নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় গত বছর ১৪ জুলাই গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল থেকে বেরিয়ে যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তা ‘আওয়ামী লীগের রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছে এবং সেই রাতেই ‘বাংলাদেশের সবকিছু বদলে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
সামান্তা শারমীন বলেন, ‘১৪ জুলাই পুরা বাংলাদেশের সবকিছু বদলায় গেছে, শুধুমাত্র ১৪ জুলাই রাতের জন্য—এটা আমাদেরকে বলতেই হবে। ১৪ জুলাই প্রত্যেকটা হলের মেয়েরা আওয়ামী লীগের একমাত্র ন্যারেটিভ রাজাকার... একমাত্র ন্যারেটিভকে ভেঙে দিছে মেয়েরা। আমাদের আপ্রাইজিংয়ের বাঁকে বাঁকে অনেক ধরনের টার্নিং মোমেন্ট ছিল, যেখানে আসলে আমরা হয়তো হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম, আবার আমরা আপলিফট হয়েছি। কিন্তু আপ্রাইজিংয়ের পুরো ন্যারেটিভটা বদলায় দিছে... এটার পুরোটার দিক নির্দেশনা দিছে হচ্ছে মেয়েরা—এটা আমাদেরকে বলতে পারতেই হবে এবং সেটা ঘটেছে ১৪ জুলাই।’
গত বছর ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ কোটা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা পাবে না তো রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?
এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ‘আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলেছেন’—এই দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এরপর তা দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৪ জুলাই গভীর রাতে রাজপথে নেমে আসেন রোকেয়া হলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী। তাদের মুখে স্লোগান ছিলো ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’।
তবে, শেখ হাসিনা পরে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে দাবি করেছিলেন, তার মন্তব্যের প্রেক্ষাপট না বুঝে ভুলভাবে উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিক্ষোভ তৈরি করা হয়েছে। তিনি আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলেননি। কিন্তু তাতে বিক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।
এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলনের পালে নতুন হাওয়া লাগে, সেটি সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। এই আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হয় আওয়ামী লীগ সরকার। অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।
নারী দিবস সামনে রেখে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘নারীর লড়াই, নিরাপত্তা, নেতৃত্ব ও সমাজের বাধা’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করে প্রথম আলো।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এনসিপি নেতা সামান্তা বলেন, ‘আমি একেবারেই চাই না যে ফর সেক অব উইমেন পার্টিসিপেশন, কেউ হচ্ছে যোগ্যতা না থাকলেও কোথাও যা—এটা আমি চাই না। এটা লাউড এন্ড ক্লিয়ার—এটা আমি চাই না। তার মানে হচ্ছে আমাদের কাজ হচ্ছে মেয়েদেরকে যোগ্য করে তোলা... যত রকমের প্রসেস নেওয়া যায় এবং একদম ব্যক্তিগত পার্টিসিপেশন থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকে শুরু করে যতভাবে মেয়েদেরকে এখানে পলিটিক্যালি গ্রুমিং করা যায়, পলিটিক্যালি এস্টাবলিশ করা যায় তাদের।’
নারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থার করার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে সামান্তা বলেন, ‘এটা আমাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। এটা স্টেটের কাজ, এটা আমাদের করার কথা না। কিন্তু তারপরও যখন করতে হচ্ছে আমরা করব। কারণ, এটা যদি না করি তাহলে আবার দেখা যাবে আমরা পুরোনো গ্যারাকলে পড়ে যাচ্ছি। তো এই গ্যারাকলে আমরা আর পড়তে চাই না। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই যোগ্যতার ভিত্তিতে নারী নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। যোগ্য নয়, কিন্তু তারপরও বসিয়ে দিলে এটা আমাদের জন্য খুবই খুবই... এটা লং টার্মে আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, যোগ্য করে তুলতে হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে বসাতে হবে।’
সামান্তা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের আনাচকানাচে নারীদের কথা বলার জন্য এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা শোনার জন্য নানা ধরনের আয়োজন দেখতে পাচ্ছি। এসব আয়োজন আমাদের নানা মাত্রায় নিতে হবে। আলোচনা-সমালোচনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, এর সঙ্গে রাজনীতিও গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের জাতিগত একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখানে সবার মধ্যে একধরনের বোধের জন্ম হয়েছে যে আমাদের একতা প্রয়োজন। এটি এখনো অস্পষ্ট, দৃশ্যমান হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আপাতত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে একে দৃশ্যমান করার চেষ্টা করছে। প্রতিটি সেক্টরের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে একতা গড়া প্রয়োজন। নারীদের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সামান্তা বলেন, ‘মনোনয়নের মাধ্যমে যেসব নারী সংসদে আসছেন, তাঁরা নারী সমাজকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেন না। বরং তাঁরা দলীয় স্বার্থকেই তুলে ধরেন। সংরক্ষিত ও মনোনীত নারী আসন আসলে নারী নেতৃত্ব তৈরির উল্টো পথ। সরাসরি মানুষের ভোটে জয়লাভ করে উঠে আসার মধ্যে দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাস কাজ করে।’

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় গত বছর ১৪ জুলাই গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল থেকে বেরিয়ে যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তা ‘আওয়ামী লীগের রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছে এবং সেই রাতেই ‘বাংলাদেশের সবকিছু বদলে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
সামান্তা শারমীন বলেন, ‘১৪ জুলাই পুরা বাংলাদেশের সবকিছু বদলায় গেছে, শুধুমাত্র ১৪ জুলাই রাতের জন্য—এটা আমাদেরকে বলতেই হবে। ১৪ জুলাই প্রত্যেকটা হলের মেয়েরা আওয়ামী লীগের একমাত্র ন্যারেটিভ রাজাকার... একমাত্র ন্যারেটিভকে ভেঙে দিছে মেয়েরা। আমাদের আপ্রাইজিংয়ের বাঁকে বাঁকে অনেক ধরনের টার্নিং মোমেন্ট ছিল, যেখানে আসলে আমরা হয়তো হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম, আবার আমরা আপলিফট হয়েছি। কিন্তু আপ্রাইজিংয়ের পুরো ন্যারেটিভটা বদলায় দিছে... এটার পুরোটার দিক নির্দেশনা দিছে হচ্ছে মেয়েরা—এটা আমাদেরকে বলতে পারতেই হবে এবং সেটা ঘটেছে ১৪ জুলাই।’
গত বছর ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ কোটা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা পাবে না তো রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?
এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ‘আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলেছেন’—এই দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এরপর তা দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৪ জুলাই গভীর রাতে রাজপথে নেমে আসেন রোকেয়া হলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী। তাদের মুখে স্লোগান ছিলো ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’।
তবে, শেখ হাসিনা পরে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে দাবি করেছিলেন, তার মন্তব্যের প্রেক্ষাপট না বুঝে ভুলভাবে উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিক্ষোভ তৈরি করা হয়েছে। তিনি আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলেননি। কিন্তু তাতে বিক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।
এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলনের পালে নতুন হাওয়া লাগে, সেটি সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। এই আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হয় আওয়ামী লীগ সরকার। অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।
নারী দিবস সামনে রেখে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘নারীর লড়াই, নিরাপত্তা, নেতৃত্ব ও সমাজের বাধা’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করে প্রথম আলো।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এনসিপি নেতা সামান্তা বলেন, ‘আমি একেবারেই চাই না যে ফর সেক অব উইমেন পার্টিসিপেশন, কেউ হচ্ছে যোগ্যতা না থাকলেও কোথাও যা—এটা আমি চাই না। এটা লাউড এন্ড ক্লিয়ার—এটা আমি চাই না। তার মানে হচ্ছে আমাদের কাজ হচ্ছে মেয়েদেরকে যোগ্য করে তোলা... যত রকমের প্রসেস নেওয়া যায় এবং একদম ব্যক্তিগত পার্টিসিপেশন থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকে শুরু করে যতভাবে মেয়েদেরকে এখানে পলিটিক্যালি গ্রুমিং করা যায়, পলিটিক্যালি এস্টাবলিশ করা যায় তাদের।’
নারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থার করার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে সামান্তা বলেন, ‘এটা আমাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। এটা স্টেটের কাজ, এটা আমাদের করার কথা না। কিন্তু তারপরও যখন করতে হচ্ছে আমরা করব। কারণ, এটা যদি না করি তাহলে আবার দেখা যাবে আমরা পুরোনো গ্যারাকলে পড়ে যাচ্ছি। তো এই গ্যারাকলে আমরা আর পড়তে চাই না। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই যোগ্যতার ভিত্তিতে নারী নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। যোগ্য নয়, কিন্তু তারপরও বসিয়ে দিলে এটা আমাদের জন্য খুবই খুবই... এটা লং টার্মে আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, যোগ্য করে তুলতে হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে বসাতে হবে।’
সামান্তা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের আনাচকানাচে নারীদের কথা বলার জন্য এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা শোনার জন্য নানা ধরনের আয়োজন দেখতে পাচ্ছি। এসব আয়োজন আমাদের নানা মাত্রায় নিতে হবে। আলোচনা-সমালোচনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, এর সঙ্গে রাজনীতিও গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের জাতিগত একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখানে সবার মধ্যে একধরনের বোধের জন্ম হয়েছে যে আমাদের একতা প্রয়োজন। এটি এখনো অস্পষ্ট, দৃশ্যমান হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আপাতত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে একে দৃশ্যমান করার চেষ্টা করছে। প্রতিটি সেক্টরের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে একতা গড়া প্রয়োজন। নারীদের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সামান্তা বলেন, ‘মনোনয়নের মাধ্যমে যেসব নারী সংসদে আসছেন, তাঁরা নারী সমাজকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেন না। বরং তাঁরা দলীয় স্বার্থকেই তুলে ধরেন। সংরক্ষিত ও মনোনীত নারী আসন আসলে নারী নেতৃত্ব তৈরির উল্টো পথ। সরাসরি মানুষের ভোটে জয়লাভ করে উঠে আসার মধ্যে দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাস কাজ করে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় গত বছর ১৪ জুলাই গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল থেকে বেরিয়ে যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তা ‘আওয়ামী লীগের রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছে এবং সেই রাতেই ‘বাংলাদেশের সবকিছু বদলে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
সামান্তা শারমীন বলেন, ‘১৪ জুলাই পুরা বাংলাদেশের সবকিছু বদলায় গেছে, শুধুমাত্র ১৪ জুলাই রাতের জন্য—এটা আমাদেরকে বলতেই হবে। ১৪ জুলাই প্রত্যেকটা হলের মেয়েরা আওয়ামী লীগের একমাত্র ন্যারেটিভ রাজাকার... একমাত্র ন্যারেটিভকে ভেঙে দিছে মেয়েরা। আমাদের আপ্রাইজিংয়ের বাঁকে বাঁকে অনেক ধরনের টার্নিং মোমেন্ট ছিল, যেখানে আসলে আমরা হয়তো হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম, আবার আমরা আপলিফট হয়েছি। কিন্তু আপ্রাইজিংয়ের পুরো ন্যারেটিভটা বদলায় দিছে... এটার পুরোটার দিক নির্দেশনা দিছে হচ্ছে মেয়েরা—এটা আমাদেরকে বলতে পারতেই হবে এবং সেটা ঘটেছে ১৪ জুলাই।’
গত বছর ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ কোটা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা পাবে না তো রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?
এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ‘আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলেছেন’—এই দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এরপর তা দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৪ জুলাই গভীর রাতে রাজপথে নেমে আসেন রোকেয়া হলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী। তাদের মুখে স্লোগান ছিলো ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’।
তবে, শেখ হাসিনা পরে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে দাবি করেছিলেন, তার মন্তব্যের প্রেক্ষাপট না বুঝে ভুলভাবে উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিক্ষোভ তৈরি করা হয়েছে। তিনি আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলেননি। কিন্তু তাতে বিক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।
এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলনের পালে নতুন হাওয়া লাগে, সেটি সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। এই আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হয় আওয়ামী লীগ সরকার। অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।
নারী দিবস সামনে রেখে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘নারীর লড়াই, নিরাপত্তা, নেতৃত্ব ও সমাজের বাধা’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করে প্রথম আলো।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এনসিপি নেতা সামান্তা বলেন, ‘আমি একেবারেই চাই না যে ফর সেক অব উইমেন পার্টিসিপেশন, কেউ হচ্ছে যোগ্যতা না থাকলেও কোথাও যা—এটা আমি চাই না। এটা লাউড এন্ড ক্লিয়ার—এটা আমি চাই না। তার মানে হচ্ছে আমাদের কাজ হচ্ছে মেয়েদেরকে যোগ্য করে তোলা... যত রকমের প্রসেস নেওয়া যায় এবং একদম ব্যক্তিগত পার্টিসিপেশন থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকে শুরু করে যতভাবে মেয়েদেরকে এখানে পলিটিক্যালি গ্রুমিং করা যায়, পলিটিক্যালি এস্টাবলিশ করা যায় তাদের।’
নারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থার করার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে সামান্তা বলেন, ‘এটা আমাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। এটা স্টেটের কাজ, এটা আমাদের করার কথা না। কিন্তু তারপরও যখন করতে হচ্ছে আমরা করব। কারণ, এটা যদি না করি তাহলে আবার দেখা যাবে আমরা পুরোনো গ্যারাকলে পড়ে যাচ্ছি। তো এই গ্যারাকলে আমরা আর পড়তে চাই না। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই যোগ্যতার ভিত্তিতে নারী নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। যোগ্য নয়, কিন্তু তারপরও বসিয়ে দিলে এটা আমাদের জন্য খুবই খুবই... এটা লং টার্মে আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, যোগ্য করে তুলতে হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে বসাতে হবে।’
সামান্তা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের আনাচকানাচে নারীদের কথা বলার জন্য এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা শোনার জন্য নানা ধরনের আয়োজন দেখতে পাচ্ছি। এসব আয়োজন আমাদের নানা মাত্রায় নিতে হবে। আলোচনা-সমালোচনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, এর সঙ্গে রাজনীতিও গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের জাতিগত একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখানে সবার মধ্যে একধরনের বোধের জন্ম হয়েছে যে আমাদের একতা প্রয়োজন। এটি এখনো অস্পষ্ট, দৃশ্যমান হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আপাতত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে একে দৃশ্যমান করার চেষ্টা করছে। প্রতিটি সেক্টরের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে একতা গড়া প্রয়োজন। নারীদের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সামান্তা বলেন, ‘মনোনয়নের মাধ্যমে যেসব নারী সংসদে আসছেন, তাঁরা নারী সমাজকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেন না। বরং তাঁরা দলীয় স্বার্থকেই তুলে ধরেন। সংরক্ষিত ও মনোনীত নারী আসন আসলে নারী নেতৃত্ব তৈরির উল্টো পথ। সরাসরি মানুষের ভোটে জয়লাভ করে উঠে আসার মধ্যে দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাস কাজ করে।’

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় গত বছর ১৪ জুলাই গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল থেকে বেরিয়ে যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তা ‘আওয়ামী লীগের রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছে এবং সেই রাতেই ‘বাংলাদেশের সবকিছু বদলে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
সামান্তা শারমীন বলেন, ‘১৪ জুলাই পুরা বাংলাদেশের সবকিছু বদলায় গেছে, শুধুমাত্র ১৪ জুলাই রাতের জন্য—এটা আমাদেরকে বলতেই হবে। ১৪ জুলাই প্রত্যেকটা হলের মেয়েরা আওয়ামী লীগের একমাত্র ন্যারেটিভ রাজাকার... একমাত্র ন্যারেটিভকে ভেঙে দিছে মেয়েরা। আমাদের আপ্রাইজিংয়ের বাঁকে বাঁকে অনেক ধরনের টার্নিং মোমেন্ট ছিল, যেখানে আসলে আমরা হয়তো হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম, আবার আমরা আপলিফট হয়েছি। কিন্তু আপ্রাইজিংয়ের পুরো ন্যারেটিভটা বদলায় দিছে... এটার পুরোটার দিক নির্দেশনা দিছে হচ্ছে মেয়েরা—এটা আমাদেরকে বলতে পারতেই হবে এবং সেটা ঘটেছে ১৪ জুলাই।’
গত বছর ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ কোটা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা পাবে না তো রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?
এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ‘আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলেছেন’—এই দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এরপর তা দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৪ জুলাই গভীর রাতে রাজপথে নেমে আসেন রোকেয়া হলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী। তাদের মুখে স্লোগান ছিলো ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’।
তবে, শেখ হাসিনা পরে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে দাবি করেছিলেন, তার মন্তব্যের প্রেক্ষাপট না বুঝে ভুলভাবে উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিক্ষোভ তৈরি করা হয়েছে। তিনি আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলেননি। কিন্তু তাতে বিক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।
এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলনের পালে নতুন হাওয়া লাগে, সেটি সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। এই আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হয় আওয়ামী লীগ সরকার। অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।
নারী দিবস সামনে রেখে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘নারীর লড়াই, নিরাপত্তা, নেতৃত্ব ও সমাজের বাধা’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করে প্রথম আলো।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এনসিপি নেতা সামান্তা বলেন, ‘আমি একেবারেই চাই না যে ফর সেক অব উইমেন পার্টিসিপেশন, কেউ হচ্ছে যোগ্যতা না থাকলেও কোথাও যা—এটা আমি চাই না। এটা লাউড এন্ড ক্লিয়ার—এটা আমি চাই না। তার মানে হচ্ছে আমাদের কাজ হচ্ছে মেয়েদেরকে যোগ্য করে তোলা... যত রকমের প্রসেস নেওয়া যায় এবং একদম ব্যক্তিগত পার্টিসিপেশন থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকে শুরু করে যতভাবে মেয়েদেরকে এখানে পলিটিক্যালি গ্রুমিং করা যায়, পলিটিক্যালি এস্টাবলিশ করা যায় তাদের।’
নারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থার করার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে সামান্তা বলেন, ‘এটা আমাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। এটা স্টেটের কাজ, এটা আমাদের করার কথা না। কিন্তু তারপরও যখন করতে হচ্ছে আমরা করব। কারণ, এটা যদি না করি তাহলে আবার দেখা যাবে আমরা পুরোনো গ্যারাকলে পড়ে যাচ্ছি। তো এই গ্যারাকলে আমরা আর পড়তে চাই না। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই যোগ্যতার ভিত্তিতে নারী নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। যোগ্য নয়, কিন্তু তারপরও বসিয়ে দিলে এটা আমাদের জন্য খুবই খুবই... এটা লং টার্মে আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, যোগ্য করে তুলতে হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে বসাতে হবে।’
সামান্তা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের আনাচকানাচে নারীদের কথা বলার জন্য এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা শোনার জন্য নানা ধরনের আয়োজন দেখতে পাচ্ছি। এসব আয়োজন আমাদের নানা মাত্রায় নিতে হবে। আলোচনা-সমালোচনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, এর সঙ্গে রাজনীতিও গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের জাতিগত একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখানে সবার মধ্যে একধরনের বোধের জন্ম হয়েছে যে আমাদের একতা প্রয়োজন। এটি এখনো অস্পষ্ট, দৃশ্যমান হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আপাতত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে একে দৃশ্যমান করার চেষ্টা করছে। প্রতিটি সেক্টরের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে একতা গড়া প্রয়োজন। নারীদের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সামান্তা বলেন, ‘মনোনয়নের মাধ্যমে যেসব নারী সংসদে আসছেন, তাঁরা নারী সমাজকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেন না। বরং তাঁরা দলীয় স্বার্থকেই তুলে ধরেন। সংরক্ষিত ও মনোনীত নারী আসন আসলে নারী নেতৃত্ব তৈরির উল্টো পথ। সরাসরি মানুষের ভোটে জয়লাভ করে উঠে আসার মধ্যে দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাস কাজ করে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

১৪ জুলাইয়ের আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে দিয়েছিল, যেখানে নারীদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সামান্তা শারমীন বলেন, এই আন্দোলন আওয়ামী লীগের ‘রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছে এবং নারীদের নেতৃত্বকে সামনে এনেছে। গণ-অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা জাতির মধ্যে একতার প্রয়োজনীয়তা তৈরি
০৮ মার্চ ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

১৪ জুলাইয়ের আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে দিয়েছিল, যেখানে নারীদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সামান্তা শারমীন বলেন, এই আন্দোলন আওয়ামী লীগের ‘রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছে এবং নারীদের নেতৃত্বকে সামনে এনেছে। গণ-অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা জাতির মধ্যে একতার প্রয়োজনীয়তা তৈরি
০৮ মার্চ ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেরেজা করিম, ঢাকা

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ও হঠাৎ করে নির্বাচন নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের সরব ভূমিকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে তাদের মনে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন যাতে না হয়, সে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে—বিএনপির তরফ থেকে এই অভিযোগ আসছে বারবার। গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়, নির্বাচন যেন সঠিক সময়ে না হয়।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সময়ের মধ্যে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়—এ বিষয়ে সরকারের ওপর বিএনপির আস্থা আছে। কিন্তু অনেক দলই নির্বাচন পেছানোর জন্য চেষ্টা করছে, নানা রকম কলাকৌশল অবলম্বন করছে বলে বিএনপির কাছে মনে হচ্ছে। ওই সব দলের এ চেষ্টায় একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তখন সরকার বাধ্য হবে নির্বাচন পেছাতে। এ বিষয়টিই বিএনপির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের ওপর আস্থা রাখলেও নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যে খানিকটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ওপর এখনো আমাদের আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে এবং সমর্থনও আছে। নির্বাচন পেছাবে, এখনই আমরা এটা মনে করি না। তবে কিছু মহল কিছু ঘটনা সামনে নিয়ে আসছে, যেগুলো এখন সামনে আসার কথা নয়। স্বাভাবিক কারণে একধরনের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপি যখন বারবার নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র দেখছে, তখন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোরালো অবস্থান জানান দিচ্ছেন সরকারের দায়িত্বশীল লোকেরা। তাঁরাও বারবার জোর দিয়েই বলে চলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। এমন কোনো শক্তি নেই, এটি প্রতিহত করবে।
গতকাল শুক্রবার মাগুরায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে সব দল ঐকমত্য পোষণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই। জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবার।’
সরকারের দিক থেকে বারবার জোর দিয়ে একই কথা বলাতেও আবার খটকা লাগছে বিএনপির নেতাদের মনে। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনে এখনো একটি বিশেষ দলের লোকেরা জায়গা করে নিয়ে আছে, সরকারের মধ্যে সন্দেহভাজন উপদেষ্টা আছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়েও বিএনপির কিছু সুপারিশ আছে। এসব নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের দিক থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। কেবল মাঠপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতির কিছু কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে সরকারের লোকজনদের বক্তৃতায় আর কাজে কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচন বিলম্বে সরকারের ভেতরেই ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটাও একটা সন্দেহের বিষয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে বেশি বেশি বলায় মনে হচ্ছে, হঠাৎ করে এত গতি বেড়ে গেল কেন!’ নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ। সরকারের ভেতর থেকেও সেটায় ইন্ধন আছে। এ রকম ইঙ্গিত আমরা তো পাচ্ছি।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে একপর্যায়ে কঠোর অবস্থান নেয় তারা। বিএনপির এই দাবির বিপরীতে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি আসে সরকারের দিক থেকে। এরপর গত জুনে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসে।
জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান গতকাল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই আমরাও প্রত্যাশা করি, সঠিক সময়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। আমরা আস্থা রাখছি এবং বিশ্বাস করি।’

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ও হঠাৎ করে নির্বাচন নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের সরব ভূমিকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে তাদের মনে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন যাতে না হয়, সে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে—বিএনপির তরফ থেকে এই অভিযোগ আসছে বারবার। গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়, নির্বাচন যেন সঠিক সময়ে না হয়।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সময়ের মধ্যে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়—এ বিষয়ে সরকারের ওপর বিএনপির আস্থা আছে। কিন্তু অনেক দলই নির্বাচন পেছানোর জন্য চেষ্টা করছে, নানা রকম কলাকৌশল অবলম্বন করছে বলে বিএনপির কাছে মনে হচ্ছে। ওই সব দলের এ চেষ্টায় একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তখন সরকার বাধ্য হবে নির্বাচন পেছাতে। এ বিষয়টিই বিএনপির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের ওপর আস্থা রাখলেও নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যে খানিকটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ওপর এখনো আমাদের আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে এবং সমর্থনও আছে। নির্বাচন পেছাবে, এখনই আমরা এটা মনে করি না। তবে কিছু মহল কিছু ঘটনা সামনে নিয়ে আসছে, যেগুলো এখন সামনে আসার কথা নয়। স্বাভাবিক কারণে একধরনের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপি যখন বারবার নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র দেখছে, তখন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোরালো অবস্থান জানান দিচ্ছেন সরকারের দায়িত্বশীল লোকেরা। তাঁরাও বারবার জোর দিয়েই বলে চলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। এমন কোনো শক্তি নেই, এটি প্রতিহত করবে।
গতকাল শুক্রবার মাগুরায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে সব দল ঐকমত্য পোষণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই। জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবার।’
সরকারের দিক থেকে বারবার জোর দিয়ে একই কথা বলাতেও আবার খটকা লাগছে বিএনপির নেতাদের মনে। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনে এখনো একটি বিশেষ দলের লোকেরা জায়গা করে নিয়ে আছে, সরকারের মধ্যে সন্দেহভাজন উপদেষ্টা আছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়েও বিএনপির কিছু সুপারিশ আছে। এসব নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের দিক থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। কেবল মাঠপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতির কিছু কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে সরকারের লোকজনদের বক্তৃতায় আর কাজে কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচন বিলম্বে সরকারের ভেতরেই ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটাও একটা সন্দেহের বিষয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে বেশি বেশি বলায় মনে হচ্ছে, হঠাৎ করে এত গতি বেড়ে গেল কেন!’ নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ। সরকারের ভেতর থেকেও সেটায় ইন্ধন আছে। এ রকম ইঙ্গিত আমরা তো পাচ্ছি।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে একপর্যায়ে কঠোর অবস্থান নেয় তারা। বিএনপির এই দাবির বিপরীতে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি আসে সরকারের দিক থেকে। এরপর গত জুনে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসে।
জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান গতকাল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই আমরাও প্রত্যাশা করি, সঠিক সময়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। আমরা আস্থা রাখছি এবং বিশ্বাস করি।’

১৪ জুলাইয়ের আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে দিয়েছিল, যেখানে নারীদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সামান্তা শারমীন বলেন, এই আন্দোলন আওয়ামী লীগের ‘রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছে এবং নারীদের নেতৃত্বকে সামনে এনেছে। গণ-অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা জাতির মধ্যে একতার প্রয়োজনীয়তা তৈরি
০৮ মার্চ ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’
জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’
জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

১৪ জুলাইয়ের আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে দিয়েছিল, যেখানে নারীদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সামান্তা শারমীন বলেন, এই আন্দোলন আওয়ামী লীগের ‘রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছে এবং নারীদের নেতৃত্বকে সামনে এনেছে। গণ-অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা জাতির মধ্যে একতার প্রয়োজনীয়তা তৈরি
০৮ মার্চ ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
১২ ঘণ্টা আগে