নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নেতা-কর্মীদের গুম করার অভিযোগ এনে সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘এ রকম মনুষ্যত্বহীন কাজ যদি চলতে থাকে, তাহলে এর খেসারত এই সরকার এবং তাদের পক্ষ হয়ে যারা এই কাজ করছে, তাদের দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেকটি ঘটনার জন্য জবাব দিতে হবে। এখানে কেউ অন্য কোথাও থেকে আসেনি। আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেককে চিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে সরকার পতনের ‘এক দফা’ দাবিতে রোববার থেকে আবারও সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়, নিহত সাথিদের হত্যার বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা এবং গ্রেপ্তার হওয়া সংগ্রামী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সম্পাদকমণ্ডলীসহ সারা দেশে হাজারো নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিতে ১২ নভেম্বর রোববার সকাল ৬টা থেকে ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।’
তবে গণমাধ্যমের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী গাড়ি এই অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে বলেও জানান রিজভী।
রিজভী জানান, অবরোধ ছাড়াও রয়েছে দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি। পোশাকশিল্পের মজুরির দাবিতে আন্দোলনে দুই নিহত শ্রমিকসহ ২৮ অক্টোবর থেকে এই পর্যন্ত নিহত নেতা-কর্মীদের জন্য আত্মার মাগফিরাত কামনায় আগামীকাল শুক্রবার সারা দেশে বাদ জুমা প্রতিটি মসজিদে এই দোয়া মাহফিল হবে।
এদিকে গত দুই সপ্তাহে তিন দফায় ১৬০ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধীরা। গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ’ মহাসমাবেশ পুলিশের বাধার পর থেকে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো কঠোর কর্মসূচি পালন করছে। ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর দিন সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। প্রথম দফায় ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা এবং সর্বশেষ ৮ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়, যা শুক্রবার ভোর ৬টায় শেষ হচ্ছে।
সারা দেশে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৩৬৫ জনের বেশি নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ সময় মামলা হয়েছে ১৩টি এবং দেড় হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হামলায় অন্তত অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে আজ সকাল ৮টায় উত্তরা-আশুলিয়া সড়কে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল বের করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এদিন সায়েদাবাদ জনপথ মোড়, দয়াগঞ্জ রোড, লালবাগ, মালিবাগ ও হাতিরঝিলে স্বেচ্ছাসেবক দল, মিরপুরের পল্লবীতে যুবদল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, গুলশান-১ ছাত্রদল, রামপুরা, বনশ্রীতে ছাত্রদলকেও অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করতে দেখা যায়।
এ ছাড়া রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ করে ১২ দলীয় জোট। বিজয় নগর, পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন ও ফকিরাপুল এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করে গণ অধিকার পরিষদ (একাংশ)।
নেতা-কর্মীদের গুম করার অভিযোগ এনে সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘এ রকম মনুষ্যত্বহীন কাজ যদি চলতে থাকে, তাহলে এর খেসারত এই সরকার এবং তাদের পক্ষ হয়ে যারা এই কাজ করছে, তাদের দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেকটি ঘটনার জন্য জবাব দিতে হবে। এখানে কেউ অন্য কোথাও থেকে আসেনি। আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেককে চিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে সরকার পতনের ‘এক দফা’ দাবিতে রোববার থেকে আবারও সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়, নিহত সাথিদের হত্যার বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা এবং গ্রেপ্তার হওয়া সংগ্রামী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সম্পাদকমণ্ডলীসহ সারা দেশে হাজারো নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিতে ১২ নভেম্বর রোববার সকাল ৬টা থেকে ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।’
তবে গণমাধ্যমের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী গাড়ি এই অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে বলেও জানান রিজভী।
রিজভী জানান, অবরোধ ছাড়াও রয়েছে দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি। পোশাকশিল্পের মজুরির দাবিতে আন্দোলনে দুই নিহত শ্রমিকসহ ২৮ অক্টোবর থেকে এই পর্যন্ত নিহত নেতা-কর্মীদের জন্য আত্মার মাগফিরাত কামনায় আগামীকাল শুক্রবার সারা দেশে বাদ জুমা প্রতিটি মসজিদে এই দোয়া মাহফিল হবে।
এদিকে গত দুই সপ্তাহে তিন দফায় ১৬০ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধীরা। গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ’ মহাসমাবেশ পুলিশের বাধার পর থেকে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো কঠোর কর্মসূচি পালন করছে। ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর দিন সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। প্রথম দফায় ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা এবং সর্বশেষ ৮ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়, যা শুক্রবার ভোর ৬টায় শেষ হচ্ছে।
সারা দেশে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৩৬৫ জনের বেশি নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ সময় মামলা হয়েছে ১৩টি এবং দেড় হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হামলায় অন্তত অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে আজ সকাল ৮টায় উত্তরা-আশুলিয়া সড়কে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল বের করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এদিন সায়েদাবাদ জনপথ মোড়, দয়াগঞ্জ রোড, লালবাগ, মালিবাগ ও হাতিরঝিলে স্বেচ্ছাসেবক দল, মিরপুরের পল্লবীতে যুবদল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, গুলশান-১ ছাত্রদল, রামপুরা, বনশ্রীতে ছাত্রদলকেও অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করতে দেখা যায়।
এ ছাড়া রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ করে ১২ দলীয় জোট। বিজয় নগর, পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন ও ফকিরাপুল এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করে গণ অধিকার পরিষদ (একাংশ)।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আয়োজনে আগামীকাল মঙ্গলবার গাজীপুরে জুলাই পদযাত্রা হবে। বিচার, সংস্কার, গণপরিষদ নির্বাচন, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে দেশব্যাপী চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলটি এই পদযাত্রা করবে। আজ সোমবার দুপুরে গাজীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
৮ মিনিট আগেফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই। তবে নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র দেখছে বলে মনে করছে দলটি। দলটির নায়েবে আমির আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। কিন্তু নানা ষড়যন্ত্র দেখছি। কারণ এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে সরকার তেমন...
৪১ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানের পরে সামনে যে নির্বাচন আসছে, মৌলিক সংস্কারের পর আমরা সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। এখন যাঁরা নির্বাচন নির্বাচন করছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হতো। সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ দেশে কোনো নির্বাচন
১ ঘণ্টা আগেবিগত সরকারের সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীরা যেভাবে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, সেসব বিষয় গণমাধ্যমে সেভাবে আসছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২ ঘণ্টা আগে