সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বান্দরবান, মিয়ানমারের রাখাইন ও ভারতের মণিপুর, মিজোরাম—এই সমস্ত রাজ্য নিয়ে এখানে একটা খ্রিষ্টান রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র চলছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাদের দেশেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য কেউ অগ্রসর হচ্ছে কি না, উদ্যোগ নিচ্ছে কি না, আমরা জানি না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, এমন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারলে ওইটা আমেরিকা দখল করবে।’
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বাসদ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বজলুর রশীদ ফিরোজ এসব কথা বলেন।
বজলুর রশীদ বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন যে মেক্সিকো গালফকে বলছে, এটা আমেরিকান গালফ। বলছে, গ্রিনল্যান্ড আমেরিকার সম্পত্তি হবে, আমেরিকার দখলে থাকবে। কানাডাকে বলছে, তোমরা আলাদা রাষ্ট্র থাকতে পারবা না, তোমরা আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। একের পর এক এ ধরনের ঘোষণা দিচ্ছে। বাংলাদেশ নিয়েও চক্রান্ত চলছে। চীনের অর্থনীতি ঠেকানোর জন্য রাখাইন, বান্দরবান, মিজোরাম ও মণিপুর নিয়ে একটা রাষ্ট্র দরকার, আমেরিকা যেখানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করে খবরদারি করতে পারবে, এই অঞ্চলের কর্তৃত্ব করতে পারবে।’
বাসদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইনের যে যুদ্ধ, গাজায় যে গণহত্যা, সেটা ইহুদি বনাম মুসলমানের যুদ্ধ নয়, সেটা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকামী মানুষের যুদ্ধ। কাজেই হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদিসহ সমস্ত মানুষ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।
বজলুর রশীদ বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, ওই ইসরায়েল নামক যে জায়নবাদী রাষ্ট্র, যে বর্বর রাষ্ট্র, যে গণহত্যাকারী রাষ্ট্র, সেই রাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের পাসপোর্টে একসময় লেখা ছিল, ইসরায়েল ছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই পাসপোর্ট দিয়ে ভ্রমণ করতে পারবে। সেটা বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা আবার পাসপোর্টে লিখে বলতে চাই, ইসরায়েল ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পাসপোর্টধারীরা ভ্রমণ করতে পারবে।’
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের যে আকাশ, মধ্যপ্রাচ্যের যে ভূমি ও আকাশ, তারা প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধের কাজে ব্যবহৃত হতে দেবে না। বাংলাদেশ সরকারকেও আমরা ঘোষণা করতে বলব, ওই প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে যেকোনো যুদ্ধের যে চক্রান্ত, যে গণহত্যা, বাংলাদেশের ভূমি, আকাশ ও নৌপথ ব্যবহার করে যেন সেই যুদ্ধের মদদ জোগাতে না পারে, সেই অবস্থান ব্যক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাব।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুলফিকার আলী, নগর কমিটির সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বান্দরবান, মিয়ানমারের রাখাইন ও ভারতের মণিপুর, মিজোরাম—এই সমস্ত রাজ্য নিয়ে এখানে একটা খ্রিষ্টান রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র চলছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাদের দেশেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য কেউ অগ্রসর হচ্ছে কি না, উদ্যোগ নিচ্ছে কি না, আমরা জানি না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, এমন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারলে ওইটা আমেরিকা দখল করবে।’
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বাসদ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বজলুর রশীদ ফিরোজ এসব কথা বলেন।
বজলুর রশীদ বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন যে মেক্সিকো গালফকে বলছে, এটা আমেরিকান গালফ। বলছে, গ্রিনল্যান্ড আমেরিকার সম্পত্তি হবে, আমেরিকার দখলে থাকবে। কানাডাকে বলছে, তোমরা আলাদা রাষ্ট্র থাকতে পারবা না, তোমরা আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। একের পর এক এ ধরনের ঘোষণা দিচ্ছে। বাংলাদেশ নিয়েও চক্রান্ত চলছে। চীনের অর্থনীতি ঠেকানোর জন্য রাখাইন, বান্দরবান, মিজোরাম ও মণিপুর নিয়ে একটা রাষ্ট্র দরকার, আমেরিকা যেখানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করে খবরদারি করতে পারবে, এই অঞ্চলের কর্তৃত্ব করতে পারবে।’
বাসদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইনের যে যুদ্ধ, গাজায় যে গণহত্যা, সেটা ইহুদি বনাম মুসলমানের যুদ্ধ নয়, সেটা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকামী মানুষের যুদ্ধ। কাজেই হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদিসহ সমস্ত মানুষ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।
বজলুর রশীদ বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, ওই ইসরায়েল নামক যে জায়নবাদী রাষ্ট্র, যে বর্বর রাষ্ট্র, যে গণহত্যাকারী রাষ্ট্র, সেই রাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের পাসপোর্টে একসময় লেখা ছিল, ইসরায়েল ছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই পাসপোর্ট দিয়ে ভ্রমণ করতে পারবে। সেটা বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা আবার পাসপোর্টে লিখে বলতে চাই, ইসরায়েল ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পাসপোর্টধারীরা ভ্রমণ করতে পারবে।’
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের যে আকাশ, মধ্যপ্রাচ্যের যে ভূমি ও আকাশ, তারা প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধের কাজে ব্যবহৃত হতে দেবে না। বাংলাদেশ সরকারকেও আমরা ঘোষণা করতে বলব, ওই প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে যেকোনো যুদ্ধের যে চক্রান্ত, যে গণহত্যা, বাংলাদেশের ভূমি, আকাশ ও নৌপথ ব্যবহার করে যেন সেই যুদ্ধের মদদ জোগাতে না পারে, সেই অবস্থান ব্যক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাব।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুলফিকার আলী, নগর কমিটির সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আরও খবর পড়ুন:
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির চেয়ে চলমান প্রচারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘নির্বাচিত সরকারের বিকল্প তো আপনারা হতে পারেন না। আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত। সেটা প্রতিদিন আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।’
৭ ঘণ্টা আগে
সংস্কার কোনো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখন যতটুকু করা সম্ভব, তা করা উচিত। বাকিটা নির্বাচিত সরকার এসে সম্পন্ন করবে। এটাই হওয়া উচিত।
৭ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ৭৮টি প্রস্তাবেই দ্বিমত জানিয়ে মতামত জমা দিয়েছে গণফোরাম। দলটি কমিশনের ৫৮ প্রস্তাবে একমত এবং ২৪টি প্রস্তাবে আংশিকভাবে একমত। অন্যদিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১০৯টি প্রস্তাবে একমত, ২২টিতে দ্বিমত এবং ৩৪টিতে আংশিকভাবে একমত।
৯ ঘণ্টা আগে
সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে গণভোটের প্রস্তাব জাকের পার্টি করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব শামীম হায়দার। তিনি বলেছেন, বড় বড় জায়গার বিষয়ে গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হওয়া উচিত। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব থাকলে তথাকথিত বড় দলগুলোর প্রভাব থাকে। তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না।
১ দিন আগে
