নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপিমুখী হয়ে গেছেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখেছি ঈদের আগে প্রধান উপদেষ্টা যখন বক্তব্য দিয়েছিলেন, ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি হিসেবে আপনি যখন বলেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ওয়াদা নেবেন পরের সংসদে তারা যেন তাদের ওয়াদা বাস্তবায়ন করে এবং নির্বাচনের যে তারিখ ঘোষণা করেছিলেন, ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি হিসেবে তাদের প্রস্তাবের ছয়টার মধ্যে তিনি এখন একটি প্রস্তাবের দিকে হেলে যান, যে প্রস্তাবটি দিয়েছে বিএনপি।’
আজ মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপের মুলতবি অধিবেশনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে পদ্ধতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের দল নির্বাচন করার যে পদ্ধতি, ঈদের আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, সংস্কার কমিশন করা হয়েছে, তারা আগে বলেছিলেন জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কোন পদ্ধতিতে জাতীয় সনদ বা জুলাই সনদ তৈরি হবে, সেটা নিয়ে তারা ছয়টা প্রস্তাব দিয়েছে। সেটা ছিল—নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে অথবা নির্বাচনের আগে গণভোট অথবা নির্বাচনের সময় গণভোট অথবা গণপরিষদ নির্বাচন বা আইনসভা নির্বাচন। আরেকটা প্রস্তাব ছিল নির্বাচনের পরে সংসদে সাংবিধানিক সংস্কার।’
আদিব বলেন, ঐকমত্য কমিশন এখন যে পথে এগোচ্ছে, সেখানে নির্বাচনে কোন কোন বিষয় থাকবে, তা নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের অবস্থান কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বিএনপি যেখানে পরবর্তী সংসদের সংস্কার হবে বলেছে, সেখানে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য কিছুটা হেলে যায়।
সংলাপে অংশ নেওয়া দল নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদিব বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে যেসব রাজনৈতিক দলকে ডাকা হচ্ছে, এখানে প্রায় ৩০টি দল, সেখানে কাদের কতটুকু সাংগঠনিক কাঠামো আছে, তাদের নিবন্ধন আছে কি না, কোন পদ্ধতিতে ডাকা হচ্ছে, সে বিষয়গুলো আমরা সুস্পষ্ট না।’
আদিব বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে বলেছি, কাদের এখানে ডাকা হচ্ছে, সেখানে দল বেঁধে কোনো একটি দলের সুপারিশে ডাকা হচ্ছে কি না, আমরা দেখি ঐকমত্য কমিশনে আসা অনেক দলের সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য থাকে না, শুধু একটি দলের প্রতি তাদের হ্যাঁ/না বলার থাকে। যখনই বিপরীত কোনো বক্তব্য থাকে, তখন হট্টগোল করে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা বলেছি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কোন পদ্ধতিতে এই দলগুলোকে নির্বাচন করেছে, সেটা স্পষ্ট করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে হয়নি, এখানে সব পেশাজীবী জনতার একটা বড় অংশগ্রহণ ছিল। যাদের কোনো প্রতিনিধি নেই, পাশাপাশি এখানে ছাত্রদের বড় অংশগ্রহণ ছিল। সুতরাং আমরা মনে করি, এখানে যাদের ডাকা হয়েছে, তারা সারা দেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে পারে না। কারণ, শুধু রাজনৈতিক দলগুলো যদি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে পারত, তাহলে আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের আগে ৬৪ দল, ৫৬ দল ঐকবদ্ধ হয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করেছে, তারা কিছুই করতে পারে নাই।’
এনসিপি নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি, গণ-অভ্যুত্থানে তিনটি স্টেকহোল্ডার, একটি সব রাজনৈতিক দল, একটি জনতা, আরেকটি সব শিক্ষার্থী। সেই ক্ষেত্রে কিছু রাজনৈতিক দলকে ডাকা হয়েছে, কিছুকে ডাকা হয়নি, কোন পদ্ধতিতে ডাকা হয়েছে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা আমরা চেয়েছি।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘একটি বিশেষ দলকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বা আলোচনাটা নিয়ে যাওয়ার একটা অভিযোগ প্রতীয়মান হওয়ায় জামায়াতসহ কিছু দল বলেছে, আমরাও বলেছি, এখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলের বাইরেও গণ-আন্দোলনে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এখানে সমস্ত পেশাজীবী সংগঠন, সাংবাদিকসহ তাদেরও মতামত নেওয়া দরকার। এখানে কোন দলকে কোন ক্রাইটেরিয়ায় সিলেক্ট করা হয়েছে, সেটাও আমরা জানি না। অনেক ক্ষেত্রে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত দল নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছে।’
নুর বলেন, ‘আজকে আমরা যে বলব, এতটি দল এতটি বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে, আসলে সেই দলের ক্রাইটেরিয়া কী? এখানে বলা হচ্ছে যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের সিগনেটরি হবে, পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠন ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ থাকা উচিত। নব্বইয়ে তিন জোটের রূপরেখা হয়েছিল, ভালো ভালো কথা বলছে, লিখে দেন সবাই মাইনা নিছে। পরে আমরা দেখেছি কেউ কথা রাখেনি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপিমুখী হয়ে গেছেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখেছি ঈদের আগে প্রধান উপদেষ্টা যখন বক্তব্য দিয়েছিলেন, ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি হিসেবে আপনি যখন বলেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ওয়াদা নেবেন পরের সংসদে তারা যেন তাদের ওয়াদা বাস্তবায়ন করে এবং নির্বাচনের যে তারিখ ঘোষণা করেছিলেন, ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি হিসেবে তাদের প্রস্তাবের ছয়টার মধ্যে তিনি এখন একটি প্রস্তাবের দিকে হেলে যান, যে প্রস্তাবটি দিয়েছে বিএনপি।’
আজ মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপের মুলতবি অধিবেশনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে পদ্ধতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের দল নির্বাচন করার যে পদ্ধতি, ঈদের আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, সংস্কার কমিশন করা হয়েছে, তারা আগে বলেছিলেন জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কোন পদ্ধতিতে জাতীয় সনদ বা জুলাই সনদ তৈরি হবে, সেটা নিয়ে তারা ছয়টা প্রস্তাব দিয়েছে। সেটা ছিল—নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে অথবা নির্বাচনের আগে গণভোট অথবা নির্বাচনের সময় গণভোট অথবা গণপরিষদ নির্বাচন বা আইনসভা নির্বাচন। আরেকটা প্রস্তাব ছিল নির্বাচনের পরে সংসদে সাংবিধানিক সংস্কার।’
আদিব বলেন, ঐকমত্য কমিশন এখন যে পথে এগোচ্ছে, সেখানে নির্বাচনে কোন কোন বিষয় থাকবে, তা নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের অবস্থান কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বিএনপি যেখানে পরবর্তী সংসদের সংস্কার হবে বলেছে, সেখানে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য কিছুটা হেলে যায়।
সংলাপে অংশ নেওয়া দল নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদিব বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে যেসব রাজনৈতিক দলকে ডাকা হচ্ছে, এখানে প্রায় ৩০টি দল, সেখানে কাদের কতটুকু সাংগঠনিক কাঠামো আছে, তাদের নিবন্ধন আছে কি না, কোন পদ্ধতিতে ডাকা হচ্ছে, সে বিষয়গুলো আমরা সুস্পষ্ট না।’
আদিব বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে বলেছি, কাদের এখানে ডাকা হচ্ছে, সেখানে দল বেঁধে কোনো একটি দলের সুপারিশে ডাকা হচ্ছে কি না, আমরা দেখি ঐকমত্য কমিশনে আসা অনেক দলের সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য থাকে না, শুধু একটি দলের প্রতি তাদের হ্যাঁ/না বলার থাকে। যখনই বিপরীত কোনো বক্তব্য থাকে, তখন হট্টগোল করে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা বলেছি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কোন পদ্ধতিতে এই দলগুলোকে নির্বাচন করেছে, সেটা স্পষ্ট করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে হয়নি, এখানে সব পেশাজীবী জনতার একটা বড় অংশগ্রহণ ছিল। যাদের কোনো প্রতিনিধি নেই, পাশাপাশি এখানে ছাত্রদের বড় অংশগ্রহণ ছিল। সুতরাং আমরা মনে করি, এখানে যাদের ডাকা হয়েছে, তারা সারা দেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে পারে না। কারণ, শুধু রাজনৈতিক দলগুলো যদি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে পারত, তাহলে আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের আগে ৬৪ দল, ৫৬ দল ঐকবদ্ধ হয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করেছে, তারা কিছুই করতে পারে নাই।’
এনসিপি নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি, গণ-অভ্যুত্থানে তিনটি স্টেকহোল্ডার, একটি সব রাজনৈতিক দল, একটি জনতা, আরেকটি সব শিক্ষার্থী। সেই ক্ষেত্রে কিছু রাজনৈতিক দলকে ডাকা হয়েছে, কিছুকে ডাকা হয়নি, কোন পদ্ধতিতে ডাকা হয়েছে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা আমরা চেয়েছি।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘একটি বিশেষ দলকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বা আলোচনাটা নিয়ে যাওয়ার একটা অভিযোগ প্রতীয়মান হওয়ায় জামায়াতসহ কিছু দল বলেছে, আমরাও বলেছি, এখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলের বাইরেও গণ-আন্দোলনে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এখানে সমস্ত পেশাজীবী সংগঠন, সাংবাদিকসহ তাদেরও মতামত নেওয়া দরকার। এখানে কোন দলকে কোন ক্রাইটেরিয়ায় সিলেক্ট করা হয়েছে, সেটাও আমরা জানি না। অনেক ক্ষেত্রে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত দল নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছে।’
নুর বলেন, ‘আজকে আমরা যে বলব, এতটি দল এতটি বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে, আসলে সেই দলের ক্রাইটেরিয়া কী? এখানে বলা হচ্ছে যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের সিগনেটরি হবে, পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠন ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ থাকা উচিত। নব্বইয়ে তিন জোটের রূপরেখা হয়েছিল, ভালো ভালো কথা বলছে, লিখে দেন সবাই মাইনা নিছে। পরে আমরা দেখেছি কেউ কথা রাখেনি।’
মঙ্গলবার বিকেলে দলের ময়মনসিংহ মহানগর ও সদর শাখার আয়োজনে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজাউল করীম এসব কথা বলেন। নগরীর টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠান হয়। রেজাউল করীম বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর চলছে। এই সময়ে যাদের মাধ্যমে দেশটা চলেছে,
৭ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা নিজের ইচ্ছেমতো দেশের ইতিহাস ও পাঠ্যবই রচনা করেছিলেন। গণতন্ত্র থাকলে এমনটা সম্ভব হতো না।’
৮ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের সঙ্গে এক নারীর কথোপকথন ফাঁস হওয়ার ঘটনায় মুখ খুলেছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জাবিন। আজ মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রধান বিচারপতি নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বর্তমান সংবিধানে যে বিষয়টা আছে, রাষ্ট্রপতির হাতে সেই ক্ষমতা। রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দিতে পারেন। এখন বিদ্যমান যে অবস্থা, তাতে বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিককে প্রধান বিচারপতি বানিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমর
৯ ঘণ্টা আগে