নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। তিনি তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসনও। বাবার পরিচয় এবং ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে দলের হাঁকডাক–কোনো কিছুরই প্রতিফলন নেই ভোটের মাঠে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিকল্পধারার ত্রিমুখী লড়াইয়ে ম্লান হয়ে আছেন সোনালী আঁশের অন্তরা। অনেক ভোটার তাঁকে চেনেনও না ঠিকমতো। সারা দেশেই ভোটের মাঠে তৃণমূল বিএনপির অবস্থা অনেকটা একই রকম।
নির্বাচনী প্রচারে সরব নন দলটির চেয়ারপারসন শমশের মুবিন চৌধুরীও। সিলেট-৬ আসনের এই প্রার্থীকে তেমন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেক ভোটার। তাঁদের মতে, এই আসনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেনের মধ্যে। যদিও আঞ্চলিকতার প্রভাবে চমক আসার কথা বলে জয়ের আশা করছেন শমশের মুবিন চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আঞ্চলিকতার একটা বিষয় ভোটারদের মনে কাজ করছে।
গোলাপগঞ্জের ভোটাররা মনে করতে পারেন, বারবার বিয়ানীবাজার থেকে এমপি পাচ্ছি, এবার আমরা গোলাপগঞ্জ থেকে চাই। আরেকটি হলো, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী পেয়েছি। সব মিলিয়ে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
তৃণমূল বিএনপির মতো হাঁকডাক ছেড়ে নির্বাচনে নামে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং কল্যাণ পার্টি। আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা খোঁজ নিয়ে জানিয়েছেন, নির্বাচনের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থায় নেই এসব দলের প্রার্থীরা। অনেক জায়গায় এসব দলের প্রার্থীদের পক্ষে পোস্টার, মাইকিং কিছুই চোখে পড়েনি। কয়েকটি জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেলেও জয়ের সম্ভাবনা হাতে গোনা দু-একজনের।
ফরিদপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলনের দ্বন্দ্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগে কোন্দল বেড়েছে। এ দুই প্রার্থীর লড়াইয়ের ফাঁক গলে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। বিএনপি ছেড়ে বিএনএমে যোগ দেওয়া সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতের লোক আছে। সাধারণ মানুষ আমাকে নোঙর মার্কায়ই ভোট দেবে।’
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে নোঙর প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন বিএনএমের মহাসচিব মুহাম্মদ শাহজাহান। এই আসনে নৌকার প্রার্থী সাংবাদিক মুহম্মদ সফিকুর রহমান। আওয়ামী লীগের আরও দুই নেতা আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা লড়াইয়ে থাকায় বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত এই আসনে চমক আশা করছেন শাহজাহান।
তবে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হওয়ার সুবাদে পাবনা-২ আসনে অনেকটাই সাড়া ফেলেছেন বিএনএমের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনীও। তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। শিল্পী হিসেবে আগে থেকেই তিনি সবার কাছে পরিচিত। কিন্তু বিএনএমের নাম আগে তেমন কেউ শোনেনি। নৌকার সঙ্গে ডলি সায়ন্তনীর নোঙর প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেক ভোটার।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে লড়ছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়া এই নেতা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর থেকেই আলোচনায় আছেন। চাপের মুখে রেখেছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীকে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিয়ে আসছেন। গোলাম দস্তগীর গাজী অবশ্য বলেন, ‘তারা যেকোনো ছোটখাটো বিষয়েও কেবল নালিশ করেই যাচ্ছে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে নালিশ করে আমাদের ব্যস্ত রাখতে চাইছে। আমাদের নালিশ করার সময় নেই।
আমরা জনগণকে নিয়েই ব্যস্ত।’ এর জবাবে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমিই একমাত্র ব্যক্তি, ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। জনগণের পক্ষে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি।’
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রার্থী হয়েছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে। এই আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি জাফর আলম। যদিও আওয়ামী লীগের একাংশ ইবরাহিমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘চকরিয়া ও পেকুয়ায় শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রার্থী হয়েছি। এতে সাধারণ মানুষ আমাকে গ্রহণ করছে। নৌকার প্রার্থী না থাকায় আমার জয় সুনিশ্চিত বলে মনে করি।
রাজনীতি-বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের কৌশল পরিবর্তনে গুরুত্ব হারিয়েছে ‘কিংস পার্টি’, ভোটের মাঠে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হয়তো বিএনপির বিকল্প একটা কিছু তৈরি করার জন্য কিংস পার্টিকে নিয়ে ভেবেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে দলের অধিক সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় কৌশল পরিবর্তন করেছে। এ ক্ষেত্রে বিকল্পের চেয়ে নিজ দলের লোকদেরই ঝুঁকিহীন মনে করেছে তারা। অন্যদিকে কিংস পার্টির জয়ের বিষয়েও সংশয় ছিল। সব মিলিয়ে এই দলগুলো গুরুত্ব হারিয়েছে।’

বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। তিনি তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসনও। বাবার পরিচয় এবং ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে দলের হাঁকডাক–কোনো কিছুরই প্রতিফলন নেই ভোটের মাঠে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিকল্পধারার ত্রিমুখী লড়াইয়ে ম্লান হয়ে আছেন সোনালী আঁশের অন্তরা। অনেক ভোটার তাঁকে চেনেনও না ঠিকমতো। সারা দেশেই ভোটের মাঠে তৃণমূল বিএনপির অবস্থা অনেকটা একই রকম।
নির্বাচনী প্রচারে সরব নন দলটির চেয়ারপারসন শমশের মুবিন চৌধুরীও। সিলেট-৬ আসনের এই প্রার্থীকে তেমন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেক ভোটার। তাঁদের মতে, এই আসনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেনের মধ্যে। যদিও আঞ্চলিকতার প্রভাবে চমক আসার কথা বলে জয়ের আশা করছেন শমশের মুবিন চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আঞ্চলিকতার একটা বিষয় ভোটারদের মনে কাজ করছে।
গোলাপগঞ্জের ভোটাররা মনে করতে পারেন, বারবার বিয়ানীবাজার থেকে এমপি পাচ্ছি, এবার আমরা গোলাপগঞ্জ থেকে চাই। আরেকটি হলো, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী পেয়েছি। সব মিলিয়ে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
তৃণমূল বিএনপির মতো হাঁকডাক ছেড়ে নির্বাচনে নামে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং কল্যাণ পার্টি। আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা খোঁজ নিয়ে জানিয়েছেন, নির্বাচনের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থায় নেই এসব দলের প্রার্থীরা। অনেক জায়গায় এসব দলের প্রার্থীদের পক্ষে পোস্টার, মাইকিং কিছুই চোখে পড়েনি। কয়েকটি জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেলেও জয়ের সম্ভাবনা হাতে গোনা দু-একজনের।
ফরিদপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলনের দ্বন্দ্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগে কোন্দল বেড়েছে। এ দুই প্রার্থীর লড়াইয়ের ফাঁক গলে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। বিএনপি ছেড়ে বিএনএমে যোগ দেওয়া সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতের লোক আছে। সাধারণ মানুষ আমাকে নোঙর মার্কায়ই ভোট দেবে।’
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে নোঙর প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন বিএনএমের মহাসচিব মুহাম্মদ শাহজাহান। এই আসনে নৌকার প্রার্থী সাংবাদিক মুহম্মদ সফিকুর রহমান। আওয়ামী লীগের আরও দুই নেতা আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা লড়াইয়ে থাকায় বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত এই আসনে চমক আশা করছেন শাহজাহান।
তবে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হওয়ার সুবাদে পাবনা-২ আসনে অনেকটাই সাড়া ফেলেছেন বিএনএমের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনীও। তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। শিল্পী হিসেবে আগে থেকেই তিনি সবার কাছে পরিচিত। কিন্তু বিএনএমের নাম আগে তেমন কেউ শোনেনি। নৌকার সঙ্গে ডলি সায়ন্তনীর নোঙর প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেক ভোটার।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে লড়ছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়া এই নেতা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর থেকেই আলোচনায় আছেন। চাপের মুখে রেখেছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীকে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিয়ে আসছেন। গোলাম দস্তগীর গাজী অবশ্য বলেন, ‘তারা যেকোনো ছোটখাটো বিষয়েও কেবল নালিশ করেই যাচ্ছে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে নালিশ করে আমাদের ব্যস্ত রাখতে চাইছে। আমাদের নালিশ করার সময় নেই।
আমরা জনগণকে নিয়েই ব্যস্ত।’ এর জবাবে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমিই একমাত্র ব্যক্তি, ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। জনগণের পক্ষে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি।’
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রার্থী হয়েছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে। এই আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি জাফর আলম। যদিও আওয়ামী লীগের একাংশ ইবরাহিমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘চকরিয়া ও পেকুয়ায় শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রার্থী হয়েছি। এতে সাধারণ মানুষ আমাকে গ্রহণ করছে। নৌকার প্রার্থী না থাকায় আমার জয় সুনিশ্চিত বলে মনে করি।
রাজনীতি-বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের কৌশল পরিবর্তনে গুরুত্ব হারিয়েছে ‘কিংস পার্টি’, ভোটের মাঠে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হয়তো বিএনপির বিকল্প একটা কিছু তৈরি করার জন্য কিংস পার্টিকে নিয়ে ভেবেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে দলের অধিক সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় কৌশল পরিবর্তন করেছে। এ ক্ষেত্রে বিকল্পের চেয়ে নিজ দলের লোকদেরই ঝুঁকিহীন মনে করেছে তারা। অন্যদিকে কিংস পার্টির জয়ের বিষয়েও সংশয় ছিল। সব মিলিয়ে এই দলগুলো গুরুত্ব হারিয়েছে।’

জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএমও তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি..
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল...
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সব জায়গায় গুন্ডামি চালাচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের পর সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে আমলারা, কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। পিএসসি চায় আর্থিক ও কার্যকর স্বায়ত্তশাসন, কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। চাকরি প্রার্থীরা এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোটবুকের বাইরে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আমলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাগ-বাঁটোয়ারা ও পোস্টিং-প্রমোশন নিয়েই ব্যস্ত। ৫ আগস্টের পর কেউ সবচেয়ে বেশি বেনিফিট পেয়ে থাকলে, তা হলো আমলারা।’
আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘সচিবালয়ে এখনো মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা চলছে। ২০১ নম্বর রুম থেকে ২০২ নম্বর রুমে একটা চিঠি পাঠাতে গেলেও সেটা প্রথমে জিপিওতে যায়, পরে আবার ফিরে আসে। অথচ তারা একসঙ্গে বসে চা খায়, ব্যবসাও করে, কিন্তু অফিশিয়াল কাজের ক্ষেত্রে এই সনাতনী প্রক্রিয়া বজায় রাখে।’
সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘একজন সচিব এখনো বাটন ফোন ব্যবহার করেন, এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই যুগে এসে বাটন ফোন ব্যবহার করাকে অযোগ্যতা হিসেবেই দেখা উচিত।’
হাসনাত বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনের পুরো চেহারা বদলাতে হবে। মাঝে মাঝে মনে হয়, মাইলস্টোনে যে বিমানটা পড়েছিল, সেটা যদি সচিবালয়ে পড়ত, তাহলে ভালো হতো।’
রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের নোটবুকেও আমরা নেই। তাঁরা শুধু নির্বাচন, আসন ভাগাভাগি আর মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি নিয়েই ব্যস্ত। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে কেউ ভাবেন না। কোনো আন্দোলন হলে তখনই তাঁরা মাঠে নামেন, যাতে তাঁদের পোর্টফোলিও ভারী হয়।’
এদিন হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পিএসসির কাছে ১৫ দফা প্রস্তাবনা জমা দেয়। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সব জায়গায় গুন্ডামি চালাচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের পর সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে আমলারা, কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। পিএসসি চায় আর্থিক ও কার্যকর স্বায়ত্তশাসন, কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। চাকরি প্রার্থীরা এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোটবুকের বাইরে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আমলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাগ-বাঁটোয়ারা ও পোস্টিং-প্রমোশন নিয়েই ব্যস্ত। ৫ আগস্টের পর কেউ সবচেয়ে বেশি বেনিফিট পেয়ে থাকলে, তা হলো আমলারা।’
আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘সচিবালয়ে এখনো মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা চলছে। ২০১ নম্বর রুম থেকে ২০২ নম্বর রুমে একটা চিঠি পাঠাতে গেলেও সেটা প্রথমে জিপিওতে যায়, পরে আবার ফিরে আসে। অথচ তারা একসঙ্গে বসে চা খায়, ব্যবসাও করে, কিন্তু অফিশিয়াল কাজের ক্ষেত্রে এই সনাতনী প্রক্রিয়া বজায় রাখে।’
সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘একজন সচিব এখনো বাটন ফোন ব্যবহার করেন, এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই যুগে এসে বাটন ফোন ব্যবহার করাকে অযোগ্যতা হিসেবেই দেখা উচিত।’
হাসনাত বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনের পুরো চেহারা বদলাতে হবে। মাঝে মাঝে মনে হয়, মাইলস্টোনে যে বিমানটা পড়েছিল, সেটা যদি সচিবালয়ে পড়ত, তাহলে ভালো হতো।’
রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের নোটবুকেও আমরা নেই। তাঁরা শুধু নির্বাচন, আসন ভাগাভাগি আর মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি নিয়েই ব্যস্ত। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে কেউ ভাবেন না। কোনো আন্দোলন হলে তখনই তাঁরা মাঠে নামেন, যাতে তাঁদের পোর্টফোলিও ভারী হয়।’
এদিন হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পিএসসির কাছে ১৫ দফা প্রস্তাবনা জমা দেয়। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। তিনি তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসনও। বাবার পরিচয় এবং ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে দলের হাঁকডাক–কোনো কিছুরই প্রতিফলন নেই ভোটের মা
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএমও তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি..
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল...
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘গত ২৩ অক্টোবর দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন—তাতে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি, এ দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানগুলো অরাজনৈতিক ও সেবামূলক। তারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাগ্রহণ করে সন্তুষ্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন—তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘দেশবাসী মনে করে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো এভাবে সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দাবি উত্থাপন করতে থাকে, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েই অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। নির্বাচন কমিশন যদি এ ধরনের ঠুনকো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর দাবি গ্রহণ করে, তবে ভবিষ্যতে আরও অনেক অনর্থক দাবি উঠবে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’
বিএনপির এই ‘বিভ্রান্তিকর, অমূলক, ঠুনকো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি আমলে না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘গত ২৩ অক্টোবর দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন—তাতে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি, এ দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানগুলো অরাজনৈতিক ও সেবামূলক। তারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাগ্রহণ করে সন্তুষ্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন—তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘দেশবাসী মনে করে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো এভাবে সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দাবি উত্থাপন করতে থাকে, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েই অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। নির্বাচন কমিশন যদি এ ধরনের ঠুনকো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর দাবি গ্রহণ করে, তবে ভবিষ্যতে আরও অনেক অনর্থক দাবি উঠবে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’
বিএনপির এই ‘বিভ্রান্তিকর, অমূলক, ঠুনকো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি আমলে না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। তিনি তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসনও। বাবার পরিচয় এবং ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে দলের হাঁকডাক–কোনো কিছুরই প্রতিফলন নেই ভোটের মা
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএমও তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি..
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল...
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলোর জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ চায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। আজ রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বরাবর দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এনডিএমের দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি সিইসির কার্যালয়ে এই চিঠি জমা দেন।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএম তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি বিধান চালুকে আমরা দুরভিসন্ধিমূলক বলে মনে করছি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনী জোট খুবই স্বতঃসিদ্ধ একটি প্রক্রিয়া এবং সাধারণত জোটের নেতৃত্বদানকারী দলের মার্কায় নির্বাচন করার মাধ্যমেই সেই জোটের শক্তিমত্তা প্রকাশ পায়। কোনো আইনের মাধ্যমে এই গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার কারও নেই। একটি রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারলে কেন জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার জন্য নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে তার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নাই।
চিঠিতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নেওয়ার সময় এই শর্ত ছিল না যে, নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে বাধ্য থাকবে বরং এটা ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। নির্বাচনের মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে এ ধরনের বিধান চালুর অর্থ হলো পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী কৌশল এবং প্রস্তুতিতে বাধা সৃষ্টি করা। আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার স্বাধীনতা লাভ করে—এ-সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর পূর্বের বিধান বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে জোটের ভোটে দলগুলো ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহার করার একই দাবি জানায়।

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলোর জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ চায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। আজ রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বরাবর দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এনডিএমের দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি সিইসির কার্যালয়ে এই চিঠি জমা দেন।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএম তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি বিধান চালুকে আমরা দুরভিসন্ধিমূলক বলে মনে করছি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনী জোট খুবই স্বতঃসিদ্ধ একটি প্রক্রিয়া এবং সাধারণত জোটের নেতৃত্বদানকারী দলের মার্কায় নির্বাচন করার মাধ্যমেই সেই জোটের শক্তিমত্তা প্রকাশ পায়। কোনো আইনের মাধ্যমে এই গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার কারও নেই। একটি রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারলে কেন জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার জন্য নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে তার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নাই।
চিঠিতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নেওয়ার সময় এই শর্ত ছিল না যে, নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে বাধ্য থাকবে বরং এটা ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। নির্বাচনের মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে এ ধরনের বিধান চালুর অর্থ হলো পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী কৌশল এবং প্রস্তুতিতে বাধা সৃষ্টি করা। আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার স্বাধীনতা লাভ করে—এ-সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর পূর্বের বিধান বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে জোটের ভোটে দলগুলো ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহার করার একই দাবি জানায়।

বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। তিনি তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসনও। বাবার পরিচয় এবং ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে দলের হাঁকডাক–কোনো কিছুরই প্রতিফলন নেই ভোটের মা
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল...
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল, যারা স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে এবং স্বাধীনতার পক্ষে লড়েছে।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের পর পার্শ্ববর্তী দেশ ও বিভিন্ন মহল থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা বিপন্ন বলে একধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। সেই অপপ্রচার তারা বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে লাগাতারভাবে চালিয়ে গেছে। কিন্তু এখন আর তা করছে না। কারণ, সারা বিশ্ব জানে—বাংলার মানুষ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলমান—সবাই হাজার বছরের সংস্কৃতি ধারণ করে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে।’
ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘সবার রাজনৈতিক অধিকার আছে, আমরা তা অস্বীকার করি না। কিন্তু যারা গণহত্যা করেছে, তাদের আগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তারা আগে সেই টাকা দেশে ফেরত আনুক। তারপরে দেশের জনগণ ভেবে দেখবে, তারা নির্বাচন করতে পারবে কি না।’
শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘এই দেশ গণমানুষের দেশ, গরিব মানুষের, কৃষক-শ্রমিকের দেশ। আগে তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। বর্তমানে এমন কোনো দ্রব্য নেই, যার দাম বাড়েনি, মানুষের আয় ক্রমশ কমে যাচ্ছে। চাকরির সুযোগ নেই বললেই চলে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই—কর্মসংস্থান করুন, নাহলে দেশ সঠিকভাবে চালানো কঠিন হবে।’
দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সাবেক এমপি লিংকন, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল, যারা স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে এবং স্বাধীনতার পক্ষে লড়েছে।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের পর পার্শ্ববর্তী দেশ ও বিভিন্ন মহল থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা বিপন্ন বলে একধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। সেই অপপ্রচার তারা বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে লাগাতারভাবে চালিয়ে গেছে। কিন্তু এখন আর তা করছে না। কারণ, সারা বিশ্ব জানে—বাংলার মানুষ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলমান—সবাই হাজার বছরের সংস্কৃতি ধারণ করে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে।’
ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘সবার রাজনৈতিক অধিকার আছে, আমরা তা অস্বীকার করি না। কিন্তু যারা গণহত্যা করেছে, তাদের আগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তারা আগে সেই টাকা দেশে ফেরত আনুক। তারপরে দেশের জনগণ ভেবে দেখবে, তারা নির্বাচন করতে পারবে কি না।’
শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘এই দেশ গণমানুষের দেশ, গরিব মানুষের, কৃষক-শ্রমিকের দেশ। আগে তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। বর্তমানে এমন কোনো দ্রব্য নেই, যার দাম বাড়েনি, মানুষের আয় ক্রমশ কমে যাচ্ছে। চাকরির সুযোগ নেই বললেই চলে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই—কর্মসংস্থান করুন, নাহলে দেশ সঠিকভাবে চালানো কঠিন হবে।’
দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সাবেক এমপি লিংকন, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। তিনি তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসনও। বাবার পরিচয় এবং ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে দলের হাঁকডাক–কোনো কিছুরই প্রতিফলন নেই ভোটের মা
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএমও তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি..
৫ ঘণ্টা আগে