নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ভোট চাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে মানুষের কাছে যেতে হবে। শহীদ পরিবারের কাছে যেতে হবে। তখন রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্নের সম্মুখীন হবে যে কতটুকু বিচার হয়েছে আর কতটুকু সংস্কার হয়েছে। ফলে সংস্কার ও বিচার অসম্পূর্ণ রেখে আমরা নির্বাচনের দিকে যেতে পারি না। নির্বাচনের জন্যই সংস্কার ও বিচার প্রয়োজন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানী মোহাম্মদপুরে অবস্থিত সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব কথা বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মোহাম্মদপুরের টাউন হল, জেনেভা ক্যাম্পে, তিন রাস্তা মোড় ও ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে পথসভা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা।
সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি, নির্বাচন আপনি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী করেন। কিন্তু নির্বাচনের আগে এই সংস্কার ও বিচার সম্পূর্ণ করেন এবং সেই পরিকল্পনার রোডম্যাপ জাতির সামনে উপস্থাপন করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি নিয়েই সরকার গঠন করেছে। আর এই প্রতিশ্রুতি হচ্ছে বিচার, সংস্কার ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। ফলে অবশ্যই এই সরকারকে তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে।’
শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ধর্ম, জাতি পরিচয়, সম্প্রদায়ের পরিচয় ও ভাষাগত পরিচয় আলাদা হতে পারে। কিন্তু আমরা নাগরিক হিসেবে একই রাষ্ট্রে বসবাস করি। এই রাষ্ট্রের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন ও বস্ত্র থেকে শুরু করে যে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অধিকার রয়েছে সেই অধিকার সকলেরই পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র চাই। এটা আমাদের স্বপ্ন। আমরা বিশ্বাস করি এই স্বপ্নের জন্যই গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছিল। ফলে এই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আমরা এগিয়ে যাব।’
জেনেভা ক্যাম্পে পথসভা শেষে মোহাম্মদপুরের টাউন হলে পথসভা করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। টাউন হলের পথসভায় তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্রজন্মকে বিগত দেড় দশকে নির্যাতিত হতে হয়েছে, নিপীড়িত হতে হয়েছে। আমরা এমন একটা সরকারের অধীনে ছিলাম, যেখানে আমাদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। ফলে এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল মূলত কর্মসংস্থানের দাবিতে। এ দেশের তরুণেরা, এ দেশের ছাত্ররা তারা তাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য রাজপথে নেমেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এইটুকু প্রত্যাশা, আমাদের আর জীবন দিতে রাজপথে নামতে হবে না। বারবার আমরা জীবন দেওয়ার জন্য রাস্তায় নামতে চাই না। কিন্তু আমাদের ইতিহাস বলে আমাদের বারবার রাস্তায় নামতে হয়। আমরা চাই এবারের গণ-অভ্যুত্থান সফলতার দিকে যাক। আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।’
টাউন হলের পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘আমরা যেই বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে কেউ রাস্তায় নেমে খুন হবে, গুম হয়ে যাবে—এমন বাংলাদেশ আমরা আর চাই না। আমরা আর এমন ব্যবস্থাপনায় ফেরত যেতে চাই না, যেখানে রাষ্ট্র এবং সরকার কোনো দলের কিংবা কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করবে। রাষ্ট্র কাজ করবে সকল নাগরিকের জন্য। এনসিপি সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।’
‘ভোট চাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে মানুষের কাছে যেতে হবে। শহীদ পরিবারের কাছে যেতে হবে। তখন রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্নের সম্মুখীন হবে যে কতটুকু বিচার হয়েছে আর কতটুকু সংস্কার হয়েছে। ফলে সংস্কার ও বিচার অসম্পূর্ণ রেখে আমরা নির্বাচনের দিকে যেতে পারি না। নির্বাচনের জন্যই সংস্কার ও বিচার প্রয়োজন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানী মোহাম্মদপুরে অবস্থিত সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব কথা বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মোহাম্মদপুরের টাউন হল, জেনেভা ক্যাম্পে, তিন রাস্তা মোড় ও ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে পথসভা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা।
সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি, নির্বাচন আপনি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী করেন। কিন্তু নির্বাচনের আগে এই সংস্কার ও বিচার সম্পূর্ণ করেন এবং সেই পরিকল্পনার রোডম্যাপ জাতির সামনে উপস্থাপন করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি নিয়েই সরকার গঠন করেছে। আর এই প্রতিশ্রুতি হচ্ছে বিচার, সংস্কার ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। ফলে অবশ্যই এই সরকারকে তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে।’
শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ধর্ম, জাতি পরিচয়, সম্প্রদায়ের পরিচয় ও ভাষাগত পরিচয় আলাদা হতে পারে। কিন্তু আমরা নাগরিক হিসেবে একই রাষ্ট্রে বসবাস করি। এই রাষ্ট্রের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন ও বস্ত্র থেকে শুরু করে যে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অধিকার রয়েছে সেই অধিকার সকলেরই পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র চাই। এটা আমাদের স্বপ্ন। আমরা বিশ্বাস করি এই স্বপ্নের জন্যই গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছিল। ফলে এই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আমরা এগিয়ে যাব।’
জেনেভা ক্যাম্পে পথসভা শেষে মোহাম্মদপুরের টাউন হলে পথসভা করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। টাউন হলের পথসভায় তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্রজন্মকে বিগত দেড় দশকে নির্যাতিত হতে হয়েছে, নিপীড়িত হতে হয়েছে। আমরা এমন একটা সরকারের অধীনে ছিলাম, যেখানে আমাদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। ফলে এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল মূলত কর্মসংস্থানের দাবিতে। এ দেশের তরুণেরা, এ দেশের ছাত্ররা তারা তাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য রাজপথে নেমেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এইটুকু প্রত্যাশা, আমাদের আর জীবন দিতে রাজপথে নামতে হবে না। বারবার আমরা জীবন দেওয়ার জন্য রাস্তায় নামতে চাই না। কিন্তু আমাদের ইতিহাস বলে আমাদের বারবার রাস্তায় নামতে হয়। আমরা চাই এবারের গণ-অভ্যুত্থান সফলতার দিকে যাক। আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।’
টাউন হলের পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘আমরা যেই বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে কেউ রাস্তায় নেমে খুন হবে, গুম হয়ে যাবে—এমন বাংলাদেশ আমরা আর চাই না। আমরা আর এমন ব্যবস্থাপনায় ফেরত যেতে চাই না, যেখানে রাষ্ট্র এবং সরকার কোনো দলের কিংবা কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করবে। রাষ্ট্র কাজ করবে সকল নাগরিকের জন্য। এনসিপি সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।’
জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল বুধবার এই হামলার প্রতিবাদে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিক্ষোভ ও ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। এসব কর্মসূচির কারণে কোথাও
১১ ঘণ্টা আগে‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা অভিযোগ করেছেন, গত বছরের জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে টালবাহানা চলছে। অপরাধীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি পুনরায় জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেআগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর সব কটি থানার সামনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রধান সমন্বয়কারী আকরাম হোসাইন বলেন, ‘গোপালগঞ্জসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের যে সন্ত্রাসীরা আছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। আগামীকাল রাজধানীর সকল থানার স
১৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে গিয়ে হামলার মুখে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে (এপিসি) করে সেখান থেকে বের হন। পরে তাঁরা সাঁজোয়া যানে করেই গোপালগঞ্জ থেকে বের হতে পেরেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগে