নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দলটির সাংসদেরা। আজ রোববার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক মানববন্ধন থেকে খালেদা জিয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান জানান তাঁরা।
দাবি না মানা হলে তাঁরা সংসদ ত্যাগ করারও হুমকি দেন। সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁরা বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হয়ে গেলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে। এমনকি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ইতিহাসও পাল্টে যাবে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বগুড়া-৬ আসনের সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা আর কিছু আশা করি না। রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই, আপনি (রাষ্ট্রপতি) আপনার ক্ষমতাবলে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।'
বিএনপি চাইলে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করানো যাবে—আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে সিরাজ বলেন, 'ডাক্তার নয়, হসপিটাল নিয়ে আসেন।' তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়ে যায়, শুধু সরকার নয়, আওয়ামী লীগের ইতিহাস পাল্টে যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আইনমন্ত্রী যেভাবে আইনের ব্যাখ্যা দেন, তা অত্যন্ত হাস্যকর। আমরা তো বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার দাবি জানাইনি। আমাদের দাবি, উনি তো (খালেদা জিয়া) আদালত থেকে জামিন পেতে পারেন।’
হারুনুর রশীদ বলেন, আইনের বরখেলাপ করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দিয়েছে এই সরকার। আর জনগণের সংকট আড়াল করতে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে। গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখতে এটা করা হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। খালেদা জিয়ার কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেলে বিএনপির সাংসদেরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলেও হুমকি দেন তিনি।
'খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার'—এমন অভিযোগ করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সরকার দিনে দিনে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
৪০১ ধারায় তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই—এটা মিথ্যা কথা। এই ধারার ক্ষমতা অপরিসীম এবং এই ধারার বলে সরকার যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই সরকার অবৈধভাবে তার সব ক্ষমতা ব্যবহার করে, কিন্তু বৈধভাবে ৪০১-এর ক্ষমতা ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে না।
সরকারের সমালোচনা করে ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, ‘দেশে যদি আইনের শাসন থাকত, তবে নির্বাহী আদেশের দরকার হতো না। বহু আগেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত হতেন। এই কর্তৃত্ববাদী সরকার এতটাই প্রতিহিংসাপরায়ণ যে, জামিন দূরের কথা, একটার পর একটা মামলা দিয়ে তাঁর (খালেদা জিয়া) মামলার সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ মোশারফ হোসেনও অংশ নেন। অসুস্থতার কারণে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাংসদ জাহিদুর রহমান মানববন্ধনে অংশ নিতে পারেননি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দলটির সাংসদেরা। আজ রোববার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক মানববন্ধন থেকে খালেদা জিয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান জানান তাঁরা।
দাবি না মানা হলে তাঁরা সংসদ ত্যাগ করারও হুমকি দেন। সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁরা বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হয়ে গেলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে। এমনকি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ইতিহাসও পাল্টে যাবে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বগুড়া-৬ আসনের সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা আর কিছু আশা করি না। রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই, আপনি (রাষ্ট্রপতি) আপনার ক্ষমতাবলে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।'
বিএনপি চাইলে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করানো যাবে—আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে সিরাজ বলেন, 'ডাক্তার নয়, হসপিটাল নিয়ে আসেন।' তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়ে যায়, শুধু সরকার নয়, আওয়ামী লীগের ইতিহাস পাল্টে যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আইনমন্ত্রী যেভাবে আইনের ব্যাখ্যা দেন, তা অত্যন্ত হাস্যকর। আমরা তো বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার দাবি জানাইনি। আমাদের দাবি, উনি তো (খালেদা জিয়া) আদালত থেকে জামিন পেতে পারেন।’
হারুনুর রশীদ বলেন, আইনের বরখেলাপ করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দিয়েছে এই সরকার। আর জনগণের সংকট আড়াল করতে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে। গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখতে এটা করা হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। খালেদা জিয়ার কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেলে বিএনপির সাংসদেরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলেও হুমকি দেন তিনি।
'খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার'—এমন অভিযোগ করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সরকার দিনে দিনে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
৪০১ ধারায় তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই—এটা মিথ্যা কথা। এই ধারার ক্ষমতা অপরিসীম এবং এই ধারার বলে সরকার যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই সরকার অবৈধভাবে তার সব ক্ষমতা ব্যবহার করে, কিন্তু বৈধভাবে ৪০১-এর ক্ষমতা ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে না।
সরকারের সমালোচনা করে ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, ‘দেশে যদি আইনের শাসন থাকত, তবে নির্বাহী আদেশের দরকার হতো না। বহু আগেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত হতেন। এই কর্তৃত্ববাদী সরকার এতটাই প্রতিহিংসাপরায়ণ যে, জামিন দূরের কথা, একটার পর একটা মামলা দিয়ে তাঁর (খালেদা জিয়া) মামলার সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ মোশারফ হোসেনও অংশ নেন। অসুস্থতার কারণে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাংসদ জাহিদুর রহমান মানববন্ধনে অংশ নিতে পারেননি।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রপতির এপিএস মুহাম্মদ সাগর হোসাইন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে যান এবং রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। জামায়াতে ইসলামীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য
১০ ঘণ্টা আগে‘ফ্যাসিবাদ পতন’-এর বর্ষপূর্তিতে আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক জনসমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২৪ দফার এই ইশতেহারে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠনের আহ্বান জানিয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাঠামো পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজ রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ করেছে সংগঠনটি।
১১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্রকে সাংবিধানিক এবং জুলাই সনদকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই সনদের সংস্কারগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে