Ajker Patrika

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য: ‘কখনো ভালো, কখনো খারাপ’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২: ০৭
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য: ‘কখনো ভালো, কখনো খারাপ’

কখনো ভালো, কখনো খারাপ—হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা এ রকমই বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসকেরা। নানা জটিল রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি বলতে যা বোঝায় সেটা হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। কখনো ভালো, কখনো খারাপ। হাসপাতালের কেবিনে মেডিকেল বোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকেরা বলছেন—দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ভালো রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে যথাযথ চিকিৎসার জন্য বরাবরের মতো অনতিবিলম্বে তাঁকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে যাচ্ছেন তাঁরা।’

গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। তিনি লিভার সিরোসিস, আর্থ্রারাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্রে জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এ ছাড়া তাঁর মেরুদণ্ড, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে। হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা চলছে তাঁর।
 
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়াকে দেখতে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসেছেন তাঁর প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। বিকেলে শাশুড়িকে দেখতে হাসপাতালে যান শর্মিলা। এর আগে গত মার্চে শর্মিলা রহমান খালেদা জিয়াকে দেখতে ঢাকায় এসেছিলেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দী হন। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে থাকেন। প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে। 

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে থাকাকালে ‘স্লো পয়জনিং’ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এক মিলাদ মাহফিলে তিনি এই অভিযোগ করেন। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এই মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। 

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকেরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সরকার অনুমতি দিচ্ছে না।’ 

খালেদা জিয়া কোনো অপরাধ না করেই আটক আছেন দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অপরাধ করেও আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন খান আলমগীর, মায়া চৌধুরী ও হাজি সেলিমরা বাইরে রয়েছেন। আইন শুধু বিএনপির জন্য আর অনিয়ম আওয়ামী লীগের জন্য। এ অন্যায়ের বেড়াজাল ভেঙে আমরা তছনছ করে দেব। আমাদের মনে রাখতে হবে শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার মুক্তি নয়, সারা দেশের মানুষের মুক্তি, সারা দেশের মানুষের সার্বভৌমত্বের মুক্তি এবং মানুষের ভোটাধিকারের মুক্তির জন্য লড়াই করতে হবে।’

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারার ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে চেয়ারপারসন জেলে। তাঁকে আমরা মুক্ত করতে পারিনি। এটা আমাদের দুর্বলতা। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তিনি কখনো আপস করেননি। তিনি বেঁচে আছেন ঠিকই কিন্তু আমাদের মাঝে নেই। তিনি আমাদের মাঝে থাকলে দেশের আজ এই অবস্থা হতো না। এ দেশ বহু আগে হায়েনাদের কাছ থেকে মুক্তি পেত। এটা বুঝতে পেরে খালেদা জিয়াকে আটক রাখা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩ আগস্ট বিমানবন্দরে বাধা পান তাপস, হাসিনাকে অনুরোধ করেন অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে- অডিও ফাঁস

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে অবতরণ করল প্রথম ফ্লাইট

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত