নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। তবে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন প্রশ্নে কোনো ছাড় দিতে চায় না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়েছেন, সংবিধানের বাইরে এক চুলও সরা হবে না। নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের বাইরে কোনো দাবিও আমলে নেওয়া হবে না।
আজ শনিবার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত দলটির উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি আবারও জানান সরকারপ্রধান। বৈঠকে উপস্থিত উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃতি দিয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য জানান, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে পরিষ্কার করে বলেছেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের কোনো দাবিই মানা হবে না। এই দাবির পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল আন্দোলনের নামে সহিংসতা-নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। তবে সংবিধানসম্মত কোনো দাবি যৌক্তিক হলে তা মানা হবে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপদেষ্টা পরিষদের এক সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সরকার শতভাগ সহযোগিতা করবে। নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের সামনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরারও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে সাংগঠনিক বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। আজ সিলেটসহ এরই মধ্যে সাতটি গণসমাবেশ শেষ করেছে। কুমিল্লা, রাজশাহীর পরে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে দলটি। এ নিয়ে দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এসব সমাবেশের বিষয়ে সরাসরি কোনো কথা বলেননি শেখ হাসিনা। তবে কর্মসূচি পালনের নামে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে সে ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সহিংসতা ও নাশকতার আশ্রয় নিয়ে বিএনপি দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইলে ছাড় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবিলা করবে। এক বিন্দু ছাড় পাবে না। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে বিরোধীরা কর্মসূচি পালন করলে তাতে বাধা দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের বিভাগীয় সমাবেশ চলছে। আওয়ামী লীগ কোথাও বাধার সৃষ্টি করছে না। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে এবং তাতে বিশ্বাসও করে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে গণভবনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে সোয়া ২টা পর্যন্ত। বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের ৪১ সদস্যের অধিকাংশই উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন। তাঁরা দেশের সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, আর্থিক বিষয় নিয়ে দলীয় সভাপতির কাছে বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
একাধিক উপদেষ্টা বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রদূতদের আরও সক্রিয় করে তোলা এবং দক্ষ কূটনীতিকদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বার্থে তাঁরা যেন আরও সক্রিয় হন, সে বিষয়ে কথা বলেন। দেশের নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিদেশি রাষ্ট্রদূতের লাগামহীন বক্তব্যের সমালোচনা করে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। দেশের স্বার্থের পরিপন্থী হলে প্রতিবাদ জানানোর বিষয়ে পরামর্শ দেন তাঁরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশিরা যখন আমাদের দেশের ব্যাপারে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে, আমরাও তাদের দেশের অমানবিক-অগণতান্ত্রিক ব্যাপারগুলো তুলে ধরে তাদের চাপে রাখার পথে হাঁটতে পারি। তবে তা হতে হবে রাষ্ট্রচার অনুযায়ী।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমেরিকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বুটের তলায় যখন জনগণকে নিষ্পেষিত করে, তখন অমানবিক হয় না? আমরা পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ নীতিতে চলেছি, ভবিষ্যতেও চলব।’
দেশের টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা কারা? চিহ্নিত করুন। অবশ্যই টাকা ফেরত আনা হবে, শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে অপরাধীদের। ঢালাওভাবে অভিযোগ করলে হবে না।’
নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। তবে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন প্রশ্নে কোনো ছাড় দিতে চায় না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়েছেন, সংবিধানের বাইরে এক চুলও সরা হবে না। নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের বাইরে কোনো দাবিও আমলে নেওয়া হবে না।
আজ শনিবার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত দলটির উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি আবারও জানান সরকারপ্রধান। বৈঠকে উপস্থিত উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃতি দিয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য জানান, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে পরিষ্কার করে বলেছেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের কোনো দাবিই মানা হবে না। এই দাবির পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল আন্দোলনের নামে সহিংসতা-নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। তবে সংবিধানসম্মত কোনো দাবি যৌক্তিক হলে তা মানা হবে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপদেষ্টা পরিষদের এক সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সরকার শতভাগ সহযোগিতা করবে। নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের সামনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরারও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে সাংগঠনিক বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। আজ সিলেটসহ এরই মধ্যে সাতটি গণসমাবেশ শেষ করেছে। কুমিল্লা, রাজশাহীর পরে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে দলটি। এ নিয়ে দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এসব সমাবেশের বিষয়ে সরাসরি কোনো কথা বলেননি শেখ হাসিনা। তবে কর্মসূচি পালনের নামে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে সে ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সহিংসতা ও নাশকতার আশ্রয় নিয়ে বিএনপি দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইলে ছাড় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবিলা করবে। এক বিন্দু ছাড় পাবে না। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে বিরোধীরা কর্মসূচি পালন করলে তাতে বাধা দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের বিভাগীয় সমাবেশ চলছে। আওয়ামী লীগ কোথাও বাধার সৃষ্টি করছে না। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে এবং তাতে বিশ্বাসও করে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে গণভবনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে সোয়া ২টা পর্যন্ত। বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের ৪১ সদস্যের অধিকাংশই উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন। তাঁরা দেশের সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, আর্থিক বিষয় নিয়ে দলীয় সভাপতির কাছে বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
একাধিক উপদেষ্টা বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রদূতদের আরও সক্রিয় করে তোলা এবং দক্ষ কূটনীতিকদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বার্থে তাঁরা যেন আরও সক্রিয় হন, সে বিষয়ে কথা বলেন। দেশের নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিদেশি রাষ্ট্রদূতের লাগামহীন বক্তব্যের সমালোচনা করে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। দেশের স্বার্থের পরিপন্থী হলে প্রতিবাদ জানানোর বিষয়ে পরামর্শ দেন তাঁরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশিরা যখন আমাদের দেশের ব্যাপারে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে, আমরাও তাদের দেশের অমানবিক-অগণতান্ত্রিক ব্যাপারগুলো তুলে ধরে তাদের চাপে রাখার পথে হাঁটতে পারি। তবে তা হতে হবে রাষ্ট্রচার অনুযায়ী।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমেরিকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বুটের তলায় যখন জনগণকে নিষ্পেষিত করে, তখন অমানবিক হয় না? আমরা পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ নীতিতে চলেছি, ভবিষ্যতেও চলব।’
দেশের টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা কারা? চিহ্নিত করুন। অবশ্যই টাকা ফেরত আনা হবে, শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে অপরাধীদের। ঢালাওভাবে অভিযোগ করলে হবে না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছেন। তাঁর অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা স্থিতিশীল। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) যুক্তরাজ্য থেকে গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
১০ ঘণ্টা আগেনির্বাচন পেছাতে দেশে-বিদেশে চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এই অভিযোগের কথা জানান।
১১ ঘণ্টা আগেসামনে গণপরিষদ এবং সংসদ নির্বাচন একই সঙ্গে করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, এতে দেশের পুরোনো শাসনকাঠামো, সংবিধান পরিবর্তন করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, দেশের মাটিতে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেউ যাতে নির্বাচন নিয়ে কথা না বলে। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার কবর জিয়ারত শেষে এ কথা বলেন তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগে