আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’
আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাষ্ট্র গঠনে চিকিৎসক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যতই বড় বড় কথা বলি, যতই লম্বা লম্বা বক্তৃতা করি, বিশ্বকে এক করার চেষ্টা করি। আমার নিজের ঘরেই যদি সেই বিভাজন থেকে যায়, বিভেদ থেকে যায়—এটা কখনোই ঠিক করতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি ভয়াবহভাবে উদ্বিগ্ন। ধর্মকে কেন্দ্র করে কী উন্মাদনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে! মুক্ত স্বাধীন মিডিয়ার জন্য, প্রেসের জন্য, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আমরা এত দিন লড়াই করলাম, তার অফিস পুড়িয়ে দিচ্ছে। এই বাংলাদেশ তো আমরা দেখতে চাই না। আমি তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ অন্যান্য সমস্ত পত্রিকাগুলোয় যে আক্রমণ শুরু হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই।’
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিভাজনের সংস্কৃতি পরিহার করে জাতির স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির পোস্টের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কী উন্মাদনা! যখন দেখি জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। চিন্তা করতে পারেন, কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে! আমরা কি বুঝি, আমাদের ভয়টা কোথায়? আমরা কি বুঝি, আমাদের আতঙ্কটা কোথায়? আমরা কি বুঝি, আততায়ী কোথায় ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে? বুঝি না। বুঝলে আজকের এই সমস্ত দায়িত্বহীন কথাবার্তা আমাদের মুখ দিয়ে বের হতো না। দুর্ভাগ্য আমাদের! কিছুসংখ্যক মানুষ তাঁরা নিজেদের অত্যন্ত জনপ্রিয় মনে করেন, সবচেয়ে দেশপ্রেমিক মনে করেন। আর গোটা জাতিকে আজকে তাঁরা বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়ে, উসকে নিয়ে একটা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘আমি কারও নাম বলব না, বলতে চাই না। তবে আপনারা সমাজের শিক্ষিত মানুষ। গভীরভাবে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন। যারা আজকে বিভাজনের দিকে ঠেলছে, অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলছে, তারা আমাদের আসল শত্রু না মিত্র। এই জিনিসগুলো বুঝতে হবে।’
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি আপনারা দেশকে রক্ষা করতে চান, আপনারা স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে চান, আপনাদের অধিকারকে রক্ষা করতে চান, তাহলে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। বিভাজনের কাছে আপনারা কখনো মাথা নোয়াবেন না, অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াবেন না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার কিন্তু কারও দয়ার দান নয়। দয়া করে করেনি এটাকে। এ দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে এই সরকার তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং, এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, এ দেশের জনগণের যে মূল লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যে যাওয়াটাই তাদের জন্য সর্বোত্তম বলে আমরা মনে করি। আরেকটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা এমন কোনো কথা বলবেন না দয়া করে—যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।’
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ড্যাবের মহাসচিব আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’
আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাষ্ট্র গঠনে চিকিৎসক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যতই বড় বড় কথা বলি, যতই লম্বা লম্বা বক্তৃতা করি, বিশ্বকে এক করার চেষ্টা করি। আমার নিজের ঘরেই যদি সেই বিভাজন থেকে যায়, বিভেদ থেকে যায়—এটা কখনোই ঠিক করতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি ভয়াবহভাবে উদ্বিগ্ন। ধর্মকে কেন্দ্র করে কী উন্মাদনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে! মুক্ত স্বাধীন মিডিয়ার জন্য, প্রেসের জন্য, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আমরা এত দিন লড়াই করলাম, তার অফিস পুড়িয়ে দিচ্ছে। এই বাংলাদেশ তো আমরা দেখতে চাই না। আমি তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ অন্যান্য সমস্ত পত্রিকাগুলোয় যে আক্রমণ শুরু হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই।’
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিভাজনের সংস্কৃতি পরিহার করে জাতির স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির পোস্টের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কী উন্মাদনা! যখন দেখি জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। চিন্তা করতে পারেন, কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে! আমরা কি বুঝি, আমাদের ভয়টা কোথায়? আমরা কি বুঝি, আমাদের আতঙ্কটা কোথায়? আমরা কি বুঝি, আততায়ী কোথায় ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে? বুঝি না। বুঝলে আজকের এই সমস্ত দায়িত্বহীন কথাবার্তা আমাদের মুখ দিয়ে বের হতো না। দুর্ভাগ্য আমাদের! কিছুসংখ্যক মানুষ তাঁরা নিজেদের অত্যন্ত জনপ্রিয় মনে করেন, সবচেয়ে দেশপ্রেমিক মনে করেন। আর গোটা জাতিকে আজকে তাঁরা বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়ে, উসকে নিয়ে একটা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘আমি কারও নাম বলব না, বলতে চাই না। তবে আপনারা সমাজের শিক্ষিত মানুষ। গভীরভাবে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন। যারা আজকে বিভাজনের দিকে ঠেলছে, অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলছে, তারা আমাদের আসল শত্রু না মিত্র। এই জিনিসগুলো বুঝতে হবে।’
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি আপনারা দেশকে রক্ষা করতে চান, আপনারা স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে চান, আপনাদের অধিকারকে রক্ষা করতে চান, তাহলে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। বিভাজনের কাছে আপনারা কখনো মাথা নোয়াবেন না, অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াবেন না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার কিন্তু কারও দয়ার দান নয়। দয়া করে করেনি এটাকে। এ দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে এই সরকার তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং, এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, এ দেশের জনগণের যে মূল লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যে যাওয়াটাই তাদের জন্য সর্বোত্তম বলে আমরা মনে করি। আরেকটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা এমন কোনো কথা বলবেন না দয়া করে—যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।’
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ড্যাবের মহাসচিব আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’
আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাষ্ট্র গঠনে চিকিৎসক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যতই বড় বড় কথা বলি, যতই লম্বা লম্বা বক্তৃতা করি, বিশ্বকে এক করার চেষ্টা করি। আমার নিজের ঘরেই যদি সেই বিভাজন থেকে যায়, বিভেদ থেকে যায়—এটা কখনোই ঠিক করতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি ভয়াবহভাবে উদ্বিগ্ন। ধর্মকে কেন্দ্র করে কী উন্মাদনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে! মুক্ত স্বাধীন মিডিয়ার জন্য, প্রেসের জন্য, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আমরা এত দিন লড়াই করলাম, তার অফিস পুড়িয়ে দিচ্ছে। এই বাংলাদেশ তো আমরা দেখতে চাই না। আমি তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ অন্যান্য সমস্ত পত্রিকাগুলোয় যে আক্রমণ শুরু হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই।’
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিভাজনের সংস্কৃতি পরিহার করে জাতির স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির পোস্টের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কী উন্মাদনা! যখন দেখি জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। চিন্তা করতে পারেন, কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে! আমরা কি বুঝি, আমাদের ভয়টা কোথায়? আমরা কি বুঝি, আমাদের আতঙ্কটা কোথায়? আমরা কি বুঝি, আততায়ী কোথায় ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে? বুঝি না। বুঝলে আজকের এই সমস্ত দায়িত্বহীন কথাবার্তা আমাদের মুখ দিয়ে বের হতো না। দুর্ভাগ্য আমাদের! কিছুসংখ্যক মানুষ তাঁরা নিজেদের অত্যন্ত জনপ্রিয় মনে করেন, সবচেয়ে দেশপ্রেমিক মনে করেন। আর গোটা জাতিকে আজকে তাঁরা বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়ে, উসকে নিয়ে একটা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘আমি কারও নাম বলব না, বলতে চাই না। তবে আপনারা সমাজের শিক্ষিত মানুষ। গভীরভাবে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন। যারা আজকে বিভাজনের দিকে ঠেলছে, অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলছে, তারা আমাদের আসল শত্রু না মিত্র। এই জিনিসগুলো বুঝতে হবে।’
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি আপনারা দেশকে রক্ষা করতে চান, আপনারা স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে চান, আপনাদের অধিকারকে রক্ষা করতে চান, তাহলে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। বিভাজনের কাছে আপনারা কখনো মাথা নোয়াবেন না, অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াবেন না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার কিন্তু কারও দয়ার দান নয়। দয়া করে করেনি এটাকে। এ দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে এই সরকার তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং, এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, এ দেশের জনগণের যে মূল লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যে যাওয়াটাই তাদের জন্য সর্বোত্তম বলে আমরা মনে করি। আরেকটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা এমন কোনো কথা বলবেন না দয়া করে—যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।’
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ড্যাবের মহাসচিব আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’
আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাষ্ট্র গঠনে চিকিৎসক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যতই বড় বড় কথা বলি, যতই লম্বা লম্বা বক্তৃতা করি, বিশ্বকে এক করার চেষ্টা করি। আমার নিজের ঘরেই যদি সেই বিভাজন থেকে যায়, বিভেদ থেকে যায়—এটা কখনোই ঠিক করতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি ভয়াবহভাবে উদ্বিগ্ন। ধর্মকে কেন্দ্র করে কী উন্মাদনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে! মুক্ত স্বাধীন মিডিয়ার জন্য, প্রেসের জন্য, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আমরা এত দিন লড়াই করলাম, তার অফিস পুড়িয়ে দিচ্ছে। এই বাংলাদেশ তো আমরা দেখতে চাই না। আমি তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ অন্যান্য সমস্ত পত্রিকাগুলোয় যে আক্রমণ শুরু হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই।’
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিভাজনের সংস্কৃতি পরিহার করে জাতির স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির পোস্টের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কী উন্মাদনা! যখন দেখি জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। চিন্তা করতে পারেন, কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে! আমরা কি বুঝি, আমাদের ভয়টা কোথায়? আমরা কি বুঝি, আমাদের আতঙ্কটা কোথায়? আমরা কি বুঝি, আততায়ী কোথায় ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে? বুঝি না। বুঝলে আজকের এই সমস্ত দায়িত্বহীন কথাবার্তা আমাদের মুখ দিয়ে বের হতো না। দুর্ভাগ্য আমাদের! কিছুসংখ্যক মানুষ তাঁরা নিজেদের অত্যন্ত জনপ্রিয় মনে করেন, সবচেয়ে দেশপ্রেমিক মনে করেন। আর গোটা জাতিকে আজকে তাঁরা বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়ে, উসকে নিয়ে একটা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘আমি কারও নাম বলব না, বলতে চাই না। তবে আপনারা সমাজের শিক্ষিত মানুষ। গভীরভাবে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন। যারা আজকে বিভাজনের দিকে ঠেলছে, অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলছে, তারা আমাদের আসল শত্রু না মিত্র। এই জিনিসগুলো বুঝতে হবে।’
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি আপনারা দেশকে রক্ষা করতে চান, আপনারা স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে চান, আপনাদের অধিকারকে রক্ষা করতে চান, তাহলে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। বিভাজনের কাছে আপনারা কখনো মাথা নোয়াবেন না, অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াবেন না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার কিন্তু কারও দয়ার দান নয়। দয়া করে করেনি এটাকে। এ দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে এই সরকার তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং, এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, এ দেশের জনগণের যে মূল লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যে যাওয়াটাই তাদের জন্য সর্বোত্তম বলে আমরা মনে করি। আরেকটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা এমন কোনো কথা বলবেন না দয়া করে—যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।’
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ড্যাবের মহাসচিব আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপির ৩৬ দফার পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মি
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
১৮ ঘণ্টা আগে
সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
বৈঠক বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল অংশ নেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
বৈঠক বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল অংশ নেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’ আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রি
২৭ নভেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপির ৩৬ দফার পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মি
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
১৮ ঘণ্টা আগে
সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপির ৩৬ দফার পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট চাইলেও জামায়াত নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাব জানিয়েছে চিঠিতে।
এদিকে জোটের ভোটে প্রতীক ব্যবহারের ক্ষেত্রে দলগুলোর স্বাধীনতা চেয়েছিল বিএনপি। জামায়াত তার বিরোধিতা করে জোটের ক্ষেত্রে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার পক্ষে মত দিয়েছে এবং ইসির কাছে এই বিধান বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
ইসিতে জমা দেওয়া জামায়াতের ১৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. আইনি ভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরই আগামী নভেম্বরে গণভোটের আয়োজন করা;
২. উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। এ বিধান বহাল রাখতে হবে; নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার বিধান অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্বাচনব্যবস্থা সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনই সুপারিশ করেছে। ফলে এই বিধান কোনো ক্রমেই পরিবর্তন করা যাবে না। সংশোধিত বিধানই বহাল রাখতে হবে।
৩. ইসি ও প্রশাসনের প্রত্যেক স্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা;
৪. নির্বাচনী কাজের জন্য নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথা প্রিসাইডিং, পোলিং, আনসার, আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীকে নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা;
৫. সকল ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা;
৬. সকল ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনী বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
৭. দলটির পক্ষ থেকে বিগত অবৈধ নির্বাচনগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল এমন সব প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের আগামী নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়া। শতভাগ লটারির ভিত্তিতে মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ডিসি, এসপি, ইউএনও এবং ওসি) নিয়োগ দেওয়া;
৮. রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের অফিসারের সাথে সাথে সাধ্যমতো ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকেও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা;
৯. সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ পূর্বে সামরিক বাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করা;
১০. নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে নির্বাচনী মাঠ সমতল করা।
১১. সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এ ছাড়াও বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে দলীয় লোকদের রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে তা সরকারের কাছে জমা দিতে হবে;
১২. নির্বাচনী এলাকাগুলোতে যারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে;
১৩. ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত এলাকার মধ্যেই শুধু নয় বরং এর বাইরেও নির্বাচনী এলাকার যেকোনো স্থানে সন্ত্রাসী তৎপরতার খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তা দমন করা;
১৪. ছবিসহ ভোটার তালিকায় ভোটারদের ছবি পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে না। তাই স্পষ্ট ছবিসহ ভোটার তালিকা পোলিং এজেন্টগণকে যথাসময়ে সরবরাহ করা;
১৫. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত পোলিং, প্রিসাইডিং অফিসার, আনসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া;
১৬. প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করার জন্য ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট যেকোনো একটির মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। রেজিস্টার্ড প্রবাসী ভোটারদের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোকে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা;
১৭. নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও নিরপেক্ষতা যাচাই করা;
১৮. ফ্যাসিস্ট আমলে নিজেদের সুবিধা মতো ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে সেগুলো এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছে জামায়াত।
বৈঠক শেষে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই আগামী নভেম্বরের মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে জামায়াত। জুলাই মাসে তৈরি জাতীয় সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোকে পরিবর্তন করে যে সংস্কারগুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে, সে সম্পর্কে জাতিকে জানতে হবে। এ ছাড়া একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে নির্বাচন কেন্দ্রে সহিংসতা সৃষ্টি হতে পারে, দু-চারটা কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হলে গণভোটের দশা কী হবে—এমন টেকনিক্যাল সমস্যা আলোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, ইসিকে অবশ্যই ‘জুলাই সনদ’ ও সংস্কারের বিষয়গুলো পাবলিক করতে হবে যাতে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। গণভোট আয়োজনে ইসির পক্ষ থেকে কোনো চ্যালেঞ্জ বা অক্ষমতার কথা জানানো হয়নি।
বিএনপির পক্ষ থেকে ইসলামী ব্যাংকসহ কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাদের নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি প্রসঙ্গে জামায়াত নেতা বলেন, তারা যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বলেছে তার কোনো একটার মালিকানার সাথে জামায়াতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নাই। তারা এটিকে ব্যাড ট্রেডিশন আখ্যা দিয়ে বলেছে, পাল্টাবিবৃতি বা তালিকা দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচার নয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপির ৩৬ দফার পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট চাইলেও জামায়াত নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাব জানিয়েছে চিঠিতে।
এদিকে জোটের ভোটে প্রতীক ব্যবহারের ক্ষেত্রে দলগুলোর স্বাধীনতা চেয়েছিল বিএনপি। জামায়াত তার বিরোধিতা করে জোটের ক্ষেত্রে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার পক্ষে মত দিয়েছে এবং ইসির কাছে এই বিধান বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
ইসিতে জমা দেওয়া জামায়াতের ১৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. আইনি ভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরই আগামী নভেম্বরে গণভোটের আয়োজন করা;
২. উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। এ বিধান বহাল রাখতে হবে; নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার বিধান অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্বাচনব্যবস্থা সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনই সুপারিশ করেছে। ফলে এই বিধান কোনো ক্রমেই পরিবর্তন করা যাবে না। সংশোধিত বিধানই বহাল রাখতে হবে।
৩. ইসি ও প্রশাসনের প্রত্যেক স্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা;
৪. নির্বাচনী কাজের জন্য নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথা প্রিসাইডিং, পোলিং, আনসার, আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীকে নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা;
৫. সকল ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা;
৬. সকল ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনী বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
৭. দলটির পক্ষ থেকে বিগত অবৈধ নির্বাচনগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল এমন সব প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের আগামী নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়া। শতভাগ লটারির ভিত্তিতে মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ডিসি, এসপি, ইউএনও এবং ওসি) নিয়োগ দেওয়া;
৮. রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের অফিসারের সাথে সাথে সাধ্যমতো ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকেও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা;
৯. সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ পূর্বে সামরিক বাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করা;
১০. নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে নির্বাচনী মাঠ সমতল করা।
১১. সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এ ছাড়াও বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে দলীয় লোকদের রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে তা সরকারের কাছে জমা দিতে হবে;
১২. নির্বাচনী এলাকাগুলোতে যারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে;
১৩. ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত এলাকার মধ্যেই শুধু নয় বরং এর বাইরেও নির্বাচনী এলাকার যেকোনো স্থানে সন্ত্রাসী তৎপরতার খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তা দমন করা;
১৪. ছবিসহ ভোটার তালিকায় ভোটারদের ছবি পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে না। তাই স্পষ্ট ছবিসহ ভোটার তালিকা পোলিং এজেন্টগণকে যথাসময়ে সরবরাহ করা;
১৫. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত পোলিং, প্রিসাইডিং অফিসার, আনসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া;
১৬. প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করার জন্য ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট যেকোনো একটির মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। রেজিস্টার্ড প্রবাসী ভোটারদের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোকে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা;
১৭. নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও নিরপেক্ষতা যাচাই করা;
১৮. ফ্যাসিস্ট আমলে নিজেদের সুবিধা মতো ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে সেগুলো এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছে জামায়াত।
বৈঠক শেষে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই আগামী নভেম্বরের মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে জামায়াত। জুলাই মাসে তৈরি জাতীয় সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোকে পরিবর্তন করে যে সংস্কারগুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে, সে সম্পর্কে জাতিকে জানতে হবে। এ ছাড়া একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে নির্বাচন কেন্দ্রে সহিংসতা সৃষ্টি হতে পারে, দু-চারটা কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হলে গণভোটের দশা কী হবে—এমন টেকনিক্যাল সমস্যা আলোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, ইসিকে অবশ্যই ‘জুলাই সনদ’ ও সংস্কারের বিষয়গুলো পাবলিক করতে হবে যাতে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। গণভোট আয়োজনে ইসির পক্ষ থেকে কোনো চ্যালেঞ্জ বা অক্ষমতার কথা জানানো হয়নি।
বিএনপির পক্ষ থেকে ইসলামী ব্যাংকসহ কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাদের নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি প্রসঙ্গে জামায়াত নেতা বলেন, তারা যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বলেছে তার কোনো একটার মালিকানার সাথে জামায়াতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নাই। তারা এটিকে ব্যাড ট্রেডিশন আখ্যা দিয়ে বলেছে, পাল্টাবিবৃতি বা তালিকা দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচার নয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’ আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রি
২৭ নভেম্বর ২০২৪
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
১৮ ঘণ্টা আগে
সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেবরগুনা প্রতিনিধি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
আজ সোমবার বিকেলে বরগুনার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী বিদ্যালয় মাঠে দলের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফয়জুল করীম বলেন, ‘ভেবেছিলাম, বৈষম্য দূর হবে, মানুষ শান্তি পাবে। কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে, কেউই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারেনি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকেও যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাও বৈষম্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু দল বা নেতার পরিবর্তনে নয়, আদর্শের পরিবর্তনেই দেশে শান্তি আসতে পারে।’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘চোর যদি এমপি হয়, সে কী করবে? আওয়ামী লীগকে যে চাঁদাবাজি ও জুলুমের জন্য তাড়িয়েছে মানুষ, সেই চাঁদাবাজি কি এখন বন্ধ হয়েছে? যে ধর্ষণের কারণে মানুষ আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, সেই ধর্ষণ কি এখন হচ্ছে না? যে দখলদারির কারণে আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, এখন কি সেই দখলদারি বন্ধ হয়েছে?’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বামনা উপজেলা সভাপতি আলহাজ আব্দুস সোবহান খান। সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন জিহাদী।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
আজ সোমবার বিকেলে বরগুনার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী বিদ্যালয় মাঠে দলের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফয়জুল করীম বলেন, ‘ভেবেছিলাম, বৈষম্য দূর হবে, মানুষ শান্তি পাবে। কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে, কেউই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারেনি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকেও যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাও বৈষম্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু দল বা নেতার পরিবর্তনে নয়, আদর্শের পরিবর্তনেই দেশে শান্তি আসতে পারে।’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘চোর যদি এমপি হয়, সে কী করবে? আওয়ামী লীগকে যে চাঁদাবাজি ও জুলুমের জন্য তাড়িয়েছে মানুষ, সেই চাঁদাবাজি কি এখন বন্ধ হয়েছে? যে ধর্ষণের কারণে মানুষ আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, সেই ধর্ষণ কি এখন হচ্ছে না? যে দখলদারির কারণে আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, এখন কি সেই দখলদারি বন্ধ হয়েছে?’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বামনা উপজেলা সভাপতি আলহাজ আব্দুস সোবহান খান। সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন জিহাদী।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’ আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রি
২৭ নভেম্বর ২০২৪
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপির ৩৬ দফার পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মি
১ ঘণ্টা আগে
সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য জিয়াউদ্দিন হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা ও ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’-এর প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ও বিস্তারিত নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি বা কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন পরিবেশ, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় হয়েছে।

সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য জিয়াউদ্দিন হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা ও ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’-এর প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ও বিস্তারিত নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি বা কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন পরিবেশ, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’ আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রি
২৭ নভেম্বর ২০২৪
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপির ৩৬ দফার পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মি
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
১৮ ঘণ্টা আগে