Ajker Patrika

ইসরায়েলি প্রযুক্তি দিয়ে বিরোধী নেতাদের ফোন হ্যাক করছে সরকার: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩, ১৭: ২৪
ইসরায়েলি প্রযুক্তি দিয়ে বিরোধী নেতাদের ফোন হ্যাক করছে সরকার: মির্জা ফখরুল

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দল ও মতকে দমনে সরকার কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধী নেতাদের ফোন হ্যাক করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটি এই সভার আয়োজন করে।

সভায় উদ্বেগের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ইসরায়েল একটা ডিভাইস আবিষ্কার করেছে। এই ডিভাইসটার নাম তারা দিয়েছে পেগাসাস। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো মানুষের যেকোনো টেলিফোন তার মধ্যে কী কথা হচ্ছে—কী টেক্সট পাঠাচ্ছে, সেসব নিয়ে নিতে পারে। বিরোধী দলকে দমনের জন্য, বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এই প্রযুক্তি নিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) এখন বিরোধী নেতাদের ফোন হ্যাক করছে।’

এর কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশ হতে পারে না। গণতন্ত্র, রাজনীতি—এটা আমার অধিকার। এখানে সরকার ইচ্ছা করলেই আমার সবকিছু হরণ করতে পারে না।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে—এমন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘আমরা খবর পাচ্ছি—তারা বিরোধী দলকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আবারও চক্রান্তে মেতে উঠেছে। এখন তারা (আওয়ামী লীগ) সব কাজ করছে—কীভাবে বিরোধী দলকে আটকে রাখা যায়। কীভাবে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্বাচন থেকে বেআইনি ঘোষণা করা যায় বেআইনি আইনের মধ্য দিয়ে। কীভাবে দেশে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি করা যায়, যাতে করে বিরোধী দল নির্বাচনে না আসতে পারে।’

বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ এনে ফখরুল বলেন, ‘গত এক মাসে বিএনপির প্রায় ৮ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি। এটা গণতন্ত্রের লক্ষণ, সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনের লক্ষণ! এটা প্রমাণ করে তাদের পরিষ্কার লক্ষ্য তারা আবারও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে পুরোপুরি বিরাজনীতিকরণ করবে। নির্বাচন করবে বিরোধী দল ছাড়াই এবং বিরোধী দলের নেতারা যেন কেউ নির্বাচন করতে না পারে।’

সময় বেশি নেই উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এনপিপি, জাতীয় পার্টি, জাগপা—গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল, যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে সরকারের বিরুদ্ধে তারা আজকে সবাই ঐক্যবদ্ধ একটি বিষয়ে, আমাদের খুব পরিষ্কার কথা, এ দেশে আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, নির্বাচন ছাড়া তো গণতন্ত্র টিকবে না কিন্তু সেই নির্বাচনটা অবশ্যই হতে হবে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে। সেটা হতে হবে এই সরকারকে পদত্যাগ করে। কারণ, এরা অবৈধ সরকার।’

আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকে বলছে যে এদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে সমঝোতা করলে হয় না? এদের সঙ্গে সমঝোতা করে তো কোনো লাভ হবে না। এবার আবার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করবে। যারা অন্যের অধিকারে বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তাদের সঙ্গে কী আলাপ করব?’

আওয়ামী লীগের সঙ্গে অতীতে সংলাপের অভিজ্ঞতা তিক্ত ছিল জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘২০১৮-তে দেশের স্বার্থে আমরা তাদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে সংলাপ করেছি। ওই সংলাপে শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির মামলা আমরা করি নাই, করব না। আমার ওপর আস্থা রেখে নির্বাচনে আসেন। অবাধ, সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যারা জয়ী হবে, তারা ক্ষমতায় আসবে। নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে—তার পরে পরেই শুরু হলো গায়েবি মামলা। একই সঙ্গে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও তাদের ওপর হামলার ঘটনা বাড়তে থাকল। পরে যা ঘটল—আগের রাতেই ভোট করে তারা ক্ষমতায় গেল।’

নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০১১ সালের ১০ মে বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ সংক্ষিপ্ত আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, নিরাপত্তার স্বার্থে এবং বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দুটি নির্বাচন করা যেতে পারে। কিন্তু সরকার এ নিয়ে ডাহা মিথ্যাচার করছে। কারণ, তারা দেখেছে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হলে ভোট পাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইআরআই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জাতীয় পার্টির বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২৬
জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশে সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হয় তারা।

জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

বৈঠকে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নির্বাহী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসরুর মওলা।

আইআরআই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন আইআরআই বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার ফাসনার এবং সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো লিসা কার্টিস, কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগান, আবাসিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভ সিমা, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জেমি স্পাইকারম্যান, প্রচারণা ও পরামর্শদাতা জন ফ্লুহার্টি, পরামর্শক ডারিন বিয়েলেকি, অমিতাভ ঘোষ ও সাইদা মুশরেফা জাহান।

বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় জাতীয় পার্টির নেতারা দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, জাতীয় পার্টিকে নির্বিঘ্নে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দেওয়া এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রশাসনকে দলীয়মুক্ত করার ব্যাপারে আলোচনা করেন।

বৈঠকের বিষয় নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত মাসরুর মাওলা বলেন, ‘আজ (বুধবার) বাংলাদেশে সফররত আইআরআই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের (জাতীয় পার্টি) বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আইআরআই প্রতিনিধিদল আমাদের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে।’

মাসরুর মওলা জানান, আইআরআই প্রতিনিধিদলের প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়েছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না? জবাবে পার্টির চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ তাঁদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে বর্তমানে দেশে নির্বাচনের স্থিতিশীল পরিবেশ দৃশ্যমান হয়নি।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ তাঁদের আরও জানান, জাতীয় পার্টির অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সরকার এখনো সেগুলো প্রত্যাহার করেনি। এ ছাড়া অনেকের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

আনিসুল ইসলাম আরও বলেন, প্রশাসনে এখনো দলীয় প্রভাব রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি এখনো উন্মুক্ত পরিবেশে সভা-সমাবেশ করতে পারছে না। জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব সমস্যার সুরাহা দরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ জামায়াত ও এনসিপির বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ১৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈঠক হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকেল সোয়া ৫টায় প্রথমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হবে সন্ধ্যা ৬টায়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে বিএনপির মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আজকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসেছিলাম আমাদের কতগুলো রাজনৈতিক কনসার্ন নিয়ে কথা বলার জন্য; বিশেষ করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য এই মুহূর্ত থেকে যেটা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিতে হবে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ভূমিকা, সেই ভূমিকায় তাদের যেতে হবে। সে জন্য প্রথমেই যে বিষয়টির প্রয়োজন হবে, তা হচ্ছে প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে নিরপেক্ষ একটা জনগণের মধ্যে তৈরি করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকা চরম নিন্দনীয়: গণসংহতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকা চরম নিন্দনীয়: গণসংহতি

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা চরম নিন্দনীয় এবং অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, ‘চলতি বছর ২৫১ জন মানুষ ডেঙ্গুতে মৃত্যুবরণ করলেও সরকারের টনক নড়ছে না। কেবল সরকারি হিসাবেই ৬১ হাজারজনের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আরও অনেক বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, যাদের সবাই হাসপাতাল পর্যন্ত আসতে পারেনি। এমনকি সরকারি হাসপাতালেও ডেঙ্গু চিকিৎসার খরচ সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের বাইরে। মানুষকে মৃত্যুর সম্ভাবনার মুখে রেখে সরকারের নির্বিকার আচরণ দেখে আমরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।’

নেতারা বলেন, ‘সারা বছর যেখানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পরিকল্পিত ভূমিকা থাকার কথা, সেখানে তারা এ বিষয়ে কোনো কাজই করেনি। ডেঙ্গুর প্রকোপে এত মানুষের মৃত্যুর পরেও সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল কোনো ভূমিকা আমরা দেখছি না। আমরা সরকারের এই ভূমিকার নিন্দা জানাই।’

নেতারা অবিলম্বে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর ভূমিকা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সরকারি হাসপাতালগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩১
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপরিহার্য’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপরিহার্য’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ’ পুনরায় বিলুপ্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিল। তার সুফল দেশ এখনো পাচ্ছে। তবে ওই সব উদ্যোগকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়নি। ফলে পূর্ণ সুফল মেলেনি। দেশের সমস্যা সমাধানে প্রধান উদ্যোগের একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা। আমাদের সময়ে (বিএনপির আমলে) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলুপ্ত করা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় গেলে পুনরায় তা বিলুপ্ত করা হবে।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপরিহার্য’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার সমাপনী বক্তব্য দেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কখনো বাংলাদেশ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় রাজনৈতিক নিয়োগ দিইনি। বাংলাদেশের ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নয়, সংস্থাটিকে স্বাধীনতা দিতে হবে।’

আমীর খসরু বলেন, অর্থনীতির সবকিছু অটোমেশন করে ফেলতে হবে। তাহলে দুর্নীতি কমে আসবে। ক্যাশলেস লেনদেনই হলো এখন ভবিষ্যৎ। সামনে সেদিকে যেতে হবে।

টাকা ছাপানোর সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘বিমান কেনার জন্য সরকার টাকা দেবে, এটা হতে পারে না। বিমান বন্ড ছেড়ে টাকা তুলতে পারে। সরকারের টাকা খরচ হওয়া উচিত সমাজের উন্নয়নে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে সরকার খরচ করতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত