নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের প্রতিষ্ঠিত আইন ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মির্জা ফখরুলের দায়িত্বহীন বক্তব্য ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুনির্দিষ্ট আইন দ্বারা নির্ধারিত বিষয়ে লজ্জাহীনভাবে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম এবং বিএনপি তাদের চিরাচরিত অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও ক্রমাগতভাবে সীমাহীন মিথ্যাচারের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশবাসী জানে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ মানবিকতা ও উদারতা নিয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে নিজ ঘরে থেকে দেশের সর্বাধুনিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের ইতিহাসে একজন দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীর জন্য এমন মানবিকতার উদাহরণ বিরল।
‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সেই উদারতাকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম শুধু অসম্মানই করেনি, গোটা বিষয় নিয়ে অত্যন্ত উসকানিমূলক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আইন, বিচার প্রক্রিয়া ও সংবিধান সম্পর্কে দায়িত্বহীন বক্তব্য প্রদান করেছে। বিএনপি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য জল ঘোলা করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে।’
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিপক্ষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ইতিহাস জানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। এমনকি খুনিদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আইনি সুরক্ষা প্রদান করেছিল। শুধু তাই নয়, খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ ও হুদাকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে পার্লামেন্টে বসিয়েছিল। খুনি খায়রুজ্জামানকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়ে পদোন্নতির মাধ্যমে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দিয়েছিল। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের দিন বেগম খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালনের মধ্য দিয়ে আজ অবধি প্রতিহিংসাপরায়ণ ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারা অব্যাহত রেখেছে।
‘প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং প্রতিপক্ষকে হত্যা করার মতো নিকৃষ্ট মানসিকতা ঐতিহ্যগতভাবেই বিএনপির মতাদর্শ। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। বরং তিনি বারবার বিএনপির প্রতিহিংসা ও আক্রোশের রাজনীতির শিকার হয়েছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুকন্যাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশ্যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাতে গেলে বাসার প্রবেশপথ তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়াকে নিজ বাড়িতে অবস্থান ও উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন। এমন মানবিকতার দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে দ্বিতীয় আরেকটি নেই।’
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন না এবং তাঁর বিদেশ গমনে আদালতের কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা ছিল না। দেশরত্ন শেখ হাসিনা সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত সকল মামলার জামিন পাওয়ার পর এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করতে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে তার সাজা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাকে আদালতের শরণাপন্ন হতেই হবে। বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ারাধীন এবং এ বিষয়ে রাজনীতি করার কারও কোনো সুযোগ নেই।’

দেশের প্রতিষ্ঠিত আইন ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মির্জা ফখরুলের দায়িত্বহীন বক্তব্য ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুনির্দিষ্ট আইন দ্বারা নির্ধারিত বিষয়ে লজ্জাহীনভাবে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম এবং বিএনপি তাদের চিরাচরিত অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও ক্রমাগতভাবে সীমাহীন মিথ্যাচারের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশবাসী জানে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ মানবিকতা ও উদারতা নিয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে নিজ ঘরে থেকে দেশের সর্বাধুনিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের ইতিহাসে একজন দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীর জন্য এমন মানবিকতার উদাহরণ বিরল।
‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সেই উদারতাকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম শুধু অসম্মানই করেনি, গোটা বিষয় নিয়ে অত্যন্ত উসকানিমূলক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আইন, বিচার প্রক্রিয়া ও সংবিধান সম্পর্কে দায়িত্বহীন বক্তব্য প্রদান করেছে। বিএনপি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য জল ঘোলা করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে।’
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিপক্ষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ইতিহাস জানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। এমনকি খুনিদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আইনি সুরক্ষা প্রদান করেছিল। শুধু তাই নয়, খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ ও হুদাকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে পার্লামেন্টে বসিয়েছিল। খুনি খায়রুজ্জামানকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়ে পদোন্নতির মাধ্যমে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দিয়েছিল। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের দিন বেগম খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালনের মধ্য দিয়ে আজ অবধি প্রতিহিংসাপরায়ণ ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারা অব্যাহত রেখেছে।
‘প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং প্রতিপক্ষকে হত্যা করার মতো নিকৃষ্ট মানসিকতা ঐতিহ্যগতভাবেই বিএনপির মতাদর্শ। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। বরং তিনি বারবার বিএনপির প্রতিহিংসা ও আক্রোশের রাজনীতির শিকার হয়েছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুকন্যাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশ্যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাতে গেলে বাসার প্রবেশপথ তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়াকে নিজ বাড়িতে অবস্থান ও উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন। এমন মানবিকতার দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে দ্বিতীয় আরেকটি নেই।’
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন না এবং তাঁর বিদেশ গমনে আদালতের কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা ছিল না। দেশরত্ন শেখ হাসিনা সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত সকল মামলার জামিন পাওয়ার পর এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করতে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে তার সাজা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাকে আদালতের শরণাপন্ন হতেই হবে। বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ারাধীন এবং এ বিষয়ে রাজনীতি করার কারও কোনো সুযোগ নেই।’

জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তহবিল সংকটে ভুগছে। দলের আয়ের অন্যতম উৎস ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ বা গণচাঁদা সংগ্রহে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না থাকায় প্রবাসীরাও সরাসরি এনসিপিকে টাকা পাঠাতে পারছেন না।
৪১ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
৫ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেঅর্চি হক, ঢাকা

জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তহবিল সংকটে ভুগছে। দলের আয়ের অন্যতম উৎস ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ বা গণচাঁদা সংগ্রহে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না থাকায় প্রবাসীরাও সরাসরি এনসিপিকে টাকা পাঠাতে পারছেন না। এখন পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার টাকাতেই চলছে দলের কার্যক্রম। কিন্তু যে পরিমাণ চাঁদা আসছে, তা দল পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ সংগ্রহের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতারা। এমন অবস্থায় নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় তহবিল সংগ্রহে নতুন ক্যাম্পেইনের পরিকল্পনা করছে দলটি।
দলে তহবিল সংকটের কথা স্বীকার করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এবং কোষাধ্যক্ষ এস এম সাইফ মোস্তাফিজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অফিসের ভাড়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্যদের দেওয়া টাকায় চলছে। তবে আমরা বড় কোনো কর্মসূচি ও অন্য কিছু ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় সমস্যায় পড়ছি। সারা দেশের তৃণমূল কমিটি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা করা যাচ্ছে না।’
এনসিপির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে দলের কেন্দ্রীয় অস্থায়ী কার্যালয়ের ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ পাঁচ লাখ টাকা। এই ভবনের দুটি তলায় এনসিপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অফিস রয়েছে। ভবনের ১৬ তলায় এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। আর তৃতীয় তলা জাতীয় যুবশক্তিসহ এনসিপির অঙ্গ ও সহযোগী কয়েকটি সংগঠনের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৬ তলার ভাড়া ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, আর তৃতীয় তলার ভাড়া ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া সার্ভিস চার্জ ও ইউটিলিটিস বাবদ মাসে গড়ে এক লাখ টাকা পরিশোধ করতে হয়। দলের নেতারাই এই টাকা দিয়ে থাকেন বলে জানান সাইফ মোস্তাফিজ।
দলের খরচ চালানোর জন্য তহবিল বাড়াতে গত অক্টোবরের শুরুতে এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের সভায় আলোচনা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাহী কাউন্সিলের ৫৭ জন সদস্য প্রতি মাসে ন্যূনতম এক হাজার টাকা করে দেবেন। এ ছাড়া প্রত্যেক সদস্য নিজেদের আত্মীয়, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে থেকে পাঁচজনের তালিকা দেবেন, যাঁরা প্রতি মাসে দলীয় তহবিলে অনুদান দেবেন। তবে নির্বাহী কাউন্সিলের বেশির ভাগ সদস্যই পাঁচজনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিতে পারেননি বলে জানা গেছে।
এনসিপির সদস্যদের জন্যও প্রতি মাসে চাঁদা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে অনেকে এটা দিতে পারেন না বলে জানান দলের নেতারা।
এনসিপির তহবিল সংকট সম্পর্কে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘একদিকে প্রচারণা আছে, এনসিপি কিংস পার্টি, অন্যদিকে এনসিপিতে তহবিল সংকট। কিংস পার্টির এই ভ্রান্ত প্রচারণা এনসিপিকে পিছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে। আশা করি, নিবন্ধন প্রাপ্তির পর দেশ-বিদেশে অবস্থান করা বাংলাদেশি নাগরিকেরা এনসিপিকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেবেন।’
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন দল হিসেবে এনসিপির যাত্রা শুরু হয়। দলটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত তাদের ১৫টি অঙ্গসংগঠন রয়েছে। ৫০টি জেলা কমিটি ও ৩২৩টি উপজেলা কমিটি রয়েছে। সারা দেশে দলের মোট সদস্যসংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। দল গঠনের পর থেকে প্রায় ৭০ হাজার সদস্য ফরম বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি ফরমের দাম ১০০ টাকা। এই বাবদ ৭০ লাখ টাকা এসেছে।
ক্রাউড ফান্ডিংয়ে সাড়া কম
চলতি বছরের ৫ জুন ক্রাউড ফান্ডিং অর্থাৎ গণচাঁদা সংগ্রহের কাজ শুরু করে এনসিপি। সে সময় দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন জানান, ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এনসিপির কেন্দ্রীয় তহবিলে দলের শুভাকাঙ্ক্ষী, সদস্য ও সাধারণ মানুষ অনুদান দিতে পারবেন। একই সঙ্গে সরাসরি এনসিপির কার্যালয়ে রসিদ সংগ্রহ করার মধ্য দিয়ে অনুদান দেওয়া যাবে।
গত প্রায় পাঁচ মাসে এনসিপির তহবিলে ৬৫ লাখ টাকা গণচাঁদা এসেছে বলে জানিয়েছেন কোষাধ্যক্ষ সাইফ মোস্তাফিজ। তাঁর দেওয়া তথ্য এবং এনসিপির ক্রাউড ফান্ডিং ওয়েবসাইটের চিত্র বলছে, শুরুর দিকে গণচাঁদার ক্ষেত্রে ভালো সাড়া পাওয়া গেলেও পরে এতে ভাটা পড়েছে। গত তিন মাসে গণচাঁদা তহবিলে যুক্ত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
এর মধ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এক মাসে যুক্ত হয়েছে ৩৯ হাজার ৫৫৫ টাকা। ২০ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর সাত দিনে জমা পড়েছে ১২ হাজার ২১৩ টাকা।
সর্বোচ্চ গণচাঁদা ঢাকা থেকে, সর্বনিম্নে গোপালগঞ্জ
এনসিপির ক্রাউড ফান্ডিং ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে সর্বোচ্চ গণচাঁদা এসেছে ঢাকা জেলা থেকে। এই জেলার ৫২ জন দাতা মোট ৫১ হাজার ৩২২ টাকা দিয়েছেন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম চাঁদা এসেছে গোপালগঞ্জ থেকে। গত তিন মাসে এই জেলা থেকে মাত্র একজন চাঁদা দিয়েছেন, যার পরিমাণ পাঁচ টাকা।
এনসিপিকে গণচাঁদা দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচ জেলা হলো—ঢাকা, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, চট্টগ্রাম ও লক্ষ্মীপুর। আর সবচেয়ে কম গণচাঁদা এসেছে যথাক্রমে গোপালগঞ্জ, লালমনিরহাট, ঝালকাঠি, কুড়িগ্রাম ও বরিশাল জেলা থেকে। ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, গত তিন মাসে প্রবাস থেকে চারজন মোট ২ হাজার ২৫০ টাকা পাঠিয়েছেন।
সাইফ মোস্তাফিজ জানান, দলের নিবন্ধন না থাকায় প্রবাসীরা সরাসরি এনসিপিকে টাকা পাঠাতে পারেন না। এ কারণে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের গতি কিছুটা মন্থর। এরপরেও যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁরা দেশে থাকা কারও মাধ্যমে পাঠিয়েছেন।
এনসিপির আর্থিক নীতিমালায় কী আছে
গত জুনে এনসিপি নিজেদের আর্থিক ও তহবিল পরিচালনার নীতিমালা প্রণয়ন করে। সেখানে বলা হয়েছে, সদস্যদের মাসিক ফি দিতে হবে। নীতিমালায় ‘১০০ টাকা ক্যাম্পেইন’ ও ‘ছোট দান, বড় স্বপ্ন’-এর উল্লেখ রয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের ক্ষুদ্র অনুদান সংগ্রহে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যাতে দলের কাজে গণমানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়। পাশাপাশি ব্যক্তিগত অনুদান থেকে আয় আসবে। নীতিমালায় দলীয় আয়ের মধ্যে টি-শার্ট, মগ, বই বিক্রি, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, অনলাইন কোর্স থেকে আয়ের কথা বলা হয়েছে।
অনলাইন গণচাঁদার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে ডিজিটাল রসিদের মাধ্যমে দেশের এবং দেশের বাইরে প্রবাসীরা অর্থ দিতে পারবেন। করপোরেট অনুদানের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে শুধু বৈধ এবং নৈতিক উৎস থেকে টাকা গ্রহণযোগ্য হবে। কোনো কালোটাকা, অজানা উৎস, বিদেশি সরকার বা অপরাধসংশ্লিষ্ট অর্থ গ্রহণ একেবারে নিষিদ্ধ বলে নীতিমালায় উল্লেখ আছে। নীতিমালায় প্রতি ছয় মাস পর অভ্যন্তরীণ অডিট এবং প্রতিবছর বাহ্যিক নিরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সে হিসেবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আগে এনসিপির আয়-ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ হিসাব অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করার কথা।
দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করে না। তবে আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। নির্বাচনের আগেই আমাদের দলের এখন পর্যন্ত যত খরচ হয়েছে এবং প্রোগ্রামে আমাদের খরচ কীভাবে হয়েছে, সব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারব।’

জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তহবিল সংকটে ভুগছে। দলের আয়ের অন্যতম উৎস ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ বা গণচাঁদা সংগ্রহে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না থাকায় প্রবাসীরাও সরাসরি এনসিপিকে টাকা পাঠাতে পারছেন না। এখন পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার টাকাতেই চলছে দলের কার্যক্রম। কিন্তু যে পরিমাণ চাঁদা আসছে, তা দল পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ সংগ্রহের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতারা। এমন অবস্থায় নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় তহবিল সংগ্রহে নতুন ক্যাম্পেইনের পরিকল্পনা করছে দলটি।
দলে তহবিল সংকটের কথা স্বীকার করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এবং কোষাধ্যক্ষ এস এম সাইফ মোস্তাফিজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অফিসের ভাড়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্যদের দেওয়া টাকায় চলছে। তবে আমরা বড় কোনো কর্মসূচি ও অন্য কিছু ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় সমস্যায় পড়ছি। সারা দেশের তৃণমূল কমিটি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা করা যাচ্ছে না।’
এনসিপির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে দলের কেন্দ্রীয় অস্থায়ী কার্যালয়ের ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ পাঁচ লাখ টাকা। এই ভবনের দুটি তলায় এনসিপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অফিস রয়েছে। ভবনের ১৬ তলায় এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। আর তৃতীয় তলা জাতীয় যুবশক্তিসহ এনসিপির অঙ্গ ও সহযোগী কয়েকটি সংগঠনের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৬ তলার ভাড়া ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, আর তৃতীয় তলার ভাড়া ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া সার্ভিস চার্জ ও ইউটিলিটিস বাবদ মাসে গড়ে এক লাখ টাকা পরিশোধ করতে হয়। দলের নেতারাই এই টাকা দিয়ে থাকেন বলে জানান সাইফ মোস্তাফিজ।
দলের খরচ চালানোর জন্য তহবিল বাড়াতে গত অক্টোবরের শুরুতে এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের সভায় আলোচনা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাহী কাউন্সিলের ৫৭ জন সদস্য প্রতি মাসে ন্যূনতম এক হাজার টাকা করে দেবেন। এ ছাড়া প্রত্যেক সদস্য নিজেদের আত্মীয়, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে থেকে পাঁচজনের তালিকা দেবেন, যাঁরা প্রতি মাসে দলীয় তহবিলে অনুদান দেবেন। তবে নির্বাহী কাউন্সিলের বেশির ভাগ সদস্যই পাঁচজনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিতে পারেননি বলে জানা গেছে।
এনসিপির সদস্যদের জন্যও প্রতি মাসে চাঁদা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে অনেকে এটা দিতে পারেন না বলে জানান দলের নেতারা।
এনসিপির তহবিল সংকট সম্পর্কে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘একদিকে প্রচারণা আছে, এনসিপি কিংস পার্টি, অন্যদিকে এনসিপিতে তহবিল সংকট। কিংস পার্টির এই ভ্রান্ত প্রচারণা এনসিপিকে পিছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে। আশা করি, নিবন্ধন প্রাপ্তির পর দেশ-বিদেশে অবস্থান করা বাংলাদেশি নাগরিকেরা এনসিপিকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেবেন।’
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন দল হিসেবে এনসিপির যাত্রা শুরু হয়। দলটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত তাদের ১৫টি অঙ্গসংগঠন রয়েছে। ৫০টি জেলা কমিটি ও ৩২৩টি উপজেলা কমিটি রয়েছে। সারা দেশে দলের মোট সদস্যসংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। দল গঠনের পর থেকে প্রায় ৭০ হাজার সদস্য ফরম বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি ফরমের দাম ১০০ টাকা। এই বাবদ ৭০ লাখ টাকা এসেছে।
ক্রাউড ফান্ডিংয়ে সাড়া কম
চলতি বছরের ৫ জুন ক্রাউড ফান্ডিং অর্থাৎ গণচাঁদা সংগ্রহের কাজ শুরু করে এনসিপি। সে সময় দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন জানান, ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এনসিপির কেন্দ্রীয় তহবিলে দলের শুভাকাঙ্ক্ষী, সদস্য ও সাধারণ মানুষ অনুদান দিতে পারবেন। একই সঙ্গে সরাসরি এনসিপির কার্যালয়ে রসিদ সংগ্রহ করার মধ্য দিয়ে অনুদান দেওয়া যাবে।
গত প্রায় পাঁচ মাসে এনসিপির তহবিলে ৬৫ লাখ টাকা গণচাঁদা এসেছে বলে জানিয়েছেন কোষাধ্যক্ষ সাইফ মোস্তাফিজ। তাঁর দেওয়া তথ্য এবং এনসিপির ক্রাউড ফান্ডিং ওয়েবসাইটের চিত্র বলছে, শুরুর দিকে গণচাঁদার ক্ষেত্রে ভালো সাড়া পাওয়া গেলেও পরে এতে ভাটা পড়েছে। গত তিন মাসে গণচাঁদা তহবিলে যুক্ত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
এর মধ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এক মাসে যুক্ত হয়েছে ৩৯ হাজার ৫৫৫ টাকা। ২০ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর সাত দিনে জমা পড়েছে ১২ হাজার ২১৩ টাকা।
সর্বোচ্চ গণচাঁদা ঢাকা থেকে, সর্বনিম্নে গোপালগঞ্জ
এনসিপির ক্রাউড ফান্ডিং ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে সর্বোচ্চ গণচাঁদা এসেছে ঢাকা জেলা থেকে। এই জেলার ৫২ জন দাতা মোট ৫১ হাজার ৩২২ টাকা দিয়েছেন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম চাঁদা এসেছে গোপালগঞ্জ থেকে। গত তিন মাসে এই জেলা থেকে মাত্র একজন চাঁদা দিয়েছেন, যার পরিমাণ পাঁচ টাকা।
এনসিপিকে গণচাঁদা দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচ জেলা হলো—ঢাকা, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, চট্টগ্রাম ও লক্ষ্মীপুর। আর সবচেয়ে কম গণচাঁদা এসেছে যথাক্রমে গোপালগঞ্জ, লালমনিরহাট, ঝালকাঠি, কুড়িগ্রাম ও বরিশাল জেলা থেকে। ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, গত তিন মাসে প্রবাস থেকে চারজন মোট ২ হাজার ২৫০ টাকা পাঠিয়েছেন।
সাইফ মোস্তাফিজ জানান, দলের নিবন্ধন না থাকায় প্রবাসীরা সরাসরি এনসিপিকে টাকা পাঠাতে পারেন না। এ কারণে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের গতি কিছুটা মন্থর। এরপরেও যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁরা দেশে থাকা কারও মাধ্যমে পাঠিয়েছেন।
এনসিপির আর্থিক নীতিমালায় কী আছে
গত জুনে এনসিপি নিজেদের আর্থিক ও তহবিল পরিচালনার নীতিমালা প্রণয়ন করে। সেখানে বলা হয়েছে, সদস্যদের মাসিক ফি দিতে হবে। নীতিমালায় ‘১০০ টাকা ক্যাম্পেইন’ ও ‘ছোট দান, বড় স্বপ্ন’-এর উল্লেখ রয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের ক্ষুদ্র অনুদান সংগ্রহে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যাতে দলের কাজে গণমানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়। পাশাপাশি ব্যক্তিগত অনুদান থেকে আয় আসবে। নীতিমালায় দলীয় আয়ের মধ্যে টি-শার্ট, মগ, বই বিক্রি, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, অনলাইন কোর্স থেকে আয়ের কথা বলা হয়েছে।
অনলাইন গণচাঁদার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে ডিজিটাল রসিদের মাধ্যমে দেশের এবং দেশের বাইরে প্রবাসীরা অর্থ দিতে পারবেন। করপোরেট অনুদানের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে শুধু বৈধ এবং নৈতিক উৎস থেকে টাকা গ্রহণযোগ্য হবে। কোনো কালোটাকা, অজানা উৎস, বিদেশি সরকার বা অপরাধসংশ্লিষ্ট অর্থ গ্রহণ একেবারে নিষিদ্ধ বলে নীতিমালায় উল্লেখ আছে। নীতিমালায় প্রতি ছয় মাস পর অভ্যন্তরীণ অডিট এবং প্রতিবছর বাহ্যিক নিরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সে হিসেবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আগে এনসিপির আয়-ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ হিসাব অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করার কথা।
দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করে না। তবে আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। নির্বাচনের আগেই আমাদের দলের এখন পর্যন্ত যত খরচ হয়েছে এবং প্রোগ্রামে আমাদের খরচ কীভাবে হয়েছে, সব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারব।’

দেশের প্রতিষ্ঠিত আইন ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মির্জা ফখরুলের দায়িত্বহীন বক্তব্য ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিবাদ জানান
০৪ অক্টোবর ২০২৩
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
৫ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের জন্য এনসিপি মনোনীত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন নাহিদ।
নাহিদ বলেন, ‘যাঁরা নতুন করে রাজনীতি করতে চান, বাংলাদেশটাকে নতুন করে গড়তে চান—আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা সব জেলায়, সব আসনে সৎ, যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব দেখতে চাই।’
ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সারা দেশে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরি করেছি, বিচারের জন্য কথা বলে যাচ্ছি। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শাপলা কলি মার্কায় ইনশা আল্লাহ আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিব। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আপনার-আমার সবার দল।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের জন্য এনসিপি মনোনীত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন নাহিদ।
নাহিদ বলেন, ‘যাঁরা নতুন করে রাজনীতি করতে চান, বাংলাদেশটাকে নতুন করে গড়তে চান—আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা সব জেলায়, সব আসনে সৎ, যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব দেখতে চাই।’
ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সারা দেশে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরি করেছি, বিচারের জন্য কথা বলে যাচ্ছি। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শাপলা কলি মার্কায় ইনশা আল্লাহ আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিব। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আপনার-আমার সবার দল।’

দেশের প্রতিষ্ঠিত আইন ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মির্জা ফখরুলের দায়িত্বহীন বক্তব্য ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিবাদ জানান
০৪ অক্টোবর ২০২৩
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তহবিল সংকটে ভুগছে। দলের আয়ের অন্যতম উৎস ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ বা গণচাঁদা সংগ্রহে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না থাকায় প্রবাসীরাও সরাসরি এনসিপিকে টাকা পাঠাতে পারছেন না।
৪১ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
৫ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার অনিবার্য পরিণতি: নভেম্বর, ১৯৭৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি চাঁদাবাজি, মাস্তানি এত বেশি করেছে, এগুলো ক্ষমার অযোগ্য। এগুলোর জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আর ২০০১ থেকে ২০০৬-এ তারা যে দুর্নীতি করেছিল, শেখ হাসিনা এত আকাম করেছে যে, বিএনপির দুর্নীতি ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। বিএনপির মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। লন্ডনের চুক্তি অনুযায়ী দলটি ক্ষমতায় এলে এনসিপির মাধ্যমে তাদের পতন নিশ্চিত হবে।’
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি শুধু দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খালেদা জিয়ার পাশে দুর্নীতিবাজরা ছিল। এবারের প্রার্থী তালিকায় যারা জুলাই সনদ প্রয়োজন নেই বলছে, তাদের অবস্থানে আমরা হতাশ।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘যদি বিএনপি সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে, তবে এনসিপি কিছু সুযোগ দিতে রাজি রয়েছে।’
জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন লাকি ম্যান ছিলেন, ক্ষমতা না চাইতে হলেও পেয়ে গেছেন। উনার কিছু ক্যারিশমেটিক জায়গা ছিল, সে জায়গা থেকে উনি অর্থনৈতিক কিছু উন্নয়নের জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পলিটিক্যাল জায়গায় জিয়াউর রহমান ব্যর্থ ছিলেন। ওই সময় একটি সুযোগ ছিল বাংলাদেশটাকে নতুন করে পুনর্গঠন করার। উনি রাজনীতিকে যতটুকু পুনর্গঠন করবেন, তা করেননি। অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করেছেন। অর্থনৈতিক উনার অনেক সফলতা রয়েছে। রাজনৈতিক পুনর্গঠনের কিছু চেষ্টা চালিয়েছেন; কিন্তু উনি সফল হন নাই।’
আলোচনা সভায় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা পঁচাত্তরের যে ঘটনাপ্রবাহ দেখি, মুক্তিযুদ্ধের পর একটি ঘটনাপ্রবাহ দেখি, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার যেমন আওয়ামী লীগের এবং বর্তমান বাংলাদেশের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভারও বিএনপির ওপর বর্তায়।’
এনসিপির নিবন্ধনের খবরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘এনসিপি নিবন্ধন পাবে কি না; জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে কি নাই, সে বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কটাক্ষ করেছে। কিন্তু আমরা দিন শেষে দেখিয়ে দিয়েছি যে, বাংলাদেশের জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে এবং জনগণ এনসিপিকে সামনের নির্বাচনে সে সমর্থন ব্যক্ত করবে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার পেছনে শেখ মুজিবের বিভক্তির রাজনীতি অন্যতম কারণ। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস নয়, নিজেদের দলের ইতিহাসও সঠিকভাবে লেখানো সম্ভব নয়।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার অনিবার্য পরিণতি: নভেম্বর, ১৯৭৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি চাঁদাবাজি, মাস্তানি এত বেশি করেছে, এগুলো ক্ষমার অযোগ্য। এগুলোর জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আর ২০০১ থেকে ২০০৬-এ তারা যে দুর্নীতি করেছিল, শেখ হাসিনা এত আকাম করেছে যে, বিএনপির দুর্নীতি ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। বিএনপির মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। লন্ডনের চুক্তি অনুযায়ী দলটি ক্ষমতায় এলে এনসিপির মাধ্যমে তাদের পতন নিশ্চিত হবে।’
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি শুধু দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খালেদা জিয়ার পাশে দুর্নীতিবাজরা ছিল। এবারের প্রার্থী তালিকায় যারা জুলাই সনদ প্রয়োজন নেই বলছে, তাদের অবস্থানে আমরা হতাশ।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘যদি বিএনপি সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে, তবে এনসিপি কিছু সুযোগ দিতে রাজি রয়েছে।’
জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন লাকি ম্যান ছিলেন, ক্ষমতা না চাইতে হলেও পেয়ে গেছেন। উনার কিছু ক্যারিশমেটিক জায়গা ছিল, সে জায়গা থেকে উনি অর্থনৈতিক কিছু উন্নয়নের জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পলিটিক্যাল জায়গায় জিয়াউর রহমান ব্যর্থ ছিলেন। ওই সময় একটি সুযোগ ছিল বাংলাদেশটাকে নতুন করে পুনর্গঠন করার। উনি রাজনীতিকে যতটুকু পুনর্গঠন করবেন, তা করেননি। অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করেছেন। অর্থনৈতিক উনার অনেক সফলতা রয়েছে। রাজনৈতিক পুনর্গঠনের কিছু চেষ্টা চালিয়েছেন; কিন্তু উনি সফল হন নাই।’
আলোচনা সভায় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা পঁচাত্তরের যে ঘটনাপ্রবাহ দেখি, মুক্তিযুদ্ধের পর একটি ঘটনাপ্রবাহ দেখি, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার যেমন আওয়ামী লীগের এবং বর্তমান বাংলাদেশের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভারও বিএনপির ওপর বর্তায়।’
এনসিপির নিবন্ধনের খবরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘এনসিপি নিবন্ধন পাবে কি না; জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে কি নাই, সে বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কটাক্ষ করেছে। কিন্তু আমরা দিন শেষে দেখিয়ে দিয়েছি যে, বাংলাদেশের জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে এবং জনগণ এনসিপিকে সামনের নির্বাচনে সে সমর্থন ব্যক্ত করবে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার পেছনে শেখ মুজিবের বিভক্তির রাজনীতি অন্যতম কারণ। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস নয়, নিজেদের দলের ইতিহাসও সঠিকভাবে লেখানো সম্ভব নয়।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।

দেশের প্রতিষ্ঠিত আইন ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মির্জা ফখরুলের দায়িত্বহীন বক্তব্য ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিবাদ জানান
০৪ অক্টোবর ২০২৩
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তহবিল সংকটে ভুগছে। দলের আয়ের অন্যতম উৎস ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ বা গণচাঁদা সংগ্রহে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না থাকায় প্রবাসীরাও সরাসরি এনসিপিকে টাকা পাঠাতে পারছেন না।
৪১ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়া প্রকাশিত ছবিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির আরও কয়েকজন নেতাকে দেখা গেছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়া প্রকাশিত ছবিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির আরও কয়েকজন নেতাকে দেখা গেছে।

দেশের প্রতিষ্ঠিত আইন ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মির্জা ফখরুলের দায়িত্বহীন বক্তব্য ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিবাদ জানান
০৪ অক্টোবর ২০২৩
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তহবিল সংকটে ভুগছে। দলের আয়ের অন্যতম উৎস ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ বা গণচাঁদা সংগ্রহে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না থাকায় প্রবাসীরাও সরাসরি এনসিপিকে টাকা পাঠাতে পারছেন না।
৪১ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
৫ ঘণ্টা আগে