Ajker Patrika

হত্যাকারীদের প্রতিষ্ঠায় একটি মহল ব্যস্ত হয়ে পড়েছে: শামসুজ্জামান দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোববার আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোববার আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘হত্যাকারীদের প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের রাজনীতির অধিকার দিতে হবে? তারা কারা? খুনি। তারা গণহত্যাকারী। তারা ব্যাংক থেকে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা নিয়ে গেছে। তাদের কিছু বললে রা রা করে উঠছে একশ্রেণির সাংবাদিক, রাজনীতিক ও সুবিধাবাদী।’

আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শঙ্কা ও সম্ভাবনা নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট এই সভার আয়োজন করে।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আগে এই গণহত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। তাদের ঝোলাতে হবে। তাহলে অন্য কাজ কি বাকি থাকবে? না। নির্বাচন নির্বাচনের মতো হবে। সেটি কোনো অবস্থায় ফেব্রুয়ারি অতিক্রম করা চলবে না। কারণ মানুষ ভোটাধিকার পাবে, মতামত দিতে পারবে। কীভাবে জীবন যাপন করবে, কাদের দ্বারা দেশ চলবে—এসব বিষয়ে মতামত খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি, আমার দল মানুষের জন্য লড়াই করেছে, রক্ত দিয়েছে। এ দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। সেই অধিকার ফেরত দেব না?’

তিনি বলেন, ‘একটা গোষ্ঠী বলছে, পিআর ছাড়া নির্বাচন করবে না। তারা না করলে বাংলাদেশ নাকি চলবে না। আরে ভাই, আপনারা তো বাংলাদেশই চান নাই। আপনারা পাকিস্তানও চান নাই। এরা সাতচল্লিশে পাকিস্তান চায় নাই। একাত্তরে বাংলাদেশও চায় নাই। এরা গণহত্যার নেতৃত্ব দিয়েছে। আমি নাম না বললেও বাংলাদেশের মানুষ জানে, এই অপশক্তি কারা। আবার আপনারা ভুল করছেন। মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেবেন না, এটা ঠিক না।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছে। স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে। একাত্তর মনে নেই? বাধা দিয়েছিলেন। ঠেকাতে পেরেছেন? নির্বাচনে বাধা দিলে একাত্তরের মতো আবার পরাজিত হবেন। আর হাসিনার বিচার হবেই। যে অপকর্ম সে করেছে। আওয়ামী লীগ বাকশাল করেছিল, রক্ষা পায়নি। ভারতের দালালি করে রক্ষা পেয়েছে? পায়নি। হাসিনাও পাবে না। হাসিনার বিচার আগামী দিনের সরকার করবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র চতুর্দিকে। পার্শ্ববর্তী দেশও বসে নেই। এত টাকা আর অবৈধ অস্ত্র তাদের হাতে। তাদের ছোট করে দেখলে বিপদ হতে পারে।’

আলোচনা সভায় বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী বলেন, ‘ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে যেভাবে পেটানো হলো, এটা কিসের আলামত? আরও নানা ঘটনা ঘটছে। আরেক রাজনৈতিক দল বলছে, পিআর করতে হবে; এই সরকার বর্তমান সংবিধান নিয়ে এ ধরনের নির্বাচন করতে পারবে না।’

‘পিআর পদ্ধতি আমাদের দেশের জন্য না। গত ১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। বিশেষ করে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দেশের স্থিতিশীলতা, বিদেশি বিনিয়োগ আনার জন্য স্থিতিশীল সরকার দরকার। আর সে জন্যই অতি দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। সামনে বিপদ। আমরা যদি নির্বাচন করতে না পারি, তাহলে আবার একটা ওয়ান ইলেভেন আসবে। তাই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন করতে হবে।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিল্পী মনির খান, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, গুলি, এক শ্রমিক নিহত

সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে

পাকিস্তানকে সমর্থন করায় ভারত এসসিওর সদস্যপদ আটকে দেয়: আজারবাইজান

সোনার দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে

দেশে চালু হলো ৫-জি নেটওয়ার্ক, কী কী সুবিধা মিলবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত