Ajker Patrika

ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০: ১০
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল

অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে তাঁকে বহনকারী কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন খালেদা জিয়া।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রাত সোয়া ৮টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। ১০টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানাতে যান বিএনপির মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ আরও অনেক নেতা।

বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে ফিরোজায় আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ফুটপাতে দলের নেতা–কর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে তাঁকে বিদায় জানান। খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ও নেতা–কর্মীদের চাপে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তাঁর মেডিকেল বোর্ডের ৬ সদস্য— অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিক, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন আছেন।

এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদারও সঙ্গে আছেন বলে জানা গেছে।

যুক্তরাজ্যে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ‘লন্ডন ক্লিনিক’ নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন। হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি খালেদা জিয়াকে ওই হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে। বিমানবন্দরের ভিআইপি টারমাকে কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাখা হয়। এই বিশেষ উড়োজাহাজে চার জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্স রয়েছেন। সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধার যন্ত্রপাতি, মেশিনারি ও ল্যাবরেটরিও রয়েছে এই বাহনে।

সবশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডনযাত্রার পর আর কোনো বিদেশ সফরে যাননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পাঁচ মাস পর চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেলেন তিনি। প্রাথমিক পরিকল্পনায় তাঁর লন্ডন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়েই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সাড়ে সাত বছর আগে যুক্তরাজ্যেই চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেবার চোখ ও পায়ের চিকিৎসা নিয়েছিলেন। লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি।

কারাবন্দি জীবনের পর শর্তসাপেক্ষে মুক্তি মিললেও বিদেশে তাঁর চিকিৎসার অনুমতি দেয়নি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এই অনুমতির জন্য তাঁর দল আন্দোলন–সংগ্রাম করেও লাভ হয়নি। পরে ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে সরকার পতন হলে অন্তর্বর্তী সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়। এরপর তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

আজকের রাশিফল: দূরদেশ থেকে ফোন করে কেউ ক্ষমা চাইবে, প্রপোজ করার মোক্ষম দিন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘ড. ইউনুস দুনিয়াব্যাপী পরিচিত। তিনি ভালো একজন পারফরমার। কিন্তু বাংলাদেশে এসে দেখা গেলো, তিনি কিছুই করতে পারলেন না। পুরো দেশ এখন জটিলতার মধ্যে গেছে। মনে হচ্ছে, একটা অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে। কয়েকদিন আগে বিএনপি বলেছে, ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে। আবার এনসিপিও বলেছে, সরকার নাকি তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। একটা প্রতারণার (জন্য বিচারের) কাঠগড়ায় এই সরকার দাঁড়িয়ে গেছে।’

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘রাজনীতির বর্তমান এবং ভবিষ্যতের পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্য এই সভার আয়োজন করে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে যে আট মাস ধরে আলাপ-আলোচনা চলল, এরপরে সংস্কার এখন কোথায় আছে? আমি যদি বলি–এটা যে লাউ সেই কদু–কোনো পরিবর্তন হয়নি; যে ঐকমত্যের কথা বলা হয়েছে, সেই ঐকমত্যের কিছুই হয়নি।’

সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমি আশা করব, সরকার কোনো একটি বিশেষ দলের দিকে ঝুঁকে পড়বে না। গতকাল জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে গেলে অসুবিধা নেই। তাদের গণভোট আগে হতেই হবে। কিন্তু গণভোট আগে হওয়া আর গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিনে একই দিনে হওয়ার মধ্যে কোনো রাজনৈতিক তাৎপর্যগত পার্থক্য নেই। আমরা গণভোটের মধ্যে যা কিছু অর্জন করতে চাচ্ছি, সেটা আগে হলে যা অর্জন করব, জাতীয় নির্বাচনের দিনে হলেও একই জিনিস অর্জন করব।’

তিনি বলেন, ‘“কেবল আমার রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হলো, আমরা যা বললাম তাই হলো”-এরকম একটি অবস্থান থেকে গণভোটের বিষয় নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হচ্ছে, এটা করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। এটা যারা করছেন, বোঝা যাচ্ছে, মূল বিষয়টা দাঁড়িয়ে যাচ্ছে–হয় নির্বাচন পেছাতে হবে অথবা এখানে পরিস্থিতির মধ্যে যে জটিলতা, সেটাকে আরও গভীর করতে হবে। অথবা বার্গেনিং করতে হবে।’

সভায় বিএনপি প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপির জন্ম হয়েছিল “হ্যাঁ” ভোটের মাধ্যমে। এবার “না” ভোটে স্ট্রিক্ট থাকলে দলটির মৃত্যু হবে “না” ভোটের মধ্য দিয়ে। তবে বিএনপি একটি বড় দল। তাই আমরা বলব, “না” ভোটের মধ্য দিয়ে নিজেদের কবর রচনা করবেন না।’

আলোচনা সভায় গত এক বছর ধরে তরুণদের ‘ছোট করে দেখার প্রবণতা চলছে’ বলে অভিযোগ করেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ ২৫ বছরের নিচে। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে আমরা যদি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে না পারি, সেটা আমাদের ব্যর্থতা হবে। আমাদের সামনে খুব সুন্দর একটা সুযোগ এসেছে–যেখানে তরুণরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তারা চিন্তা করছেন–

দেশের জন্য কীভাবে তারা অবদান রাখবেন, কীভাবে তারা দেশের হয়ে কাজ করবেন।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

আজকের রাশিফল: দূরদেশ থেকে ফোন করে কেউ ক্ষমা চাইবে, প্রপোজ করার মোক্ষম দিন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের দিয়ে ড. ইউনূস আ.লীগের ধারাবাহিকতা রক্ষা করছেন: তামজিদ হায়দার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তামজিদ হায়দার। ছবি: সংগৃহীত
তামজিদ হায়দার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি তামজিদ হায়দার বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যেমন চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমেরিকার আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা ও ভূরাজনীতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন তিনি।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে শাহবাগে ‘লাভজনক চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ’ ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তামজিদ হায়দার। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এ প্রতিবাদের আয়োজন করে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার বলেন, ‘ডক্টর ইউনূসের সরকার জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। তিনি মার্কিন দালালি করছেন এবং আমেরিকার কথায় দেশ চালাতে চান। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে কোনো সরকারই বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারেনি, আপনি পারবেন না। জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এক দিনও আপস করব না।’

তামজিদ হায়দার বলেন, ‘দেশীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি করে বাংলাদেশেরই জনবলের মাধ্যমে এই বন্দরকে পরিচালনা ও উন্নত করতে হবে। জনগণনির্ভর অর্থনীতি তৈরির জন্য জাতীয় পুঁজির বিকাশ ঘটাতে হবে। অথচ ড. ইউনূস এমন একটা আবহাওয়া তৈরি করতে চাইছেন; যেখানে বলা হচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব খাতে যুক্ত হবে, যা ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছুই নয়।’

ইউনূসের সরকার ব্যর্থ উল্লেখ করে তামজিদ হায়দার বলেন, ‘এই সরকার দেশে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, মব থামাতে পারেনি ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীকে মদদ দিয়েছে। এমন ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার এর আগে কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল না।’ এ সময় দেশকে বিশৃঙ্খলা থেকে রেহাই দিতে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সরে যাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক অন্তু অরিন্দম বলেন, বিদেশিদের হাতে চট্টগ্রাম বন্দরকে ইজারা মূলত কাগজপত্রে থাকে, কিন্তু মূল বিষয় থাকে দাসত্ব। সাম্রাজ্যবাদ নীতিতে শ্রম ও মেধা বিক্রির পাঁয়তারা করছে এই সরকার।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অর্নি আঞ্জুম, ঢাকা মহানগর নেতা তিলোত্তমা ইতি প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

আজকের রাশিফল: দূরদেশ থেকে ফোন করে কেউ ক্ষমা চাইবে, প্রপোজ করার মোক্ষম দিন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাপলা প্রতীক প্রশ্নে এনসিপি আপসহীন: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ৫৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন নতুন গেজেটে আমাদের শাপলা কলি প্রতীক দিয়েছে। কমিশন এটি কিসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করেছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে শাপলা প্রশ্নে আমরা আপসহীন।’

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচন কোন পথে?’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় যুবশক্তি এই সেমিনারের আয়োজন করে।

এ সময় এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘আপনারা (ইসি) তালিকায় শাপলাকে দ্রুত অন্তর্ভুক্ত করে এনসিপির যে অধিকার, তা বুঝিয়ে দিন। ইতিমধ্যে আপনারা আমাদের অনেক দেরি করিয়েছেন—বিএনপি–জামায়াতকে সুবিধা দেওয়ার জন্য, জনগণের শক্তিকে চাপা দেওয়ার জন্য; যাতে আওয়ামী লীগকে নিয়ে আসতে পারেন।’

এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, ‘আমরা আপনাদের বলব, এসব খেলা বন্ধ করেন। যদি তা না করেন, তাহলে হয়তো আমরা ইলেকশন কমিশনের সামনে গিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রটেস্টের (আন্দোলন) মাধ্যমে আপনাদের পদত্যাগ করাতে বাধ্য হব।’

রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট প্রকৃতপক্ষে ‘নোট অব চিটিং’। আর জামায়াত মুখে জুলাই সনদের কথা বললেও তারা নিম্নকক্ষে পিআরের কথা বলে আসন নিয়ে দর-কষাকষি করছে। এটা একধরনের ভণ্ডামি।

প্রধান উপদেষ্টার করণীয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমরা মনে করি, সুপারিশ করা সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে হবে সরকারকে। এতে সই করার একমাত্র এখতিয়ার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। এখানে চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) কোনো ক্ষমতা নেই। কারণ, সে একজন খুনি।’

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, জাতীয় পার্টির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। জামায়াত বোঝাতে চায়, তারা সংস্কারের পক্ষে। আসলে তারা বাস্তবে কিছু আসন বাগিয়ে নেওয়ার জন্য এ ধরনের কথা বলছে। আর বিএনপি সরাসরি বিপক্ষে। সে হিসেবে বিএনপি কিছুটা পরিষ্কার।

নাসীরুদ্দীনের দৃঢ় বিশ্বাস, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী মুখে বিরোধের কথা বললেও তারা মূলত আসন নিয়ে দর-কষাকষি করছে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, এনসিপি দলের মার্কা শাপলা করতে চেয়েছিল। কিন্তু গেজেটভুক্ত হয়েছে শাপলা কলি। এটি করে ইসি এনসিপির ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করতে চাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কোনো ধরনের কারণ, আইনি ও সাংবিধানিক ব্যাখ্যা ছাড়া এটি করেছে। এই নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদে সই করতে চাই। তবে তার আগে বাস্তবায়নের পথরেখা সুস্পষ্ট করতে হবে। সেটি নিয়ে আবারও আলোচনা করতে হয়, এটি দুঃখজনক।’

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন জমিদারি আচরণ করছে। এটি অগ্রহণযোগ্য। শাপলাই হবে এনসিপির প্রতীক। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ দ্রুত জারি করতে হবে। জুলাই সনদের অবস্থানের কারণে প্রমাণিত হয়, আগামী দিনে এনসিপি রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

আজকের রাশিফল: দূরদেশ থেকে ফোন করে কেউ ক্ষমা চাইবে, প্রপোজ করার মোক্ষম দিন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপি কাবিননামায় সই করেছে, ‘না’ বলার সুযোগ নেই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৫৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বিএনপি অনলাইনে ‘না’ বলেছে। কিন্তু তাদের এখন আর না বলার সুযোগ নেই। তারা বিবাহে রাজি হয়েছে। কাবিননামায় সই করেছে। তাই না বলার কোনো সুযোগ নেই। তাদের ভেবেচিন্তে জুলাই সনদে সই করা উচিত ছিল।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘রাজনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যতের পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় দল। তাদের জন্ম হয়েছিল “হ্যাঁ” ভোটের মাধ্যমে। এবার “না” ভোটে স্ট্রিক্ট থাকলে দলটির মৃত্যু হবে না ভোটের মধ্য দিয়ে। তাই আমরা বলব, না ভোটের মধ্য দিয়ে নিজেদের কবর রচনা করবেন না।’

জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপার হাউসে (উচ্চকক্ষ) পিআর সিস্টেম লোয়ার হাউসে নিয়ে এসে পুরো বিষয়টি নষ্ট হয়েছে। মুখে এক কথা, অন্তরে অন্য। গণভোট প্রশ্নে জামায়াত হয়তো পরবর্তীকালে বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হবে বা বলবে, ইলেকশনের দিনেই গণভোট হোক।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে করা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমালার খসড়া জনসমক্ষে আনার দাবি জানিয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘এরপরই এনসিপি এতে সই করবে। আমরা মনে করি, বল এখন ড. ইউনূসের কোর্টে। তিনি যেহেতু আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়, বলা হয়ে থাকে বিদেশি খেলোয়াড়েরা বাংলাদেশে খেলতে এলে পিছলে যায়। কারণ, বাংলাদেশের মাঠ পিছলা। কিন্তু এই পিছলা জায়গায় আরও বেশি তেলমর্দন করেন আমাদের আইন উপদেষ্টা। তিনি রাজনীতিবিদদের শুধু পিছলা খাওয়াতে চান।’

তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে না পারলে দেশ যদি গৃহযুদ্ধের দিকে যায়, এর দায়ভার প্রধান উপদেষ্টাকে নিতে হবে।’

নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ প্রশ্নে কোনো ‘ছাড় নয়’ মন্তব্য করে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘অনেকেই বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের পাঁচ লাখ নেতা-কর্মীর প্রাণ যাবে। আমরা কিন্তু আওয়ামী লীগের গায়ে হাত দিইনি। কিন্তু তারা দিতে এলে কঠোরভাবে প্রতিহত করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

আজকের রাশিফল: দূরদেশ থেকে ফোন করে কেউ ক্ষমা চাইবে, প্রপোজ করার মোক্ষম দিন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত