নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে কথা বলে আওয়ামী লীগ দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘পিটার হাসকে নিয়ে তারা (সরকার) খুব লেগেছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে সমস্ত কূটনৈতিক আচারকে উপেক্ষা করে তাঁর বিরুদ্ধে তারা যা নয়, তা-ই বলছে। তাদের বশংবদ টেলিভিশনগুলো নানা রকম ফিচার তৈরি করছে।’
আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা এত দায়িত্বজ্ঞানহীন, দায়িত্বশীলতার অভাব যে, যে দেশটাতে আমাদের সবচেয়ে বেশি রপ্তানি পণ্য যায়, যে দেশটাতে আমাদের সবচেয়ে বেশি গার্মেন্ট যায়, সেই দেশের সঙ্গে তারা আজকে সমস্যা তৈরি করছে।’
খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে সরকার তাঁর বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকে সারা দেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ছে এই জন্য যে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই অনির্বাচিত গণবিরোধী সরকার হত্যা করতে চায়। তাঁকে চিকিৎসার কোনো সুযোগ না দিয়ে, মিথ্যা প্রতারণা করে, জনগণকে ভুল বুঝিয়ে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য তারা (সরকার) বিভিন্ন রকম আইনকানুন দেখাচ্ছে। যখন আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কানের সমস্যা হয়েছিল, তখন তো প্যারোল নিয়ে আপনি ঠিকই আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন। আর আজকে খালেদা জিয়ার যখন জীবন-মরণ সমস্যা, তখন এই ব্যবস্থা (বিদেশে চিকিৎসা) করতে আপনাদের আপত্তি কেন? আপত্তির একটাই কারণ—রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। তারা (সরকার) বেগম জিয়াকে হিংসা করে। তারা বেগম জিয়াকে সুস্থ হতে দেখতে চায় না, রাজনীতি করতে দিতে চায় না। আজকে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য একটাই—এই দেশে কোনো বিরোধী দল থাকবে না। এই দেশে শুধু তারাই সরকার চালাবে, তারাই শাসন করবে।’
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘যে কথাগুলো ওনারা বলছেন, এই কথাগুলো থেকে প্রমাণিত হয়, এরা (সরকার) আসলেই কাপুরুষ, ভীত। এরা জানে যে খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে যদি আবার জনগণের মাঝে ফিরে আসেন, তাহলে কোটি মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে, তাদের তখ্তে-তাউস ধ্বংস হয়ে যাবে।’
দেশের সার্বিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমগ্র দেশটাকে আপনারা (সরকার) আজকে একটা জাহান্নামের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন। এটা একটা জাহান্নামের আগুন হয়ে গেছে।’
মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষের এই মেগা প্রকল্পের মেগা দুর্নীতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা দুবেলা দুমুঠো মোটা ভাত খেতে, মোটা কাপড় পরতে চায়। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘টার্মিনাল বানাচ্ছেন, টানেল বানাচ্ছেন, উড়ালসেতু বানাচ্ছেন। এখন কি আমরা বলব—উড়ালসেতু খেয়ে আমরা স্বর্গে যাব গো, টানেল খেয়ে আমরা স্বর্গে যাব গো, টার্মিনাল খেয়ে স্বর্গে যাব গো।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আজকে বলছেন নির্বাচন হবেই। আমরা যেভাবে করেছি, সেভাবেই নির্বাচন হবে। ২০১৪ ও ১৮-এর মতো তারা আবার আরেকটা নির্বাচন করতে চায়। খুব মজা পেয়ে গেছে...! ভেবেছে এবারও বিএনপিকে দূরে রেখে একতরফা নির্বাচন করবে। আজকে শুধু বিএনপি নয়, সমস্ত রাজনৈতিক দল এক হয়েছে। সবাই একযোগে বলছে—আর কোনো কথা শুনতে চাই না, আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘সরাসরি বলতে চাই এই সরকারকে—এখনো সময় আছে, মানে মানে পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। যদি সত্যিকার অর্থে সংকটের সমাধান চান, দেশের ভালো চান। অন্যথায় দেশের মানুষ জানে, কীভাবে স্বৈরাচার বিদায় করতে হয়।’
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘কোথায় আছেন, সবাই জাগেন, জেগে ওঠেন। এই সরকারকে সরাতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে কথা বলে আওয়ামী লীগ দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘পিটার হাসকে নিয়ে তারা (সরকার) খুব লেগেছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে সমস্ত কূটনৈতিক আচারকে উপেক্ষা করে তাঁর বিরুদ্ধে তারা যা নয়, তা-ই বলছে। তাদের বশংবদ টেলিভিশনগুলো নানা রকম ফিচার তৈরি করছে।’
আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা এত দায়িত্বজ্ঞানহীন, দায়িত্বশীলতার অভাব যে, যে দেশটাতে আমাদের সবচেয়ে বেশি রপ্তানি পণ্য যায়, যে দেশটাতে আমাদের সবচেয়ে বেশি গার্মেন্ট যায়, সেই দেশের সঙ্গে তারা আজকে সমস্যা তৈরি করছে।’
খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে সরকার তাঁর বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকে সারা দেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ছে এই জন্য যে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই অনির্বাচিত গণবিরোধী সরকার হত্যা করতে চায়। তাঁকে চিকিৎসার কোনো সুযোগ না দিয়ে, মিথ্যা প্রতারণা করে, জনগণকে ভুল বুঝিয়ে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য তারা (সরকার) বিভিন্ন রকম আইনকানুন দেখাচ্ছে। যখন আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কানের সমস্যা হয়েছিল, তখন তো প্যারোল নিয়ে আপনি ঠিকই আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন। আর আজকে খালেদা জিয়ার যখন জীবন-মরণ সমস্যা, তখন এই ব্যবস্থা (বিদেশে চিকিৎসা) করতে আপনাদের আপত্তি কেন? আপত্তির একটাই কারণ—রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। তারা (সরকার) বেগম জিয়াকে হিংসা করে। তারা বেগম জিয়াকে সুস্থ হতে দেখতে চায় না, রাজনীতি করতে দিতে চায় না। আজকে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য একটাই—এই দেশে কোনো বিরোধী দল থাকবে না। এই দেশে শুধু তারাই সরকার চালাবে, তারাই শাসন করবে।’
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘যে কথাগুলো ওনারা বলছেন, এই কথাগুলো থেকে প্রমাণিত হয়, এরা (সরকার) আসলেই কাপুরুষ, ভীত। এরা জানে যে খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে যদি আবার জনগণের মাঝে ফিরে আসেন, তাহলে কোটি মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে, তাদের তখ্তে-তাউস ধ্বংস হয়ে যাবে।’
দেশের সার্বিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমগ্র দেশটাকে আপনারা (সরকার) আজকে একটা জাহান্নামের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন। এটা একটা জাহান্নামের আগুন হয়ে গেছে।’
মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষের এই মেগা প্রকল্পের মেগা দুর্নীতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা দুবেলা দুমুঠো মোটা ভাত খেতে, মোটা কাপড় পরতে চায়। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘টার্মিনাল বানাচ্ছেন, টানেল বানাচ্ছেন, উড়ালসেতু বানাচ্ছেন। এখন কি আমরা বলব—উড়ালসেতু খেয়ে আমরা স্বর্গে যাব গো, টানেল খেয়ে আমরা স্বর্গে যাব গো, টার্মিনাল খেয়ে স্বর্গে যাব গো।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আজকে বলছেন নির্বাচন হবেই। আমরা যেভাবে করেছি, সেভাবেই নির্বাচন হবে। ২০১৪ ও ১৮-এর মতো তারা আবার আরেকটা নির্বাচন করতে চায়। খুব মজা পেয়ে গেছে...! ভেবেছে এবারও বিএনপিকে দূরে রেখে একতরফা নির্বাচন করবে। আজকে শুধু বিএনপি নয়, সমস্ত রাজনৈতিক দল এক হয়েছে। সবাই একযোগে বলছে—আর কোনো কথা শুনতে চাই না, আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘সরাসরি বলতে চাই এই সরকারকে—এখনো সময় আছে, মানে মানে পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। যদি সত্যিকার অর্থে সংকটের সমাধান চান, দেশের ভালো চান। অন্যথায় দেশের মানুষ জানে, কীভাবে স্বৈরাচার বিদায় করতে হয়।’
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘কোথায় আছেন, সবাই জাগেন, জেগে ওঠেন। এই সরকারকে সরাতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি।’
গতবছর সরকার পতনের আগে উত্তাল জুলাই ও আগস্ট মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তৎকালীন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে তাঁর ফুপু ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপের একটি রেকর্ড ফাঁস করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
১ ঘণ্টা আগেসুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের উদ্যোগে তৈরি ‘জাতীয় সনদ’ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে তুলে দেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এ
৬ ঘণ্টা আগেএকাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত ব্যক্তিরাই একাত্তরের সংবিধান পুরোটা বাদ দিতে চান বা পরিবর্তন করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি বলেন, ‘৭১-এর সংবিধান রচিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও সার্বভৌমত্বকে ঘিরে। সংবিধানকে সংস্কার করা যাবে, কিন্তু সংবি
৭ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ‘নতুন এক যুগে প্রবেশ’ করেছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি ও রাজনৈতিক কাঠামোকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব আবারও বিএনপির ওপরই বর্তেছে।
৭ ঘণ্টা আগে