নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীসহ গণহত্যা পরিচালনা করেছে। ফলে এই দলের বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাবেয়া-হামিদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘একাত্তর সালে রাজাকার গোলাম আজমের নেতৃত্বে যেভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছিল, তেমনি পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০০১ সাল থেকে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে আবারও গণহত্যা শুরু করেছে। শাহ এস এম কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। একাত্তরের গণহত্যার জন্য যদি জামায়াত নিষিদ্ধ হয়, তাহলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি যে পরিমাণ হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, তার জন্য তাদেরও বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার থাকার কথা নয়।’
‘জেল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করার মধ্য দিয়ে এই জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে চাই’ উল্লেখ করে হানিফ আরও বলেন, ‘পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার কাউকে না হতে হয় তার জন্যও এই হত্যাকাণ্ডের রায় কার্যকর হওয়াটাও জরুরি। দেশের মানুষের কাছে অনুরোধ, যে দল রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে, সেই দলের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে কি না, সেটা নতুন করে ভাবার প্রয়োজন আছে ৷ যারা হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চায়, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়, তাদের রাজনীতি থেকে যত দ্রুত বিতরণ করা যাবে, রাজনৈতিকভাবে একঘরে করে দেওয়া যাবে, ততই দেশও জাতির মঙ্গল হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে হত্যার রাজনীতি ১৫ই আগস্ট থেকে শুরু এবং এই রাজনীতির হোতা হলো বিএনপি। ২১শে আগস্টের পর সংসদে বেগম জিয়া পরিহাস করে বলেছিলেন, উনাকে মারতে যাবে কে? উনি তো ভ্যানিটি ব্যাগে পটকা নিয়ে নাটক করতে গিয়েছিলেন। কোনো রকম মানবিকতা, লজ্জাবোধ নাই। সেদিন এমনভাবে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল যে, আহতরা বা মৃত্যুমুখে পতিতরা চিকিৎসাসেবাও যেন না পায়।’
কোকো মারা যাওয়ার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওয়া ভবনে গিয়েছিলেন জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘কিন্তু সেখানেও গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছোট কেচি গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেটাও খোলে নাই। তিনি মানবিক কারণে সন্তানহারা মাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যুত্তরে বিএনপি যে কাজটি করেছিল, সেটি ছিল অমানবিক, অমানুষিক ও পৈশাচিক। তাদের যে মানবিকতা, মনুষ্যত্ব বলে কিছু নাই, তা তারা প্রমাণ করেছে। বিএনপির যে চক্রান্ত, মানবতাহীন পৈশাচিক উল্লাসের যে রাজনীতি, সেই রাজনীতি পরাভূত হবেই হবে এবং আইভী রহমানরা জীবন দিয়ে আওয়ামী লীগের যে ধারা প্রতিষ্ঠিত করেছে, সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।
ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীসহ গণহত্যা পরিচালনা করেছে। ফলে এই দলের বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাবেয়া-হামিদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘একাত্তর সালে রাজাকার গোলাম আজমের নেতৃত্বে যেভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছিল, তেমনি পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০০১ সাল থেকে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে আবারও গণহত্যা শুরু করেছে। শাহ এস এম কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। একাত্তরের গণহত্যার জন্য যদি জামায়াত নিষিদ্ধ হয়, তাহলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি যে পরিমাণ হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, তার জন্য তাদেরও বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার থাকার কথা নয়।’
‘জেল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করার মধ্য দিয়ে এই জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে চাই’ উল্লেখ করে হানিফ আরও বলেন, ‘পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার কাউকে না হতে হয় তার জন্যও এই হত্যাকাণ্ডের রায় কার্যকর হওয়াটাও জরুরি। দেশের মানুষের কাছে অনুরোধ, যে দল রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে, সেই দলের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে কি না, সেটা নতুন করে ভাবার প্রয়োজন আছে ৷ যারা হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চায়, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়, তাদের রাজনীতি থেকে যত দ্রুত বিতরণ করা যাবে, রাজনৈতিকভাবে একঘরে করে দেওয়া যাবে, ততই দেশও জাতির মঙ্গল হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে হত্যার রাজনীতি ১৫ই আগস্ট থেকে শুরু এবং এই রাজনীতির হোতা হলো বিএনপি। ২১শে আগস্টের পর সংসদে বেগম জিয়া পরিহাস করে বলেছিলেন, উনাকে মারতে যাবে কে? উনি তো ভ্যানিটি ব্যাগে পটকা নিয়ে নাটক করতে গিয়েছিলেন। কোনো রকম মানবিকতা, লজ্জাবোধ নাই। সেদিন এমনভাবে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল যে, আহতরা বা মৃত্যুমুখে পতিতরা চিকিৎসাসেবাও যেন না পায়।’
কোকো মারা যাওয়ার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওয়া ভবনে গিয়েছিলেন জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘কিন্তু সেখানেও গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছোট কেচি গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেটাও খোলে নাই। তিনি মানবিক কারণে সন্তানহারা মাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যুত্তরে বিএনপি যে কাজটি করেছিল, সেটি ছিল অমানবিক, অমানুষিক ও পৈশাচিক। তাদের যে মানবিকতা, মনুষ্যত্ব বলে কিছু নাই, তা তারা প্রমাণ করেছে। বিএনপির যে চক্রান্ত, মানবতাহীন পৈশাচিক উল্লাসের যে রাজনীতি, সেই রাজনীতি পরাভূত হবেই হবে এবং আইভী রহমানরা জীবন দিয়ে আওয়ামী লীগের যে ধারা প্রতিষ্ঠিত করেছে, সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, যেসব রাজনৈতিক দল নিজেদের হর্তাকর্তা ভাবছে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, তাদের আওয়ামী লীগের পতন থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ দেশের ছাত্র-জনতা আগামীতে আর কোনো ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হতে দেবে না।নারায়ণগঞ্জ, গণঅধিকার পরিষদ, আওয়ামী লীগ, জেলার খবর
৭ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিমানের লন্ডন-সিলেট-ঢাকার রুট পরিবর্তন করে লন্ডন-ঢাকা-সিলেট করার প্রস্তাব দেয় অন্তর্বর্তী সরকার ও বিমান কর্তৃপক্ষ। তবে প্রস্তাবটি খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছালে ওই বিমানের অন্য সহযাত্রীদের ভোগান্তি এবং কষ্টের কথা বিবেচনা করে
৭ ঘণ্টা আগেস্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন ডা. জোবাইদা রহমান। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ১৭ বছর। একমাত্র কন্যা জায়মা রহমানকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছিলেন তিনি। অবশেষে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান।
৮ ঘণ্টা আগেসমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আমাদের রাজপথে নেমে আসতে হচ্ছে, রাজপথে কথা বলতে হচ্ছে, এটা আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা বলেই মনে করি।’
৯ ঘণ্টা আগে