নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং নৌকার সমর্থকদের মধ্যে কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হুইপের এক ভাইকে কান ধরতে বাধ্য করা এবং বোনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে পটিয়ার শান্তিরহাট ও বিকেলে পানওয়ালা এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। দুই ঘটনায় সামশুল হক চৌধুরীর ভাই-বোনসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আর নৌকার পক্ষের ১১ জন আহত হওয়ারও দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে ও তাঁর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী নাজমুল করিম চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শান্তিরহাট এলাকা থেকে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী প্রচার ও গণসংযোগ শুরু করতে যান। প্রচার শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হামলা হয়। নৌকা সমর্থকেরা হুইপের গাড়িবহরের ওপর চড়াও হন এবং আধা ঘণ্টা আটকে রাখে। জুতা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে।
এ সময় হুইপের ভাই ফজলুল হক চৌধুরীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে কানে ধরতে বাধ্য করা হয়। ওই ঘটনার পর বিকেলে গণসংযোগ করতে গাড়ি নিয়ে তাঁরা কুসুমপুরা ইউনিয়নের পানওয়ালা এলাকায় যান। সেখানে আরেক দফা হামলার ঘটনা ঘটে। মারধর করা হয় হুইপের বোন রেখা চৌধুরীকে।
নাজমুল করিম চৌধুরী বলেন, নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সমর্থকেরা তাঁদের ওপর বারবার হামলা করেন। শনিবার দুই দফা হামলায় দুই জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তাঁরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ ক শামশুজ্জামান।
এদিকে পটিয়ায় কুসুমপুরার পানওয়ালাপাড়া এলাকার মোড়ে নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলায় তাঁদের ১১ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নৌকার অনুসারীরা। এ বিষয়ে পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত ঘটনা সম্পর্কে আমরা সতর্ক রয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও এক পৌরসভা নিয়ে চট্টগ্রাম-১২ আসন। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা তিনবারের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর মধ্যে হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং নৌকার সমর্থকদের মধ্যে কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হুইপের এক ভাইকে কান ধরতে বাধ্য করা এবং বোনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে পটিয়ার শান্তিরহাট ও বিকেলে পানওয়ালা এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। দুই ঘটনায় সামশুল হক চৌধুরীর ভাই-বোনসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আর নৌকার পক্ষের ১১ জন আহত হওয়ারও দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে ও তাঁর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী নাজমুল করিম চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শান্তিরহাট এলাকা থেকে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী প্রচার ও গণসংযোগ শুরু করতে যান। প্রচার শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হামলা হয়। নৌকা সমর্থকেরা হুইপের গাড়িবহরের ওপর চড়াও হন এবং আধা ঘণ্টা আটকে রাখে। জুতা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে।
এ সময় হুইপের ভাই ফজলুল হক চৌধুরীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে কানে ধরতে বাধ্য করা হয়। ওই ঘটনার পর বিকেলে গণসংযোগ করতে গাড়ি নিয়ে তাঁরা কুসুমপুরা ইউনিয়নের পানওয়ালা এলাকায় যান। সেখানে আরেক দফা হামলার ঘটনা ঘটে। মারধর করা হয় হুইপের বোন রেখা চৌধুরীকে।
নাজমুল করিম চৌধুরী বলেন, নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সমর্থকেরা তাঁদের ওপর বারবার হামলা করেন। শনিবার দুই দফা হামলায় দুই জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তাঁরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ ক শামশুজ্জামান।
এদিকে পটিয়ায় কুসুমপুরার পানওয়ালাপাড়া এলাকার মোড়ে নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলায় তাঁদের ১১ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নৌকার অনুসারীরা। এ বিষয়ে পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত ঘটনা সম্পর্কে আমরা সতর্ক রয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও এক পৌরসভা নিয়ে চট্টগ্রাম-১২ আসন। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা তিনবারের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর মধ্যে হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
২ মিনিট আগে
সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ সোমবার যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সমগ্র বাংলাদেশে আসনভিত্তিক একাধিক যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এই কৌশলটি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ের মতোই। ওই নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের মতো ঘটনা ঘটলে আসন যেন বিএনপিশূন্য না হয়ে পড়ে, সে জন্যই এক আসনে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও একই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
জানা গেছে, জোটের কারণে কিছু আসন ছাড় দিতে হতে পারে, তা বিবেচনা করেও দুই শতাধিক আসনে ‘ধানের শীষ’-এর প্রার্থী তালিকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, এক আসনে একাধিক প্রার্থী বাছাই করে রাখলেও দল ঐক্যের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটিই মেসেজ দিতে চাই, যাতে আমাদের দলের ভেতরে ঐক্য থাকে, জাতির ভেতরে ঐক্য থাকে। জাতির মধ্যে ঐক্যটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই ঐক্য বজায় রাখার জন্য কেউ যাতে বিভেদের পথে না যায়, সেই মেসেজটা আমরা দিতে চাই।’
এ ছাড়া, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন করা হবে বলেও ঘোষণা করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে নিয়ে গঠন করা হবে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট।’
দেশের যুব সমাজকে জাতি বিনির্মাণে কাজে লাগানোর বিষয়ে বিএনপির পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে যুবকদের, তরুণদের রাজনৈতিক ভাবনাকে আহরণ করার জন্য আমরা সমগ্র বাংলাদেশে সফর করেছি। আমরা তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা গ্রহণ করে সামনের দিনে জাতি বিনির্মাণে কীভাবে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা কর্মসূচি প্রণয়ন করছি। আশা করি, এই দেশ একটি তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ হবে।’
এ সময় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ সোমবার যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সমগ্র বাংলাদেশে আসনভিত্তিক একাধিক যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এই কৌশলটি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ের মতোই। ওই নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের মতো ঘটনা ঘটলে আসন যেন বিএনপিশূন্য না হয়ে পড়ে, সে জন্যই এক আসনে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও একই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
জানা গেছে, জোটের কারণে কিছু আসন ছাড় দিতে হতে পারে, তা বিবেচনা করেও দুই শতাধিক আসনে ‘ধানের শীষ’-এর প্রার্থী তালিকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, এক আসনে একাধিক প্রার্থী বাছাই করে রাখলেও দল ঐক্যের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটিই মেসেজ দিতে চাই, যাতে আমাদের দলের ভেতরে ঐক্য থাকে, জাতির ভেতরে ঐক্য থাকে। জাতির মধ্যে ঐক্যটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই ঐক্য বজায় রাখার জন্য কেউ যাতে বিভেদের পথে না যায়, সেই মেসেজটা আমরা দিতে চাই।’
এ ছাড়া, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন করা হবে বলেও ঘোষণা করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে নিয়ে গঠন করা হবে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট।’
দেশের যুব সমাজকে জাতি বিনির্মাণে কাজে লাগানোর বিষয়ে বিএনপির পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে যুবকদের, তরুণদের রাজনৈতিক ভাবনাকে আহরণ করার জন্য আমরা সমগ্র বাংলাদেশে সফর করেছি। আমরা তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা গ্রহণ করে সামনের দিনে জাতি বিনির্মাণে কীভাবে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা কর্মসূচি প্রণয়ন করছি। আশা করি, এই দেশ একটি তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ হবে।’
এ সময় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও নৌকার সমর্থকদের মধ্যে কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হুইপের এক ভাইকে কান ধরতে বাধ্য করা এবং বোনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় জাতীয় পার্টির একাংশ। তবে অংশ নেওয়ার প্রক্রিয়া বা কৌশল আরও কিছুটা সময় পর জাতির সামনে তুলে ধরবে তারা। গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে অনুষ্ঠিত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভার এই প্রস্তাব রাখা হয়।
আজ সোমবার দলের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কৌশল নির্ধারণে করণীয় ও সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে সূচনা বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
প্রেসিডিয়াম সভায় বলা হয়, বিগত ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখার জন্য জাতীয় পার্টি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করতে চায়। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বা কোন কৌশলে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে, সেটি আরও কিছুটা সময় পর জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
বিজ্ঞাপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘জাতীয় পার্টি প্রত্যাশা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে। বিশেষ করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় যাতে সকল রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পায়, সে ধরনের একটি ভয়ভীতি ও আতঙ্কহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করতে চায় জাতীয় পার্টি।’
সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলা এই সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম নাসরিন জাহান রতনা, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, জিয়া উল হক মৃধা, অধ্যাপক নূরুল ইসলাম মিলন, সরদার শাহজাহান, মোবারক হোসেন আজাদ, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় জাতীয় পার্টির একাংশ। তবে অংশ নেওয়ার প্রক্রিয়া বা কৌশল আরও কিছুটা সময় পর জাতির সামনে তুলে ধরবে তারা। গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে অনুষ্ঠিত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভার এই প্রস্তাব রাখা হয়।
আজ সোমবার দলের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কৌশল নির্ধারণে করণীয় ও সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে সূচনা বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
প্রেসিডিয়াম সভায় বলা হয়, বিগত ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখার জন্য জাতীয় পার্টি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করতে চায়। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বা কোন কৌশলে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে, সেটি আরও কিছুটা সময় পর জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
বিজ্ঞাপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘জাতীয় পার্টি প্রত্যাশা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে। বিশেষ করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় যাতে সকল রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পায়, সে ধরনের একটি ভয়ভীতি ও আতঙ্কহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করতে চায় জাতীয় পার্টি।’
সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলা এই সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম নাসরিন জাহান রতনা, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, জিয়া উল হক মৃধা, অধ্যাপক নূরুল ইসলাম মিলন, সরদার শাহজাহান, মোবারক হোসেন আজাদ, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও নৌকার সমর্থকদের মধ্যে কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হুইপের এক ভাইকে কান ধরতে বাধ্য করা এবং বোনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
১৭ ঘণ্টা আগেসাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।
বাম দলগুলো বলেছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। দলীয় প্রার্থীদের বাইরেও প্রগতিশীল, মুক্তমনা মানুষ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যদেরও নির্বাচনে সমর্থন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
দেশের নিবন্ধিত বামপন্থী দলগুলোর অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের অংশ হওয়ায় ৫ আগস্টের পর বামপন্থী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নেতৃত্বাধীন ৬ দলের সমন্বয়ে গড়া বাম গণতান্ত্রিক জোট। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই জোটের পাশাপাশি অন্য ৭টি বামপন্থী দলের জোট ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’, বাংলাদেশ জাসদ, ঐক্য ন্যাপ এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও গণসংগঠনের সমন্বয়ে বড় বামবলয় তৈরির চেষ্টা করছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।
বাম দলগুলোর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক, বামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো এবং ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। প্রার্থী বাছাইসহ সার্বিক নির্বাচনী পরিকল্পনার পেছনের অন্যতম ভিত্তি হতে যাচ্ছে দেশের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতাযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেওয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধাও এ বলয়ের আওতায় প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে।
সিপিবির ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, দেড় শর বেশি আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।
অন্যদিকে বাসদের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে ১১০ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা করেছেন। অন্যান্য বাম দল, সংগঠন, জোটের নেতারাও প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
নেতাদের কাছ থেকে জানা গেছে, দলগুলোর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা সমন্বয়ের লক্ষ্যে আগামী ৩১ অক্টোবর তাঁরা বৈঠকে বসতে পারেন। সে বিবেচনায় ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই সব প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ হবে। এরপর আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রাথমিকভাবে কিছু আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দলগুলো বলছে, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার, শ্রমিক-কৃষকসহ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা, দুর্নীতিমুক্ত ও জনসম্পৃক্ত রাজনীতির পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং এলাকায় গ্রহণযোগ্যতার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করব। প্রার্থীরা সবাই দলীয় না-ও হতে পারেন। তাঁদের মধ্যে স্থানীয় সমাজের পরিচিত বা প্রগতিশীল ব্যক্তিরাও থাকতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের নির্বাচনী পরিকল্পনার ভিত্তি বিবেচনা করা হয়েছে। কেউ কেউ ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প হিসেবে দেখাতে চায়। আমরা মনে করি, এটি অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার পরিণতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হয়নি বলেই ’২৪ ঘটেছে।’
একাত্তরে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া একাধিক মুক্তিযোদ্ধাও বামবলয়ের প্রার্থী তালিকায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সব সময় আমরা প্রাধান্য দেই। আর মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রাম কল্পনা করা যায় না।’ ’২৪ হলো মুক্তিযুদ্ধের অপরিণত আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ।’
জুলাই জাতীয় সনদে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সংক্রান্ত সংবিধানের মূলনীতি অক্ষুণ্ন রাখার প্রশ্নে জোরালো অবস্থান নিয়েছে সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ। সংবিধানের চার মূলনীতিসহ ৭টি বিষয়ে সমাধান না হলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলগুলো। তাদের অভিযোগ, জুলাই সনদের মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিদ্যমান সংবিধানের চার মূলনীতি বাদ দেওয়াসহ মুক্তিযুদ্ধকে অপ্রাসঙ্গিক করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতনও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি রচিত হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ববর্তী ২৩ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে ১৯৭১-এর ১০ এপ্রিল গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে। সংবিধানের প্রায়োগিক বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বহু বিষয়ে সংস্কার আনায় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি এর চার মূলনীতি প্রশ্নে আপস করার কোনো সুযোগ নেই।’
প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে মানে এমন দেশপ্রেমিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে নিয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল ছাড়াও থাকবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, ছাত্র, শ্রমিক, খেতমজুর ও কৃষক সংগঠন, দলিত সম্প্রদায়, পাহাড়-সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি। স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য নির্দলীয় ব্যক্তিদেরও প্রার্থী হিসেবে আমরা সমর্থন দেব।’
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত গণতন্ত্রমনা এই জোট গঠনের লক্ষ্যে বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় সমাবেশ’ আয়োজনের কথা জানিয়েছেন বাম নেতারা। এ ছাড়াও আগামী ৩১ অক্টোবর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কনভেনশন, ২৮ নভেম্বর গ্রাম ও শহরের শ্রমজীবী মানুষের কনভেনশন, ৫ ডিসেম্বর নারীসমাজের কনভেনশন এবং ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।
বাম দলগুলো বলেছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। দলীয় প্রার্থীদের বাইরেও প্রগতিশীল, মুক্তমনা মানুষ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যদেরও নির্বাচনে সমর্থন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
দেশের নিবন্ধিত বামপন্থী দলগুলোর অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের অংশ হওয়ায় ৫ আগস্টের পর বামপন্থী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নেতৃত্বাধীন ৬ দলের সমন্বয়ে গড়া বাম গণতান্ত্রিক জোট। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই জোটের পাশাপাশি অন্য ৭টি বামপন্থী দলের জোট ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’, বাংলাদেশ জাসদ, ঐক্য ন্যাপ এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও গণসংগঠনের সমন্বয়ে বড় বামবলয় তৈরির চেষ্টা করছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।
বাম দলগুলোর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক, বামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো এবং ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। প্রার্থী বাছাইসহ সার্বিক নির্বাচনী পরিকল্পনার পেছনের অন্যতম ভিত্তি হতে যাচ্ছে দেশের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতাযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেওয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধাও এ বলয়ের আওতায় প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে।
সিপিবির ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, দেড় শর বেশি আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।
অন্যদিকে বাসদের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে ১১০ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা করেছেন। অন্যান্য বাম দল, সংগঠন, জোটের নেতারাও প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
নেতাদের কাছ থেকে জানা গেছে, দলগুলোর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা সমন্বয়ের লক্ষ্যে আগামী ৩১ অক্টোবর তাঁরা বৈঠকে বসতে পারেন। সে বিবেচনায় ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই সব প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ হবে। এরপর আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রাথমিকভাবে কিছু আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দলগুলো বলছে, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার, শ্রমিক-কৃষকসহ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা, দুর্নীতিমুক্ত ও জনসম্পৃক্ত রাজনীতির পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং এলাকায় গ্রহণযোগ্যতার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করব। প্রার্থীরা সবাই দলীয় না-ও হতে পারেন। তাঁদের মধ্যে স্থানীয় সমাজের পরিচিত বা প্রগতিশীল ব্যক্তিরাও থাকতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের নির্বাচনী পরিকল্পনার ভিত্তি বিবেচনা করা হয়েছে। কেউ কেউ ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প হিসেবে দেখাতে চায়। আমরা মনে করি, এটি অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার পরিণতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হয়নি বলেই ’২৪ ঘটেছে।’
একাত্তরে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া একাধিক মুক্তিযোদ্ধাও বামবলয়ের প্রার্থী তালিকায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সব সময় আমরা প্রাধান্য দেই। আর মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রাম কল্পনা করা যায় না।’ ’২৪ হলো মুক্তিযুদ্ধের অপরিণত আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ।’
জুলাই জাতীয় সনদে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সংক্রান্ত সংবিধানের মূলনীতি অক্ষুণ্ন রাখার প্রশ্নে জোরালো অবস্থান নিয়েছে সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ। সংবিধানের চার মূলনীতিসহ ৭টি বিষয়ে সমাধান না হলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলগুলো। তাদের অভিযোগ, জুলাই সনদের মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিদ্যমান সংবিধানের চার মূলনীতি বাদ দেওয়াসহ মুক্তিযুদ্ধকে অপ্রাসঙ্গিক করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতনও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি রচিত হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ববর্তী ২৩ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে ১৯৭১-এর ১০ এপ্রিল গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে। সংবিধানের প্রায়োগিক বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বহু বিষয়ে সংস্কার আনায় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি এর চার মূলনীতি প্রশ্নে আপস করার কোনো সুযোগ নেই।’
প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে মানে এমন দেশপ্রেমিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে নিয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল ছাড়াও থাকবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, ছাত্র, শ্রমিক, খেতমজুর ও কৃষক সংগঠন, দলিত সম্প্রদায়, পাহাড়-সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি। স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য নির্দলীয় ব্যক্তিদেরও প্রার্থী হিসেবে আমরা সমর্থন দেব।’
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত গণতন্ত্রমনা এই জোট গঠনের লক্ষ্যে বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় সমাবেশ’ আয়োজনের কথা জানিয়েছেন বাম নেতারা। এ ছাড়াও আগামী ৩১ অক্টোবর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কনভেনশন, ২৮ নভেম্বর গ্রাম ও শহরের শ্রমজীবী মানুষের কনভেনশন, ৫ ডিসেম্বর নারীসমাজের কনভেনশন এবং ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও নৌকার সমর্থকদের মধ্যে কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হুইপের এক ভাইকে কান ধরতে বাধ্য করা এবং বোনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
২ মিনিট আগে
সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সব জায়গায় গুন্ডামি চালাচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের পর সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে আমলারা, কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। পিএসসি চায় আর্থিক ও কার্যকর স্বায়ত্তশাসন, কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। চাকরি প্রার্থীরা এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোটবুকের বাইরে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আমলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাগ-বাঁটোয়ারা ও পোস্টিং-প্রমোশন নিয়েই ব্যস্ত। ৫ আগস্টের পর কেউ সবচেয়ে বেশি বেনিফিট পেয়ে থাকলে, তা হলো আমলারা।’
আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘সচিবালয়ে এখনো মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা চলছে। ২০১ নম্বর রুম থেকে ২০২ নম্বর রুমে একটা চিঠি পাঠাতে গেলেও সেটা প্রথমে জিপিওতে যায়, পরে আবার ফিরে আসে। অথচ তারা একসঙ্গে বসে চা খায়, ব্যবসাও করে, কিন্তু অফিশিয়াল কাজের ক্ষেত্রে এই সনাতনী প্রক্রিয়া বজায় রাখে।’
সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘একজন সচিব এখনো বাটন ফোন ব্যবহার করেন, এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই যুগে এসে বাটন ফোন ব্যবহার করাকে অযোগ্যতা হিসেবেই দেখা উচিত।’
হাসনাত বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনের পুরো চেহারা বদলাতে হবে। মাঝে মাঝে মনে হয়, মাইলস্টোনে যে বিমানটা পড়েছিল, সেটা যদি সচিবালয়ে পড়ত, তাহলে ভালো হতো।’
রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের নোটবুকেও আমরা নেই। তাঁরা শুধু নির্বাচন, আসন ভাগাভাগি আর মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি নিয়েই ব্যস্ত। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে কেউ ভাবেন না। কোনো আন্দোলন হলে তখনই তাঁরা মাঠে নামেন, যাতে তাঁদের পোর্টফোলিও ভারী হয়।’
এদিন হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পিএসসির কাছে ১৫ দফা প্রস্তাবনা জমা দেয়। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সব জায়গায় গুন্ডামি চালাচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের পর সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে আমলারা, কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। পিএসসি চায় আর্থিক ও কার্যকর স্বায়ত্তশাসন, কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। চাকরি প্রার্থীরা এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোটবুকের বাইরে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আমলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাগ-বাঁটোয়ারা ও পোস্টিং-প্রমোশন নিয়েই ব্যস্ত। ৫ আগস্টের পর কেউ সবচেয়ে বেশি বেনিফিট পেয়ে থাকলে, তা হলো আমলারা।’
আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘সচিবালয়ে এখনো মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা চলছে। ২০১ নম্বর রুম থেকে ২০২ নম্বর রুমে একটা চিঠি পাঠাতে গেলেও সেটা প্রথমে জিপিওতে যায়, পরে আবার ফিরে আসে। অথচ তারা একসঙ্গে বসে চা খায়, ব্যবসাও করে, কিন্তু অফিশিয়াল কাজের ক্ষেত্রে এই সনাতনী প্রক্রিয়া বজায় রাখে।’
সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘একজন সচিব এখনো বাটন ফোন ব্যবহার করেন, এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই যুগে এসে বাটন ফোন ব্যবহার করাকে অযোগ্যতা হিসেবেই দেখা উচিত।’
হাসনাত বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনের পুরো চেহারা বদলাতে হবে। মাঝে মাঝে মনে হয়, মাইলস্টোনে যে বিমানটা পড়েছিল, সেটা যদি সচিবালয়ে পড়ত, তাহলে ভালো হতো।’
রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের নোটবুকেও আমরা নেই। তাঁরা শুধু নির্বাচন, আসন ভাগাভাগি আর মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি নিয়েই ব্যস্ত। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে কেউ ভাবেন না। কোনো আন্দোলন হলে তখনই তাঁরা মাঠে নামেন, যাতে তাঁদের পোর্টফোলিও ভারী হয়।’
এদিন হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পিএসসির কাছে ১৫ দফা প্রস্তাবনা জমা দেয়। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও নৌকার সমর্থকদের মধ্যে কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হুইপের এক ভাইকে কান ধরতে বাধ্য করা এবং বোনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
২ মিনিট আগে
সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।
১৩ ঘণ্টা আগে