Ajker Patrika

মুক্তিযুদ্ধবিরোধী আড্ডাখানা হিসেবে গণবাহিনী সৃষ্টি হয়েছিল: নানক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২২, ১৫: ৩০
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী আড্ডাখানা হিসেবে গণবাহিনী সৃষ্টি হয়েছিল: নানক

মুক্তিযুদ্ধেরবিরোধী আড্ডাখানা হিসেবেই জাসদ, গণবাহিনী সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস আলোচনা করতে গেলে সত্য কথা আমাকে বলতেই হবে। সেদিন জাসদ সৃষ্টি, গণবাহিনী সৃষ্টি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছিল। সেদিন আমাদের বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার করা হয়েছিল।’

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির শোক দিবসের আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন নানক।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের অনুচর জিয়াউর রহমানকে ঢুকিয়ে দিয়ে, খন্দকার মোশতাকদের ঢুকিয়ে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে চেয়েছিল। ব্যর্থ হয়ে স্বাধীনতাত্ত-উত্তর বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেদিন আমাদের দলের ভেতরে অস্থিরতা ছিল, সেই অস্থিরতা শুভফল বয়ে আনে নাই।’

নানক আরও বলেন, ‘জেনারেল জিয়াউর রহমানেরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মানতে পারেনি। মোশতাকরা স্বাধীনতা মানতে পারে নাই বলে বাংলাদেশ মুসলিম বাংলা নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৭২ সালে। এরা সারা দেশে আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। সে সময় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেদিন বিভাজনের মধ্য দিয়ে গণবাহিনী তৈরি করা হয়েছিল।’

দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নানক বলেন, ‘আমাদের খুব সতর্ক হতে হবে। ওরা আবার নেমেছে। ওরা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেবে না। সে কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা নেমেছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেদিন হালবিহীন নৌকা পরিচালনার আত্মিক ও মানসিক শক্তি কেউ দেখাতে পারেনি। আমি কাউকে ছোট করতে চাই না, তবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের কর্মীরা কখনো মাথা নোয়ায় না। কর্মীরাই এসে হাল ধরে এটা তারা বারবার প্রমাণ দিয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

পঁচাত্তরে হত্যাকাণ্ডের সময়ে নিজেদের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘সেদিন কেন আমরা কার্যকর প্রতিরোধ-প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারলাম না। রাজপথে আন্দোলন করতে পারলাম না, সেই ব্যর্থতা নিয়েও আমাদের কথা বলতে হবে। এই ব্যর্থতার দায় আমাদের নিতে হবে।’

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘নির্বাচন এলেই সেই পরাজিত শক্তিরা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তাদের উদ্দেশ্যই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। অতীতের মতো এবারও তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুলতানা শফির সভাপতিত্বে এবং মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাহুমুদা বেগম কৃক। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যমুনায় এনসিপির প্রতিনিধি দল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি দল। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটায় প্রতিনিধি দলটি যমুনায় পৌঁছায়।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। প্রতিনিধি দলে আছেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা ও খালেদ সাইফুল্লাহ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও আসন্ন নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।

এর আগে okjfV মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিতর্কিতদের সরিয়ে সরকারকে সত্বর তত্ত্বাবধায়ক আদলে যেতে হবে: আমীর খসরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩৪
সিলেট বিজনেস ডায়ালগ-২০২৫’ অনুষ্ঠানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেট বিজনেস ডায়ালগ-২০২৫’ অনুষ্ঠানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নিরপেক্ষতার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে অতিসত্বর ‘তত্ত্বাবধায়কের’ ভূমিকায় চলে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সেই সঙ্গে ‘বিতর্কিত’ ব্যক্তিদের সরকার থেকে সরিয়ে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

আমীর খসরু বলেছেন, যেহেতু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই দায়িত্ব পালন করবে আগামী নির্বাচনে, যেহেতু আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না নির্বাচনের আগে, সে জন্য এই সরকারকে অতিসত্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।

আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আমীর খসরু। ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম।

সরকারের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, ‘অতিসত্বর সরকারকে কেয়ারটেকার মুডে চলে যেতে হবে। কেয়ারটেকার সরকারের জায়গায় অবতীর্ণ হওয়ার অর্থ হচ্ছে, পুরোপুরি নিরপেক্ষ অবস্থানে যাওয়ার কথা বলছি।’

অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, অনেকগুলো পদায়ন, অনেকগুলো বদলি, অনেকগুলো বিষয়ে সরকারের অবস্থান যে, কিছু কিছু লোক এগুলোকে প্রভাবিত করছে। সে জন্য আমরা বলেছি, যাদের নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে অথবা যারা কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে কিংবা দলের সঙ্গে নিজেদের আইডেনটিফাই করেছে, তারা সরকারে থাকলে কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা পালন করতে পারবে না।’

আমীর খসরু আরও বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের যে চরিত্র, সেটা সংবিধানে বলা আছে... কেয়ারটেকার সরকার কীভাবে পরিচালিত হবে, সেটাও সংবিধানে বলা আছে পরিষ্কারভাবে। সুতরাং, এই সরকারকে এই মুহূর্ত থেকে সংবিধানে যে কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা দেওয়া আছে, সেই বৈশিষ্ট্য তাদের এখন থেকে করতে হবে তাদের সমস্ত কর্মকাণ্ডে।

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, যে সমস্ত দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে চেষ্টা হচ্ছে, এগুলো তো ঠিক না। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যাওয়ার তো দিন শেষ হয়ে গেছে। শেখ হাসিনাকে বিদায় করা হয়েছে। এখন যাবেন জনগণের কাছে। আপনার দলের যদি কোনো কিছু আপনি মনে করেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আপনার যত দাবিদাওয়া আছে, সবগুলো নিয়ে আগামী নির্বাচনে আপনার মেনিফেস্টো নিয়ে জনগণের কাছে যান।’

বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পালাবদল চায় উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা চাই, একটা শান্তিপূর্ণ ট্রানজিশন হোক। তাহলে যাঁরা সরকারে আছেন, উনাদের তো সম্মানের সঙ্গে যেতে হবে...আমরা সেটা তো চাই। কিন্তু কিছু লোকের কার্যকলাপের মাধ্যমে সেটা যদি বিঘ্নিত হয়, সে জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলেছি, আপনারা পুরোপুরি কেয়ারটেকার মুডে চলে যান।’

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, যাঁদের নিয়ে বিতর্ক আছে, সেই লোকগুলোকে চলে যেতে হবে। তাঁরা থাকলে তো প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সবার কাছে মেসেজ যাবে, ক্লিয়ার মেসেজ যাবে যে, অন্তর্বর্তী সরকার তার সঠিক নিরপেক্ষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, প্রয়াত মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে রিটা রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ হোসেন আলমগীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হুমায়ুন কবির। ছবি: বিএনপির ফেসবুক পেজ
হুমায়ুন কবির। ছবি: বিএনপির ফেসবুক পেজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (আন্তর্জাতিক বিষয়ক) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।

আজ বুধবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইআরআই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জাতীয় পার্টির বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২৬
জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশে সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হয় তারা।

জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

বৈঠকে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নির্বাহী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসরুর মওলা।

আইআরআই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন আইআরআই বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার ফাসনার এবং সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো লিসা কার্টিস, কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগান, আবাসিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভ সিমা, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জেমি স্পাইকারম্যান, প্রচারণা ও পরামর্শদাতা জন ফ্লুহার্টি, পরামর্শক ডারিন বিয়েলেকি, অমিতাভ ঘোষ ও সাইদা মুশরেফা জাহান।

বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় জাতীয় পার্টির নেতারা দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, জাতীয় পার্টিকে নির্বিঘ্নে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দেওয়া এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রশাসনকে দলীয়মুক্ত করার ব্যাপারে আলোচনা করেন।

বৈঠকের বিষয় নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত মাসরুর মাওলা বলেন, ‘আজ (বুধবার) বাংলাদেশে সফররত আইআরআই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের (জাতীয় পার্টি) বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আইআরআই প্রতিনিধিদল আমাদের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে।’

মাসরুর মওলা জানান, আইআরআই প্রতিনিধিদলের প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়েছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না? জবাবে পার্টির চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ তাঁদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে বর্তমানে দেশে নির্বাচনের স্থিতিশীল পরিবেশ দৃশ্যমান হয়নি।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ তাঁদের আরও জানান, জাতীয় পার্টির অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সরকার এখনো সেগুলো প্রত্যাহার করেনি। এ ছাড়া অনেকের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

আনিসুল ইসলাম আরও বলেন, প্রশাসনে এখনো দলীয় প্রভাব রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি এখনো উন্মুক্ত পরিবেশে সভা-সমাবেশ করতে পারছে না। জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব সমস্যার সুরাহা দরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত