাকায় মির্জা ফখরুলের বাড়ির সামনে স্থানীয় দবির আলী ও অলক কুমার দাশের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, মাঠে নির্বাচনের আমেজ নেই। নৌকা এমনিতেই জিতবে, তাই ভোটারদের কোনো দাম নেই। বিএনপি নেতা-কর্মীরাও মামলার কারণে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকেন।
রমেশ চন্দ্র সেন এর আগেও ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে নৌকার জয় অনেকটা নিশ্চিত হওয়ায় ভোটের মাঠে কোনো প্রার্থীই তেমন সরব হননি।
আজ শুক্রবার সরেজমিন জেলা শহরের কালীবাড়ি, তেলিপাড়া, বড়মাঠ এলাকায় লাঙ্গলের কয়েকটি পোস্টার দেখা গেছে। নৌকার সমর্থনে মাইকিং হলেও এখনো শহরের কোথাও পোস্টার চোখে পড়েনি।
স্থানীয় ভোটাররা বলেন, একতরফা নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের কোনো মূল্যায়ন নেই। ফলে বেশির ভাগ ভোটার নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এতে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বুধবার নির্বাচনী এক হাট সভায় রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, সরকারি সুবিধাভোগী ভোটাররা যদি কেন্দ্রে না আসেন, তাহলে সুবিধাভোগীর তালিকা থেকে তাদের নাম কেটে দেওয়া হবে। সাধারণ মানুষদের আশ্বস্ত করে আরও বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে, ফলে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাড়ি হওয়ায় এখানে বিএনপির সমর্থন কিছুটা বেশি। ফলে বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মী ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ ছাড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন ভোটকেন্দ্রে না যেতে কর্মীদের বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি অফিসের সামনে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে। তাঁরা পরস্পর গোল হয়ে চেয়ারে বসে মোবাইল ফোনে লডু খেলছিলেন। বিএনপি অফিসের সামনে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই ফজিলার সঙ্গে কথা হয়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা দুই মাস ধরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ১৩ জন পুলিশ সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আছেন।
১৯৮৬ সালের পর থেকে এই আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬০ হাজার ৬০৪ জন। এই আসনে অন্য সংসদ সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মো. রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী, আম প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. রাজিউল ইসলাম এবং মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের মো. রফিকুল ইসলাম।
নির্বাচন কমিশনারদের অবসরের পরও জবাবদিহির আওতায় আনতে বিদ্যমান আইনে সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, দেশের বিদ্যমান আইনে অনিয়মের অবসরে যাওয়া নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তির তেমন বিধান নেই। এ জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াতে
২ ঘণ্টা আগেরোববার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে কথা বলেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তাঁর নেতৃত্বে জামায়াতের ১১ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন...
৪ ঘণ্টা আগেতারেক রহমান বলেন, ‘জুলাই হতাহতদের তালিকার চেয়ে করিডর দেওয়া কিংবা বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়াকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার। কিন্তু করিডর বা বন্দর দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ। এই সরকারের আইনগত দিক নিয়ে প্রশ্ন নেই।
১৬ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের চিন্তা এবং কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে থাকায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে হয়তোবা অস্থিরতা বাড়ছে। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আমরা দেখছি, প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে জড়ো হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে