নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সারা দেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা করে ছাড়বে। আওয়ামী লীগের প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
আজ শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এনসিপি ঢাকা মহানগর আয়োজিত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে আখতার হোসেন এসব কথা বলেন।
বিএনপিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সবাই মিলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে বাংলাদেশে সামনে কোনো নির্বাচন হবে না।
আখতার বলেন, এই ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা করে ছাড়বে। যত দিন আওয়ামী লীগ প্রশ্নের সমাধান না হয়, তত দিন পর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের সদস্যরা কাজ করবেন।
সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, নাহিদা সারওয়ার নিভা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে আখতার হোসেন আরও বলেন, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, বাংলাদেশের ওপর বারবার গণহত্যা চাপিয়ে দিয়েছে, সেই আওয়ামী লীগ কোনোভাবে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না।
অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো সুশীল সরকার নয় জানিয়ে আখতার বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, অতীতের মতো সুশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপনারা না। আপনারা গণ-অভ্যুত্থানের সরকার। গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে যাঁরা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাঁদের কাছে প্রশ্ন, যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণহত্যা করেছে, সেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধা কোথায়?’
এনসিপির সদস্যসচিব আরও বলেন, ‘আজকে আপনারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি সাধারণ জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আওয়ামী লীগ নামে, নৌকা মার্কার নামে, মুজিববাদী আদর্শের নামে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি চলতে পারে না।’
আখতার আরও বলেন, ‘আমরা অবাক হচ্ছি, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন আছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে সন্ত্রাস করেছে, আওয়ামী লীগের নাম নির্বাচনের নিবন্ধনের খাতা থেকে কেটে সন্ত্রাসীদের খাতায় উল্লেখ করতে হবে। বাংলাদেশে যত দিন পর্যন্ত জুলাই প্রজন্ম বেঁচে আছে, তত দিন পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে এক সেকেন্ডের জন্য প্রাসঙ্গিক হতে দেব না।’
জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আরও বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আওয়ামী লীগের প্রত্যেক দোসর রাজনৈতিক দল হতে পারে, সুশীল সমাজের লোক হতে পারে, সাংবাদিক হতে পারে, বিচারপতি হতে পারে। কিন্তু যারাই আওয়ামী লীগকে ন্যূনতম স্পেস দেওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা দুর্গ গড়ে তুলবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের আইনের হাতে তুলে দিন। জনগণের হাতে যদি আওয়ামী লীগ পড়ে, তাহলে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আস্ত থাকবে না।
এর আগে বেলা ৩টায় আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সারা দেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা করে ছাড়বে। আওয়ামী লীগের প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
আজ শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এনসিপি ঢাকা মহানগর আয়োজিত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে আখতার হোসেন এসব কথা বলেন।
বিএনপিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সবাই মিলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে বাংলাদেশে সামনে কোনো নির্বাচন হবে না।
আখতার বলেন, এই ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা করে ছাড়বে। যত দিন আওয়ামী লীগ প্রশ্নের সমাধান না হয়, তত দিন পর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের সদস্যরা কাজ করবেন।
সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, নাহিদা সারওয়ার নিভা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে আখতার হোসেন আরও বলেন, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, বাংলাদেশের ওপর বারবার গণহত্যা চাপিয়ে দিয়েছে, সেই আওয়ামী লীগ কোনোভাবে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না।
অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো সুশীল সরকার নয় জানিয়ে আখতার বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, অতীতের মতো সুশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপনারা না। আপনারা গণ-অভ্যুত্থানের সরকার। গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে যাঁরা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাঁদের কাছে প্রশ্ন, যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণহত্যা করেছে, সেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধা কোথায়?’
এনসিপির সদস্যসচিব আরও বলেন, ‘আজকে আপনারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি সাধারণ জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আওয়ামী লীগ নামে, নৌকা মার্কার নামে, মুজিববাদী আদর্শের নামে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি চলতে পারে না।’
আখতার আরও বলেন, ‘আমরা অবাক হচ্ছি, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন আছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে সন্ত্রাস করেছে, আওয়ামী লীগের নাম নির্বাচনের নিবন্ধনের খাতা থেকে কেটে সন্ত্রাসীদের খাতায় উল্লেখ করতে হবে। বাংলাদেশে যত দিন পর্যন্ত জুলাই প্রজন্ম বেঁচে আছে, তত দিন পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে এক সেকেন্ডের জন্য প্রাসঙ্গিক হতে দেব না।’
জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আরও বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আওয়ামী লীগের প্রত্যেক দোসর রাজনৈতিক দল হতে পারে, সুশীল সমাজের লোক হতে পারে, সাংবাদিক হতে পারে, বিচারপতি হতে পারে। কিন্তু যারাই আওয়ামী লীগকে ন্যূনতম স্পেস দেওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা দুর্গ গড়ে তুলবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের আইনের হাতে তুলে দিন। জনগণের হাতে যদি আওয়ামী লীগ পড়ে, তাহলে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আস্ত থাকবে না।
এর আগে বেলা ৩টায় আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, যেসব রাজনৈতিক দল নিজেদের হর্তাকর্তা ভাবছে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, তাদের আওয়ামী লীগের পতন থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ দেশের ছাত্র-জনতা আগামীতে আর কোনো ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হতে দেবে না।নারায়ণগঞ্জ, গণঅধিকার পরিষদ, আওয়ামী লীগ, জেলার খবর
১০ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিমানের লন্ডন-সিলেট-ঢাকার রুট পরিবর্তন করে লন্ডন-ঢাকা-সিলেট করার প্রস্তাব দেয় অন্তর্বর্তী সরকার ও বিমান কর্তৃপক্ষ। তবে প্রস্তাবটি খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছালে ওই বিমানের অন্য সহযাত্রীদের ভোগান্তি এবং কষ্টের কথা বিবেচনা করে
১০ ঘণ্টা আগেস্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন ডা. জোবাইদা রহমান। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ১৭ বছর। একমাত্র কন্যা জায়মা রহমানকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছিলেন তিনি। অবশেষে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান।
১১ ঘণ্টা আগেসমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আমাদের রাজপথে নেমে আসতে হচ্ছে, রাজপথে কথা বলতে হচ্ছে, এটা আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা বলেই মনে করি।’
১২ ঘণ্টা আগে