Ajker Patrika

পরাজিত শক্তিরা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি মোচন করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।’

আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর পূর্বে প্রতিমন্ত্রী শিশুদের নিয়ে শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার দুটি স্বপ্ন ছিল। প্রথম স্বপ্ন এদেশের স্বাধীনতা ও দ্বিতীয় স্বপ্ন এদেশের মানুষের মুক্তি। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তিসংগ্রামের ডাক দেন। সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচি শুরু করেন। দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। তখনই পরাজিত শক্তি স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি মোচন করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। 

পৃথিবীতে অনেক রাষ্ট্র নায়কদের হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে নাই জানিয়ে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিবারের কোনো সদস্যসের নেতৃত্বে যাতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, স্বাধীনতার মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঘুরে দাঁড়াতে না পারে। খুনি ঘাতক জিয়া ছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে হত্যার বিচার রহিত করে।’ 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন। আজকের শিশু কিশোরদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে স্মার্ট দেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’ 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার। আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব মো. ওয়াহিদুজ্জামান, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন ও ডিএনএ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. পারভেজ রহমানসহ মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ। 

সভাপতির বক্তব্যে সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, জাতির পিতা নেতা হিসেবে ছিলেন রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য আদর্শ। পিতা হিসেবে ছিলেন জাতির আশ্রয় ও ভরসার স্থল। অভাবী ও দুঃখী মানুষের ভরসার প্রতীক। ঘাতকেরা নির্মমভাবে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যাকে করেছে কিন্তু তিনি এদেশের সকল মানুষের অন্তরস্থলে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। দেশ স্বাধীনের সাড়ে তিন বছরের মধ্যে জাতির পিতা দেশের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেন। যার ধারাবাহিকতা এখনো চলমান। 

অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত