নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ৭০টির মতো আবেদন জমা পড়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গড়ে ওঠা দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যায় আবেদন জমা দিতে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মোট ১৪৭টি দল ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
শাপলা প্রতীক চায় এনসিপি
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’
প্রতীকের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রথম পছন্দ শাপলা। আশা করছি, জনগণের মার্কা হিসেবে, গণ-অভ্যুত্থানের মার্কা হিসেবে, গ্রাম-বাংলার প্রতীক হিসেবে এনসিপি শাপলা পাবে। শাপলা মার্কা নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেব।’
জাতীয় প্রতীক শাপলা এনসিপি কীভাবে বরাদ্দ পাবে—এ প্রশ্ন করা হলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ইসির যে বিধিমালা আমরা পর্যালোচনা করেছি, সেখানে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা দেখিনি। জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠাল একটি দলের মার্কা হিসেবে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখিনি বলে আমরা শাপলা প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছি।’
নাগরিক ঐক্য এরই মধ্যে তাদের ‘কেটলি’ প্রতীক পাল্টে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘তারা একটি প্রতীক এরই মধ্যে পেয়েছে। বিদ্যমান তালিকা থেকে যদি নিষ্পত্তি হয়ে যায়, বর্তমানে যে প্রতীক (শাপলা) চেয়েছে, তা নেই বিধিমালায়। ফলে এর দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
সংস্কারের কাজ চলমান উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম জানান, এনসিপির কাছে এখনও অগ্রাধিকার হচ্ছে সংস্কার। সংস্কারের ওপর নির্ভর করে তাঁরা নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা বর্তমান ইসি পুনর্গঠনের দাবি করছি। এই ইসি পুনর্গঠন করতে হবে। এর বিকল্প নেই।’
হাতি প্রতীকে নিবন্ধন চায় জনতা পার্টি বাংলাদেশ
হাতি প্রতীকে দলের নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি)।
আবেদন জমা দিয়ে জেপিবির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। নিবন্ধন বিধিমালার যে শর্ত আছে, সেগুলো পূরণ করা কঠিন। নির্বাচন সংস্কার কমিশন এ বিধিমালার কিছু কিছু সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। সেই প্রস্তাব এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। তারপরও পুরোনো বিধিমালা অনুযায়ী আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। আশা করি, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাব।’
চাবি প্রতীকে নিবন্ধন চায় জনতার দল
জনতার দলের আবেদন জমা দেন দলের আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামাল ও সদস্যসচিব আজম খান।
আবেদন জমা দেওয়ার পর শামীম কামাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের জন্য দলের পক্ষ থেকে সাহসী, শিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক মানুষদের সংগঠিত করা হচ্ছে।
আ-আম জনতা পার্টি চায় আনারস
ডেসটিনি গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের গড়া দল আ-আম জনতা পার্টি আনারস, কলম বা ঘণ্টা প্রতীক চেয়ে ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
আবেদন জমা দেওয়ার পর রফিকুল আমীন বলেন, ‘জেলা ও উপজেরা পর্যায়ে কমিটিসহ যেভাবে ইসি চেয়েছে, সেভাবেই আমরা সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আগামী দিনে আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি করতে পারব বলে আশা রাখি। আমরা বিশ্বাস করি বহুদলীয় গণতন্ত্র।’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়। ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে ৬৫টি রাজনৈতিক দল।
এরপর এনসিপিসহ ৪৬টি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলের নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা ২ মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ৭০টির মতো আবেদন জমা পড়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গড়ে ওঠা দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যায় আবেদন জমা দিতে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মোট ১৪৭টি দল ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
শাপলা প্রতীক চায় এনসিপি
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’
প্রতীকের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রথম পছন্দ শাপলা। আশা করছি, জনগণের মার্কা হিসেবে, গণ-অভ্যুত্থানের মার্কা হিসেবে, গ্রাম-বাংলার প্রতীক হিসেবে এনসিপি শাপলা পাবে। শাপলা মার্কা নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেব।’
জাতীয় প্রতীক শাপলা এনসিপি কীভাবে বরাদ্দ পাবে—এ প্রশ্ন করা হলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ইসির যে বিধিমালা আমরা পর্যালোচনা করেছি, সেখানে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা দেখিনি। জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠাল একটি দলের মার্কা হিসেবে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখিনি বলে আমরা শাপলা প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছি।’
নাগরিক ঐক্য এরই মধ্যে তাদের ‘কেটলি’ প্রতীক পাল্টে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘তারা একটি প্রতীক এরই মধ্যে পেয়েছে। বিদ্যমান তালিকা থেকে যদি নিষ্পত্তি হয়ে যায়, বর্তমানে যে প্রতীক (শাপলা) চেয়েছে, তা নেই বিধিমালায়। ফলে এর দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
সংস্কারের কাজ চলমান উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম জানান, এনসিপির কাছে এখনও অগ্রাধিকার হচ্ছে সংস্কার। সংস্কারের ওপর নির্ভর করে তাঁরা নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা বর্তমান ইসি পুনর্গঠনের দাবি করছি। এই ইসি পুনর্গঠন করতে হবে। এর বিকল্প নেই।’
হাতি প্রতীকে নিবন্ধন চায় জনতা পার্টি বাংলাদেশ
হাতি প্রতীকে দলের নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি)।
আবেদন জমা দিয়ে জেপিবির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। নিবন্ধন বিধিমালার যে শর্ত আছে, সেগুলো পূরণ করা কঠিন। নির্বাচন সংস্কার কমিশন এ বিধিমালার কিছু কিছু সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। সেই প্রস্তাব এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। তারপরও পুরোনো বিধিমালা অনুযায়ী আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। আশা করি, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাব।’
চাবি প্রতীকে নিবন্ধন চায় জনতার দল
জনতার দলের আবেদন জমা দেন দলের আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামাল ও সদস্যসচিব আজম খান।
আবেদন জমা দেওয়ার পর শামীম কামাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের জন্য দলের পক্ষ থেকে সাহসী, শিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক মানুষদের সংগঠিত করা হচ্ছে।
আ-আম জনতা পার্টি চায় আনারস
ডেসটিনি গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের গড়া দল আ-আম জনতা পার্টি আনারস, কলম বা ঘণ্টা প্রতীক চেয়ে ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
আবেদন জমা দেওয়ার পর রফিকুল আমীন বলেন, ‘জেলা ও উপজেরা পর্যায়ে কমিটিসহ যেভাবে ইসি চেয়েছে, সেভাবেই আমরা সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আগামী দিনে আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি করতে পারব বলে আশা রাখি। আমরা বিশ্বাস করি বহুদলীয় গণতন্ত্র।’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়। ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে ৬৫টি রাজনৈতিক দল।
এরপর এনসিপিসহ ৪৬টি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলের নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা ২ মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ৭০টির মতো আবেদন জমা পড়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গড়ে ওঠা দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যায় আবেদন জমা দিতে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মোট ১৪৭টি দল ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
শাপলা প্রতীক চায় এনসিপি
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’
প্রতীকের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রথম পছন্দ শাপলা। আশা করছি, জনগণের মার্কা হিসেবে, গণ-অভ্যুত্থানের মার্কা হিসেবে, গ্রাম-বাংলার প্রতীক হিসেবে এনসিপি শাপলা পাবে। শাপলা মার্কা নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেব।’
জাতীয় প্রতীক শাপলা এনসিপি কীভাবে বরাদ্দ পাবে—এ প্রশ্ন করা হলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ইসির যে বিধিমালা আমরা পর্যালোচনা করেছি, সেখানে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা দেখিনি। জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠাল একটি দলের মার্কা হিসেবে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখিনি বলে আমরা শাপলা প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছি।’
নাগরিক ঐক্য এরই মধ্যে তাদের ‘কেটলি’ প্রতীক পাল্টে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘তারা একটি প্রতীক এরই মধ্যে পেয়েছে। বিদ্যমান তালিকা থেকে যদি নিষ্পত্তি হয়ে যায়, বর্তমানে যে প্রতীক (শাপলা) চেয়েছে, তা নেই বিধিমালায়। ফলে এর দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
সংস্কারের কাজ চলমান উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম জানান, এনসিপির কাছে এখনও অগ্রাধিকার হচ্ছে সংস্কার। সংস্কারের ওপর নির্ভর করে তাঁরা নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা বর্তমান ইসি পুনর্গঠনের দাবি করছি। এই ইসি পুনর্গঠন করতে হবে। এর বিকল্প নেই।’
হাতি প্রতীকে নিবন্ধন চায় জনতা পার্টি বাংলাদেশ
হাতি প্রতীকে দলের নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি)।
আবেদন জমা দিয়ে জেপিবির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। নিবন্ধন বিধিমালার যে শর্ত আছে, সেগুলো পূরণ করা কঠিন। নির্বাচন সংস্কার কমিশন এ বিধিমালার কিছু কিছু সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। সেই প্রস্তাব এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। তারপরও পুরোনো বিধিমালা অনুযায়ী আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। আশা করি, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাব।’
চাবি প্রতীকে নিবন্ধন চায় জনতার দল
জনতার দলের আবেদন জমা দেন দলের আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামাল ও সদস্যসচিব আজম খান।
আবেদন জমা দেওয়ার পর শামীম কামাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের জন্য দলের পক্ষ থেকে সাহসী, শিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক মানুষদের সংগঠিত করা হচ্ছে।
আ-আম জনতা পার্টি চায় আনারস
ডেসটিনি গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের গড়া দল আ-আম জনতা পার্টি আনারস, কলম বা ঘণ্টা প্রতীক চেয়ে ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
আবেদন জমা দেওয়ার পর রফিকুল আমীন বলেন, ‘জেলা ও উপজেরা পর্যায়ে কমিটিসহ যেভাবে ইসি চেয়েছে, সেভাবেই আমরা সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আগামী দিনে আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি করতে পারব বলে আশা রাখি। আমরা বিশ্বাস করি বহুদলীয় গণতন্ত্র।’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়। ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে ৬৫টি রাজনৈতিক দল।
এরপর এনসিপিসহ ৪৬টি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলের নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা ২ মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ৭০টির মতো আবেদন জমা পড়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গড়ে ওঠা দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যায় আবেদন জমা দিতে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মোট ১৪৭টি দল ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
শাপলা প্রতীক চায় এনসিপি
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’
প্রতীকের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রথম পছন্দ শাপলা। আশা করছি, জনগণের মার্কা হিসেবে, গণ-অভ্যুত্থানের মার্কা হিসেবে, গ্রাম-বাংলার প্রতীক হিসেবে এনসিপি শাপলা পাবে। শাপলা মার্কা নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেব।’
জাতীয় প্রতীক শাপলা এনসিপি কীভাবে বরাদ্দ পাবে—এ প্রশ্ন করা হলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ইসির যে বিধিমালা আমরা পর্যালোচনা করেছি, সেখানে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা দেখিনি। জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠাল একটি দলের মার্কা হিসেবে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখিনি বলে আমরা শাপলা প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছি।’
নাগরিক ঐক্য এরই মধ্যে তাদের ‘কেটলি’ প্রতীক পাল্টে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘তারা একটি প্রতীক এরই মধ্যে পেয়েছে। বিদ্যমান তালিকা থেকে যদি নিষ্পত্তি হয়ে যায়, বর্তমানে যে প্রতীক (শাপলা) চেয়েছে, তা নেই বিধিমালায়। ফলে এর দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
সংস্কারের কাজ চলমান উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম জানান, এনসিপির কাছে এখনও অগ্রাধিকার হচ্ছে সংস্কার। সংস্কারের ওপর নির্ভর করে তাঁরা নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা বর্তমান ইসি পুনর্গঠনের দাবি করছি। এই ইসি পুনর্গঠন করতে হবে। এর বিকল্প নেই।’
হাতি প্রতীকে নিবন্ধন চায় জনতা পার্টি বাংলাদেশ
হাতি প্রতীকে দলের নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি)।
আবেদন জমা দিয়ে জেপিবির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। নিবন্ধন বিধিমালার যে শর্ত আছে, সেগুলো পূরণ করা কঠিন। নির্বাচন সংস্কার কমিশন এ বিধিমালার কিছু কিছু সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। সেই প্রস্তাব এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। তারপরও পুরোনো বিধিমালা অনুযায়ী আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। আশা করি, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাব।’
চাবি প্রতীকে নিবন্ধন চায় জনতার দল
জনতার দলের আবেদন জমা দেন দলের আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামাল ও সদস্যসচিব আজম খান।
আবেদন জমা দেওয়ার পর শামীম কামাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের জন্য দলের পক্ষ থেকে সাহসী, শিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক মানুষদের সংগঠিত করা হচ্ছে।
আ-আম জনতা পার্টি চায় আনারস
ডেসটিনি গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের গড়া দল আ-আম জনতা পার্টি আনারস, কলম বা ঘণ্টা প্রতীক চেয়ে ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
আবেদন জমা দেওয়ার পর রফিকুল আমীন বলেন, ‘জেলা ও উপজেরা পর্যায়ে কমিটিসহ যেভাবে ইসি চেয়েছে, সেভাবেই আমরা সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আগামী দিনে আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি করতে পারব বলে আশা রাখি। আমরা বিশ্বাস করি বহুদলীয় গণতন্ত্র।’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়। ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে ৬৫টি রাজনৈতিক দল।
এরপর এনসিপিসহ ৪৬টি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলের নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা ২ মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’
৯ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব।
৯ ঘণ্টা আগেরেজা করিম, ঢাকা

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ও হঠাৎ করে নির্বাচন নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের সরব ভূমিকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে তাদের মনে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন যাতে না হয়, সে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে—বিএনপির তরফ থেকে এই অভিযোগ আসছে বারবার। গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়, নির্বাচন যেন সঠিক সময়ে না হয়।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সময়ের মধ্যে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়—এ বিষয়ে সরকারের ওপর বিএনপির আস্থা আছে। কিন্তু অনেক দলই নির্বাচন পেছানোর জন্য চেষ্টা করছে, নানা রকম কলাকৌশল অবলম্বন করছে বলে বিএনপির কাছে মনে হচ্ছে। ওই সব দলের এ চেষ্টায় একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তখন সরকার বাধ্য হবে নির্বাচন পেছাতে। এ বিষয়টিই বিএনপির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের ওপর আস্থা রাখলেও নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যে খানিকটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ওপর এখনো আমাদের আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে এবং সমর্থনও আছে। নির্বাচন পেছাবে, এখনই আমরা এটা মনে করি না। তবে কিছু মহল কিছু ঘটনা সামনে নিয়ে আসছে, যেগুলো এখন সামনে আসার কথা নয়। স্বাভাবিক কারণে একধরনের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপি যখন বারবার নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র দেখছে, তখন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোরালো অবস্থান জানান দিচ্ছেন সরকারের দায়িত্বশীল লোকেরা। তাঁরাও বারবার জোর দিয়েই বলে চলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। এমন কোনো শক্তি নেই, এটি প্রতিহত করবে।
গতকাল শুক্রবার মাগুরায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে সব দল ঐকমত্য পোষণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই। জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবার।’
সরকারের দিক থেকে বারবার জোর দিয়ে একই কথা বলাতেও আবার খটকা লাগছে বিএনপির নেতাদের মনে। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনে এখনো একটি বিশেষ দলের লোকেরা জায়গা করে নিয়ে আছে, সরকারের মধ্যে সন্দেহভাজন উপদেষ্টা আছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়েও বিএনপির কিছু সুপারিশ আছে। এসব নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের দিক থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। কেবল মাঠপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতির কিছু কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে সরকারের লোকজনদের বক্তৃতায় আর কাজে কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচন বিলম্বে সরকারের ভেতরেই ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটাও একটা সন্দেহের বিষয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে বেশি বেশি বলায় মনে হচ্ছে, হঠাৎ করে এত গতি বেড়ে গেল কেন!’ নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ। সরকারের ভেতর থেকেও সেটায় ইন্ধন আছে। এ রকম ইঙ্গিত আমরা তো পাচ্ছি।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে একপর্যায়ে কঠোর অবস্থান নেয় তারা। বিএনপির এই দাবির বিপরীতে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি আসে সরকারের দিক থেকে। এরপর গত জুনে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসে।
জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান গতকাল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই আমরাও প্রত্যাশা করি, সঠিক সময়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। আমরা আস্থা রাখছি এবং বিশ্বাস করি।’

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ও হঠাৎ করে নির্বাচন নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের সরব ভূমিকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে তাদের মনে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন যাতে না হয়, সে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে—বিএনপির তরফ থেকে এই অভিযোগ আসছে বারবার। গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়, নির্বাচন যেন সঠিক সময়ে না হয়।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সময়ের মধ্যে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়—এ বিষয়ে সরকারের ওপর বিএনপির আস্থা আছে। কিন্তু অনেক দলই নির্বাচন পেছানোর জন্য চেষ্টা করছে, নানা রকম কলাকৌশল অবলম্বন করছে বলে বিএনপির কাছে মনে হচ্ছে। ওই সব দলের এ চেষ্টায় একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তখন সরকার বাধ্য হবে নির্বাচন পেছাতে। এ বিষয়টিই বিএনপির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের ওপর আস্থা রাখলেও নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যে খানিকটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ওপর এখনো আমাদের আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে এবং সমর্থনও আছে। নির্বাচন পেছাবে, এখনই আমরা এটা মনে করি না। তবে কিছু মহল কিছু ঘটনা সামনে নিয়ে আসছে, যেগুলো এখন সামনে আসার কথা নয়। স্বাভাবিক কারণে একধরনের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপি যখন বারবার নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র দেখছে, তখন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোরালো অবস্থান জানান দিচ্ছেন সরকারের দায়িত্বশীল লোকেরা। তাঁরাও বারবার জোর দিয়েই বলে চলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। এমন কোনো শক্তি নেই, এটি প্রতিহত করবে।
গতকাল শুক্রবার মাগুরায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে সব দল ঐকমত্য পোষণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই। জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবার।’
সরকারের দিক থেকে বারবার জোর দিয়ে একই কথা বলাতেও আবার খটকা লাগছে বিএনপির নেতাদের মনে। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনে এখনো একটি বিশেষ দলের লোকেরা জায়গা করে নিয়ে আছে, সরকারের মধ্যে সন্দেহভাজন উপদেষ্টা আছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়েও বিএনপির কিছু সুপারিশ আছে। এসব নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের দিক থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। কেবল মাঠপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতির কিছু কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে সরকারের লোকজনদের বক্তৃতায় আর কাজে কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচন বিলম্বে সরকারের ভেতরেই ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটাও একটা সন্দেহের বিষয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে বেশি বেশি বলায় মনে হচ্ছে, হঠাৎ করে এত গতি বেড়ে গেল কেন!’ নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ। সরকারের ভেতর থেকেও সেটায় ইন্ধন আছে। এ রকম ইঙ্গিত আমরা তো পাচ্ছি।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে একপর্যায়ে কঠোর অবস্থান নেয় তারা। বিএনপির এই দাবির বিপরীতে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি আসে সরকারের দিক থেকে। এরপর গত জুনে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসে।
জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান গতকাল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই আমরাও প্রত্যাশা করি, সঠিক সময়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। আমরা আস্থা রাখছি এবং বিশ্বাস করি।’

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাব
২২ জুন ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’
৯ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’
জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’
জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাব
২২ জুন ২০২৫
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’
৯ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পশ্চিম মালিবাগে এক উঠোন বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটি কথা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে—গণহত্যাকারীরা পালিয়ে গেছে। ব্যাংক, বিমা, বাংলাদেশের যা কিছু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল, সেগুলোকে ধ্বংস করে চূড়ান্তভাবে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এর মানে তারা আমাদের পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। তারা একেবারে চলে গেছে—এটি যদি আমরা সত্যি ধরে নিই, তাহলে সেটাও ভুল হবে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আগামী নির্বাচনে যাদের জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, তারাই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে দু-একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে। বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্টের উত্থান হতে দেওয়া হবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান আরিফের সভাপতিত্বে এ সময় রমনা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম, সদস্য শামীম হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পশ্চিম মালিবাগে এক উঠোন বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটি কথা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে—গণহত্যাকারীরা পালিয়ে গেছে। ব্যাংক, বিমা, বাংলাদেশের যা কিছু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল, সেগুলোকে ধ্বংস করে চূড়ান্তভাবে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এর মানে তারা আমাদের পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। তারা একেবারে চলে গেছে—এটি যদি আমরা সত্যি ধরে নিই, তাহলে সেটাও ভুল হবে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আগামী নির্বাচনে যাদের জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, তারাই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে দু-একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে। বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্টের উত্থান হতে দেওয়া হবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান আরিফের সভাপতিত্বে এ সময় রমনা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম, সদস্য শামীম হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাব
২২ জুন ২০২৫
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
৮ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব। সেই প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে; যাতে নির্বাচনী মাঠে প্রার্থী হিসেবে তাঁরা কাজ করতে পারেন।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে আসন ছাড়ের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত মনোনয়ন নির্ধারণ করা হবে। যাঁরা মনোনয়ন পাবেন না, তাঁদেরও অন্যভাবে মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে দেশে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘খুব শিগগির নির্ধারিত তারিখটি জানতে পারবেন। আশা করি, নভেম্বরের মধ্যেই তিনি ফিরবেন।’
জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোন কোন আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তো অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি তো সেটা সাক্ষাৎকারে বলেই দিয়েছেন। আসন পরে নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশের যেকোনো আসন থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে কোন কোন আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশা করছি, খালেদা জিয়া নিজের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন—নির্বাচন করবেন কি না। আমরা তো চাই, তিনি নির্বাচনে অংশ নিন।’
একক প্রার্থী থাকা আসনে ‘না’ ভোটে বিএনপি সম্মতি দিয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া যাতে কেউ নির্বাচনে জিততে না পারেন, সে নিশ্চয়তা দিতে একক প্রার্থী থাকা আসনে ‘না’ ভোটে সম্মতি জানিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনী ইশতেহারের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। তফসিল ঘোষণার পর সেটি সামনে আনা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ নয়। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সেটি তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। জাতীয় পার্টি যদি আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন না করে, সেটা তাদের স্বাধীনতা।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব। সেই প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে; যাতে নির্বাচনী মাঠে প্রার্থী হিসেবে তাঁরা কাজ করতে পারেন।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে আসন ছাড়ের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত মনোনয়ন নির্ধারণ করা হবে। যাঁরা মনোনয়ন পাবেন না, তাঁদেরও অন্যভাবে মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে দেশে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘খুব শিগগির নির্ধারিত তারিখটি জানতে পারবেন। আশা করি, নভেম্বরের মধ্যেই তিনি ফিরবেন।’
জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোন কোন আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তো অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি তো সেটা সাক্ষাৎকারে বলেই দিয়েছেন। আসন পরে নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশের যেকোনো আসন থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে কোন কোন আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশা করছি, খালেদা জিয়া নিজের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন—নির্বাচন করবেন কি না। আমরা তো চাই, তিনি নির্বাচনে অংশ নিন।’
একক প্রার্থী থাকা আসনে ‘না’ ভোটে বিএনপি সম্মতি দিয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া যাতে কেউ নির্বাচনে জিততে না পারেন, সে নিশ্চয়তা দিতে একক প্রার্থী থাকা আসনে ‘না’ ভোটে সম্মতি জানিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনী ইশতেহারের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। তফসিল ঘোষণার পর সেটি সামনে আনা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ নয়। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সেটি তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। জাতীয় পার্টি যদি আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন না করে, সেটা তাদের স্বাধীনতা।’

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাব
২২ জুন ২০২৫
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’
৯ ঘণ্টা আগে