আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেন, তখন তাঁদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ‘স্বজনপ্রীতি এবং দুই দলের আধিপত্য’ থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে লড়াই করছে ছাত্র নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলটিকে বিশাল নেটওয়ার্ক ও ব্যাপক সম্পদশালী শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এনসিপির প্রধান (আহ্বায়ক) নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংগঠন দুর্বল। কারণ, গড়ে তোলার জন্য আমরা যথেষ্ট সময় পাইনি।’ নাহিদ ইসলাম গত বছর রক্তক্ষয়ী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিচিত মুখ এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্বও পালন করেছেন।
২৭ বছর বয়সী নাহিদ রাজধানী ঢাকার একটি সুউচ্চ ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বসে এসব কথা বলেন। সেই কার্যালয়ের দেয়ালজুড়ে ছিল জনতার বিদ্রোহের গ্রাফিতি। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা এটা সম্পর্কে অবগত, তবুও আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।’
জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়া এনসিপির সমর্থন মাত্র ৬ শতাংশ, যা তাদের জনসমর্থনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৩০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছে। এমনকি ইসলামপন্থী জামায়াতে ইসলামীও এনসিপির চেয়ে ভালো করবে বলে বলছে জরিপ। ডিসেম্বরে ইউএস-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটে করা একটি জরিপে দেখা গেছে, জামায়াত ২৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ২৫ বছর বয়সী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, ‘যখন তারা প্রথম শুরু করেছিল, তখন আমি সবার মতোই তাদের মধ্যে আশা দেখেছিলাম।’ তিনি কয়েক দশকের প্রধান দুই দলের শাসনের অবসান ঘটাতে এই নবাগত দলটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন বলছেন তিনি হতাশ হয়েছেন। এই নারীবাদী কর্মী আরও যোগ করেন, ‘তারা নিজেদের মধ্যপন্থী বললেও তাদের কাজের সঙ্গে তার মিল নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন সংখ্যালঘু অধিকার বা নারীর অধিকার, এই সব বিষয়ে তারা অবস্থান নিতে দ্বিধা করে। আর যখন নেয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।’
অসন্তোষ বাড়ার আরেকটি লক্ষণ হলো, সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দলটির একটিও আসনে জিততে না পারা। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ই ছিল সেই বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দু, যা হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে পালাতে বাধ্য করেছিল।
এনসিপির নেতারা বলছেন, দুর্বল কাঠামো, তহবিলের অভাব এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের মতো প্রধান বিষয়গুলোতে অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে এনসিপি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা রয়টার্সকে ঝুঁকির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘যদি আমরা এককভাবে দাঁড়াই, তবে একটি আসনও না জেতার আশঙ্কা রয়েছে।’
অন্যদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, জোট করলে দলটির ‘বিপ্লবী’ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকাভিত্তিক লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘যদি তারা জোট করে, তবে জনগণ তাদের আর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরের একটি স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে দেখবে না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং এনসিপির আরেক নেতা নাম প্রকাশ না করে জানান, হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিদ্রোহটি দল-মতনির্বিশেষে ছাত্রদের সাময়িকভাবে ঐক্যবদ্ধ করলেও বেশির ভাগই পরে নিজ নিজ গ্রুপে ফিরে যায়, ফলে এনসিপি গঠনের জন্য মাত্র একটি ছোট অংশ অবশিষ্ট থাকে। এখন দলটি দীর্ঘদিনের সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্ক ও সুসংগঠিত সম্পদ নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দলকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বাধা—অর্থ। দলের কর্মী-সদস্যদের পূর্ণকালীন চাকরি থেকে পাওয়া বেতন, ছোট অনুদান এবং গণতহবিল সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে তাদের প্রচারণা চালু রাখছে দলটি।
আবার অনেকে দলের ২৮ বছর বয়সী হাসনাত আবদুল্লাহর মতো গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন। তিনি যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন, সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি লোকজনকে বলি যে আমার পকেটে কোনো টাকা নেই। আমি তাঁদের বলেছি, একজন নেতার প্রধান কাজ ভোটারদের টাকা দেওয়া নয়, বরং সরকারি তহবিল যেন সঠিকভাবে বরাদ্দ ও ব্যবহৃত হয় তা নিশ্চিত করা।’
তবে কিছু এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যা দলটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিজেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতিতে বিশ্বাসী বলে দাবি করেছে, তাদের ভাবমূর্তিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবু কিছু তরুণ এখনো এই দলটিকে সমর্থনে আগ্রহী। তাঁরা দলটিকে টাকা, পেশিশক্তি ও পরিবারতান্ত্রিক ক্ষমতার দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি আরও সমতাবাদী সংস্কৃতির জন্য সংগ্রাম হিসেবে দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী এবং এনসিপির এমন একজন সমর্থক মঞ্জিলা রহমান। তিনি বলেন, ‘তারা তরুণ, তারা বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আমি আশাবাদী যে তারা পরিবর্তন আনতে পারবে—যদি না তারা নিজেরাই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।’
এনসিপি গত নভেম্বরে প্রার্থী অনুসন্ধানে এক ভিন্ন পথে হেঁটেছিল। সে সময় তারা দুদিন ধরে দেশজুড়ে ১ হাজার জনের বেশি সাধারণ নাগরিক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেয়। তরুণ দলীয় নেতারা বুথ থেকে বুথে ঘুরে প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন। এই প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন এক রিকশাচালকও। তিনি এই পরীক্ষার জন্য একদিন তাঁর কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানো ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রও এই পরীক্ষায় অংশ নেন।
৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ সুজন খান বলেন, ‘কেউ কেউ হয়তো মনে করতে পারেন যে, একজন রিকশাচালকের সংসদে দেওয়ার মতো কিছু নেই। আমাকে একটি সুযোগ দিন এবং দেখুন আমি দেশ পরিবর্তন করতে কী করি।’
এ ধরনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এনসিপি নেত্রী ডা. তাসনিম জারাকে আকৃষ্ট করে। তিনি কেমব্রিজে তাঁর সফল কর্মজীবন ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন, যাতে শুরু থেকেই এটি গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতিকে ক্ষমতাবান পরিবারগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চাই এবং সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চাই।’
বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গুরুত্ব দেখছেন। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভবিষ্যতে তরুণেরাই রাজনীতিতে আধিপত্য করবে, তাই আমরা যদি তাদের সংসদে জায়গা দিতে পারি, তবে তা ভালো হবে।’
এনসিপি নেতারা বলছেন যে তারা কেবল আসন্ন ভোট নিয়ে নয়, দীর্ঘ মেয়াদে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের কথা ভাবছেন। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘জিতি বা হারি, শুধু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই আমরা নতুন কিছু আনার প্রস্তাব করছি।’

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেন, তখন তাঁদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ‘স্বজনপ্রীতি এবং দুই দলের আধিপত্য’ থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে লড়াই করছে ছাত্র নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলটিকে বিশাল নেটওয়ার্ক ও ব্যাপক সম্পদশালী শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এনসিপির প্রধান (আহ্বায়ক) নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংগঠন দুর্বল। কারণ, গড়ে তোলার জন্য আমরা যথেষ্ট সময় পাইনি।’ নাহিদ ইসলাম গত বছর রক্তক্ষয়ী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিচিত মুখ এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্বও পালন করেছেন।
২৭ বছর বয়সী নাহিদ রাজধানী ঢাকার একটি সুউচ্চ ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বসে এসব কথা বলেন। সেই কার্যালয়ের দেয়ালজুড়ে ছিল জনতার বিদ্রোহের গ্রাফিতি। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা এটা সম্পর্কে অবগত, তবুও আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।’
জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়া এনসিপির সমর্থন মাত্র ৬ শতাংশ, যা তাদের জনসমর্থনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৩০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছে। এমনকি ইসলামপন্থী জামায়াতে ইসলামীও এনসিপির চেয়ে ভালো করবে বলে বলছে জরিপ। ডিসেম্বরে ইউএস-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটে করা একটি জরিপে দেখা গেছে, জামায়াত ২৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ২৫ বছর বয়সী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, ‘যখন তারা প্রথম শুরু করেছিল, তখন আমি সবার মতোই তাদের মধ্যে আশা দেখেছিলাম।’ তিনি কয়েক দশকের প্রধান দুই দলের শাসনের অবসান ঘটাতে এই নবাগত দলটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন বলছেন তিনি হতাশ হয়েছেন। এই নারীবাদী কর্মী আরও যোগ করেন, ‘তারা নিজেদের মধ্যপন্থী বললেও তাদের কাজের সঙ্গে তার মিল নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন সংখ্যালঘু অধিকার বা নারীর অধিকার, এই সব বিষয়ে তারা অবস্থান নিতে দ্বিধা করে। আর যখন নেয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।’
অসন্তোষ বাড়ার আরেকটি লক্ষণ হলো, সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দলটির একটিও আসনে জিততে না পারা। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ই ছিল সেই বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দু, যা হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে পালাতে বাধ্য করেছিল।
এনসিপির নেতারা বলছেন, দুর্বল কাঠামো, তহবিলের অভাব এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের মতো প্রধান বিষয়গুলোতে অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে এনসিপি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা রয়টার্সকে ঝুঁকির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘যদি আমরা এককভাবে দাঁড়াই, তবে একটি আসনও না জেতার আশঙ্কা রয়েছে।’
অন্যদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, জোট করলে দলটির ‘বিপ্লবী’ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকাভিত্তিক লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘যদি তারা জোট করে, তবে জনগণ তাদের আর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরের একটি স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে দেখবে না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং এনসিপির আরেক নেতা নাম প্রকাশ না করে জানান, হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিদ্রোহটি দল-মতনির্বিশেষে ছাত্রদের সাময়িকভাবে ঐক্যবদ্ধ করলেও বেশির ভাগই পরে নিজ নিজ গ্রুপে ফিরে যায়, ফলে এনসিপি গঠনের জন্য মাত্র একটি ছোট অংশ অবশিষ্ট থাকে। এখন দলটি দীর্ঘদিনের সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্ক ও সুসংগঠিত সম্পদ নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দলকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বাধা—অর্থ। দলের কর্মী-সদস্যদের পূর্ণকালীন চাকরি থেকে পাওয়া বেতন, ছোট অনুদান এবং গণতহবিল সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে তাদের প্রচারণা চালু রাখছে দলটি।
আবার অনেকে দলের ২৮ বছর বয়সী হাসনাত আবদুল্লাহর মতো গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন। তিনি যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন, সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি লোকজনকে বলি যে আমার পকেটে কোনো টাকা নেই। আমি তাঁদের বলেছি, একজন নেতার প্রধান কাজ ভোটারদের টাকা দেওয়া নয়, বরং সরকারি তহবিল যেন সঠিকভাবে বরাদ্দ ও ব্যবহৃত হয় তা নিশ্চিত করা।’
তবে কিছু এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যা দলটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিজেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতিতে বিশ্বাসী বলে দাবি করেছে, তাদের ভাবমূর্তিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবু কিছু তরুণ এখনো এই দলটিকে সমর্থনে আগ্রহী। তাঁরা দলটিকে টাকা, পেশিশক্তি ও পরিবারতান্ত্রিক ক্ষমতার দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি আরও সমতাবাদী সংস্কৃতির জন্য সংগ্রাম হিসেবে দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী এবং এনসিপির এমন একজন সমর্থক মঞ্জিলা রহমান। তিনি বলেন, ‘তারা তরুণ, তারা বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আমি আশাবাদী যে তারা পরিবর্তন আনতে পারবে—যদি না তারা নিজেরাই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।’
এনসিপি গত নভেম্বরে প্রার্থী অনুসন্ধানে এক ভিন্ন পথে হেঁটেছিল। সে সময় তারা দুদিন ধরে দেশজুড়ে ১ হাজার জনের বেশি সাধারণ নাগরিক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেয়। তরুণ দলীয় নেতারা বুথ থেকে বুথে ঘুরে প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন। এই প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন এক রিকশাচালকও। তিনি এই পরীক্ষার জন্য একদিন তাঁর কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানো ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রও এই পরীক্ষায় অংশ নেন।
৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ সুজন খান বলেন, ‘কেউ কেউ হয়তো মনে করতে পারেন যে, একজন রিকশাচালকের সংসদে দেওয়ার মতো কিছু নেই। আমাকে একটি সুযোগ দিন এবং দেখুন আমি দেশ পরিবর্তন করতে কী করি।’
এ ধরনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এনসিপি নেত্রী ডা. তাসনিম জারাকে আকৃষ্ট করে। তিনি কেমব্রিজে তাঁর সফল কর্মজীবন ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন, যাতে শুরু থেকেই এটি গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতিকে ক্ষমতাবান পরিবারগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চাই এবং সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চাই।’
বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গুরুত্ব দেখছেন। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভবিষ্যতে তরুণেরাই রাজনীতিতে আধিপত্য করবে, তাই আমরা যদি তাদের সংসদে জায়গা দিতে পারি, তবে তা ভালো হবে।’
এনসিপি নেতারা বলছেন যে তারা কেবল আসন্ন ভোট নিয়ে নয়, দীর্ঘ মেয়াদে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের কথা ভাবছেন। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘জিতি বা হারি, শুধু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই আমরা নতুন কিছু আনার প্রস্তাব করছি।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেন, তখন তাঁদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ‘স্বজনপ্রীতি এবং দুই দলের আধিপত্য’ থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে লড়াই করছে ছাত্র নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলটিকে বিশাল নেটওয়ার্ক ও ব্যাপক সম্পদশালী শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এনসিপির প্রধান (আহ্বায়ক) নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংগঠন দুর্বল। কারণ, গড়ে তোলার জন্য আমরা যথেষ্ট সময় পাইনি।’ নাহিদ ইসলাম গত বছর রক্তক্ষয়ী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিচিত মুখ এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্বও পালন করেছেন।
২৭ বছর বয়সী নাহিদ রাজধানী ঢাকার একটি সুউচ্চ ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বসে এসব কথা বলেন। সেই কার্যালয়ের দেয়ালজুড়ে ছিল জনতার বিদ্রোহের গ্রাফিতি। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা এটা সম্পর্কে অবগত, তবুও আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।’
জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়া এনসিপির সমর্থন মাত্র ৬ শতাংশ, যা তাদের জনসমর্থনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৩০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছে। এমনকি ইসলামপন্থী জামায়াতে ইসলামীও এনসিপির চেয়ে ভালো করবে বলে বলছে জরিপ। ডিসেম্বরে ইউএস-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটে করা একটি জরিপে দেখা গেছে, জামায়াত ২৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ২৫ বছর বয়সী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, ‘যখন তারা প্রথম শুরু করেছিল, তখন আমি সবার মতোই তাদের মধ্যে আশা দেখেছিলাম।’ তিনি কয়েক দশকের প্রধান দুই দলের শাসনের অবসান ঘটাতে এই নবাগত দলটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন বলছেন তিনি হতাশ হয়েছেন। এই নারীবাদী কর্মী আরও যোগ করেন, ‘তারা নিজেদের মধ্যপন্থী বললেও তাদের কাজের সঙ্গে তার মিল নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন সংখ্যালঘু অধিকার বা নারীর অধিকার, এই সব বিষয়ে তারা অবস্থান নিতে দ্বিধা করে। আর যখন নেয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।’
অসন্তোষ বাড়ার আরেকটি লক্ষণ হলো, সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দলটির একটিও আসনে জিততে না পারা। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ই ছিল সেই বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দু, যা হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে পালাতে বাধ্য করেছিল।
এনসিপির নেতারা বলছেন, দুর্বল কাঠামো, তহবিলের অভাব এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের মতো প্রধান বিষয়গুলোতে অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে এনসিপি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা রয়টার্সকে ঝুঁকির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘যদি আমরা এককভাবে দাঁড়াই, তবে একটি আসনও না জেতার আশঙ্কা রয়েছে।’
অন্যদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, জোট করলে দলটির ‘বিপ্লবী’ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকাভিত্তিক লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘যদি তারা জোট করে, তবে জনগণ তাদের আর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরের একটি স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে দেখবে না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং এনসিপির আরেক নেতা নাম প্রকাশ না করে জানান, হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিদ্রোহটি দল-মতনির্বিশেষে ছাত্রদের সাময়িকভাবে ঐক্যবদ্ধ করলেও বেশির ভাগই পরে নিজ নিজ গ্রুপে ফিরে যায়, ফলে এনসিপি গঠনের জন্য মাত্র একটি ছোট অংশ অবশিষ্ট থাকে। এখন দলটি দীর্ঘদিনের সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্ক ও সুসংগঠিত সম্পদ নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দলকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বাধা—অর্থ। দলের কর্মী-সদস্যদের পূর্ণকালীন চাকরি থেকে পাওয়া বেতন, ছোট অনুদান এবং গণতহবিল সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে তাদের প্রচারণা চালু রাখছে দলটি।
আবার অনেকে দলের ২৮ বছর বয়সী হাসনাত আবদুল্লাহর মতো গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন। তিনি যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন, সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি লোকজনকে বলি যে আমার পকেটে কোনো টাকা নেই। আমি তাঁদের বলেছি, একজন নেতার প্রধান কাজ ভোটারদের টাকা দেওয়া নয়, বরং সরকারি তহবিল যেন সঠিকভাবে বরাদ্দ ও ব্যবহৃত হয় তা নিশ্চিত করা।’
তবে কিছু এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যা দলটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিজেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতিতে বিশ্বাসী বলে দাবি করেছে, তাদের ভাবমূর্তিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবু কিছু তরুণ এখনো এই দলটিকে সমর্থনে আগ্রহী। তাঁরা দলটিকে টাকা, পেশিশক্তি ও পরিবারতান্ত্রিক ক্ষমতার দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি আরও সমতাবাদী সংস্কৃতির জন্য সংগ্রাম হিসেবে দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী এবং এনসিপির এমন একজন সমর্থক মঞ্জিলা রহমান। তিনি বলেন, ‘তারা তরুণ, তারা বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আমি আশাবাদী যে তারা পরিবর্তন আনতে পারবে—যদি না তারা নিজেরাই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।’
এনসিপি গত নভেম্বরে প্রার্থী অনুসন্ধানে এক ভিন্ন পথে হেঁটেছিল। সে সময় তারা দুদিন ধরে দেশজুড়ে ১ হাজার জনের বেশি সাধারণ নাগরিক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেয়। তরুণ দলীয় নেতারা বুথ থেকে বুথে ঘুরে প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন। এই প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন এক রিকশাচালকও। তিনি এই পরীক্ষার জন্য একদিন তাঁর কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানো ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রও এই পরীক্ষায় অংশ নেন।
৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ সুজন খান বলেন, ‘কেউ কেউ হয়তো মনে করতে পারেন যে, একজন রিকশাচালকের সংসদে দেওয়ার মতো কিছু নেই। আমাকে একটি সুযোগ দিন এবং দেখুন আমি দেশ পরিবর্তন করতে কী করি।’
এ ধরনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এনসিপি নেত্রী ডা. তাসনিম জারাকে আকৃষ্ট করে। তিনি কেমব্রিজে তাঁর সফল কর্মজীবন ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন, যাতে শুরু থেকেই এটি গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতিকে ক্ষমতাবান পরিবারগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চাই এবং সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চাই।’
বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গুরুত্ব দেখছেন। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভবিষ্যতে তরুণেরাই রাজনীতিতে আধিপত্য করবে, তাই আমরা যদি তাদের সংসদে জায়গা দিতে পারি, তবে তা ভালো হবে।’
এনসিপি নেতারা বলছেন যে তারা কেবল আসন্ন ভোট নিয়ে নয়, দীর্ঘ মেয়াদে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের কথা ভাবছেন। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘জিতি বা হারি, শুধু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই আমরা নতুন কিছু আনার প্রস্তাব করছি।’

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেন, তখন তাঁদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ‘স্বজনপ্রীতি এবং দুই দলের আধিপত্য’ থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে লড়াই করছে ছাত্র নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলটিকে বিশাল নেটওয়ার্ক ও ব্যাপক সম্পদশালী শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এনসিপির প্রধান (আহ্বায়ক) নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংগঠন দুর্বল। কারণ, গড়ে তোলার জন্য আমরা যথেষ্ট সময় পাইনি।’ নাহিদ ইসলাম গত বছর রক্তক্ষয়ী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিচিত মুখ এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্বও পালন করেছেন।
২৭ বছর বয়সী নাহিদ রাজধানী ঢাকার একটি সুউচ্চ ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বসে এসব কথা বলেন। সেই কার্যালয়ের দেয়ালজুড়ে ছিল জনতার বিদ্রোহের গ্রাফিতি। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা এটা সম্পর্কে অবগত, তবুও আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।’
জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়া এনসিপির সমর্থন মাত্র ৬ শতাংশ, যা তাদের জনসমর্থনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৩০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছে। এমনকি ইসলামপন্থী জামায়াতে ইসলামীও এনসিপির চেয়ে ভালো করবে বলে বলছে জরিপ। ডিসেম্বরে ইউএস-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটে করা একটি জরিপে দেখা গেছে, জামায়াত ২৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ২৫ বছর বয়সী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, ‘যখন তারা প্রথম শুরু করেছিল, তখন আমি সবার মতোই তাদের মধ্যে আশা দেখেছিলাম।’ তিনি কয়েক দশকের প্রধান দুই দলের শাসনের অবসান ঘটাতে এই নবাগত দলটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন বলছেন তিনি হতাশ হয়েছেন। এই নারীবাদী কর্মী আরও যোগ করেন, ‘তারা নিজেদের মধ্যপন্থী বললেও তাদের কাজের সঙ্গে তার মিল নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন সংখ্যালঘু অধিকার বা নারীর অধিকার, এই সব বিষয়ে তারা অবস্থান নিতে দ্বিধা করে। আর যখন নেয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।’
অসন্তোষ বাড়ার আরেকটি লক্ষণ হলো, সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দলটির একটিও আসনে জিততে না পারা। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ই ছিল সেই বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দু, যা হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে পালাতে বাধ্য করেছিল।
এনসিপির নেতারা বলছেন, দুর্বল কাঠামো, তহবিলের অভাব এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের মতো প্রধান বিষয়গুলোতে অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে এনসিপি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা রয়টার্সকে ঝুঁকির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘যদি আমরা এককভাবে দাঁড়াই, তবে একটি আসনও না জেতার আশঙ্কা রয়েছে।’
অন্যদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, জোট করলে দলটির ‘বিপ্লবী’ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকাভিত্তিক লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘যদি তারা জোট করে, তবে জনগণ তাদের আর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরের একটি স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে দেখবে না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং এনসিপির আরেক নেতা নাম প্রকাশ না করে জানান, হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিদ্রোহটি দল-মতনির্বিশেষে ছাত্রদের সাময়িকভাবে ঐক্যবদ্ধ করলেও বেশির ভাগই পরে নিজ নিজ গ্রুপে ফিরে যায়, ফলে এনসিপি গঠনের জন্য মাত্র একটি ছোট অংশ অবশিষ্ট থাকে। এখন দলটি দীর্ঘদিনের সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্ক ও সুসংগঠিত সম্পদ নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দলকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বাধা—অর্থ। দলের কর্মী-সদস্যদের পূর্ণকালীন চাকরি থেকে পাওয়া বেতন, ছোট অনুদান এবং গণতহবিল সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে তাদের প্রচারণা চালু রাখছে দলটি।
আবার অনেকে দলের ২৮ বছর বয়সী হাসনাত আবদুল্লাহর মতো গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন। তিনি যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন, সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি লোকজনকে বলি যে আমার পকেটে কোনো টাকা নেই। আমি তাঁদের বলেছি, একজন নেতার প্রধান কাজ ভোটারদের টাকা দেওয়া নয়, বরং সরকারি তহবিল যেন সঠিকভাবে বরাদ্দ ও ব্যবহৃত হয় তা নিশ্চিত করা।’
তবে কিছু এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যা দলটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিজেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতিতে বিশ্বাসী বলে দাবি করেছে, তাদের ভাবমূর্তিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবু কিছু তরুণ এখনো এই দলটিকে সমর্থনে আগ্রহী। তাঁরা দলটিকে টাকা, পেশিশক্তি ও পরিবারতান্ত্রিক ক্ষমতার দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি আরও সমতাবাদী সংস্কৃতির জন্য সংগ্রাম হিসেবে দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী এবং এনসিপির এমন একজন সমর্থক মঞ্জিলা রহমান। তিনি বলেন, ‘তারা তরুণ, তারা বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আমি আশাবাদী যে তারা পরিবর্তন আনতে পারবে—যদি না তারা নিজেরাই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।’
এনসিপি গত নভেম্বরে প্রার্থী অনুসন্ধানে এক ভিন্ন পথে হেঁটেছিল। সে সময় তারা দুদিন ধরে দেশজুড়ে ১ হাজার জনের বেশি সাধারণ নাগরিক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেয়। তরুণ দলীয় নেতারা বুথ থেকে বুথে ঘুরে প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন। এই প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন এক রিকশাচালকও। তিনি এই পরীক্ষার জন্য একদিন তাঁর কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানো ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রও এই পরীক্ষায় অংশ নেন।
৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ সুজন খান বলেন, ‘কেউ কেউ হয়তো মনে করতে পারেন যে, একজন রিকশাচালকের সংসদে দেওয়ার মতো কিছু নেই। আমাকে একটি সুযোগ দিন এবং দেখুন আমি দেশ পরিবর্তন করতে কী করি।’
এ ধরনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এনসিপি নেত্রী ডা. তাসনিম জারাকে আকৃষ্ট করে। তিনি কেমব্রিজে তাঁর সফল কর্মজীবন ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন, যাতে শুরু থেকেই এটি গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতিকে ক্ষমতাবান পরিবারগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চাই এবং সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চাই।’
বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গুরুত্ব দেখছেন। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভবিষ্যতে তরুণেরাই রাজনীতিতে আধিপত্য করবে, তাই আমরা যদি তাদের সংসদে জায়গা দিতে পারি, তবে তা ভালো হবে।’
এনসিপি নেতারা বলছেন যে তারা কেবল আসন্ন ভোট নিয়ে নয়, দীর্ঘ মেয়াদে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের কথা ভাবছেন। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘জিতি বা হারি, শুধু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমেই আমরা নতুন কিছু আনার প্রস্তাব করছি।’

আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (একাংশ) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) কয়েকটি দলের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দিয়েছে। এই জোটের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আগামী সোমবার (৮ ডিসেম্বর)...
১০ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃশাসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর নানা নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ আনেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেছেন, ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে হয়নি। ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান হয়েছিল। যে রাজনৈতিক দল দেশকে স্বাধীন করে, তারাই দেশের প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়ে যায়। কিন্তু আমরা স্বাধীনতার পর সেই সুযোগ হারিয়েছি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুরোপুরি এগিয়ে
১৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেছেন, ‘তফসিল নিয়ে ইসি (নির্বাচন কমিশন) সিদ্ধান্ত নেবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের মূল ব্যক্তির সুস্থতার ব্যাপার আছে। আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর তফসিল হোক।’
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (একাংশ) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) কয়েকটি দলের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দিয়েছে। এই জোটের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আগামী সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ইমানুয়েলস পার্টি সেন্টারে (বাড়ি-৮, রোড-১৩৫, গুলশান-১, ঢাকা) একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ জোটভুক্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভাপতিরা।
এর আগে গত রোববার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে এক মতবিনিময় সভায় এ জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত এ জোটে জাপা-জেপি ছাড়া আরও ১৪টি রাজনৈতিক দল রয়েছে বলে জানা গেছে।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে। এ ছাড়া আত্মপ্রকাশের আগে জোটের অন্তর্ভুক্ত সব দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সমন্বয়ে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়।

আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (একাংশ) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) কয়েকটি দলের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দিয়েছে। এই জোটের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আগামী সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ইমানুয়েলস পার্টি সেন্টারে (বাড়ি-৮, রোড-১৩৫, গুলশান-১, ঢাকা) একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ জোটভুক্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভাপতিরা।
এর আগে গত রোববার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে এক মতবিনিময় সভায় এ জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত এ জোটে জাপা-জেপি ছাড়া আরও ১৪টি রাজনৈতিক দল রয়েছে বলে জানা গেছে।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে। এ ছাড়া আত্মপ্রকাশের আগে জোটের অন্তর্ভুক্ত সব দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সমন্বয়ে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়।

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেয়, তখন তাদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
২ দিন আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃশাসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর নানা নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ আনেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেছেন, ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে হয়নি। ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান হয়েছিল। যে রাজনৈতিক দল দেশকে স্বাধীন করে, তারাই দেশের প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়ে যায়। কিন্তু আমরা স্বাধীনতার পর সেই সুযোগ হারিয়েছি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুরোপুরি এগিয়ে
১৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেছেন, ‘তফসিল নিয়ে ইসি (নির্বাচন কমিশন) সিদ্ধান্ত নেবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের মূল ব্যক্তির সুস্থতার ব্যাপার আছে। আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর তফসিল হোক।’
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃশাসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর নানা নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ আনেন। স্বৈরাচার পতন দিবসকে সামনে রেখে এই পোস্ট করেন তারেক রহমান।
ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, ‘অবিস্মরণীয় একটি দিন ৬ ডিসেম্বর। ১৯৯০ সালের এ দিনে রক্তাক্ত পিচ্ছিল পথে অবসান হয়েছিল স্বৈরশাসনের। এরশাদ ৮২’র ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙে অস্ত্রের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র হত্যা করে জারি করেছিল অসাংবিধানিক শাসন। যে সাংবিধানিক রাজনীতি ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা, যার সূচনা করেছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। একনায়ক হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন।’

পোস্টে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খালেদা জিয়ার অবদান উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় বছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে আপসহীন নেত্রী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। গড়ে তুলেন এক দুর্বার গণ-আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘৯০-এর ৬ ডিসেম্বর এই দিনে ছাত্র-জনতার মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল গণতন্ত্র। সেই অর্জিত গণতন্ত্রের চেতনায় আবারও ছাত্র-জনতা ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট এক হিংস্র ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ছিল গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসনের অবসানের পর আবারও গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ পুনরুজ্জীবন এবং রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের নিরলস সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার দুঃশাসনে ‘‘গণতন্ত্রের মা” দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর জেল-জুলুমসহ নানামাত্রিক নিপীড়ন নামিয়ে আনা হয়েছিল। অবিরাম নির্যাতনের কশাঘাতে অসুস্থ দেশনেত্রীর জীবন এখন চরম সংকটে। আল্লাহর কাছে তাঁর আশু সুস্থতা কামনা করছি। এ ছাড়া দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছিল। সারা দেশকে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমি ‘৮২ থেকে ‘৯০ পর্যন্ত রক্তস্নাত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এ স্মরণীয় দিনে আমি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী গণতন্ত্রের হেফাজতকারী দেশবাসীকে।’
স্বৈরাচার পতন দিবসে গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রবিরোধী পরাজিত শক্তির যাতে আর পুনরুত্থান না ঘটে সে জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃশাসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর নানা নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ আনেন। স্বৈরাচার পতন দিবসকে সামনে রেখে এই পোস্ট করেন তারেক রহমান।
ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, ‘অবিস্মরণীয় একটি দিন ৬ ডিসেম্বর। ১৯৯০ সালের এ দিনে রক্তাক্ত পিচ্ছিল পথে অবসান হয়েছিল স্বৈরশাসনের। এরশাদ ৮২’র ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙে অস্ত্রের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র হত্যা করে জারি করেছিল অসাংবিধানিক শাসন। যে সাংবিধানিক রাজনীতি ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা, যার সূচনা করেছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। একনায়ক হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন।’

পোস্টে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খালেদা জিয়ার অবদান উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় বছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে আপসহীন নেত্রী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। গড়ে তুলেন এক দুর্বার গণ-আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘৯০-এর ৬ ডিসেম্বর এই দিনে ছাত্র-জনতার মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল গণতন্ত্র। সেই অর্জিত গণতন্ত্রের চেতনায় আবারও ছাত্র-জনতা ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট এক হিংস্র ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ছিল গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসনের অবসানের পর আবারও গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ পুনরুজ্জীবন এবং রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের নিরলস সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার দুঃশাসনে ‘‘গণতন্ত্রের মা” দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর জেল-জুলুমসহ নানামাত্রিক নিপীড়ন নামিয়ে আনা হয়েছিল। অবিরাম নির্যাতনের কশাঘাতে অসুস্থ দেশনেত্রীর জীবন এখন চরম সংকটে। আল্লাহর কাছে তাঁর আশু সুস্থতা কামনা করছি। এ ছাড়া দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছিল। সারা দেশকে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমি ‘৮২ থেকে ‘৯০ পর্যন্ত রক্তস্নাত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এ স্মরণীয় দিনে আমি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী গণতন্ত্রের হেফাজতকারী দেশবাসীকে।’
স্বৈরাচার পতন দিবসে গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রবিরোধী পরাজিত শক্তির যাতে আর পুনরুত্থান না ঘটে সে জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেয়, তখন তাদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
২ দিন আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (একাংশ) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) কয়েকটি দলের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দিয়েছে। এই জোটের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আগামী সোমবার (৮ ডিসেম্বর)...
১০ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেছেন, ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে হয়নি। ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান হয়েছিল। যে রাজনৈতিক দল দেশকে স্বাধীন করে, তারাই দেশের প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়ে যায়। কিন্তু আমরা স্বাধীনতার পর সেই সুযোগ হারিয়েছি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুরোপুরি এগিয়ে
১৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেছেন, ‘তফসিল নিয়ে ইসি (নির্বাচন কমিশন) সিদ্ধান্ত নেবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের মূল ব্যক্তির সুস্থতার ব্যাপার আছে। আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর তফসিল হোক।’
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে হয়নি, বরং ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে হয়নি। ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান হয়েছিল। যে রাজনৈতিক দল দেশকে স্বাধীন করে, তারাই দেশের প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়ে যায়। কিন্তু আমরা স্বাধীনতার পর সেই সুযোগ হারিয়েছি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুরোপুরি এগিয়ে নিতে পারেননি।’
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এনসিপি আয়োজিত নীতিনির্ধারণ-বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই আকাঙ্ক্ষা যদি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে দেশ আরও ডিজাস্টারের (বিপর্যয়) দিকে যেতে পারে। আরও ক্ষতির দিকে যেতে পারে। কারণ, আমাদের দেশের ইতিহাস এটাই বলছে। ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর ’৭০-এর নির্বাচন হয়েছিল। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছিল। কিন্তু তখনকার রাষ্ট্রের দায়িত্বরতরা তা মেনে নেয়নি। দেশে যুদ্ধ হয়েছে। ’৯০-এর অভ্যুত্থানে যে কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি) করা হয়েছে, সেটা নির্বাচিত সরকার রাখেনি।’
নাহিদ বলেন, দেশের উন্নয়নে গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যক্তিনির্ভরতা আছে। তাই সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সব নীতি পরিবর্তন হয়ে যায়। ফলে ব্যবসায়িক গোষ্ঠীও একটি পক্ষের হয়ে কাজ শুরু করে।
এনসিপির রাজনীতি সম্পর্কে নাহিদ বলেন, ‘আমরা আমাদের ভিশন-মিশন কম্প্রোমাইজ (আপস) করে রাজনীতি করব না। গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা। বৈষম্যবিরোধী নামটার কারণে ওই আন্দোলন জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই নাম সচেতনভাবেই দেওয়া হয়েছিল।’
জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে বলেও মনে করেন এনসিপির এই নেতা।

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে হয়নি, বরং ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে হয়নি। ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান হয়েছিল। যে রাজনৈতিক দল দেশকে স্বাধীন করে, তারাই দেশের প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়ে যায়। কিন্তু আমরা স্বাধীনতার পর সেই সুযোগ হারিয়েছি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুরোপুরি এগিয়ে নিতে পারেননি।’
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এনসিপি আয়োজিত নীতিনির্ধারণ-বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই আকাঙ্ক্ষা যদি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে দেশ আরও ডিজাস্টারের (বিপর্যয়) দিকে যেতে পারে। আরও ক্ষতির দিকে যেতে পারে। কারণ, আমাদের দেশের ইতিহাস এটাই বলছে। ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর ’৭০-এর নির্বাচন হয়েছিল। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছিল। কিন্তু তখনকার রাষ্ট্রের দায়িত্বরতরা তা মেনে নেয়নি। দেশে যুদ্ধ হয়েছে। ’৯০-এর অভ্যুত্থানে যে কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি) করা হয়েছে, সেটা নির্বাচিত সরকার রাখেনি।’
নাহিদ বলেন, দেশের উন্নয়নে গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যক্তিনির্ভরতা আছে। তাই সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সব নীতি পরিবর্তন হয়ে যায়। ফলে ব্যবসায়িক গোষ্ঠীও একটি পক্ষের হয়ে কাজ শুরু করে।
এনসিপির রাজনীতি সম্পর্কে নাহিদ বলেন, ‘আমরা আমাদের ভিশন-মিশন কম্প্রোমাইজ (আপস) করে রাজনীতি করব না। গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা। বৈষম্যবিরোধী নামটার কারণে ওই আন্দোলন জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই নাম সচেতনভাবেই দেওয়া হয়েছিল।’
জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে বলেও মনে করেন এনসিপির এই নেতা।

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেয়, তখন তাদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
২ দিন আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (একাংশ) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) কয়েকটি দলের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দিয়েছে। এই জোটের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আগামী সোমবার (৮ ডিসেম্বর)...
১০ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃশাসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর নানা নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ আনেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেছেন, ‘তফসিল নিয়ে ইসি (নির্বাচন কমিশন) সিদ্ধান্ত নেবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের মূল ব্যক্তির সুস্থতার ব্যাপার আছে। আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর তফসিল হোক।’
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘তফসিল নিয়ে ইসি (নির্বাচন কমিশন) সিদ্ধান্ত নেবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের মূল ব্যক্তির সুস্থতার ব্যাপার আছে। আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর তফসিল হোক।’
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এনসিপি আয়োজিত নীতিনির্ধারণবিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন যাতে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনী যাত্রাটা শুরু করে। কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের জন্য আমাদের এই নির্বাচন প্রক্রিয়া যেন থেমে না যায়। তাদের (বিএনপি) নেত্রী অসুস্থ, সে বিষয়ে আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। আমরা সেই বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছি। কিন্তু নির্বাচন নির্বাচনের সময়েই হবে আশা করি।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনসিপি কোনো দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে সমঝোতায় যায়নি জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিষয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা হয়েছে। অতি শিগগির প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করব। তৃতীয় একটি জোট নিয়ে আলোচনা ও প্রক্রিয়া চলমান আছে। পুরানপন্থী যে দলগুলো আছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে—তাদের ব্যাপারে জনগণের আস্থা নেই। তাই আমরা নতুন ধারার রাজনীতি করতে চাই।’

সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘তফসিল নিয়ে ইসি (নির্বাচন কমিশন) সিদ্ধান্ত নেবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের মূল ব্যক্তির সুস্থতার ব্যাপার আছে। আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর তফসিল হোক।’
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এনসিপি আয়োজিত নীতিনির্ধারণবিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন যাতে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনী যাত্রাটা শুরু করে। কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের জন্য আমাদের এই নির্বাচন প্রক্রিয়া যেন থেমে না যায়। তাদের (বিএনপি) নেত্রী অসুস্থ, সে বিষয়ে আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। আমরা সেই বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছি। কিন্তু নির্বাচন নির্বাচনের সময়েই হবে আশা করি।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনসিপি কোনো দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে সমঝোতায় যায়নি জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিষয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা হয়েছে। অতি শিগগির প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করব। তৃতীয় একটি জোট নিয়ে আলোচনা ও প্রক্রিয়া চলমান আছে। পুরানপন্থী যে দলগুলো আছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে—তাদের ব্যাপারে জনগণের আস্থা নেই। তাই আমরা নতুন ধারার রাজনীতি করতে চাই।’

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর চলতি বছর যখন ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঘোষণা দেয়, তখন তাদের পরিকল্পনা শুনতে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন দলটি তাদের মাঠের ক্ষমতাকে ভোটে রূপান্তরিত করতে হিমশিম খাচ্ছে।
২ দিন আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (একাংশ) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) কয়েকটি দলের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দিয়েছে। এই জোটের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আগামী সোমবার (৮ ডিসেম্বর)...
১০ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃশাসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর নানা নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ আনেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেছেন, ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে হয়নি। ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান হয়েছিল। যে রাজনৈতিক দল দেশকে স্বাধীন করে, তারাই দেশের প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়ে যায়। কিন্তু আমরা স্বাধীনতার পর সেই সুযোগ হারিয়েছি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুরোপুরি এগিয়ে
১৪ ঘণ্টা আগে