আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সকল অস্পষ্টতা কাটিয়ে অচিরেই নির্বাচনের রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। সেই যাত্রায় আপনাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী হচ্ছে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ। সুতরাং, জনগণের সঙ্গে থাকুন এবং জনগণকে সঙ্গে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে রোডম্যাপের বিষয়ে উপদেষ্টাদের ‘অস্বস্তি’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণার কথা শুনলেই যদি উপদেষ্টাদের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ ফুটে ওঠে, সেটি হবে অবশ্যই গণ আকাঙ্ক্ষা বিরোধী।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী করতে চাইছে, রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সরকারের আর কত মাস বা কত সময় প্রয়োজন, সেটি জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। সরকার জনগণের সামনে তাদের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণা করলে জনগণের কাছে সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রমেও গতিশীলতা বাড়বে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে যত বেশি জনগণের কাছে স্বচ্ছ থাকবে, জনগণও সরকারের প্রতি সমর্থনের হাত তত প্রসারিত রাখবে।’
চলমান নাগরিক দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনজীবনে নিত্য দুর্ভোগ কিংবা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শুধু সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে, তাহলে জনগণের কাছে সংস্কার আগে নাকি সংসার আগে—এই প্রশ্নটি মুখ্য হয়ে উঠতে পারে। দুর্ভোগ মেনে নিলেও জনগণ এখনো সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চবাচ্য করছে না। কারণ, জনগণ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরা নিজেদের সফল দেখতে চায় কি না—তা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’
সংস্কার নিয়ে বলতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মনে রাখা দরকার, জনগণ শক্তিশালী না থাকলে জাতীয় ঐক্য শক্তিশালী হয় না। রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কারের বিকল্প নেই। তবে একই সঙ্গে এটাও মনে রাখা জরুরি, কেউ স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে সংবিধান বা প্রবিধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। রাষ্ট্র এবং সরকারকে ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার থেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে সুসংবদ্ধ বিধিবিধানের চেয়ে রাষ্ট্র ও রাজনীতির প্রতিদিনের কার্যক্রমে, নাগরিক জীবনের প্রতিদিনের চালচিত্রে গণতান্ত্রিক রাজনীতি সংস্কৃতির চর্চা অত্যন্ত জরুরি। এই চর্চার মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে ফ্যাসিবাদের উপাদান দূরীভূত করা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে শুরুতেই তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজ আমাদের মাঝে এখানে ডিজিটালি অংশ নিয়েছেন। আমরা আশা করি অতি দ্রুত তিনি সশরীরে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’ বক্তব্যের শেষ প্রান্তে এসে এ প্রসঙ্গে তিনি আবার বলেন, ‘দেশের প্রত্যেক নাগরিক চায় তারেক রহমান দেশে ফিরে আসুক।’
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংস্কারের পথ সুগম করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির ৩১ দফার পরে আর কোনো সংস্কার বাকি থাকে না। আসুন আমরা ৩১ দফা কর্মসূচিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যেটা—অতি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই সংস্কারের পথকে সুগম করা। সেই কাজটা করাই হবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় কাজ, সবচেয়ে বড় দাবি।’
সংস্কার প্রসঙ্গে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের কথা অনেকেই এখন বলছেন। কিন্তু এই দেশে প্রথম সংস্কার শুরু করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। শিল্প, শিক্ষা, কৃষিসহ সব সেক্টরে তিনি সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। আজকে অনেকে অনেক কথা বলেন। তাদের বলব—দয়া করে পেছনে ফিরে দেখেন। এই দেশে যা কিছু নতুন, সংস্কার কাজ— সেটা বিএনপিই শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘পদ-গুণে বুদ্ধিমান আর কথায় শক্তিমান—তাঁরা যখন আমাদের সংস্কার বিষয়ে শিক্ষা দিতে আসেন।’
আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে গিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আমাদের চিনে রাখতে হবে য, এই আওয়ামী লীগ সেই আওয়ামী লীগ, যারা আমাদের স্বপ্নগুলোকে ধ্বংস করেছে। এ কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।’
নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি কথা মনে রাখতে হবে—আপনাদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে যে আগামী দিনে আপনারা জনগণের ভালোবাসা পাবেন কী পাবেন না।’
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুবদলের এম মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সকল অস্পষ্টতা কাটিয়ে অচিরেই নির্বাচনের রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। সেই যাত্রায় আপনাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী হচ্ছে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ। সুতরাং, জনগণের সঙ্গে থাকুন এবং জনগণকে সঙ্গে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে রোডম্যাপের বিষয়ে উপদেষ্টাদের ‘অস্বস্তি’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণার কথা শুনলেই যদি উপদেষ্টাদের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ ফুটে ওঠে, সেটি হবে অবশ্যই গণ আকাঙ্ক্ষা বিরোধী।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী করতে চাইছে, রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সরকারের আর কত মাস বা কত সময় প্রয়োজন, সেটি জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। সরকার জনগণের সামনে তাদের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণা করলে জনগণের কাছে সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রমেও গতিশীলতা বাড়বে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে যত বেশি জনগণের কাছে স্বচ্ছ থাকবে, জনগণও সরকারের প্রতি সমর্থনের হাত তত প্রসারিত রাখবে।’
চলমান নাগরিক দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনজীবনে নিত্য দুর্ভোগ কিংবা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শুধু সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে, তাহলে জনগণের কাছে সংস্কার আগে নাকি সংসার আগে—এই প্রশ্নটি মুখ্য হয়ে উঠতে পারে। দুর্ভোগ মেনে নিলেও জনগণ এখনো সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চবাচ্য করছে না। কারণ, জনগণ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরা নিজেদের সফল দেখতে চায় কি না—তা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’
সংস্কার নিয়ে বলতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মনে রাখা দরকার, জনগণ শক্তিশালী না থাকলে জাতীয় ঐক্য শক্তিশালী হয় না। রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কারের বিকল্প নেই। তবে একই সঙ্গে এটাও মনে রাখা জরুরি, কেউ স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে সংবিধান বা প্রবিধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। রাষ্ট্র এবং সরকারকে ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার থেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে সুসংবদ্ধ বিধিবিধানের চেয়ে রাষ্ট্র ও রাজনীতির প্রতিদিনের কার্যক্রমে, নাগরিক জীবনের প্রতিদিনের চালচিত্রে গণতান্ত্রিক রাজনীতি সংস্কৃতির চর্চা অত্যন্ত জরুরি। এই চর্চার মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে ফ্যাসিবাদের উপাদান দূরীভূত করা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে শুরুতেই তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজ আমাদের মাঝে এখানে ডিজিটালি অংশ নিয়েছেন। আমরা আশা করি অতি দ্রুত তিনি সশরীরে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’ বক্তব্যের শেষ প্রান্তে এসে এ প্রসঙ্গে তিনি আবার বলেন, ‘দেশের প্রত্যেক নাগরিক চায় তারেক রহমান দেশে ফিরে আসুক।’
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংস্কারের পথ সুগম করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির ৩১ দফার পরে আর কোনো সংস্কার বাকি থাকে না। আসুন আমরা ৩১ দফা কর্মসূচিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যেটা—অতি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই সংস্কারের পথকে সুগম করা। সেই কাজটা করাই হবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় কাজ, সবচেয়ে বড় দাবি।’
সংস্কার প্রসঙ্গে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের কথা অনেকেই এখন বলছেন। কিন্তু এই দেশে প্রথম সংস্কার শুরু করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। শিল্প, শিক্ষা, কৃষিসহ সব সেক্টরে তিনি সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। আজকে অনেকে অনেক কথা বলেন। তাদের বলব—দয়া করে পেছনে ফিরে দেখেন। এই দেশে যা কিছু নতুন, সংস্কার কাজ— সেটা বিএনপিই শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘পদ-গুণে বুদ্ধিমান আর কথায় শক্তিমান—তাঁরা যখন আমাদের সংস্কার বিষয়ে শিক্ষা দিতে আসেন।’
আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে গিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আমাদের চিনে রাখতে হবে য, এই আওয়ামী লীগ সেই আওয়ামী লীগ, যারা আমাদের স্বপ্নগুলোকে ধ্বংস করেছে। এ কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।’
নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি কথা মনে রাখতে হবে—আপনাদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে যে আগামী দিনে আপনারা জনগণের ভালোবাসা পাবেন কী পাবেন না।’
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুবদলের এম মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
৩ ঘণ্টা আগে
‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন না-ও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে
গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রেফারির ভূমিকায় থেকেও এক পক্ষের হয়ে গোল দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।সরকার ও দু-তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একই পক্ষে কমিশনের অবস্থান দেখা যাচ্ছে, যা রেফারির নিরপেক্ষ ভূমিকার পরিপন্থী।
আজ বুধবার দুপুরে বিএনপি আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠকে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন। ‘ফ্রম রুল বাই পাওয়ার টু রুল অব ল: ট্রানজিশন টু আ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই বৈঠক রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘গতকাল কমিশন সরকারকে যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেন, গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা কিছু সত্য আবিষ্কার করতে পেরেছেন। এত দিন তাঁরা মনে করতেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রেফারির ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু তারা যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে একজন দস্তখতকারী প্রধান উপদেষ্টাও আছেন, যিনি কমিশনের সভাপতি। ফলে এটি সরকারের পক্ষ থেকেও একধরনের অনুমোদন বা সমর্থন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন, কমিশনের প্রকাশিত ৯৪ পৃষ্ঠার দলিলে ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাক্ষরিত মূল দলিলটির হুবহু প্রতিফলন নেই। দলিলে কীভাবে ঐকমত্যে পৌঁছানো হলো বা কোনো ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) আছে কি না, তার কোনো উল্লেখ নেই।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সুপারিশে কিছু দলের প্রস্তাব ও ঐকমত্য কমিশনের চিন্তাভাবনা জাতির ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হলো, সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি দফা প্রস্তাব তফসিল আকারে সংযুক্ত করে গণভোটের কথা বলা হয়েছে, অথচ এই বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
সালাহউদ্দিন আহমদ মনে করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলো ঐক্যের পরিবর্তে জাতিকে বিভক্ত করবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বা আরপিওতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এখন অগণতান্ত্রিকভাবে বলা হয়েছে, জোটভুক্ত হলেও নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।’ এই ধরনের পরিবর্তন ‘অনৈক্য সৃষ্টি করবে’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিরপেক্ষ হওয়ার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় নিরপেক্ষভাবে আচরণ করুক। যাতে জাতি আশ্বস্ত হতে পারে এবং ঐক্য বজায় থাকে। কিন্তু ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ আমাদের হতাশ করেছে।’ তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতিতে ঐক্যের বদলে বিভাজন তৈরি হচ্ছে।’
আরও খবর পড়ুন:

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রেফারির ভূমিকায় থেকেও এক পক্ষের হয়ে গোল দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।সরকার ও দু-তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একই পক্ষে কমিশনের অবস্থান দেখা যাচ্ছে, যা রেফারির নিরপেক্ষ ভূমিকার পরিপন্থী।
আজ বুধবার দুপুরে বিএনপি আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠকে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন। ‘ফ্রম রুল বাই পাওয়ার টু রুল অব ল: ট্রানজিশন টু আ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই বৈঠক রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘গতকাল কমিশন সরকারকে যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেন, গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা কিছু সত্য আবিষ্কার করতে পেরেছেন। এত দিন তাঁরা মনে করতেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রেফারির ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু তারা যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে একজন দস্তখতকারী প্রধান উপদেষ্টাও আছেন, যিনি কমিশনের সভাপতি। ফলে এটি সরকারের পক্ষ থেকেও একধরনের অনুমোদন বা সমর্থন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন, কমিশনের প্রকাশিত ৯৪ পৃষ্ঠার দলিলে ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাক্ষরিত মূল দলিলটির হুবহু প্রতিফলন নেই। দলিলে কীভাবে ঐকমত্যে পৌঁছানো হলো বা কোনো ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) আছে কি না, তার কোনো উল্লেখ নেই।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সুপারিশে কিছু দলের প্রস্তাব ও ঐকমত্য কমিশনের চিন্তাভাবনা জাতির ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হলো, সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি দফা প্রস্তাব তফসিল আকারে সংযুক্ত করে গণভোটের কথা বলা হয়েছে, অথচ এই বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
সালাহউদ্দিন আহমদ মনে করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলো ঐক্যের পরিবর্তে জাতিকে বিভক্ত করবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বা আরপিওতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এখন অগণতান্ত্রিকভাবে বলা হয়েছে, জোটভুক্ত হলেও নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।’ এই ধরনের পরিবর্তন ‘অনৈক্য সৃষ্টি করবে’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিরপেক্ষ হওয়ার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় নিরপেক্ষভাবে আচরণ করুক। যাতে জাতি আশ্বস্ত হতে পারে এবং ঐক্য বজায় থাকে। কিন্তু ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ আমাদের হতাশ করেছে।’ তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতিতে ঐক্যের বদলে বিভাজন তৈরি হচ্ছে।’
আরও খবর পড়ুন:

নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সকল অস্পষ্টতা কাটিয়ে অচিরেই নির্বাচনের রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে আমাদের..
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন না-ও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে
গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন না-ও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তাহের।
কমনওয়েলথ ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’ প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন ড. দিনুষা পণ্ডিতরত্ন, ন্যান্সি কানিয়াগো, সার্থক রায় এবং ম্যাডোনা লিঞ্চ।
বৈঠক শেষে জামায়াত নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, আলাদাভাবেই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। কারণ, গণভোট হচ্ছে জুলাই সনদের ওপরে, রিফর্মসের ওপরে জনমত। আর জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে দেশীয় রাষ্ট্রক্ষমতা নির্ণয়ের একটা নির্বাচন। সুতরাং দুইটার চরিত্রই ভিন্ন। কোনো কারণে যদি জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে না-ও হইতে পারে—আমরা আশা করি সঠিক সময়ে ইনশাআল্লাহ হবে, তখনো তো জুলাই সনদ তো আমাদের পাস করতে হবে।’
গণভোট প্রসঙ্গে তাহের বলেন, ‘গণভোটের সঙ্গে কিছু সিদ্ধান্ত জড়িত আছে, যেমন আপার হাউস ইলেকশন। সুতরাং আপার হাউস ইলেকশন যদি হইতে হয়, মানুষ তো আগেই জানতে হবে যে আগামী নির্বাচনে আপার হাউস একটা আছে। যদি একই দিনে হয় তাহলে মানুষ তো জানবে না যে আপার হাউস পাস হচ্ছে, নাকি পাস হচ্ছে না। সুতরাং কোনো কিছু না জেনে ভোট দেবে কী করে? বলছে যে যেটা পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট হবে, সেই হারে আপার হাউস গঠিত হবে। তাহলে ভোট হয়ে যাবে আগে, আপার হাউসের জন্ম হবে পরে। তো জন্মের আগেই নাম রাখা, ছেলে না মেয়ে না জেনে, কিছুই না বুঝে—এটা তো একটা উদ্ভট টাইপের কথা।’
এ ছাড়া কমনওয়েলথ ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’-এর প্রতিনিধিরা সশস্ত্র বাহিনী (আর্মি), বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ সব এনফোর্সিং অথরিটিকে প্রতিটি কেন্দ্রে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ডেপ্লয়েড ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন বলেও জানান আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গণভোটে অংশ নিতে ভোটাররা আসবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দলগুলোই তো ভোটার আনবে, যার যার পক্ষের ভোটার। সুতরাং ভোটারের কোনো ক্রাইসিস হবে না, আকাল হবে না।’
তাহের বলেন, ‘আমরা তাদের আরও জানিয়েছি, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনকে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে, শুধু ভোট দেওয়ার স্থান (প্রাইভেসি) ছাড়া বাকি সবকিছু ক্যামেরার আওতায় রাখার পক্ষে। অনেকে এই দাবির বিরোধিতা করেছেন, তাদের নিয়তের ব্যাপারে আল্লাহই ভালো জানেন।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কমনওয়েলথসহ বিদেশি যেকোনো দেশের পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাবে জামায়াত মন্তব্য করে ব্রিফিংয়ে তাহের বলেন, ‘বৈঠকে তাঁরা জানতে চেয়েছেন, কমনওয়েলথের অবজারভার বাংলাদেশে আমরা চাই কি না। আমরা বলছি, মোস্ট ওয়েলকাম। আমরা শুধু কমনওয়েলথের অবজারভার না, যেকোনো দেশ থেকে অবজারভার যদি আসে, তাদেরই জামায়াতে ইসলামী ওয়েলকাম জানাবে।’
তাহের আরও বলেন, ‘তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ কেমন আছে দেশে? নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের প্রস্তুতি কেমন? জামায়াতে ইসলামী এই নির্বাচনের পরিবেশকে কীভাবে দেখছে? নির্বাচনে কোনো ধরনের সংকট তারা অনুভব করছে কি না এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য কী কী ধরনের প্রস্তুতি দরকার বলে জামায়াত মনে করে সে সমস্ত বিষয়ে তারা খোলামেলা আলোচনা করেছে।’
জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
আরও খবর পড়ুন:

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন না-ও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তাহের।
কমনওয়েলথ ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা এবং ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’ প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন ড. দিনুষা পণ্ডিতরত্ন, ন্যান্সি কানিয়াগো, সার্থক রায় এবং ম্যাডোনা লিঞ্চ।
বৈঠক শেষে জামায়াত নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, আলাদাভাবেই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। কারণ, গণভোট হচ্ছে জুলাই সনদের ওপরে, রিফর্মসের ওপরে জনমত। আর জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে দেশীয় রাষ্ট্রক্ষমতা নির্ণয়ের একটা নির্বাচন। সুতরাং দুইটার চরিত্রই ভিন্ন। কোনো কারণে যদি জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে না-ও হইতে পারে—আমরা আশা করি সঠিক সময়ে ইনশাআল্লাহ হবে, তখনো তো জুলাই সনদ তো আমাদের পাস করতে হবে।’
গণভোট প্রসঙ্গে তাহের বলেন, ‘গণভোটের সঙ্গে কিছু সিদ্ধান্ত জড়িত আছে, যেমন আপার হাউস ইলেকশন। সুতরাং আপার হাউস ইলেকশন যদি হইতে হয়, মানুষ তো আগেই জানতে হবে যে আগামী নির্বাচনে আপার হাউস একটা আছে। যদি একই দিনে হয় তাহলে মানুষ তো জানবে না যে আপার হাউস পাস হচ্ছে, নাকি পাস হচ্ছে না। সুতরাং কোনো কিছু না জেনে ভোট দেবে কী করে? বলছে যে যেটা পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট হবে, সেই হারে আপার হাউস গঠিত হবে। তাহলে ভোট হয়ে যাবে আগে, আপার হাউসের জন্ম হবে পরে। তো জন্মের আগেই নাম রাখা, ছেলে না মেয়ে না জেনে, কিছুই না বুঝে—এটা তো একটা উদ্ভট টাইপের কথা।’
এ ছাড়া কমনওয়েলথ ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’-এর প্রতিনিধিরা সশস্ত্র বাহিনী (আর্মি), বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ সব এনফোর্সিং অথরিটিকে প্রতিটি কেন্দ্রে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ডেপ্লয়েড ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন বলেও জানান আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গণভোটে অংশ নিতে ভোটাররা আসবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দলগুলোই তো ভোটার আনবে, যার যার পক্ষের ভোটার। সুতরাং ভোটারের কোনো ক্রাইসিস হবে না, আকাল হবে না।’
তাহের বলেন, ‘আমরা তাদের আরও জানিয়েছি, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনকে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে, শুধু ভোট দেওয়ার স্থান (প্রাইভেসি) ছাড়া বাকি সবকিছু ক্যামেরার আওতায় রাখার পক্ষে। অনেকে এই দাবির বিরোধিতা করেছেন, তাদের নিয়তের ব্যাপারে আল্লাহই ভালো জানেন।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কমনওয়েলথসহ বিদেশি যেকোনো দেশের পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাবে জামায়াত মন্তব্য করে ব্রিফিংয়ে তাহের বলেন, ‘বৈঠকে তাঁরা জানতে চেয়েছেন, কমনওয়েলথের অবজারভার বাংলাদেশে আমরা চাই কি না। আমরা বলছি, মোস্ট ওয়েলকাম। আমরা শুধু কমনওয়েলথের অবজারভার না, যেকোনো দেশ থেকে অবজারভার যদি আসে, তাদেরই জামায়াতে ইসলামী ওয়েলকাম জানাবে।’
তাহের আরও বলেন, ‘তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ কেমন আছে দেশে? নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের প্রস্তুতি কেমন? জামায়াতে ইসলামী এই নির্বাচনের পরিবেশকে কীভাবে দেখছে? নির্বাচনে কোনো ধরনের সংকট তারা অনুভব করছে কি না এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য কী কী ধরনের প্রস্তুতি দরকার বলে জামায়াত মনে করে সে সমস্ত বিষয়ে তারা খোলামেলা আলোচনা করেছে।’
জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
আরও খবর পড়ুন:

নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সকল অস্পষ্টতা কাটিয়ে অচিরেই নির্বাচনের রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে আমাদের..
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
৩ ঘণ্টা আগে
গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ড. ইউনূস, আপনি জনগণের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যেটুকু সংস্কার দরকার, সেগুলো করে নির্বাচন দেবেন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যে সংসদ হবে, সেই সংসদ সেসব সংস্কার করবে। এর বাইরে গেলে, ব্যত্যয় হলে তার দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে ড. ইউনূসের সরকারকে।’
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণের সংসদ তৈরি হলে যে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সেখানে বাস্তবায়ন করা হবে।’
নির্বাচন যত দেরিতে হচ্ছে, ফ্যাসিবাদ তত শক্তিশালী হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা অ্যানার্কি (নৈরাজ্য) দেখতে চায়, তারাই নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ড. ইউনূস, আপনি জনগণের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যেটুকু সংস্কার দরকার, সেগুলো করে নির্বাচন দেবেন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যে সংসদ হবে, সেই সংসদ সেসব সংস্কার করবে। এর বাইরে গেলে, ব্যত্যয় হলে তার দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে ড. ইউনূসের সরকারকে।’
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণের সংসদ তৈরি হলে যে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সেখানে বাস্তবায়ন করা হবে।’
নির্বাচন যত দেরিতে হচ্ছে, ফ্যাসিবাদ তত শক্তিশালী হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা অ্যানার্কি (নৈরাজ্য) দেখতে চায়, তারাই নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সকল অস্পষ্টতা কাটিয়ে অচিরেই নির্বাচনের রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে আমাদের..
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
৩ ঘণ্টা আগে
‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন না-ও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
এনসিপির দাবিগুলো পড়ে শোনান দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। দাবিগুলো হলো—
১. ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়াটি (প্রস্তাব-১) গ্রহণ করার মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগ নিতে হবে।
৩. জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তিসম্পন্ন আদেশের খসড়া সরকার গ্রহণ করলে সনদ স্বাক্ষরের ব্যাপারে অগ্রগতি তৈরি হবে বলে এনসিপি মনে করে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার দাবিতে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থেকেছে। আমরা বরাবর বলেছি জুলাই সনদ স্রেফ রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁকা বুলি ও দলিল নয়; অবশ্যই এর আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া দেখেই এনসিপি স্বাক্ষরের বিবেচনা করবে।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, এনসিপির আপোষহীন অবস্থানের ধারাবাহিকতায় গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এনসিপির অনড় অবস্থানের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ঐকমত্য কমিশনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘দুই ধরনের সংস্কারের জন্য স্বতন্ত্র বাস্তবায়ন রূপরেখা কমিশন পেশ করেছে। সংবিধান সম্পর্কিত নয় এমন সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে প্রজ্ঞাপন ও অধ্যাদেশের খসড়া কমিশন সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, কালবিলম্ব না করে অতি সত্বর এই সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।’
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, অন্তত ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব সংবিধান সম্পর্কিত। এই সংস্কারসমূহের বাস্তবায়ন রূপরেখা নিয়েই এতদিন আলাপ-আলোচনা চলছিল। সংবিধান সম্পর্কিত এ সকল সংস্কার বাস্তবায়নের নিমিত্তে কমিশন দুটি স্বতন্ত্র খসড়া সুপারিশ দিয়েছে।’
এনসিপি মনে করে, প্রথম খসড়া তথা প্রস্তাব-১ বাস্তবায়নের পথে সরকারকে যেতে হবে। কারণ এখানে ৮ (ঙ) ধারায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংবিধান সংস্কার পরিষদ কার্য সম্পন্ন করতে না পারলে সংবিধান সংস্কার বিল পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে এবং সংবিধান সংস্কার আইনরূপে কার্যকর হবে। সনদের ওপর গণভোটের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা তৈরির লক্ষ্যে এটি একটি অত্যাবশকীয় সুপারিশ যার নজির বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, কমিশন প্রস্তাবিত প্রস্তাব-২ এ ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই। যার দরুন গোটা সংস্কার কার্যক্রমই ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, প্রস্তাব-২ নয়; সরকারকে কমিশন প্রস্তাবিত প্রস্তাব-১ কে বাস্তবায়ন রূপরেখা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রস্তাব-১ এর বেশ কিছু জায়গায় ভাষিক অস্পষ্টতা বিদ্যমান যা নিরসন করতে হবে। যেমন, ৮ (ক) ধারায় বর্ণিত আগামী নির্বাচিত সভা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে নয়, ‘করিবে’—এভাবে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। ৮ (ঘ) ধারায় সংবিধান সংস্কার বিলের বিষয়াদি ‘বিবেচনা করিবে’ এক ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করে যা দূর করা প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, গণভোটে প্রদত্ত ‘সংবিধান সংস্কার বিল’-এর খসড়া দ্রুত প্রণয়ন এবং জনগণের নিকট উন্মুক্ত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন প্রমুখ।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা, সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগসহ সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
এনসিপির দাবিগুলো পড়ে শোনান দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। দাবিগুলো হলো—
১. ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়াটি (প্রস্তাব-১) গ্রহণ করার মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সংবিধান সংস্কার বিল খসড়া প্রণয়ন ও উন্মুক্তকরণের উদ্যোগ নিতে হবে।
৩. জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তিসম্পন্ন আদেশের খসড়া সরকার গ্রহণ করলে সনদ স্বাক্ষরের ব্যাপারে অগ্রগতি তৈরি হবে বলে এনসিপি মনে করে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার দাবিতে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থেকেছে। আমরা বরাবর বলেছি জুলাই সনদ স্রেফ রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁকা বুলি ও দলিল নয়; অবশ্যই এর আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া দেখেই এনসিপি স্বাক্ষরের বিবেচনা করবে।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, এনসিপির আপোষহীন অবস্থানের ধারাবাহিকতায় গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এনসিপির অনড় অবস্থানের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ঐকমত্য কমিশনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘দুই ধরনের সংস্কারের জন্য স্বতন্ত্র বাস্তবায়ন রূপরেখা কমিশন পেশ করেছে। সংবিধান সম্পর্কিত নয় এমন সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে প্রজ্ঞাপন ও অধ্যাদেশের খসড়া কমিশন সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, কালবিলম্ব না করে অতি সত্বর এই সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।’
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, অন্তত ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব সংবিধান সম্পর্কিত। এই সংস্কারসমূহের বাস্তবায়ন রূপরেখা নিয়েই এতদিন আলাপ-আলোচনা চলছিল। সংবিধান সম্পর্কিত এ সকল সংস্কার বাস্তবায়নের নিমিত্তে কমিশন দুটি স্বতন্ত্র খসড়া সুপারিশ দিয়েছে।’
এনসিপি মনে করে, প্রথম খসড়া তথা প্রস্তাব-১ বাস্তবায়নের পথে সরকারকে যেতে হবে। কারণ এখানে ৮ (ঙ) ধারায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংবিধান সংস্কার পরিষদ কার্য সম্পন্ন করতে না পারলে সংবিধান সংস্কার বিল পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে এবং সংবিধান সংস্কার আইনরূপে কার্যকর হবে। সনদের ওপর গণভোটের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা তৈরির লক্ষ্যে এটি একটি অত্যাবশকীয় সুপারিশ যার নজির বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, কমিশন প্রস্তাবিত প্রস্তাব-২ এ ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই। যার দরুন গোটা সংস্কার কার্যক্রমই ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, প্রস্তাব-২ নয়; সরকারকে কমিশন প্রস্তাবিত প্রস্তাব-১ কে বাস্তবায়ন রূপরেখা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রস্তাব-১ এর বেশ কিছু জায়গায় ভাষিক অস্পষ্টতা বিদ্যমান যা নিরসন করতে হবে। যেমন, ৮ (ক) ধারায় বর্ণিত আগামী নির্বাচিত সভা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে নয়, ‘করিবে’—এভাবে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। ৮ (ঘ) ধারায় সংবিধান সংস্কার বিলের বিষয়াদি ‘বিবেচনা করিবে’ এক ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করে যা দূর করা প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, গণভোটে প্রদত্ত ‘সংবিধান সংস্কার বিল’-এর খসড়া দ্রুত প্রণয়ন এবং জনগণের নিকট উন্মুক্ত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন প্রমুখ।

নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সকল অস্পষ্টতা কাটিয়ে অচিরেই নির্বাচনের রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে আমাদের..
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
‘রেফারিকে আমরা কখনো গোল দিতে দেখিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন, সরকার এবং আরও দু-তিনটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ।’
৩ ঘণ্টা আগে
‘কোনো কারণে তো সঠিক সময়ে নির্বাচন না-ও হতে পারে! তখনো তো জুলাই সনদ পাস করতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রশ্নে আলাদা করে গণভোট দিতে হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে
গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগে