নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, `আমি একটা বিষয় জানাতে চাই, আমাদের মনোনয়নের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিতর্কিত কারা নমিনেশন পেল। সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তা খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজন হলে সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।'
আজ বুধবার দুপুরে যাত্রাবাড়ী-ডেমরা মহাসড়কের চার লেনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
দলের প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের সুপারিশ এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদন ও জরিপের ভিত্তিতে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
আওয়ামী লীগের সব সাংগঠনিক নিয়মে সারা দেশে সব ইউনিটে আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে বিধি অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মোতাবেক যথাযথভাবে রেজোলুশন প্রস্তুত করার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্দেশনা দেন।
কাদের আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, `গঠনতন্ত্রের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ও বিধান অনুসরণ করে আগেই রেজোলুশন প্রস্তুত করে রাখতে হবে। যাতে করে নির্বাচন কমিশন যখনই তফসিল ঘোষণা করবে, তা যাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো সহজ হয়। আমরা লক্ষ করছি, শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়া করে রেজোলুশন প্রস্তুতির কারণে অনেক জায়গায় সাংগঠনিক বিধি অনুসরণ করা হয় না। এ ছাড়া শেষ মুহূর্তে সবগুলো রেজোলুশন নিয়ে একসঙ্গে কাজ করাও কঠিন।'
তাই শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার পরে সারা দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় রেজোলুশন তৈরি করতে সাংগঠনিক সভা করার অনুরোধ জানান কাদের।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না—বিএনপির মহাসচিবের এমন মন্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, পালিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আওয়ামী লীগের নেই। পালিয়ে যাওয়ার অভ্যাস বিএনপির আছে। আজ তাদের চেয়ারপারসন দণ্ডিত। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় তিনি আজ বাসায় অবস্থান করছেন। কিন্তু যার নেতৃত্বে আজ বিএনপি চলছে, তিনি একজন দণ্ডিত পলাতক আসামি। তিনি রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন, পরে আর ফিরে আসেননি। কাজেই পালানোর অভ্যাস তো তাদেরই। তারা আবার কোন মুখে আওয়ামী লীগকে পলাতক বলেন!
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির একটি আত্মঘাতী নীতি উল্লেখ করে কাদের বলেন, `বিএনপির মহাসচিবকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০০৮ সালে বিএনপি বলেছিল, আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। পরে দেখা গেল তাদেরই ৩০টি আসন পেতে কষ্ট হয়েছে। এখনো বলছে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন পাবে না। তাদের এই সংখ্যাতত্ত্বের হিসাব হাস্যকর। আমরা সংখ্যাতত্ত্বের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। ভোটের মাধ্যমে জনগণ নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। বিএনপি নিজেদের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা আছে বলে দিবাস্বপ্ন দেখে। তাহলে এখন কেন তারা নির্বাচনকে ভয় পায়? কেন ঘোমটা পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে? কেন তাদের প্রকাশ্যে নির্বাচন করতে এত ভয়? নির্বাচনের সময় দিনে-দুপুরে ভোটকেন্দ্র থেকে পালিয়ে গেছে বিএনপি। এই পলায়নপরতার রাজনীতি যারা করে, তারাই গণতন্ত্রের শত্রু। আসলে বিএনপির নেতারা জনগণের জন্য কখনো রাজনীতি করেননি। তাঁদের রাজনীতি লুটপাটের রাজনীতি।'
এদিকে যাত্রাবাড়ী থেকে ডেমরা পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার চার লেন করা হচ্ছে। রাস্তার দুপাশে হবে সার্ভিস লেন। এই প্রকল্পে ১১টি আন্ডারপাস, একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, `আমি একটা বিষয় জানাতে চাই, আমাদের মনোনয়নের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিতর্কিত কারা নমিনেশন পেল। সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তা খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজন হলে সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।'
আজ বুধবার দুপুরে যাত্রাবাড়ী-ডেমরা মহাসড়কের চার লেনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
দলের প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের সুপারিশ এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদন ও জরিপের ভিত্তিতে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
আওয়ামী লীগের সব সাংগঠনিক নিয়মে সারা দেশে সব ইউনিটে আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে বিধি অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মোতাবেক যথাযথভাবে রেজোলুশন প্রস্তুত করার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্দেশনা দেন।
কাদের আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, `গঠনতন্ত্রের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ও বিধান অনুসরণ করে আগেই রেজোলুশন প্রস্তুত করে রাখতে হবে। যাতে করে নির্বাচন কমিশন যখনই তফসিল ঘোষণা করবে, তা যাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো সহজ হয়। আমরা লক্ষ করছি, শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়া করে রেজোলুশন প্রস্তুতির কারণে অনেক জায়গায় সাংগঠনিক বিধি অনুসরণ করা হয় না। এ ছাড়া শেষ মুহূর্তে সবগুলো রেজোলুশন নিয়ে একসঙ্গে কাজ করাও কঠিন।'
তাই শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার পরে সারা দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় রেজোলুশন তৈরি করতে সাংগঠনিক সভা করার অনুরোধ জানান কাদের।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না—বিএনপির মহাসচিবের এমন মন্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, পালিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আওয়ামী লীগের নেই। পালিয়ে যাওয়ার অভ্যাস বিএনপির আছে। আজ তাদের চেয়ারপারসন দণ্ডিত। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় তিনি আজ বাসায় অবস্থান করছেন। কিন্তু যার নেতৃত্বে আজ বিএনপি চলছে, তিনি একজন দণ্ডিত পলাতক আসামি। তিনি রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন, পরে আর ফিরে আসেননি। কাজেই পালানোর অভ্যাস তো তাদেরই। তারা আবার কোন মুখে আওয়ামী লীগকে পলাতক বলেন!
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির একটি আত্মঘাতী নীতি উল্লেখ করে কাদের বলেন, `বিএনপির মহাসচিবকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০০৮ সালে বিএনপি বলেছিল, আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। পরে দেখা গেল তাদেরই ৩০টি আসন পেতে কষ্ট হয়েছে। এখনো বলছে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন পাবে না। তাদের এই সংখ্যাতত্ত্বের হিসাব হাস্যকর। আমরা সংখ্যাতত্ত্বের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। ভোটের মাধ্যমে জনগণ নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। বিএনপি নিজেদের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা আছে বলে দিবাস্বপ্ন দেখে। তাহলে এখন কেন তারা নির্বাচনকে ভয় পায়? কেন ঘোমটা পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে? কেন তাদের প্রকাশ্যে নির্বাচন করতে এত ভয়? নির্বাচনের সময় দিনে-দুপুরে ভোটকেন্দ্র থেকে পালিয়ে গেছে বিএনপি। এই পলায়নপরতার রাজনীতি যারা করে, তারাই গণতন্ত্রের শত্রু। আসলে বিএনপির নেতারা জনগণের জন্য কখনো রাজনীতি করেননি। তাঁদের রাজনীতি লুটপাটের রাজনীতি।'
এদিকে যাত্রাবাড়ী থেকে ডেমরা পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার চার লেন করা হচ্ছে। রাস্তার দুপাশে হবে সার্ভিস লেন। এই প্রকল্পে ১১টি আন্ডারপাস, একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট দোদুল্যমান অবস্থার অবসান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
৭ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘আন্দোলনে শহীদ পরিবার, আহতদের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো নির্দেশিকা নেই। যাঁরা শহীদ হয়েছেন, এমনকি যাঁরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, জাতির পক্ষ থেকে দাবি ছিল, তাঁদের বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করার। মুক্তিযুদ্ধে যেমনটা হয়েছে। তাঁদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা আসা উচিত ছিল; রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার ঘোষণা আসা উ
১০ ঘণ্টা আগে‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নের জন্য গত এক বছরে সবচেয়ে সোচ্চার ছিল এনসিপি। সেই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠান ছিল আজ মঙ্গলবার। শুধু তা-ই নয়, জুলাই শহীদদের সংবর্ধনাসহ গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে রাজধানীতে একাধিক অনুষ্ঠানও চলছিল। এমন দিনে এনসিপির পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে হঠাৎ কক্সবাজারে দেখা গেছে।
১১ ঘণ্টা আগেসংবাদ সম্মেলনে শঙ্কা প্রকাশ করে মঞ্জু বলেন, ‘এই দেশে এখনো হাসিনার প্রেতাত্মা বিদ্যমান। ভারতের প্রেতাত্মাও রয়ে গেছে। এখানে ফ্যাসিবাদ শুধু রূপ পরিবর্তন করেছে। সমঝোতার ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করা সম্ভব কি না, তা এখনই ভাবতে হবে। অন্যথায় অন্তর্দলীয় বিভেদ ও পরিণতির ভার সবাইকে বহন
১৪ ঘণ্টা আগে