Ajker Patrika

শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য সরকারকে সরানোর বিকল্প নেই: গণতন্ত্র মঞ্চ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ মে ২০২৩, ১১: ৫৫
শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য সরকারকে সরানোর বিকল্প নেই: গণতন্ত্র মঞ্চ 

বর্তমান সরকার গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচাইতে ভয়াবহভাবে মানুষকে শোষণ করছে জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেছেন, ‘শ্রমজীবী, সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য সরকারকে সরানোর বিকল্প নেই।’ 

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মহান মে দিবস উপলক্ষে ‘ফ্যাসিবাদ, শ্রমজীবী মানুষ ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আজকের ফ্যাসিবাদ আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হবে। আজকে শ্রমজীবী, সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য, দেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মুক্তির জন্য এই সরকারকে সরানোর বিকল্প নেই। সরকার পরিচালনার আইনকানুন, সংবিধান, ক্ষমতাকাঠামো, জবাবদিহিহীনতা পরিবর্তনের লড়াইকে সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লড়াইয়ে রূপান্তর করতে হবে।’ 

বাংলাদেশের শ্রমিকদের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কোনো আইন মানা হয় না জানিয়ে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, দেশে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৷ এই শ্রমিকের পাঁচ ভাগের চার ভাগ শ্রমিক যেসব খাতে কাজ করেন, সেখানে আট ঘণ্টা কাজের কোনো নিশ্চয়তা নেই। দেশের সবচেয়ে বড় খাত গার্মেন্টসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের অবস্থাটা সবারই জানা।

মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় আড়াই লাঁখ শ্রমিক কাজ করছেন জানিয়ে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যে টাকাগুলো পাঠান, তা দিয়েই দেশ চলছে। সরকার বলছে, দেশের অর্থনীতির খুব উন্নতি হচ্ছে। এবারও প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট হয়েছে ৷ মানে এই টাকা শ্রমিকেরা তৈরি করেছেন। অথচ অর্থনীতির উন্নতির যাঁরা গল্প করছেন, তাঁরা হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করছেন।’

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই চক্রটা চলছে, কারণ এটাই আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তারা এই সিস্টেমটা চালানোর জন্যই সরকার হয় ৷ একমাত্র বাজেট করার জন্যই তারা সংসদ সদস্য, সরকার হয়। শ্রমিকের রক্তঝরা এই টাকা খরচ করার জন্যই তারা উন্নয়নের গল্প বলে। বাংলাদেশের আইন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে সব তাদের ইচ্ছামতো করে।’

এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কথা বললে নানান হয়রানি করা হয় জানিয়ে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া জারি রাখতে তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বানায়। গুম-খুন করার জন্য র‍্যাব বানায়। তাদের উন্নয়নের গল্প শোনানোর জন্য কিছু লোককে বুদ্ধিজীবীর তকমা দেয়। এইভাবে তারা একটা লুটপাট, পাচারের ব্যবস্থা, মানুষের সকল আয়-উপার্জন আত্মসাতের ব্যবস্থা করে।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত