Ajker Patrika

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথেই দেশ অগ্রসর হবে: আমীর খসরু

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু। ছবি: সংগৃহীত

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সে পথেই দেশ অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজ সোমবার দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

আমীর খসরু বলেন, ‘বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সে পথেই দেশ অগ্রসর হবে।

দেশের মানুষ ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। নতুন প্রজন্ম ভোট দিতে পারেনি। তাই তাঁরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চান। এটিই ছিল আন্দোলনের মূল প্রত্যাশা।

এ সময় বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গত শুক্রবার লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক হয়।

সেই বৈঠকে নির্বাচনে নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছিল কি না, সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরুকে এ প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা।

জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হলো—একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং নির্বাচনে সে নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

বিএনপি এত দিন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারিতে রাজি হয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময়। এতটুকু সময়ও লাগার কোনো কারণ নেই।’

বিএনপি আগে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের কথা বলেছে। সুতরাং ফেব্রুয়ারি আরও দীর্ঘ সময়। তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি নির্বাচন হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সম্প্রতি অভিযোগ করে বলেছে, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার ‘বিশেষ সম্পর্ক’ করছে।

এ বিষয়ে আমীর খসরুর মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাহলে এখানে সবার মতামত নেওয়ার সুযোগ আছে।’

‘সবাই তার মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া। সবাই তার নিজের মতামত দেবে। তার মধ্যেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

সরকারের এখন নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়ার দরকার আছে কি না, এ প্রশ্নও করা হয় আমীর খসরুর কাছে।

উত্তরে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন।’

প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারকাজের অগ্রগতি চায় কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ নিয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান ও বিএনপির সব নেতা আগেই বলেছেন।

‘আর বিচার করবে বিভাগ বিচার। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার বিষয়ও আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য প্রায় ৬ মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছেই’, যোগ করেন আমীর খসরু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত