নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আলোচিত লন্ডন বৈঠকের পরপরই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বিএনপি। এর মধ্যে ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পরপরই সে প্রস্তুতির গতি আরও বেড়েছে। এর অংশ হিসেবে সমমনা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রথম দিন গতকাল শুক্রবার তিনি বৈঠক করেন ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গে। এ সময় তারেক রহমান সমমনা দল ও জোটগুলোকে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানান বলে জানা গেছে।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় হয়। বেলা ৩টায় শুরু হয়ে চলে পৌনে ৫টা পর্যন্ত।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান। তাঁদের একজন নাম প্রকাশ না করে বলেন, সমমনা দল ও জোটগুলোকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, যার যার অবস্থান থেকে সর্বশক্তি নিয়ে এখন মাঠে নামতে হবে। ৩১ দফাকে জনগণের সামনে নিয়ে যেতে হবে। নির্বাচনে এটিই জনগণের কাছে তাদের প্রতিশ্রুতি।
বৈঠক সূত্র বলছে, তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কথা বলেন। তিনি ছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আলোচনায় অংশ নেন। ১২ দলীয় জোটের পক্ষে মোস্তফা জামাল হায়দার ও শাহাদাত হোসেন সেলিম বক্তব্য দেন। সমমনা জোটের ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপির পক্ষে রেদোয়ান আহমেদ এবং লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বৈঠকে বক্তব্য দেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, আলোচনায় বিএনপির সমমনা ২ দল ও ২ জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন সামনে রেখে তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তাঁর উদ্দেশে বলা হয়, আগামী নির্বাচন জোটগত বা যেভাবেই হোক, সেখানে যেন শরিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়, বিগত দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের ভূমিকার আলোকে মূল্যায়ন করা হয়।
তবে নির্বাচনে শরিকদের জন্য আসনবণ্টন নিয়ে কিছু বলেননি তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হয়েছে এবং নির্বাচনীপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনে যারা ছিল, বিগত দিনগুলোতে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, মাঠে আন্দোলন করেছে, আগামী দিনেও তারা যেন সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকে।
১২ দলীয় জোটের নেতা ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন—নির্বাচন এবং সরকার গঠনের প্রশ্নে বিএনপির যে প্রতিশ্রুতি, সে প্রতিশ্রুতি থেকে শষ্যকণা পরিমাণও বিএনপি সরবে না।’
মূলত লন্ডন বৈঠকের পরই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিকে ধরে নির্বাচনী কর্মযজ্ঞ শুরু করে বিএনপি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথরেখা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর থেকে বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতির চলমান কার্যক্রমে আরও গতি এসেছে। দলের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। প্রার্থী বাছাইয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হিসেবে চলছে জরিপের কাজও।
দলীয় সূত্র বলছে, শরিকদের জন্য অন্তত ৬০-৭০টি আসন রেখে বাকি আসনগুলোর জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। বাকি আসনগুলোর মধ্যে দলের মহাসচিবসহ অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জনের মতো জ্যেষ্ঠ ও ডাকসাইটে নেতার প্রার্থিতা মোটামুটি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য যে আসনগুলো রয়েছে, সেখানে প্রতিটির বিপরীতে তিনজন করে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য যোগ্য প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা, শিক্ষাগতসহ বিভিন্ন যোগ্যতা বিচার করা হবে। এদিকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থেকেও ৫ আগস্ট-পরবর্তী ভূমিকার জন্য তালিকা থেকে অনেকে ছিটকে গেছেন বলেও জানা গেছে।
আগামী নির্বাচনে কেমন প্রার্থী চাচ্ছে বিএনপি—এমন প্রশ্নে দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলেও আগামী সংসদ নির্বাচন ‘কঠিন হবে’ ধরে নিয়েই প্রার্থী বাছাইয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার বিচারে যাঁরা এগিয়ে থাকবেন, তাঁরাই শেষ বিচারে দলের মনোনয়ন পাবেন।
তবে বিএনপি সমমনা দলের সঙ্গে জোট করবে কি না, তার ঘোষণা এখনো আসেনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে সমমনাদের নিয়ে জোট হতে পারে। তিনি বলেন, ‘যারা যুগপৎ জুলাই আন্দোলন করেছে, আমরা তাদের নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। আমাদের সমমনা যারা আছে, যাদের নিলে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে পারব, সে হিসেবে আমাদের জোট গঠনের চেষ্টা হবে। এখন পর্যন্ত আমাদের জোট গঠনের কোনো পরিকল্পনা ঘোষিত হয়নি। তবে জোট করব না, এমনও নয়।’
আলোচিত লন্ডন বৈঠকের পরপরই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বিএনপি। এর মধ্যে ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পরপরই সে প্রস্তুতির গতি আরও বেড়েছে। এর অংশ হিসেবে সমমনা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রথম দিন গতকাল শুক্রবার তিনি বৈঠক করেন ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গে। এ সময় তারেক রহমান সমমনা দল ও জোটগুলোকে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানান বলে জানা গেছে।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় হয়। বেলা ৩টায় শুরু হয়ে চলে পৌনে ৫টা পর্যন্ত।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান। তাঁদের একজন নাম প্রকাশ না করে বলেন, সমমনা দল ও জোটগুলোকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, যার যার অবস্থান থেকে সর্বশক্তি নিয়ে এখন মাঠে নামতে হবে। ৩১ দফাকে জনগণের সামনে নিয়ে যেতে হবে। নির্বাচনে এটিই জনগণের কাছে তাদের প্রতিশ্রুতি।
বৈঠক সূত্র বলছে, তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কথা বলেন। তিনি ছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আলোচনায় অংশ নেন। ১২ দলীয় জোটের পক্ষে মোস্তফা জামাল হায়দার ও শাহাদাত হোসেন সেলিম বক্তব্য দেন। সমমনা জোটের ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপির পক্ষে রেদোয়ান আহমেদ এবং লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বৈঠকে বক্তব্য দেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, আলোচনায় বিএনপির সমমনা ২ দল ও ২ জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন সামনে রেখে তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তাঁর উদ্দেশে বলা হয়, আগামী নির্বাচন জোটগত বা যেভাবেই হোক, সেখানে যেন শরিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়, বিগত দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের ভূমিকার আলোকে মূল্যায়ন করা হয়।
তবে নির্বাচনে শরিকদের জন্য আসনবণ্টন নিয়ে কিছু বলেননি তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হয়েছে এবং নির্বাচনীপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনে যারা ছিল, বিগত দিনগুলোতে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, মাঠে আন্দোলন করেছে, আগামী দিনেও তারা যেন সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকে।
১২ দলীয় জোটের নেতা ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন—নির্বাচন এবং সরকার গঠনের প্রশ্নে বিএনপির যে প্রতিশ্রুতি, সে প্রতিশ্রুতি থেকে শষ্যকণা পরিমাণও বিএনপি সরবে না।’
মূলত লন্ডন বৈঠকের পরই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিকে ধরে নির্বাচনী কর্মযজ্ঞ শুরু করে বিএনপি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথরেখা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর থেকে বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতির চলমান কার্যক্রমে আরও গতি এসেছে। দলের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। প্রার্থী বাছাইয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হিসেবে চলছে জরিপের কাজও।
দলীয় সূত্র বলছে, শরিকদের জন্য অন্তত ৬০-৭০টি আসন রেখে বাকি আসনগুলোর জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। বাকি আসনগুলোর মধ্যে দলের মহাসচিবসহ অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জনের মতো জ্যেষ্ঠ ও ডাকসাইটে নেতার প্রার্থিতা মোটামুটি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য যে আসনগুলো রয়েছে, সেখানে প্রতিটির বিপরীতে তিনজন করে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য যোগ্য প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা, শিক্ষাগতসহ বিভিন্ন যোগ্যতা বিচার করা হবে। এদিকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থেকেও ৫ আগস্ট-পরবর্তী ভূমিকার জন্য তালিকা থেকে অনেকে ছিটকে গেছেন বলেও জানা গেছে।
আগামী নির্বাচনে কেমন প্রার্থী চাচ্ছে বিএনপি—এমন প্রশ্নে দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলেও আগামী সংসদ নির্বাচন ‘কঠিন হবে’ ধরে নিয়েই প্রার্থী বাছাইয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার বিচারে যাঁরা এগিয়ে থাকবেন, তাঁরাই শেষ বিচারে দলের মনোনয়ন পাবেন।
তবে বিএনপি সমমনা দলের সঙ্গে জোট করবে কি না, তার ঘোষণা এখনো আসেনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে সমমনাদের নিয়ে জোট হতে পারে। তিনি বলেন, ‘যারা যুগপৎ জুলাই আন্দোলন করেছে, আমরা তাদের নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। আমাদের সমমনা যারা আছে, যাদের নিলে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে পারব, সে হিসেবে আমাদের জোট গঠনের চেষ্টা হবে। এখন পর্যন্ত আমাদের জোট গঠনের কোনো পরিকল্পনা ঘোষিত হয়নি। তবে জোট করব না, এমনও নয়।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’
২ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদের দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই অভিযোগ করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রশাসনে যদি কোনোভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ থাকে, তাদের রাখা যাবে না। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাই নির্দলীয়। নির্দলীয় হলে সেখানে রাজনৈতিক দলের উপদেষ্টা বা দলীয় পরিচয়ের লোকদের থাকার কোনো কারণ নেই।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার (প্রধান উপদেষ্টা) এই আদেশটি দিবেন, প্রেসিডেন্ট দিবেন না। এটা আজকে আমরা মত দিয়েছি।’
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম ও রফিকুল ইসলাম খান।
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে তাহের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে এখনো সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হচ্ছে। সুতরাং, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছি। এখনই যদি বিষয়টি আলোচনা করি, তাহলে এটি ইমম্যাচিউরড হবে। আমরা মনে করি, ইন্টেরিম এখন ইন্টেরিমই থাকবে। যদি কোনো ব্যত্যয় না হয় সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে, তাহলে এই সরকারই কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা পালন করবে।’
তাহের আরও বলেন, ‘আমরা সেখানে বলেছি, একটি আদেশের মাধ্যমে এটাকে (জুলাই সনদ) সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটা কনস্টিটিউশন নয়। এটা হচ্ছে এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট। যেটা কোনো সরকার এ রকম একটি পরিস্থিতিতে পড়লে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। এই সনদের মাঝে যেগুলো আগামী নির্বাচন সম্পৃক্ত, সেগুলোকে আগেই পাস করিয়ে তার ভিত্তিতে নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে ইম্পর্ট্যান্ট।’
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, ‘কেউ কেউ বলেছেন অধ্যাদেশ দেওয়ার জন্য, অধ্যাদেশ খুব দুর্বল। অধ্যাদেশে এগুলোর সাংবিধানিক মর্যাদায় যাওয়ার মতো স্টে অধ্যাদেশ নেই। কিন্তু আদেশ ইজ ইকুইভ্যালেন্ট টু সাংবিধানিক পরিবর্তন, পাওয়ার অব অথরিটি।’
গণভোটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘গণভোটের ব্যাপারে বিএনপি কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিল না প্রথম দিকে। আমরা এটাতে জোর দিয়েছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি গণভোটে রাজি হয়েছে। তারপরেও তারা একটা জটিলতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। সেটা হচ্ছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন এক দিনে হতে হবে। দুইটা একেবারে আলাদা জিনিস।’
তাহের বলেন, ‘একটা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে দেশে কারা সরকার চালাবে, সেটার সিদ্ধান্ত। আর গণভোট হচ্ছে আমাদের কতগুলো রিফর্ম, সংস্কার; যেগুলো কীভাবে সরকার পরিচালনা হবে, কীভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকবে—এসব মৌলিক বিষয়, এটার সঙ্গে এটার কোনো রিলেশন নেই। গণভোটের মাধ্যমে রিফর্মস আলাদাভাবে পাস করতে হবে। জনগণ যদি ‘‘হ্যাঁ’’ বলে, পাস হয়ে গেল। জনগণ যদি ‘‘না’’ বলে, পাস হবে না।’
তাহের আরও বলেন, ‘বিএনপি অজুহাত দেখাচ্ছে, গণভোটের সময় নেই। আমরা বলেছি, নভেম্বরের লাস্টে গণভোট করেন। প্রায় এক মাসের বেশি সময় আছে, তারপরে আরও আড়াই মাস থাকবে জাতীয় নির্বাচনের। সুতরাং, এখানে সময়ের কোনো সমস্যা নাই। এই গণভোট হলেই জনগণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে, নয়তো আগের মতোই হবে।’
নির্বাচনের আগেই প্রশাসনে রদবদল ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন, সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসনে ৭০-৮০ শতাংশ অফিসারই একটি দলের আনুগত্য। তাদের মাধ্যমে এটা হচ্ছে। আমরা গেলে তারা বলে যে প্রচণ্ড চাপ। পুলিশে একই অবস্থা আছে। আমাদের প্রসিকিউটর যারা হয় ওখানে, পিপিএ ৮০ শতাংশ হচ্ছে একটি বিশেষ দলের। এই যে ইমব্যালেন্সটা হয়ে আছে, আপনারা নিরপেক্ষ সরকার, আপনারা এটাকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করেন। সকলের জন্য সমতল ভূমি তৈরি করেন এবং নির্বাচনের আগে যেখানে যেখানে রদবদল করা দরকার, আপনারা তা করেন।’
প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন জানিয়ে তাহের বলেন, ‘উনি আমাদের বলেছেন, উনি নিজে তত্ত্বাবধান করবেন এবং লটারি সিস্টেমে উনি পোস্টিং ঠিক করবেন। তো আমরা বলেছি, আমাদের কোনো আপত্তি নেই, আপনি লটারি টানেন, দেন। তবে লটারির পেছনে যেন কোনো একটা ভূত দাঁড়াইয়া না থাকে।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার (প্রধান উপদেষ্টা) এই আদেশটি দিবেন, প্রেসিডেন্ট দিবেন না। এটা আজকে আমরা মত দিয়েছি।’
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম ও রফিকুল ইসলাম খান।
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে তাহের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে এখনো সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হচ্ছে। সুতরাং, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছি। এখনই যদি বিষয়টি আলোচনা করি, তাহলে এটি ইমম্যাচিউরড হবে। আমরা মনে করি, ইন্টেরিম এখন ইন্টেরিমই থাকবে। যদি কোনো ব্যত্যয় না হয় সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে, তাহলে এই সরকারই কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা পালন করবে।’
তাহের আরও বলেন, ‘আমরা সেখানে বলেছি, একটি আদেশের মাধ্যমে এটাকে (জুলাই সনদ) সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটা কনস্টিটিউশন নয়। এটা হচ্ছে এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট। যেটা কোনো সরকার এ রকম একটি পরিস্থিতিতে পড়লে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। এই সনদের মাঝে যেগুলো আগামী নির্বাচন সম্পৃক্ত, সেগুলোকে আগেই পাস করিয়ে তার ভিত্তিতে নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে ইম্পর্ট্যান্ট।’
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, ‘কেউ কেউ বলেছেন অধ্যাদেশ দেওয়ার জন্য, অধ্যাদেশ খুব দুর্বল। অধ্যাদেশে এগুলোর সাংবিধানিক মর্যাদায় যাওয়ার মতো স্টে অধ্যাদেশ নেই। কিন্তু আদেশ ইজ ইকুইভ্যালেন্ট টু সাংবিধানিক পরিবর্তন, পাওয়ার অব অথরিটি।’
গণভোটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘গণভোটের ব্যাপারে বিএনপি কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিল না প্রথম দিকে। আমরা এটাতে জোর দিয়েছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি গণভোটে রাজি হয়েছে। তারপরেও তারা একটা জটিলতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। সেটা হচ্ছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন এক দিনে হতে হবে। দুইটা একেবারে আলাদা জিনিস।’
তাহের বলেন, ‘একটা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে দেশে কারা সরকার চালাবে, সেটার সিদ্ধান্ত। আর গণভোট হচ্ছে আমাদের কতগুলো রিফর্ম, সংস্কার; যেগুলো কীভাবে সরকার পরিচালনা হবে, কীভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকবে—এসব মৌলিক বিষয়, এটার সঙ্গে এটার কোনো রিলেশন নেই। গণভোটের মাধ্যমে রিফর্মস আলাদাভাবে পাস করতে হবে। জনগণ যদি ‘‘হ্যাঁ’’ বলে, পাস হয়ে গেল। জনগণ যদি ‘‘না’’ বলে, পাস হবে না।’
তাহের আরও বলেন, ‘বিএনপি অজুহাত দেখাচ্ছে, গণভোটের সময় নেই। আমরা বলেছি, নভেম্বরের লাস্টে গণভোট করেন। প্রায় এক মাসের বেশি সময় আছে, তারপরে আরও আড়াই মাস থাকবে জাতীয় নির্বাচনের। সুতরাং, এখানে সময়ের কোনো সমস্যা নাই। এই গণভোট হলেই জনগণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে, নয়তো আগের মতোই হবে।’
নির্বাচনের আগেই প্রশাসনে রদবদল ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন, সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসনে ৭০-৮০ শতাংশ অফিসারই একটি দলের আনুগত্য। তাদের মাধ্যমে এটা হচ্ছে। আমরা গেলে তারা বলে যে প্রচণ্ড চাপ। পুলিশে একই অবস্থা আছে। আমাদের প্রসিকিউটর যারা হয় ওখানে, পিপিএ ৮০ শতাংশ হচ্ছে একটি বিশেষ দলের। এই যে ইমব্যালেন্সটা হয়ে আছে, আপনারা নিরপেক্ষ সরকার, আপনারা এটাকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করেন। সকলের জন্য সমতল ভূমি তৈরি করেন এবং নির্বাচনের আগে যেখানে যেখানে রদবদল করা দরকার, আপনারা তা করেন।’
প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন জানিয়ে তাহের বলেন, ‘উনি আমাদের বলেছেন, উনি নিজে তত্ত্বাবধান করবেন এবং লটারি সিস্টেমে উনি পোস্টিং ঠিক করবেন। তো আমরা বলেছি, আমাদের কোনো আপত্তি নেই, আপনি লটারি টানেন, দেন। তবে লটারির পেছনে যেন কোনো একটা ভূত দাঁড়াইয়া না থাকে।’
আলোচিত লন্ডন বৈঠকের পরপরই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বিএনপি। এর মধ্যে ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পরপরই সে প্রস্তুতির গতি আরও বেড়েছে। এর অংশ হিসেবে সমমনা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
০৯ আগস্ট ২০২৫জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’
২ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদের দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই অভিযোগ করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রশাসনে যদি কোনোভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ থাকে, তাদের রাখা যাবে না। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাই নির্দলীয়। নির্দলীয় হলে সেখানে রাজনৈতিক দলের উপদেষ্টা বা দলীয় পরিচয়ের লোকদের থাকার কোনো কারণ নেই।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’
আজ বুধবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এ কথা বলেন।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। নির্বাচন কমিশনের গঠনপ্রক্রিয়া ও কমিশনের বর্তমান আচরণ আমাদের কাছে নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না। এটা স্বচ্ছ হচ্ছে না এবং নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেভাবে কার্যক্রম করার কথা ছিল, সেটা করছে না। কিছু কিছু দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখা যাচ্ছে এবং কোনো কোনো দলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি, বিগত সময়গুলোতে নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেখানে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, সেভাবে হলে দায় সরকারের ওপর আসবে। আমরা সরকারকে বিষয়টি অবগত করেছি। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। উপদেষ্টা পরিষদের বিষয়েও বক্তব্য দিয়ে এসেছি। সরকারি কর্মকর্তাদের পদায়ন দেওয়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে হচ্ছে কি না, বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাচ্ছি, শুনতে পাচ্ছি, প্রশাসনে বিভিন্ন ভাগবাঁটোয়ারা হচ্ছে। বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা করে এসপি-ডিসির জন্য তালিকা করে দিচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকে সেই দলগুলোকে সহায়তা করছে। ফলে এভাবে চললে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক দলীয় পক্ষপাতের বিষয়টি যেন প্রধান উপদেষ্টা দেখেন, সে বিষয়েও আমরা জানিয়েছি।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে আমরা আমাদের বিষয়টা জানিয়েছি। সরকার বলেছে, এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন যদি না হয়, সে দায় সরকারের ওপরে আসবে। ফলে বিষয়টা তাঁরা গুরুত্বসহকারে দেখবেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয়, তা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে। জুলাই সনদের বিষয়ে তাঁরা আমাদের সই করার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, আমাদের বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হলে পরবর্তী সংসদের একটি গাঠনিক কাঠামো থাকবে। সেই কাঠামো একটি সংবিধান তৈরি করবে। এই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ দেবে, তা নিয়ে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটার ওপর নির্ভর করে আমরা জুলাই সনদে সই করার বিষয়টি বিবেচনা করব। এটা সরকারের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি এবং এই দাবিগুলো যেন বিবেচনা করা হয়। আর সরকার যেন সেই পথে যৌক্তিকভাবে এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আগায়, এ বিষয়ে জোর দাবি জানিয়েছি।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’
আজ বুধবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এ কথা বলেন।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। নির্বাচন কমিশনের গঠনপ্রক্রিয়া ও কমিশনের বর্তমান আচরণ আমাদের কাছে নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না। এটা স্বচ্ছ হচ্ছে না এবং নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেভাবে কার্যক্রম করার কথা ছিল, সেটা করছে না। কিছু কিছু দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখা যাচ্ছে এবং কোনো কোনো দলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি, বিগত সময়গুলোতে নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেখানে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, সেভাবে হলে দায় সরকারের ওপর আসবে। আমরা সরকারকে বিষয়টি অবগত করেছি। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। উপদেষ্টা পরিষদের বিষয়েও বক্তব্য দিয়ে এসেছি। সরকারি কর্মকর্তাদের পদায়ন দেওয়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে হচ্ছে কি না, বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাচ্ছি, শুনতে পাচ্ছি, প্রশাসনে বিভিন্ন ভাগবাঁটোয়ারা হচ্ছে। বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা করে এসপি-ডিসির জন্য তালিকা করে দিচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকে সেই দলগুলোকে সহায়তা করছে। ফলে এভাবে চললে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক দলীয় পক্ষপাতের বিষয়টি যেন প্রধান উপদেষ্টা দেখেন, সে বিষয়েও আমরা জানিয়েছি।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে আমরা আমাদের বিষয়টা জানিয়েছি। সরকার বলেছে, এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন যদি না হয়, সে দায় সরকারের ওপরে আসবে। ফলে বিষয়টা তাঁরা গুরুত্বসহকারে দেখবেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয়, তা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে। জুলাই সনদের বিষয়ে তাঁরা আমাদের সই করার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, আমাদের বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হলে পরবর্তী সংসদের একটি গাঠনিক কাঠামো থাকবে। সেই কাঠামো একটি সংবিধান তৈরি করবে। এই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ দেবে, তা নিয়ে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটার ওপর নির্ভর করে আমরা জুলাই সনদে সই করার বিষয়টি বিবেচনা করব। এটা সরকারের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি এবং এই দাবিগুলো যেন বিবেচনা করা হয়। আর সরকার যেন সেই পথে যৌক্তিকভাবে এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আগায়, এ বিষয়ে জোর দাবি জানিয়েছি।’
আলোচিত লন্ডন বৈঠকের পরপরই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বিএনপি। এর মধ্যে ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পরপরই সে প্রস্তুতির গতি আরও বেড়েছে। এর অংশ হিসেবে সমমনা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
০৯ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার
১ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদের দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই অভিযোগ করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রশাসনে যদি কোনোভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ থাকে, তাদের রাখা যাবে না। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাই নির্দলীয়। নির্দলীয় হলে সেখানে রাজনৈতিক দলের উপদেষ্টা বা দলীয় পরিচয়ের লোকদের থাকার কোনো কারণ নেই।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদের দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই অভিযোগ করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টা জুলাই সনদের আওতাধীন। সে বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা হয়েছে—তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে গঠিত হবে ও কোন প্রক্রিয়ায় গঠিত হবে। সেখানে নোট অব ডিসেন্টের বিষয়টা আছে। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জুলাই সনদে আসবে। গণভোটের পরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত হওয়া সম্ভব। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে যাওয়ার আসলে কোনো ধরনের সুযোগ নেই। ফলে এই কথা (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা) যদি বলে থাকেন, যাঁরা বলছেন, তাঁদের দুরভিসন্ধি রয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গে কথা বলে বিএনপির প্রতিনিধিদল ৷
নাহিদ ইসলাম জানান, বিএনপি প্রতিনিধিদলের এই আলাপের বিষয়ে তাঁরা আইন উপদেষ্টার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। নাহিদ বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞেস করেছি, বিষয়টা কী। আইন উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের না, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো যাতে আচরণ করে, অর্থাৎ নিরপেক্ষভাবে, সেই বিষয়ে বলা হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারে ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে দুজন উপদেষ্টা আছেন। তাঁদের নিয়ে নিরপেক্ষ উপদেষ্টা পরিষদ সম্ভব কি না—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র উপদেষ্টাদের বিষয়ে যেটা বারবার বলা হয়, তাঁরা কোনো দলের প্রতিনিধি হিসেবে কিন্তু সরকারে নেই। গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে রয়েছে। ফলে অন্য উপদেষ্টা যে রকম, ছাত্র উপদেষ্টাও সে রকম। ছাত্র উপদেষ্টাকে যদি কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্টতা হিসেবে দেখা হয়, অন্য অনেক উপদেষ্টারও বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
নাহিদ এ বিষয়ে আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক সাবেক, মানে ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে, ফলে সেই বিষয়গুলোও সরকারকে বিবেচনা করতে হবে; কারণ, সরকার যখন গঠিত হয়েছিল, তখন বিভিন্ন দলের রেফারেন্সে এই উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়েছে এবং তাঁরা এই সরকারে ঠাঁই পেয়েছেন। ফলে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হলে শুধু ছাত্র উপদেষ্টা নন, অন্য যে উপদেষ্টাগুলো রয়েছেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে সেই নামগুলো বলেছি—কার কার কোন কোন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বা প্রশাসনের ভাগবাঁটোয়ারার সঙ্গে জড়িত আছে। ফলে সার্বিকভাবে এটা বিবেচনা করতে হবে।’
আজ বিকেল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যমুনায় পৌঁছায় এনসিপির প্রতিনিধিদল। নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এ দলে ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদের দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই অভিযোগ করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টা জুলাই সনদের আওতাধীন। সে বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা হয়েছে—তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে গঠিত হবে ও কোন প্রক্রিয়ায় গঠিত হবে। সেখানে নোট অব ডিসেন্টের বিষয়টা আছে। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জুলাই সনদে আসবে। গণভোটের পরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত হওয়া সম্ভব। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে যাওয়ার আসলে কোনো ধরনের সুযোগ নেই। ফলে এই কথা (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা) যদি বলে থাকেন, যাঁরা বলছেন, তাঁদের দুরভিসন্ধি রয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গে কথা বলে বিএনপির প্রতিনিধিদল ৷
নাহিদ ইসলাম জানান, বিএনপি প্রতিনিধিদলের এই আলাপের বিষয়ে তাঁরা আইন উপদেষ্টার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। নাহিদ বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞেস করেছি, বিষয়টা কী। আইন উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের না, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো যাতে আচরণ করে, অর্থাৎ নিরপেক্ষভাবে, সেই বিষয়ে বলা হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারে ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে দুজন উপদেষ্টা আছেন। তাঁদের নিয়ে নিরপেক্ষ উপদেষ্টা পরিষদ সম্ভব কি না—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র উপদেষ্টাদের বিষয়ে যেটা বারবার বলা হয়, তাঁরা কোনো দলের প্রতিনিধি হিসেবে কিন্তু সরকারে নেই। গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে রয়েছে। ফলে অন্য উপদেষ্টা যে রকম, ছাত্র উপদেষ্টাও সে রকম। ছাত্র উপদেষ্টাকে যদি কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্টতা হিসেবে দেখা হয়, অন্য অনেক উপদেষ্টারও বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
নাহিদ এ বিষয়ে আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক সাবেক, মানে ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে, ফলে সেই বিষয়গুলোও সরকারকে বিবেচনা করতে হবে; কারণ, সরকার যখন গঠিত হয়েছিল, তখন বিভিন্ন দলের রেফারেন্সে এই উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়েছে এবং তাঁরা এই সরকারে ঠাঁই পেয়েছেন। ফলে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হলে শুধু ছাত্র উপদেষ্টা নন, অন্য যে উপদেষ্টাগুলো রয়েছেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে সেই নামগুলো বলেছি—কার কার কোন কোন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বা প্রশাসনের ভাগবাঁটোয়ারার সঙ্গে জড়িত আছে। ফলে সার্বিকভাবে এটা বিবেচনা করতে হবে।’
আজ বিকেল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যমুনায় পৌঁছায় এনসিপির প্রতিনিধিদল। নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এ দলে ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
আলোচিত লন্ডন বৈঠকের পরপরই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বিএনপি। এর মধ্যে ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পরপরই সে প্রস্তুতির গতি আরও বেড়েছে। এর অংশ হিসেবে সমমনা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
০৯ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’
২ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রশাসনে যদি কোনোভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ থাকে, তাদের রাখা যাবে না। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাই নির্দলীয়। নির্দলীয় হলে সেখানে রাজনৈতিক দলের উপদেষ্টা বা দলীয় পরিচয়ের লোকদের থাকার কোনো কারণ নেই।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রশাসনে যদি কোনোভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ থাকে, তাদের রাখা যাবে না। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাই নির্দলীয়। নির্দলীয় হলে সেখানে রাজনৈতিক দলের উপদেষ্টা বা দলীয় পরিচয়ের লোকদের থাকার কোনো কারণ নেই।’
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গত ১৫ বছরের নানা ধরনের অপকর্মে যাঁরা জড়িত এবং যাঁরা ফ্যাসিস্টদের রক্ষা করতে গিয়ে বেআইনি কাজ করেছেন, তাঁদের প্রশাসনে রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাঁরা গোপনে থাকেননি, অনেকে প্রকাশ্যেই সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপ নেবে, তখন তা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। তাহলে বিগত ১৬ বছর যাঁরা ভোটে বিশ্বাস হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, এসব বিষয় আইনি প্রক্রিয়ার আওতায়। আইনি প্রক্রিয়ায় যা হওয়ার, তা হবে। যাঁরা অপরাধী, তাঁদের বিচার হওয়া উচিত। তবে এসব কিছুতে কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রশাসনে যদি কোনোভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ থাকে, তাদের রাখা যাবে না। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাই নির্দলীয়। নির্দলীয় হলে সেখানে রাজনৈতিক দলের উপদেষ্টা বা দলীয় পরিচয়ের লোকদের থাকার কোনো কারণ নেই।’
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গত ১৫ বছরের নানা ধরনের অপকর্মে যাঁরা জড়িত এবং যাঁরা ফ্যাসিস্টদের রক্ষা করতে গিয়ে বেআইনি কাজ করেছেন, তাঁদের প্রশাসনে রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাঁরা গোপনে থাকেননি, অনেকে প্রকাশ্যেই সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপ নেবে, তখন তা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। তাহলে বিগত ১৬ বছর যাঁরা ভোটে বিশ্বাস হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, এসব বিষয় আইনি প্রক্রিয়ার আওতায়। আইনি প্রক্রিয়ায় যা হওয়ার, তা হবে। যাঁরা অপরাধী, তাঁদের বিচার হওয়া উচিত। তবে এসব কিছুতে কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।
আলোচিত লন্ডন বৈঠকের পরপরই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বিএনপি। এর মধ্যে ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পরপরই সে প্রস্তুতির গতি আরও বেড়েছে। এর অংশ হিসেবে সমমনা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
০৯ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’
২ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদের দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই অভিযোগ করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে