আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা ও ফুলছড়ি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই আত্মগোপনে চলে যান। এখন তিনি পলাতক অবস্থায় থেকে এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত হয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন। তাঁর কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পেয়ে কর্মীরা সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের ফলিয়া দিগর গ্রামে রিপনের বাড়ি। তাঁর বাড়ির পাশের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দখল করে নেন রিপনের চাচাতো ভাই আকমল হোসেন। প্রতিষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয় ফলিয়া দিগর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এখানে বর্তমানে তেমন কোনো শিক্ষার্থী না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ঢিলেঢালাভাবে চলছে। এর আড়ালে রাতে এখানে আকমলের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গোপনে জড়ো হন। তারপর গোপন স্থান থেকে রিপন তাঁদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সভায় অংশ নেন। তিনি এলাকায় থাকা তাঁর সম্পদের খোঁজখবর করেন এবং নেতা-কর্মীদের নানা দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন।
বিদ্যালয়টির মূল মালিক রায়হানুল ইসলাম জানান, তিনি ২০১১ সালে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আকমলের জায়গা ভাড়া নিয়ে ‘ফলিয়া দিগর মাল্টিমিডিয়া একাডেমিক কেজি স্কুল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এটি তিন বছর চলার পর হঠাৎ আওয়ামী লীগের এমপি রিপনের প্রভাব খাঁটিয়ে আকমল জোর করে প্রতিষ্ঠানটি দখল করে নেন। জুলাই আন্দোলনের পর রিপন পালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আকমলও কিছু দিন আত্মগোপনে ছিলেন। পরে তিনি আস্তে আস্তে প্রকাশ্যে আসতে থাকেন। এখন তাঁরা বিদ্যালয়টি ঘিরে নিয়মিত দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
রায়হান বলেন, ‘আকমলদের প্রকাশ্য কার্যক্রম ও সাবেক এমপি রিপনের ভার্চুয়াল বৈঠকের কথা এখন প্রায় সবাই জানেন। গ্রামের লোকজন তাঁদের এসব নিষিদ্ধ কার্যক্রমে অনেকটা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘রিপন পলাতক থাকলেও তাঁর নেতা-কর্মীরা এলাকায় সরব। তাঁরা লোকমুখে বলে বেড়াচ্ছেন, হাসিনা আগস্টের মধ্য দেশে আসবেন। তিনি দেশে এলেই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে।’
মঞ্জুরুল ইসলাম নামের আরেক বাসিন্দা জানান, এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের কথা শুনে ভয় লাগছে। দেশে হাসিনা এলে সাধারণ মানুষকে যে কী করবে!
বিষয়টি নিয়ে আকমলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখব। ফ্যাসিস্টদের কোনো কার্যক্রম আমাদের নজরে আশামাত্রই অভিযান চালানো হবে।’
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা ও ফুলছড়ি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই আত্মগোপনে চলে যান। এখন তিনি পলাতক অবস্থায় থেকে এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত হয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন। তাঁর কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পেয়ে কর্মীরা সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের ফলিয়া দিগর গ্রামে রিপনের বাড়ি। তাঁর বাড়ির পাশের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দখল করে নেন রিপনের চাচাতো ভাই আকমল হোসেন। প্রতিষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয় ফলিয়া দিগর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এখানে বর্তমানে তেমন কোনো শিক্ষার্থী না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ঢিলেঢালাভাবে চলছে। এর আড়ালে রাতে এখানে আকমলের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গোপনে জড়ো হন। তারপর গোপন স্থান থেকে রিপন তাঁদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সভায় অংশ নেন। তিনি এলাকায় থাকা তাঁর সম্পদের খোঁজখবর করেন এবং নেতা-কর্মীদের নানা দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন।
বিদ্যালয়টির মূল মালিক রায়হানুল ইসলাম জানান, তিনি ২০১১ সালে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আকমলের জায়গা ভাড়া নিয়ে ‘ফলিয়া দিগর মাল্টিমিডিয়া একাডেমিক কেজি স্কুল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এটি তিন বছর চলার পর হঠাৎ আওয়ামী লীগের এমপি রিপনের প্রভাব খাঁটিয়ে আকমল জোর করে প্রতিষ্ঠানটি দখল করে নেন। জুলাই আন্দোলনের পর রিপন পালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আকমলও কিছু দিন আত্মগোপনে ছিলেন। পরে তিনি আস্তে আস্তে প্রকাশ্যে আসতে থাকেন। এখন তাঁরা বিদ্যালয়টি ঘিরে নিয়মিত দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
রায়হান বলেন, ‘আকমলদের প্রকাশ্য কার্যক্রম ও সাবেক এমপি রিপনের ভার্চুয়াল বৈঠকের কথা এখন প্রায় সবাই জানেন। গ্রামের লোকজন তাঁদের এসব নিষিদ্ধ কার্যক্রমে অনেকটা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘রিপন পলাতক থাকলেও তাঁর নেতা-কর্মীরা এলাকায় সরব। তাঁরা লোকমুখে বলে বেড়াচ্ছেন, হাসিনা আগস্টের মধ্য দেশে আসবেন। তিনি দেশে এলেই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে।’
মঞ্জুরুল ইসলাম নামের আরেক বাসিন্দা জানান, এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের কথা শুনে ভয় লাগছে। দেশে হাসিনা এলে সাধারণ মানুষকে যে কী করবে!
বিষয়টি নিয়ে আকমলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখব। ফ্যাসিস্টদের কোনো কার্যক্রম আমাদের নজরে আশামাত্রই অভিযান চালানো হবে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অডিও কল ভাইরালের প্রেক্ষিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, আমি এক ঘৃণ্য রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক ওয়ালে এমন কথা জানান তিনি। ফেসবুক স্ট্যাটাসটি সরাসরি তুলে ধরা হলো।
২ মিনিট আগেঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘৩২টি রাজনৈতিক দল নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, এর আগে দলগুলো নিজেদের কয়েকমাস ধরে বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য আলাদা আলাদা বৈঠক করার সুযোগ পেয়েছিল, তারপরও গত তিন দিন ধরে ব্যাপক আলোচনা-বিশ্লেষণ চলছে, কিন্তু কোনো বিষয়েই ঐকমত
৩৩ মিনিট আগেবিবৃতিতে বলা হয়, এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এরই মধ্যে নানা সময়ে এনসিপির নারী নেত্রীদের লক্ষ্য করে একই ধরনের অবমাননাকর প্রচারণা চালানো হয়েছে। এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ প্রচার ও প্রোপাগান্ডা কেবল নারীর প্রতি অবমাননা ও নিপীড়নের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি তাঁদের রাজনৈতিক কর্তাসত্তা ও সক্ষমতাকে অস্বীকার করা...
১ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে শফিকুর রহমান দেশে অর্থবহ গণতন্ত্র, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও প্রশাসন গঠন, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান, শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নাগরিক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ...
১ ঘণ্টা আগে