যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারী আওয়ামী লীগের সমর্থক বাংলাদেশি-আমেরিকান রাব্বী আলমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। সেই সঙ্গে সংগঠনটির যুক্তরাষ্ট্র শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত জানান।
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি পরিচয়দানকারী রাব্বী গত ২৬ জুন মিশিগানের ডেট্রয়েট ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক কোর্টে বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন। ওই মামলায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও তাঁর দপ্তরকেও বিবাদী করা হয়।
ঠিক কী অভিযোগে এই মামলা, তা ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট করেননি রাব্বী। এ ছাড়া মামলায় বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি প্রত্যাহারের দাবি ছিল বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি পরিচয়দানকারী মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা মো. রাব্বী আলমের বিরুদ্ধে সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তিবিরোধী বিভিন্ন কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় গত বছর কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত তিনি এর কোনো উত্তর না পাঠানোয় নোটিসে উল্লেখিত শর্ত অনুযায়ী স্বতঃসিদ্ধভাবে সংগঠনের সঙ্গে তাঁর সব ধরনের সম্পর্ক অবলুপ্ত এবং সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার কার্যক্রমও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের দুই নেতা আরও বলেন, ‘চার দশকের বেশি সময় ধরে দেশে ও বিদেশে সংগঠনের বিরাজমান পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার স্বার্থে সবাইকে জানাচ্ছি, মো. রাব্বী আলম বর্তমানে কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধু পরিষদের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নামে কোনো রকম আর্থিক লেনদেন বা সংগঠনের প্রতিনিধিত্বমূলক কোনো কর্মকাণ্ড না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
‘সেই সঙ্গে আরও জানাচ্ছি, তিনি অতীতে ও সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে যেসব অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে, তার কোনোটিতেই তিনি কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কোনো পূর্বানুমতি বা অনুমোদন গ্রহণ করেননি। এগুলো সবই তাঁর নিজস্ব উদ্যোগ। তাই এসব অভিযোগের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কোনো পর্যায়েরই কোনো সম্পর্ক নেই।’
পরিষদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি হিসেবে নিজেকে পরিচয় না দিতে বা অন্য কোনোভাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিনিধিত্ব না করতে মো. রাব্বী আলমকে নির্দেশ ও সতর্ক করা হলো বলে এই বিবৃতিতে বলা হয়।
রাব্বী এর আগে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রপাগান্ডা চালানোর অভিযোগে আল জাজিরা টিভি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন। তবে ওই মামলায় অগ্রগতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক সংস্থা ফ্রি ল প্রজেক্ট পরিচালিত অনলাইন লিগ্যাল ডেটাবেজের তথ্য অনুযায়ী, বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলায় রাব্বীর সঙ্গে বাদী হিসেবে আছেন রিজভী আলম ও শেরে আলম রাসু নামে সাবেক দুই প্রবাসী ছাত্রলীগ নেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়ানি আইনের অভিবাসনসংক্রান্ত ৪৬৫ ধারায় মামলাটি ডকেটভুক্ত। এটি প্রথমে বিচারক জুডিথ ই লিভির আদালতে উত্থাপন করা হয়। তিনি ম্যাজিস্ট্রেট জাজ এলিজাবেথ এ স্ট্যাফোর্ডের কাছে পাঠিয়েছেন। এই মামলায় এখনো জুরি চাওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারী আওয়ামী লীগের সমর্থক বাংলাদেশি-আমেরিকান রাব্বী আলমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। সেই সঙ্গে সংগঠনটির যুক্তরাষ্ট্র শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত জানান।
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি পরিচয়দানকারী রাব্বী গত ২৬ জুন মিশিগানের ডেট্রয়েট ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক কোর্টে বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন। ওই মামলায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও তাঁর দপ্তরকেও বিবাদী করা হয়।
ঠিক কী অভিযোগে এই মামলা, তা ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট করেননি রাব্বী। এ ছাড়া মামলায় বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি প্রত্যাহারের দাবি ছিল বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি পরিচয়দানকারী মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা মো. রাব্বী আলমের বিরুদ্ধে সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তিবিরোধী বিভিন্ন কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় গত বছর কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত তিনি এর কোনো উত্তর না পাঠানোয় নোটিসে উল্লেখিত শর্ত অনুযায়ী স্বতঃসিদ্ধভাবে সংগঠনের সঙ্গে তাঁর সব ধরনের সম্পর্ক অবলুপ্ত এবং সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার কার্যক্রমও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের দুই নেতা আরও বলেন, ‘চার দশকের বেশি সময় ধরে দেশে ও বিদেশে সংগঠনের বিরাজমান পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার স্বার্থে সবাইকে জানাচ্ছি, মো. রাব্বী আলম বর্তমানে কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধু পরিষদের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নামে কোনো রকম আর্থিক লেনদেন বা সংগঠনের প্রতিনিধিত্বমূলক কোনো কর্মকাণ্ড না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
‘সেই সঙ্গে আরও জানাচ্ছি, তিনি অতীতে ও সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে যেসব অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে, তার কোনোটিতেই তিনি কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কোনো পূর্বানুমতি বা অনুমোদন গ্রহণ করেননি। এগুলো সবই তাঁর নিজস্ব উদ্যোগ। তাই এসব অভিযোগের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কোনো পর্যায়েরই কোনো সম্পর্ক নেই।’
পরিষদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি হিসেবে নিজেকে পরিচয় না দিতে বা অন্য কোনোভাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিনিধিত্ব না করতে মো. রাব্বী আলমকে নির্দেশ ও সতর্ক করা হলো বলে এই বিবৃতিতে বলা হয়।
রাব্বী এর আগে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রপাগান্ডা চালানোর অভিযোগে আল জাজিরা টিভি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন। তবে ওই মামলায় অগ্রগতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক সংস্থা ফ্রি ল প্রজেক্ট পরিচালিত অনলাইন লিগ্যাল ডেটাবেজের তথ্য অনুযায়ী, বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলায় রাব্বীর সঙ্গে বাদী হিসেবে আছেন রিজভী আলম ও শেরে আলম রাসু নামে সাবেক দুই প্রবাসী ছাত্রলীগ নেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়ানি আইনের অভিবাসনসংক্রান্ত ৪৬৫ ধারায় মামলাটি ডকেটভুক্ত। এটি প্রথমে বিচারক জুডিথ ই লিভির আদালতে উত্থাপন করা হয়। তিনি ম্যাজিস্ট্রেট জাজ এলিজাবেথ এ স্ট্যাফোর্ডের কাছে পাঠিয়েছেন। এই মামলায় এখনো জুরি চাওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন:
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো দলের প্রতি অনুরাগ নয়, বরং ২০২৬ সালের রোজার আগে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হতে পারে বলে জামায়াতের আমির যে পরামর্শ দিয়েছিলেন, সেটার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত নির্বাচনের নতুন সময়সীমা সামঞ্জস্যপূর্ণ।
৬ ঘণ্টা আগেজামায়াত ইসলামী মনে করে, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিদেশে যৌথ সংবাদ সম্মেলন ও বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে যৌথ প্রেস ব্রিফিং নৈতিকভাবে কিছুতেই যথার্থ নয়; যৌথ বিবৃতি দেওয়া দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয়। এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন, যা তাঁর নিরপেক্ষতা
৬ ঘণ্টা আগেসরকার প্রধান হিসেবে কোনো একটি দলের সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিং নৈতিকভাবে কিছুতেই যথার্থ নয়। প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিং করায় আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
৯ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের হামলায় ইরানের আরজিএসপ্রধান, সেনাপ্রধান ও কয়েকজন পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ও নিহত ব্যক্তিদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
১ দিন আগে