নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমান সরকারের সময় কবে নাগাদ শেষ হচ্ছে? তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সময়টা কত, কত দিন আর সময় পাব? দিনক্ষণটা একটু বলুন।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী ওলামা লীগের প্রথম সম্মেলনে এসব কথা বলেন কাদের।
গতকাল শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান ‘সরকারের সময় শেষ’ বলে বক্তব্য দেন। এর জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, কবে সময় শেষ? আর নাকি সময় দেবেন না, তো বলেন না কেন? ক্ষণ-তারিখ বলেন, সময় বলেন। আমরাও একটু তৈয়ার হই। কীভাবে ঝড় আসে, ঠাকুরগাঁও থেকে আসে না লন্ডন থেকে আসে, কোথা থেকে ঝড় আসবে—সেটা একটু বলে দিন। কত নম্বর বিপৎসংকেত, সেটাও একটু বলে দিন। সরকারকে বিদায় দেবেন, সরকারেরও তো একটা প্রস্তুতি আছে।’
কাদের বলেন, ‘সরকারের সময় কবে শেষ? প্রতিদিনই বলছেন সময় শেষ। আমিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির মহাসচিবের কাছে জানতে চাই, সময়টা কত, কত দিন আর সময় পাব? দিনক্ষণটা একটু বলুন।’
১০ বছর ধরে শুনতে পাচ্ছি সরকারের সময় শেষ বলে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের সময় কত—এটা জানেন মহান সৃষ্টিকর্তা। এই সরকারের সময় কত এটা জানে এই দেশের জনগণ। এই সরকারের সময় পরিবর্তন হবে কি না, সেটা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ এবং আল্লাহপাক।
বিএনপির আন্দোলনের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তীব্র বেগে নাকি ঝড় আসছে, সেই ঝড় শেখ হাসিনার গদি উল্টে দেবে। কত নম্বর বিপৎসংকেত সেটা বলেনি। এই ঝড়ের কথা শুনছি ১০ বছর ধরে। ১০ বছর ধরে শুনছি—আর সময় নাই, আর সরকারের সময় নাই। দেখতে দেখতে ১৪ বছর, ঝড় হবে কোন বছর? দেখতে দেখতে ১৪ বছর, সরকার যাবে কোন বছর?’
কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, মোখা সাইক্লোন কয় দিন আগে গেছে? আল্লায় যারে বাঁচায়, কেউ তারে মারতে পারে? বাংলাদেশকে আল্লাহই বাঁচিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা ভাগ্যবতী, আল্লার ইমানদার বান্দা এবং সে জন্যই বাংলাদেশে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের মধ্যেও তেমন ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি।’
কাদের আরও বলেন, ‘শোনেন ফখরুল সাহেব, এত হল্লাচিল্লা করে ৫২ দল, ৫৪ দল, ২৭ দফা, ১০ দফা, বিক্ষোভ-সমাবেশ, তারপর পদযাত্রা, তারপর অবস্থান, তারপর মানববন্ধন—একে একে কত কর্মসূচি দিলেন, কী হলো? আপনাদের আন্দোলন এখন পথ হারিয়ে দিশেহারা পথিকের মতো। নানামুখী হাঁকডাক দিয়ে এখন পথিক পথহারা। প্রতিদিনই বৈঠক করে কর্মসূচি ঠিক করে, বারবার বসেও আন্দোলনের রূপরেখা এখনো ঠিক করতে পারেনি।’
কাদের বলেন, ‘আমাদের ইমান ঠিক আছে। আওয়ামী লীগের শিকড় এই দেশের মাটির অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগ কচুপাতার ওপর ভোরের শিশির বিন্দু নয় যে টোকা লাগলে পড়ে যাবে। এ কথা যদি মনে করেন ভুল করছেন।’
আওয়ামী লীগও আন্দোলনের মধ্যে আছে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সারা বাংলাদেশে, আমরাও একটা আন্দোলনে আছি। বিএনপি আছে সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে। আমরা আছি জনগণের জানমাল রক্ষার আন্দোলনে। জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের আজ শান্তি সমাবেশ করতে হচ্ছে।’
কাদের বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস চাই না, আমরা শান্তি চাই। আমরা সাম্প্রদায়িকতা চাই না, আমরা চাই অসাম্প্রদায়িকতা, মানবতাবোধ।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
বর্তমান সরকারের সময় কবে নাগাদ শেষ হচ্ছে? তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সময়টা কত, কত দিন আর সময় পাব? দিনক্ষণটা একটু বলুন।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী ওলামা লীগের প্রথম সম্মেলনে এসব কথা বলেন কাদের।
গতকাল শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান ‘সরকারের সময় শেষ’ বলে বক্তব্য দেন। এর জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, কবে সময় শেষ? আর নাকি সময় দেবেন না, তো বলেন না কেন? ক্ষণ-তারিখ বলেন, সময় বলেন। আমরাও একটু তৈয়ার হই। কীভাবে ঝড় আসে, ঠাকুরগাঁও থেকে আসে না লন্ডন থেকে আসে, কোথা থেকে ঝড় আসবে—সেটা একটু বলে দিন। কত নম্বর বিপৎসংকেত, সেটাও একটু বলে দিন। সরকারকে বিদায় দেবেন, সরকারেরও তো একটা প্রস্তুতি আছে।’
কাদের বলেন, ‘সরকারের সময় কবে শেষ? প্রতিদিনই বলছেন সময় শেষ। আমিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির মহাসচিবের কাছে জানতে চাই, সময়টা কত, কত দিন আর সময় পাব? দিনক্ষণটা একটু বলুন।’
১০ বছর ধরে শুনতে পাচ্ছি সরকারের সময় শেষ বলে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের সময় কত—এটা জানেন মহান সৃষ্টিকর্তা। এই সরকারের সময় কত এটা জানে এই দেশের জনগণ। এই সরকারের সময় পরিবর্তন হবে কি না, সেটা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ এবং আল্লাহপাক।
বিএনপির আন্দোলনের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তীব্র বেগে নাকি ঝড় আসছে, সেই ঝড় শেখ হাসিনার গদি উল্টে দেবে। কত নম্বর বিপৎসংকেত সেটা বলেনি। এই ঝড়ের কথা শুনছি ১০ বছর ধরে। ১০ বছর ধরে শুনছি—আর সময় নাই, আর সরকারের সময় নাই। দেখতে দেখতে ১৪ বছর, ঝড় হবে কোন বছর? দেখতে দেখতে ১৪ বছর, সরকার যাবে কোন বছর?’
কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, মোখা সাইক্লোন কয় দিন আগে গেছে? আল্লায় যারে বাঁচায়, কেউ তারে মারতে পারে? বাংলাদেশকে আল্লাহই বাঁচিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা ভাগ্যবতী, আল্লার ইমানদার বান্দা এবং সে জন্যই বাংলাদেশে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের মধ্যেও তেমন ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি।’
কাদের আরও বলেন, ‘শোনেন ফখরুল সাহেব, এত হল্লাচিল্লা করে ৫২ দল, ৫৪ দল, ২৭ দফা, ১০ দফা, বিক্ষোভ-সমাবেশ, তারপর পদযাত্রা, তারপর অবস্থান, তারপর মানববন্ধন—একে একে কত কর্মসূচি দিলেন, কী হলো? আপনাদের আন্দোলন এখন পথ হারিয়ে দিশেহারা পথিকের মতো। নানামুখী হাঁকডাক দিয়ে এখন পথিক পথহারা। প্রতিদিনই বৈঠক করে কর্মসূচি ঠিক করে, বারবার বসেও আন্দোলনের রূপরেখা এখনো ঠিক করতে পারেনি।’
কাদের বলেন, ‘আমাদের ইমান ঠিক আছে। আওয়ামী লীগের শিকড় এই দেশের মাটির অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগ কচুপাতার ওপর ভোরের শিশির বিন্দু নয় যে টোকা লাগলে পড়ে যাবে। এ কথা যদি মনে করেন ভুল করছেন।’
আওয়ামী লীগও আন্দোলনের মধ্যে আছে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সারা বাংলাদেশে, আমরাও একটা আন্দোলনে আছি। বিএনপি আছে সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে। আমরা আছি জনগণের জানমাল রক্ষার আন্দোলনে। জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের আজ শান্তি সমাবেশ করতে হচ্ছে।’
কাদের বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস চাই না, আমরা শান্তি চাই। আমরা সাম্প্রদায়িকতা চাই না, আমরা চাই অসাম্প্রদায়িকতা, মানবতাবোধ।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
গতবছর সরকার পতনের আগে উত্তাল জুলাই ও আগস্ট মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তৎকালীন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে তাঁর ফুপু ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপের একটি রেকর্ড ফাঁস করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
৬ ঘণ্টা আগেসুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের উদ্যোগে তৈরি ‘জাতীয় সনদ’ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে তুলে দেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এ
১১ ঘণ্টা আগেএকাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত ব্যক্তিরাই একাত্তরের সংবিধান পুরোটা বাদ দিতে চান বা পরিবর্তন করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি বলেন, ‘৭১-এর সংবিধান রচিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও সার্বভৌমত্বকে ঘিরে। সংবিধানকে সংস্কার করা যাবে, কিন্তু সংবি
১২ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ‘নতুন এক যুগে প্রবেশ’ করেছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি ও রাজনৈতিক কাঠামোকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব আবারও বিএনপির ওপরই বর্তেছে।
১২ ঘণ্টা আগে