নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতা কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউদ্দিন এ আদেশ দেন।
মির্জা ফখরুলসহ ১৩৮ জনের জামিনের আবেদন করা হয় গতকাল রোববার সকালে। পরে বিকেলে ও আজ সকালে আরও ৮৬ জনের জামিনের আবেদন করা হয়। ২২৪ জনের জামিনের আবেদন আজ বেলা আড়াইটার সময় শুনানি শুরু হয়। ২ ঘণ্টা শুনানির পরে মির্জা ফখরুলসহ ১১ জনের জামিন বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে আদালত জানান। ২১৩ জনের জামিন আবেদন তাৎক্ষণিকভাবে নামঞ্জুর করা হয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট খাস কামরায় গিয়ে মির্জা ফখরুলসহ ১১ জনের জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করেন।
আরও যাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আব্দুস ছালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা হাবিব।
বিএনপির আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাঁদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তাঁদের গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। গত শুক্রবার পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদের গত বুধবার সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। তাঁদের বৃহস্পতিবারে আদালতে আনার পর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
একই মামলায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদসহ ৪৩৪ জনকে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে নেওয়া হয় ১৪ নেতা কর্মীকে। রিমান্ড শেষে ওই ১৪ জনকেও গতকাল রোববার কারাগারে পাঠানো হয়। গত শনিবার আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় মোট ৪৫৩ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। মামলায় ৪৭৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতা কর্মীকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সমাবেশের ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিএনপি জড়ো হয়েছিল পার্টি কার্যালয়ের সামনে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়ার পরে পল্টন, রমনা, শাহজাহানপুর ও মতিঝিল থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়।
আজ জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. বোরহান উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু, ঢাকা জেলা পিপি শেখ হেমায়েত হোসেন প্রমুখ।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, এই মামলায় যে ঘটনা দেখানো হয়েছে প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপিকে দমন নির্যাতনের অংশ হিসেবে এখন গায়েবি মামলা হচ্ছে। আবার গায়েবি ঘটনা দেখিয়ে মামলা করা হচ্ছে।
তাঁরা আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম এজাহারে নেই। তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করেই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সমাবেশ বানচাল করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে। কিন্তু সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন তাঁদের কারাগারে আটক রাখার কোনো যুক্তি নেই।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসই হলেন এই ঘটনার নির্দেশদাতা। রাজনৈতিক সমাবেশ এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে একের পর এক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে বিএনপির নেতা কর্মীরা। তাঁরা সদ্য ধৃত, এই মুহূর্তে জামিন দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আরও বলা হয়, মামলাটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের। সম্পূর্ণ অজামিনযোগ্য ধারার মামলা। কাজেই তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হোক।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতা কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউদ্দিন এ আদেশ দেন।
মির্জা ফখরুলসহ ১৩৮ জনের জামিনের আবেদন করা হয় গতকাল রোববার সকালে। পরে বিকেলে ও আজ সকালে আরও ৮৬ জনের জামিনের আবেদন করা হয়। ২২৪ জনের জামিনের আবেদন আজ বেলা আড়াইটার সময় শুনানি শুরু হয়। ২ ঘণ্টা শুনানির পরে মির্জা ফখরুলসহ ১১ জনের জামিন বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে আদালত জানান। ২১৩ জনের জামিন আবেদন তাৎক্ষণিকভাবে নামঞ্জুর করা হয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট খাস কামরায় গিয়ে মির্জা ফখরুলসহ ১১ জনের জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করেন।
আরও যাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আব্দুস ছালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা হাবিব।
বিএনপির আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাঁদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তাঁদের গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। গত শুক্রবার পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদের গত বুধবার সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। তাঁদের বৃহস্পতিবারে আদালতে আনার পর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
একই মামলায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদসহ ৪৩৪ জনকে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে নেওয়া হয় ১৪ নেতা কর্মীকে। রিমান্ড শেষে ওই ১৪ জনকেও গতকাল রোববার কারাগারে পাঠানো হয়। গত শনিবার আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় মোট ৪৫৩ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। মামলায় ৪৭৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতা কর্মীকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এই সমাবেশের ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিএনপি জড়ো হয়েছিল পার্টি কার্যালয়ের সামনে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়ার পরে পল্টন, রমনা, শাহজাহানপুর ও মতিঝিল থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়।
আজ জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. বোরহান উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু, ঢাকা জেলা পিপি শেখ হেমায়েত হোসেন প্রমুখ।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, এই মামলায় যে ঘটনা দেখানো হয়েছে প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপিকে দমন নির্যাতনের অংশ হিসেবে এখন গায়েবি মামলা হচ্ছে। আবার গায়েবি ঘটনা দেখিয়ে মামলা করা হচ্ছে।
তাঁরা আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম এজাহারে নেই। তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করেই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সমাবেশ বানচাল করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে। কিন্তু সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন তাঁদের কারাগারে আটক রাখার কোনো যুক্তি নেই।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসই হলেন এই ঘটনার নির্দেশদাতা। রাজনৈতিক সমাবেশ এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে একের পর এক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে বিএনপির নেতা কর্মীরা। তাঁরা সদ্য ধৃত, এই মুহূর্তে জামিন দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আরও বলা হয়, মামলাটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের। সম্পূর্ণ অজামিনযোগ্য ধারার মামলা। কাজেই তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হোক।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায়
৪ ঘণ্টা আগে
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায় জায়গা পাননি।
রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সামনের নির্বাচন শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কারের বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে হ্যাঁ ভোটের পক্ষে থেকে হ্যাঁ ভোটকে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশের মানুষের সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটাকে বাস্তবায়নের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এনসিপি জানিয়েছে, ১২৫ জনের যে তালিকা ঘোষণা হলো, সেটা চূড়ান্ত মনোনয়ন নয়। এই প্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থীদের এই তালিকায় আনা হবে। জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করে যোগ্যতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ক্ষমতার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই নির্বাচন করছি না। আসন কয়টা পাব বা পাব না, এটা বিবেচনা করেও নির্বাচন করছি না। আসন নিশ্চিত করতে হলে আমরা কোনো না কোনো জোটে চলে যেতাম।’
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে নাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি, বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের মহড়া হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াত উভয় দল থেকে আমরা এই ধরনের সংস্কৃতি দেখছি।’
ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৪ টিতে প্রার্থী দিয়েছে এনসিপি। ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-৬, ঢাকা-৮, ঢাকা-১০, ঢাকা-১৪ আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।
দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ আসন থেকে শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন। আসনটি বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা নিয়ে গঠিত। এই আসনের বিএনপির প্রার্থী এম এ কাইয়ুম। জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান।
ঢাকা-১৮ আসনে লড়বেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক।
ঢাকা-৯ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ। এখানে জামায়াতের প্রার্থী কবির আহমেদ।
ঢাকার অন্য আসনগুলোর মধ্যে ঢাকা-১ মো. রাসেল আহমেদ, ঢাকা-৪ ডা. জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা-৫ এস এম শাহরিয়ার, ঢাকা-৭ তারেক আহম্মেদ আদেল, ঢাকা-১২ নাহিদা সারওয়ার নিভা, ঢাকা-১৩ আকরাম হুসাইন, ঢাকা-১৫ মুহাম্মদ আলমগীর, ঢাকা-১৬ আরিফুল ইসলাম আদীব, ঢাকা-১৭ ডা. তাজনূভা জাবীন, ঢাকা-১৮ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ঢাকা-১৯ ফয়সাল মাহমুদ শান্ত ও ঢাকা-২০ আসনে ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসন থেকে লড়বেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ নওশাদ জমির। জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনকে সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
কুমিল্লা-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চারবারের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদ কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও দেবিদ্বার উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।
এখন পর্যন্ত যতগুলো দল মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে এনসিপির নারী প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এনসিপির ১২৫ জনের তালিকায় আছেন ১৪ জন নারী। তাঁরা হলেন মনিরা শারমিন (নওগাঁ-৫), দিলশানা পারুল (সিরাজগঞ্জ-৩), দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি (সিরাজগঞ্জ-৪), ডা. মাহমুদা আলম মিতু (ঝালকাঠি-১), তানহা শান্তা (ময়মনসিংহ-১১), ডা. তাসনিম জারা (ঢাকা-৯), নাহিদা সারওয়ার নিভা (ঢাকা-১২), ডা. তাজনূভা জাবীন (ঢাকা-১৭), ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ (ঢাকা-২০), সৈয়দা নীলিমা দোলা (ফরিদপুর-৩), ইসরাত জাহান বিন্দু (চাঁদপুর-২), হুমায়রা নূর (নোয়াখালী-৫), সাগুফতা বুশরা মিশমা (চট্টগ্রাম-১০) এবং মনজিলা সুলতানা (খাগড়াছড়ি)।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসন থেকে এনসিপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মনজুর কাদের। তিনি এর আগে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
নাটোর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এনসিপির নাটোর জেলা আহ্বায়ক আব্দুল মান্নাফ। তিনি অতীতে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি সাতবার চেম্বার অব কমার্স সভাপতি ছিলেন।
ঢাকা-৭ আসনের তারেক আহম্মেদ আদেলের নাম এখনো জাতীয় পার্টির ওয়েবসাইটে উপদেষ্টা হিসেবে আছে। আদেল জাতীয় পার্টির নেতা ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র প্রয়াত জাহাঙ্গীর মো. আদেলের ছেলে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে মুখ বিকৃত হয়ে যাওয়া সেই খোকন চন্দ্র বর্মণকে মনোনয়ন দিয়েছে এনসিপি। তিনি শেরপুর-২ আসন থেকে এনসিপির হয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্যালুট দিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন রিকশাচালক মোহাম্মদ সুজন। এনসিপির হয়ে লড়তে গত ২০ নভেম্বর ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকলেও আসনটি ফাঁকা রেখেছে এনসিপি। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে লড়ার জন্য শাপলা কলি প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছিলেন। তবে এনসিপি প্রাথমিকভাবে যে ১২৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, সেখানে নুসরাত তাবাসসুমের নাম নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মধ্যে একটিতে এনসিপি প্রার্থী দিয়েছে। দিনাজপুর-৩ আসনে এনসিপির হয়ে লড়বেন আ হ ম সামশুল মুক্তাদির। খালেদা জিয়ার বাকি দুটি আসন বগুড়া-৭ ও ফেনী-১-এ প্রার্থী দেয়নি এনসিপি।
বগুড়া-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে এনসিপি প্রার্থী হিসেবে আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকির নাম ঘোষণা করেছে। তিনি ২০০৮ সালে বিকল্পধারার হয়ে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। বগুড়া-৬ আসনে জামায়াতের প্রার্থী বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায় জায়গা পাননি।
রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সামনের নির্বাচন শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কারের বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে হ্যাঁ ভোটের পক্ষে থেকে হ্যাঁ ভোটকে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশের মানুষের সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটাকে বাস্তবায়নের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এনসিপি জানিয়েছে, ১২৫ জনের যে তালিকা ঘোষণা হলো, সেটা চূড়ান্ত মনোনয়ন নয়। এই প্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থীদের এই তালিকায় আনা হবে। জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করে যোগ্যতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ক্ষমতার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই নির্বাচন করছি না। আসন কয়টা পাব বা পাব না, এটা বিবেচনা করেও নির্বাচন করছি না। আসন নিশ্চিত করতে হলে আমরা কোনো না কোনো জোটে চলে যেতাম।’
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে নাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি, বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের মহড়া হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াত উভয় দল থেকে আমরা এই ধরনের সংস্কৃতি দেখছি।’
ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৪ টিতে প্রার্থী দিয়েছে এনসিপি। ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-৬, ঢাকা-৮, ঢাকা-১০, ঢাকা-১৪ আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।
দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ আসন থেকে শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন। আসনটি বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা নিয়ে গঠিত। এই আসনের বিএনপির প্রার্থী এম এ কাইয়ুম। জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান।
ঢাকা-১৮ আসনে লড়বেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক।
ঢাকা-৯ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ। এখানে জামায়াতের প্রার্থী কবির আহমেদ।
ঢাকার অন্য আসনগুলোর মধ্যে ঢাকা-১ মো. রাসেল আহমেদ, ঢাকা-৪ ডা. জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা-৫ এস এম শাহরিয়ার, ঢাকা-৭ তারেক আহম্মেদ আদেল, ঢাকা-১২ নাহিদা সারওয়ার নিভা, ঢাকা-১৩ আকরাম হুসাইন, ঢাকা-১৫ মুহাম্মদ আলমগীর, ঢাকা-১৬ আরিফুল ইসলাম আদীব, ঢাকা-১৭ ডা. তাজনূভা জাবীন, ঢাকা-১৮ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ঢাকা-১৯ ফয়সাল মাহমুদ শান্ত ও ঢাকা-২০ আসনে ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসন থেকে লড়বেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ নওশাদ জমির। জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনকে সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
কুমিল্লা-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চারবারের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদ কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও দেবিদ্বার উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।
এখন পর্যন্ত যতগুলো দল মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে এনসিপির নারী প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এনসিপির ১২৫ জনের তালিকায় আছেন ১৪ জন নারী। তাঁরা হলেন মনিরা শারমিন (নওগাঁ-৫), দিলশানা পারুল (সিরাজগঞ্জ-৩), দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি (সিরাজগঞ্জ-৪), ডা. মাহমুদা আলম মিতু (ঝালকাঠি-১), তানহা শান্তা (ময়মনসিংহ-১১), ডা. তাসনিম জারা (ঢাকা-৯), নাহিদা সারওয়ার নিভা (ঢাকা-১২), ডা. তাজনূভা জাবীন (ঢাকা-১৭), ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ (ঢাকা-২০), সৈয়দা নীলিমা দোলা (ফরিদপুর-৩), ইসরাত জাহান বিন্দু (চাঁদপুর-২), হুমায়রা নূর (নোয়াখালী-৫), সাগুফতা বুশরা মিশমা (চট্টগ্রাম-১০) এবং মনজিলা সুলতানা (খাগড়াছড়ি)।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসন থেকে এনসিপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মনজুর কাদের। তিনি এর আগে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
নাটোর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এনসিপির নাটোর জেলা আহ্বায়ক আব্দুল মান্নাফ। তিনি অতীতে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি সাতবার চেম্বার অব কমার্স সভাপতি ছিলেন।
ঢাকা-৭ আসনের তারেক আহম্মেদ আদেলের নাম এখনো জাতীয় পার্টির ওয়েবসাইটে উপদেষ্টা হিসেবে আছে। আদেল জাতীয় পার্টির নেতা ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র প্রয়াত জাহাঙ্গীর মো. আদেলের ছেলে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে মুখ বিকৃত হয়ে যাওয়া সেই খোকন চন্দ্র বর্মণকে মনোনয়ন দিয়েছে এনসিপি। তিনি শেরপুর-২ আসন থেকে এনসিপির হয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্যালুট দিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন রিকশাচালক মোহাম্মদ সুজন। এনসিপির হয়ে লড়তে গত ২০ নভেম্বর ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকলেও আসনটি ফাঁকা রেখেছে এনসিপি। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে লড়ার জন্য শাপলা কলি প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছিলেন। তবে এনসিপি প্রাথমিকভাবে যে ১২৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, সেখানে নুসরাত তাবাসসুমের নাম নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মধ্যে একটিতে এনসিপি প্রার্থী দিয়েছে। দিনাজপুর-৩ আসনে এনসিপির হয়ে লড়বেন আ হ ম সামশুল মুক্তাদির। খালেদা জিয়ার বাকি দুটি আসন বগুড়া-৭ ও ফেনী-১-এ প্রার্থী দেয়নি এনসিপি।
বগুড়া-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে এনসিপি প্রার্থী হিসেবে আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকির নাম ঘোষণা করেছে। তিনি ২০০৮ সালে বিকল্পধারার হয়ে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। বগুড়া-৬ আসনে জামায়াতের প্রার্থী বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতা কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর ২০২২
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে তিনটি আসন থেকে লড়াই করবেন, তার একটিতে দিনাজপুর-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে আ হ ম সামশুল মুক্তাদির এই আসনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। খালেদা জিয়ার অন্য দুটি আসন বগুড়া-৭ ও ফেনী-১-এ এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনয়ন দেয়নি এনসিপি।
রাজধানীর বাংলামোটরে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ১২৫টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দলটি।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর বগুড়া-৬ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন আবিদুর রহমান সোহেল। তিনি বগুড়া শহর জামায়াতের আমির।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে তিনটি আসন থেকে লড়াই করবেন, তার একটিতে দিনাজপুর-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে আ হ ম সামশুল মুক্তাদির এই আসনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। খালেদা জিয়ার অন্য দুটি আসন বগুড়া-৭ ও ফেনী-১-এ এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনয়ন দেয়নি এনসিপি।
রাজধানীর বাংলামোটরে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ১২৫টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দলটি।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর বগুড়া-৬ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন আবিদুর রহমান সোহেল। তিনি বগুড়া শহর জামায়াতের আমির।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতা কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায়
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে উনি (খালেদা জিয়া) চিকিৎসাব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছেন। একজন সংকটাপন্ন মানুষের জন্য যা প্রয়োজন, সেই চিকিৎসার মধ্যেই উনি আছেন। উনাকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যদি বলি, শি ক্যান কনটিনিউ অন মেইনটেইনিং হার ট্রিটমেন্ট। চিকিৎসকেরা যে চিকিৎসা দিচ্ছে, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন। সেটি উনি নিয়ে সত্যিকার অর্থেই রেসপন্স করছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, ‘তাঁর (বিএনপি চেয়ারপারসন) প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ আছে। তাঁকে নিয়ে উৎকণ্ঠাও আছে। দেশের মানুষ তাঁর স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানতে চায়। কিন্তু উনি একজন রোগী। নীতিগতভাবে উনার কিছু অধিকার আছে। ইচ্ছা করলেই চিকিৎসক হিসেবে সবকিছু প্রকাশ্যে বলে দেওয়া, এটি চিকিৎসাবিজ্ঞান কোনো অবস্থায়ই সমর্থন করে না।’
এ সময় দেশবাসীর প্রতি খালেদা জিয়াকে নিয়ে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো এবং তাতে কান না দেওয়ারও আহ্বান জানান ডা. জাহিদ।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘উনার জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল বোর্ড কাজ করছে। পৃথিবীর মধ্য ভালো চিকিৎসা যাতে উনি পেতে পারেন, সে জন্য এখানে রেখেও দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে উনার চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। উনার চিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়ে খুবই আশাবাদী মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। এরপরেও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উনার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা রেখেছেন, সেটি আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে নেই।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদ্রোগ, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ নভেম্বর তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি দুই ডজনের মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বৈঠক করে চিকিৎসায় পরিবর্তন আনছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে উনি (খালেদা জিয়া) চিকিৎসাব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছেন। একজন সংকটাপন্ন মানুষের জন্য যা প্রয়োজন, সেই চিকিৎসার মধ্যেই উনি আছেন। উনাকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যদি বলি, শি ক্যান কনটিনিউ অন মেইনটেইনিং হার ট্রিটমেন্ট। চিকিৎসকেরা যে চিকিৎসা দিচ্ছে, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন। সেটি উনি নিয়ে সত্যিকার অর্থেই রেসপন্স করছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, ‘তাঁর (বিএনপি চেয়ারপারসন) প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ আছে। তাঁকে নিয়ে উৎকণ্ঠাও আছে। দেশের মানুষ তাঁর স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানতে চায়। কিন্তু উনি একজন রোগী। নীতিগতভাবে উনার কিছু অধিকার আছে। ইচ্ছা করলেই চিকিৎসক হিসেবে সবকিছু প্রকাশ্যে বলে দেওয়া, এটি চিকিৎসাবিজ্ঞান কোনো অবস্থায়ই সমর্থন করে না।’
এ সময় দেশবাসীর প্রতি খালেদা জিয়াকে নিয়ে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো এবং তাতে কান না দেওয়ারও আহ্বান জানান ডা. জাহিদ।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘উনার জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল বোর্ড কাজ করছে। পৃথিবীর মধ্য ভালো চিকিৎসা যাতে উনি পেতে পারেন, সে জন্য এখানে রেখেও দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে উনার চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। উনার চিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়ে খুবই আশাবাদী মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। এরপরেও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উনার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা রেখেছেন, সেটি আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে নেই।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদ্রোগ, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ নভেম্বর তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি দুই ডজনের মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বৈঠক করে চিকিৎসায় পরিবর্তন আনছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতা কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায়
৪ ঘণ্টা আগে
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৫ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই। যেগুলো আছে, সেগুলো সংস্কার করে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের সুযোগ করে দেওয়া হবে।’
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আজ বুধবার বিকেলে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগত সরকারের আমলে মেগা প্রকল্প হলেও ‘উদ্দেশ্য সফল হয়নি’ বলে মনে করেন তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত স্বৈরাচারের সময়ে উন্নয়নের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আইটি পার্কের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোতে এখন বিয়েশাদির মতো সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে এসব করা হয়েছিল, তা সফল হয়নি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই। যেগুলো আছে, সেগুলো সংস্কার করে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের সুযোগ করে দেওয়া হবে।’
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আজ বুধবার বিকেলে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগত সরকারের আমলে মেগা প্রকল্প হলেও ‘উদ্দেশ্য সফল হয়নি’ বলে মনে করেন তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত স্বৈরাচারের সময়ে উন্নয়নের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আইটি পার্কের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোতে এখন বিয়েশাদির মতো সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে এসব করা হয়েছিল, তা সফল হয়নি।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতা কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায়
৪ ঘণ্টা আগে
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে