Ajker Patrika

‘খালেদা জিয়াকে যারা ডুবিয়ে মারতে চায়, তাদের আমন্ত্রণে বিএনপি যেতে পারে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘খালেদা জিয়াকে যারা ডুবিয়ে মারতে চায়, তাদের আমন্ত্রণে বিএনপি যেতে পারে না’

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সরকারি আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। আমন্ত্রণ পেলেও ওই অনুষ্ঠানে বিএনপির কোন নেতা-কর্মী অংশ নেবে না বলে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

আজ বুধবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, যারা মানুষ হত্যা করে; যারা এই দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মায় ডুবিয়ে মারতে চায়; যারা এই দেশের প্রথিতযশা মানুষ, যিনি দেশে জন্য আন্তর্জাতিক সম্মান নিয়ে এসেছেন সেই ড. ইউনূসকে চুবিয়ে মারতে চায় তাদের আমন্ত্রণে বিএনপির কোন নেতা বা কর্মী কখনই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যেতে পারে না।’ 

পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দাবির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি যে কথাগুলো বলেছেন, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই। তিনি যা বলছেন, সেটা ধারণা থেকে বলছেন।’ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, ‘কোন কোন খাতে কত ব্যয় হয়েছে, স্পষ্ট করে বলুন।’ 

বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়—প্রধানমন্ত্রীর এমন অভিযোগকে মিথ্যাচার, সত্যের অপলাপ এবং বিএনপিকে জনগণের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করা ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি সরকারের আমলে করা সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের রিপোর্টই এই সেতু নির্মাণের মূল ভিত্তি। এটার ওপর ভিত্তি করেই বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে কাজ করেছে। এরপরেও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সমানে বলে যাচ্ছেন যে, এটা বিএনপি সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যাটা অন্য জায়গায়। কাজ শুরুর পরে যখন বন্ধ করে দিতে হয়েছিল দুর্নীতির কারণে, তখন থেকেই সমস্যাটা শুরু হয়েছে। সেটার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন, ড. ইউনূসকে দায়ী করেন।’ 

বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন ফখরুল। বিএনপিতে নেতৃত্বের সংকট নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘পরিষ্কার করে বলছি যে, নেত্রী আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তিনিই আমাদের নেতা। তাঁর অনুপস্থিতিতে তারেক রহমান আমাদের নেতা। এখানে কোন রকমের অস্পষ্টতা নেই।’ 

ক্ষমতাসীন দলই নেতৃত্বের সংকটে আছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তাদের (আওয়ামী লীগ) সংকট তো আছে। একমাত্র হাসিনা ছাড়া আর কেউ তো নেই। তাদের সংকট হলো তিনি (শেখ হাসিনা) চলে গেলে কী হবে, কী যুদ্ধ হবে-সেটা তারাই বলতে পারবেন।’ 

ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগকে সরে যেতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই কেবল নির্বাচন হবে। আর তখনই প্রশ্ন আসবে নির্বাচন হলে যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।’ 

সংবাদ সম্মেলনে গত সোমবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সভা মনে করে সরকার বন্যা মোকাবিলায় ব্যর্থ। এই অবস্থায় সভায় সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

মেয়াদোত্তীর্ণ ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে সার্ভার, ঝুলে আছে ৭ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত