লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘দেশে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার কিন্তু ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ তৈরি করবে। একটা ভয়ংকর ফ্যাসিবাদ তৈরি করতে চাইবে। এ সুযোগ দেশের মানুষ আর কখনো দেবে না, দিতে চায় না। সে জন্য এই সরকারকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যানি এ কথা বলেন। আমানউল্লাহপুর আয়েশা দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ সভা হয়।
এ্যানি বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আট মাস হয়েছে। কিন্তু এখনো ঢাকায় ফ্যাসিবাদের ঝটিকা মিছিল হচ্ছে। হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিল করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। যারা অপরাধী, ষড়যন্ত্রকারী, খুনি, রক্তের দাগ এখনো শুকিয়ে যায়নি, তারাই অপকর্মগুলো করছে। যেটা হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৬-১৭ বছর হয়েছে। তারা গণশত্রু ছিল। গণশত্রু ছিল বলেই পালিয়ে গেছে। হাসিনা পালিয়ে গেছে ঠিকই; সবাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে?’
বিএনপির এ নেতা বলেন, বিচারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। তারা হঠাৎ হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করে। হঠাৎ করে এসে যদি এভাবে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করে, তাহলে জনগণের দুর্ভোগ আছে। জনগণের ক্ষতি করার জন্য তারা আবার ওত পেতে আছে। তাদের যে ভুল হয়েছে তা আজ পর্যন্ত জনগণের সামনে এসে বলে নাই। বরং হুংকার দিচ্ছে, ঝটিকা মিছিল করে দেখিয়ে দেবে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার প্রসঙ্গে এ্যানি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিচার কিন্তু দৃশ্যমান নয়। দ্রুত বিচার করতে হবে। হাসিনার পরিবারের যারা দুঃশাসন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, যারা ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ের গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত ছিল এবং অত্যাচার, নির্যাতন, দুঃশাসন তৈরি করেছিল, তাদের বিচারও দৃশ্যমান করতে হবে। আমাদের জনগণের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, আমরা দ্রুত দৃশ্যমান বিচার দেখতে চাই। আরেক দিকে সংস্কারও দেখতে চাই। নির্বাচনের জন্য সংস্কার খুব জরুরি।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘৫ তারিখের (আগস্ট) আগে যেসব অবৈধ অস্ত্র ছিল আওয়ামী লীগের হাতে, হেলমেট বাহিনীর হাতে, এগুলো উদ্ধার করছে বর্তমান সরকার? ৫ তারিখ, ৬ তারিখ থানা লুট হয়েছে। এ লুটের অস্ত্র কি উদ্ধার হয়েছে? অবৈধ অস্ত্র ও লুটের অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। আইনশৃঙ্খলার অবনতি তো স্বাভাবিক কারণেই হবে। ঝটিকা মিছিল যারা করে, এই অস্ত্রগুলো তারা আবার ব্যবহার করবে না? লুটের অস্ত্র এবং অবৈধ অস্ত্র দুটো মিলিয়ে তারা কিন্তু শক্তি সঞ্চয় করতে চায়। কিন্তু এ সুযোগ এ সরকার দিতে পারবে না। কারণ আমাদের আন্দোলনের ফসল এ সরকার। এ জন্যই সরকারের কাছে আমাদের দাবি বেশি, প্রত্যাশা বেশি। অবিলম্বে এই অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। অস্ত্র যদি উদ্ধার না হয় এই অস্ত্র আমাদের বিরুদ্ধে আবার ব্যবহার করা হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে যা বলি, প্রশাসন এখন পর্যন্ত সেটা করছে না। ওপরের সিদ্ধান্ত পাচ্ছে না। আমাদের বক্তব্য অনেক থাকবে, এখন তো কথাবার্তা অনেক থাকবে, আমাদের দাবি অনেক থাকবে। কিন্তু সত্যিকারের যে দাবিগুলো, সে দাবিগুলো যদি মীমাংসা না করেন, তাহলে এ দেশে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে তারা আবার কিন্তু ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ তৈরি করবে।’
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির সদস্যসচিব মো. মোখলেছুর রহমান হারুন। বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম হাওলাদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দের রহমান রায়হানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মো. এমরান, থানা যুবদলের নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘দেশে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার কিন্তু ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ তৈরি করবে। একটা ভয়ংকর ফ্যাসিবাদ তৈরি করতে চাইবে। এ সুযোগ দেশের মানুষ আর কখনো দেবে না, দিতে চায় না। সে জন্য এই সরকারকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যানি এ কথা বলেন। আমানউল্লাহপুর আয়েশা দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ সভা হয়।
এ্যানি বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আট মাস হয়েছে। কিন্তু এখনো ঢাকায় ফ্যাসিবাদের ঝটিকা মিছিল হচ্ছে। হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিল করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। যারা অপরাধী, ষড়যন্ত্রকারী, খুনি, রক্তের দাগ এখনো শুকিয়ে যায়নি, তারাই অপকর্মগুলো করছে। যেটা হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৬-১৭ বছর হয়েছে। তারা গণশত্রু ছিল। গণশত্রু ছিল বলেই পালিয়ে গেছে। হাসিনা পালিয়ে গেছে ঠিকই; সবাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে?’
বিএনপির এ নেতা বলেন, বিচারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। তারা হঠাৎ হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করে। হঠাৎ করে এসে যদি এভাবে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করে, তাহলে জনগণের দুর্ভোগ আছে। জনগণের ক্ষতি করার জন্য তারা আবার ওত পেতে আছে। তাদের যে ভুল হয়েছে তা আজ পর্যন্ত জনগণের সামনে এসে বলে নাই। বরং হুংকার দিচ্ছে, ঝটিকা মিছিল করে দেখিয়ে দেবে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার প্রসঙ্গে এ্যানি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিচার কিন্তু দৃশ্যমান নয়। দ্রুত বিচার করতে হবে। হাসিনার পরিবারের যারা দুঃশাসন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, যারা ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ের গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত ছিল এবং অত্যাচার, নির্যাতন, দুঃশাসন তৈরি করেছিল, তাদের বিচারও দৃশ্যমান করতে হবে। আমাদের জনগণের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, আমরা দ্রুত দৃশ্যমান বিচার দেখতে চাই। আরেক দিকে সংস্কারও দেখতে চাই। নির্বাচনের জন্য সংস্কার খুব জরুরি।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘৫ তারিখের (আগস্ট) আগে যেসব অবৈধ অস্ত্র ছিল আওয়ামী লীগের হাতে, হেলমেট বাহিনীর হাতে, এগুলো উদ্ধার করছে বর্তমান সরকার? ৫ তারিখ, ৬ তারিখ থানা লুট হয়েছে। এ লুটের অস্ত্র কি উদ্ধার হয়েছে? অবৈধ অস্ত্র ও লুটের অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। আইনশৃঙ্খলার অবনতি তো স্বাভাবিক কারণেই হবে। ঝটিকা মিছিল যারা করে, এই অস্ত্রগুলো তারা আবার ব্যবহার করবে না? লুটের অস্ত্র এবং অবৈধ অস্ত্র দুটো মিলিয়ে তারা কিন্তু শক্তি সঞ্চয় করতে চায়। কিন্তু এ সুযোগ এ সরকার দিতে পারবে না। কারণ আমাদের আন্দোলনের ফসল এ সরকার। এ জন্যই সরকারের কাছে আমাদের দাবি বেশি, প্রত্যাশা বেশি। অবিলম্বে এই অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। অস্ত্র যদি উদ্ধার না হয় এই অস্ত্র আমাদের বিরুদ্ধে আবার ব্যবহার করা হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে যা বলি, প্রশাসন এখন পর্যন্ত সেটা করছে না। ওপরের সিদ্ধান্ত পাচ্ছে না। আমাদের বক্তব্য অনেক থাকবে, এখন তো কথাবার্তা অনেক থাকবে, আমাদের দাবি অনেক থাকবে। কিন্তু সত্যিকারের যে দাবিগুলো, সে দাবিগুলো যদি মীমাংসা না করেন, তাহলে এ দেশে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে তারা আবার কিন্তু ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ তৈরি করবে।’
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির সদস্যসচিব মো. মোখলেছুর রহমান হারুন। বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম হাওলাদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দের রহমান রায়হানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মো. এমরান, থানা যুবদলের নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পরিবর্তনই ‘টেকসই’ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না, যদি জনগণের ম্যান্ডেট না থাকে। ১০ জন লোক ঢাকায় বসে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারবে না।’
৯ ঘণ্টা আগেফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকাতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ব্যাপারে দলের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হলেও পরিকল্পিতভাবে তা ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। ফেব্রুয়ারির
৯ ঘণ্টা আগেজিয়াউর রহমান কাদের নিয়ে দল গঠন করেছেন জানেন? শাহ আজিজ। তিনি ছিলেন এক নম্বর রাজাকার। জিয়াউর রহমান তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। অথচ আজ বিএনপি স্লোগান দেয়, এই দেশে রাজাকার থাকবে না! কী আজিব জাহেল! আওয়ামী লীগের বিএনপির ওপর ক্ষোভটাই ছিল—জিয়াউর রহমান রাজাকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় দলটির কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি নাই ফ্যাসিবাদী পতিত শক্তি গোপালগঞ্জে হোক আর যেখানে হোক, গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর
১০ ঘণ্টা আগে